নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিক্তকথন- বেলা শেষে সিনেমা

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬


সাম্প্রতিক সময়ের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র “বেলা শেষে” দেখে দু কলম লিখতে মন চাইলো। আমি এতদিনেও কেন সিনেমাটা দেখি নি তা নিয়ে আমার বন্ধু-বান্ধব, ভাই বেরাদরেরা রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করতো। তাদের বক্তব্য ছবিটি শুধু যে বিনোদন দিয়েছে তাই না, এটায় শিক্ষামূলক অনেক কিছুও না কি আছে, যা বাস্তব জীবনে কাজে লাগালে সংসার এবং দাম্পত্য জীবন হবে আরো সুন্দর, এবং ফলপ্রসু। কোন সিনেমা আমার তখনই ভালো লাগে, যদি তাতে বিনোদন থাকে অথবা যদি ভাবনার খোরাক যোগায়। শিক্ষা অর্জন করার নিমিত্তে সিনেমা দেখি না। তবে এই সিনেমাটি থেকে যে উপলব্ধির জন্ম হয়, তা বাস্তবে কাজে লাগাতে পারলে অবশ্যই উপকার হবে । জীবনঘনিষ্ঠ সংলাপ এবং অভিনয় বেশ কবার আবেগাপ্লুত করেছে। এসব নিয়ে আপনারা অনেক কিছুই বলেছেন, লিখেছেন। তাই আমি আর কিছু যোগ করতে চাই না। আমি ভাবছি, সিনেমাটায় সম্পর্কের সুষম উন্নয়ন, এবং ভারসাম্যের নাম তুলে যেভাবে পুরুষতান্ত্রিকতাকে গ্ল্যামারাইজ করা হলো, সেই সম্পর্কে কেউ কিছু বলছেন না কেন? আবেগের সুগার কোটিংয়ে পতিব্রতা চরণদাসী নারীরূপের যে তেতো বড়ি গেলানো হয়েছে, আধুনিক নারীগণ তা গিলে নিলেন কীভাবে আমার মাথায় আসছে না। সিনেমাটি যে খুব খারাপ, তা বলছি না। কিন্তু এক বালতি দুধে এক চামচ মূত্র মেশালে যেমন তা খাবার অযোগ্য হয়ে ওঠে, তেমনই এই সিনেমাটিতেও এমন কিছু দৃশ্য, সংলাপ এবং ‘শিক্ষা’ আছে, যা ভালো অনুভূতি গুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করে ফেলেছে। এগুলো নিয়েই আমার এ লেখা। আমি চাইলেই আমার ডিজগাস্টকে নিজের মধ্যে রাখতে পারতাম, কিন্তু কেন এটা নিয়ে ব্লগ লিখছি? কারণ, সর্ব মহলে এর ভীষণ জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা। সিনেমা থেকে ‘শিক্ষা’র নামে যেভাবে পুরুষতান্ত্রিক শ্রেষ্ঠত্ব দক্ষতার সাথে চাপিয়ে দেয়া হলো অতি আধুনিকা নারীর কাছেও তা কীভাবে গ্রহনযোগ্য হলো, এর কারণটা জানতে ভীষণ আগ্রহী আমি।
সিনেমার শুরুটা বেশ চমকপ্রদ । মিস্টার মজুমদার (সৌমিত্র চ্যাটার্জী) বিবাহের ৪৯ বছর পার করে এসে সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি আর তার স্ত্রীর সাথে (স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত) আর সংসার করবেন না। ডিভোর্স চাই তার। কেন ডিভোর্স চান? জ্ঞানী বন্ধুরা, আমি অনেক ভেবেও এর কোন যৌক্তিকতা পাই নি। তিনি ভালোবাসা নামক অভ্যাস এবং দায়িত্বের বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে চান। পর্তুগাল কিংবা ফ্রান্সে গিয়ে তার ইউরোপিয়ান বন্ধুর সাথে ফূর্তি করতে চান। তিনি তা চাইলে করবেন, এতে এত নাটুকেপনার কী হলো? পুত্র-কন্যা-জামাই সবাইকে ডেকে ডিভোর্সের ঘোষণা দেয়া, শুধু ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত নন তিনি, কোর্টের পেপারওয়ার্ক পর্যন্ত করে রেখেছেন। পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি, ডিভোর্সের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, তার স্ত্রীকে একা থাকতে শেখানো, সাবলম্বী করে তোলা। বাহ, কী মহান হৃদয় তার! ডিভোর্স নিয়ে তিনি ফূর্তি করে বেড়াবেন, আর তার স্ত্রী সংসারের সং সাজা বাদেও অফিস-আদালত-ব্যাংক ঘুরে ঘুরে নিজের জীবন নিঃশেষ করবেন, শেষ বয়সেও একটু শান্তি, স্বস্তি এবং আরাম পাবেন না, কী চমৎকার এবং বিবেচক সিংহহৃদয় পুরুষ তিন্‌ কী চমৎকার তার চিন্তাধারা! যেহেতু ছবিটাকে শিক্ষামূলক দাবী করছেন, সেহেতু আপনাদের উচিত বউকে দ্বিগুন দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে ভীমরতি ধরলে একা একা আমেরিকা কানাডা চষে বেড়ানো। যদিও তিনি পরবর্তীতে তার সুমহান উপলব্ধি থেকে সরে এসে স্ত্রীর আঁচলের তলেই এসেছেন, সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। তবে সৌমিত্রের চরিত্রটি যে আমার দেখা অন্যতম বিরক্তিকর সিনেমা ক্যারেকটার তা নিঃসংকোচেই বলতে পারি।

আমার প্রধান দুটি আপত্তির কারণ বলার আগে আরো দুটি খাপছাড়া বিষয় উল্লেখ করা সমীচীন মনে করছি। সৌমিত্রের এক কন্যা পরকীয়া করে। সে তার বাসার সামনেই গাড়ি নিয়ে ফিরে কিছুক্ষণ তার প্রেমিকের সাথে সময় কাটান, চুম্বন করেন। সেটা আবার তার স্বামী পর্দার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে দেখেন। কিছুটা খাপছাড়া নয়?
আচ্ছা, তা না হয় মানা গেলো। এমন দু-একটি অসামাঞ্জস্য পূর্ণ দৃশ্য থাকতেই পারে সিনেমায়। কিন্তু সবাই মিলে স্টার জলসার সিরিয়াল দেখার মত আগ্রহে ক্যামেরা এবং সাউন্ডবক্স ফিট করে বাবা-মার বেডরুমের দৃশ্য দেখছে, কথোপকথন শুনছে গভীর আগ্রহে, এই অভূতপূর্ব বুদ্ধিটা পরিচালককে কে দিয়েছে এবং দর্শকরাই বা কীভাবে গিলেছে তা আমার বোধগম্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এসব দেখে শুনে বাবা-মার সমস্যার মূল ব্যাপারটা বোঝা। এবং যথারীতি তারা যতক্ষণ সেই সিন দেখছে, তার মধ্যেই বৃদ্ধ যুগল তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো বলে তাদের মনোবাঞ্জা পূরণ করেছেন। যেহেতু এটা একটি ‘শিক্ষামূলক’ ছবি, এবং এই সিনেমা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান চর্চা করে সংসারে শান্তি আনা সম্ভব, তাই সবিনয়ে আমার নিবেদন, ভাই-বোন-শালা-দুলাভাই-ভায়রা সবাই মিলে বাবা-মার বেডরুমের ভিডিও দেখুন। সুতীক্ষ্ণ নজর রাখুন। পারবেন? আপনেরাই বলেন যে এর মত বাস্তবসম্মত এবং জীবনঘনিষ্ঠ সিনেমা হয় না, আবার এইসব উদ্ভট ন্যুইসেন্সকেও সিনেমাটিক ডিমান্ড বলে সহি করতে চান, এমন দ্বিমুখিতা না করলে হয় না?
এবার আমি বলবো আমার সবচেয়ে জোরালো কিছু আপত্তির কথা, যেগুলো সিনেমাটির সমস্ত পজিটিভ মেসেজকে ধূলোমলিন করে দেয়।

শান্তিনিকেতনের বাড়িতে যখন তাদের বোধনপর্ব চলছিলো, তখন স্বাতীলেখা তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, “তুমি যখন মাছ খেয়ে উচ্ছিষ্ট গুলো রেখে দিতে, আমি সেগুলো খেতাম। আমার ভালো লাগতো।“
মধু! মধু! আমি মানছি দু বাংলাতেই এমন কিছু স্টুপিড, আত্মসম্মানহীন নারী আছে, যারা স্বামী সেবাকেই জীবনের মূল উদ্দেশ্য মনে করেন। সুতরাং, আপনারা বলতে পারেন, এমন তো হয় ই! হয় বলেই দেখিয়েছে। আমার আপত্তি উপস্থাপন নয়। উপস্থাপনের ভঙ্গিতে। অভ্যাস থেকে ভালোবাসা বা ভালোবাসা থেকে অভ্যাস কীভাবে রুচি বিপর্যয় সৃষ্টি করে, সেটা দেখানো হয়েছে এমন ভাবে, যাতে দর্শক আবেগাপ্লুত হয়। আহা কী ভালোবাসা, বলে মরি মরি করে! ভাবতে অবাক লাগে যে এই সিনেমার দুই পরিচালকের মধ্যে একজন আবার মহিলা!
এটাই শেষ নয়। তিনি আরো বলেন,
“তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।“
আই মিন, সিরিয়াসলি! এই একটা সংলাপেই তো পুরো সিনেমার প্রতি ভালো লাগাটা উবে যাবার কথা। আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারি নি এমন ডায়লগও থাকতে পারে! পতিব্রতা নারীর ভালোবাসা রান্নাঘর, এঁটোপ্লেট, বেটোকাঁটা থেকে শেষতক মল-মূত্রতে গিয়ে ঠেকেছে। ভালোবাসা আর অভ্যেসের দ্বন্দ্বকে তীব্রায়িত করতে গিয়ে নারীকে কোথায় নামিয়ে নিয়ে গেছে ভেবে অবাক হচ্ছি। এত এত ফেমিনিস্ট দেখি আশে পাশে তারা কেউ কিছু বললেন না কেন এ ব্যাপারে? নাকি আমি ওভার রিয়্যাক্ট করছি?

ছোটবেলায় জানতাম স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। তিন তালাক দিলে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এসবই ছিলো কাঠমোল্লাদের ফতোয়া। বাংলাদেশে এখন প্রত্যন্ত গ্রামেও এসব কথা কেউ মানে না। কিন্তু কোলকাতার বনেদী পরিবারগুলো আজও যে এই ধারা মেনে চলেছে, তা জেনে খুবই অবাক হলাম। আর প্রশ্নটা জাগলো, চলেছে বলেই সিনেমায় দেখিয়েছে, নাকি সিনেমায় দেখায় বলেই চলে? যে আচরণের প্রতিবাদ হিসেবে পরিচালক করতে পারতেন তীব্র ব্যঙ্গ, চরিত্র গুলি দিয়ে করাতে পারতেন প্রতিবাদ, সেখানে তিনি বরং এগুলো গ্লোরিফাই করতে চেয়েছেন।
মাঝখানে কিছু র‍্যান্ডম দৃশ্য ছিলো, কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা, স্মৃতি। সেখানে একটি দৃশ্য ছিলো এমন, স্বাতীলেখা তার স্বামীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করছেন। দুঃখের বিষয়, এই দৃশ্যটি পরিচালকেরা আরো একবার রিপিট করেছেন। কেন রিপিট করলেন? কারণ এটা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে। এই দৃশ্যের আড়ালের যে প্রবঞ্চনা, সে বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ উদাসীন। আর দর্শকদেরও আবেগাক্রান্ত করে ভাবতে বাধ্য করেছেন, দেখ দেখ, বৃদ্ধা এই বয়সেও তার স্বামীকে কত ভক্তি শ্রদ্ধা করে, শেখো শেখো! হ্যাঁ, পাঠিকা, এই ছবি থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ের তালিকায় এটাও রেখেছেন আশা করি!

সবশেষে, সেপারেশনের সময় নিজের জামা-জুতো খুঁজে নেয়া, এবং চা বানানোর ঝক্কিটা ঝামেলাপূর্ণ মনে হওয়াতে মহারাজা তার রাজপ্রাসাদে ফিরে এলেন চার মাস পর। এসেই তার সে কী ভাব! “আমি যে এসেছি, তাতে তুমি খুশি হও নি?”। তার চাকরানী ওরফে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন। লক্ষ্য করুন, “তোমার কাছে আসতে পেরে আমি খুশি হয়েছি” নয় কিন্তু! “আমি এসেছি দয়া করে, এখন আমার সিংহ আসন পরিষ্কার করার কাজে নিয়োজিত হও”। এই হলো সৌমিত্র, তথা পরিচালকদ্বয়ের মনোবৃত্তি। এর মাঝে চাকরানী স্বাতীলেখা অফিস-আদালত-ব্যাংকে যাতায়াত করে স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। কিন্তু হাজার হাজার বছরের পুরুষতান্ত্রিকতার যে প্রভাব তিনি বয়ে চলেছেন, তা থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? পরিচালকরাই বা কেন মুক্তি দিবেন, যেখানে আমাদের মা-খালা-বোন’রা এত টুকু ভালোবাসার জন্যে উদয়াস্ত খাটেন, সবার সামনে সগর্বে ডিভোর্সের অপমান সয়ে নিয়ে শুধু হিজ হাইনেজের খুশিতে নিয়োজিত হতে ব্যস্ত থাকেন? দর্শকরা তো এটাই খাবে! তো গিলিয়ে দাও না জোর করে! কুইনাইনের মত। খেতে তেতো, কিন্তু গিলে ফেললে অশেষ উপকার এবং আনন্দ! পরাধীনতার স্বাধীনতা পাবার আনন্দ!
চাকরানীর চোখ ছলছল হয়ে উঠলো স্বামীর ‘কষ্টের’ বিবরণী শুনে। তিনি ফিরে গেলেন সাবলম্বী নারীর সম্মানজনক অবস্থান থেকে চরণদাসীর ভূমিকায়। দিলেন সেই বিখ্যাত ডায়ালগ,

“ঠাকুর যেন তোমাকে আমার আগে নিয়ে নেন। কারণ, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো। কিন্তু তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না”।
বাহ! বাহ! বাহ! কী টাচি একটা ডায়ালগ! এত কিছুর পরেও সাবলম্বী নারী সেই চাকরানীর পথেই ফিরে গেলেন। স্বামী দেবতাকে তুষ্ট করার মাঝেই তার জীবনের সার্থকতা প্রমাণ করলেন। থাকো তুমি বেঁচে স্বামী, জামা, জুতো, জাঙ্গিয়া খুঁজে দেবো আমি। এবং পাবো অর্গাজমের আনন্দ। সাবাশ পরিচালক! সাবাশ স্ক্রিপ্ট রাইটার! সাবাশ অভিনেত্রী! সাবাশ!
নারীগণ, আপনারা কাঁদতে কাঁদতে মুর্ছা যান। চোখ মুছে আলু ভাজি করতে যান। দুপুরের ভাতঘুমের সময়ে পতি দেবতা এক গ্লাস লেবুর শরবৎ খেতে চাইলে পড়িমড়ি করে চোখ কচলে দৌড়ান। ঘর-রান্নাঘর-বারান্দা। আপনি সাগর দেখবেন না, পাহাড় দেখবেন না, এই বিশাল পৃথিবীর কিছুই দেখবেন না। শুধু স্বামীর সেবা করার লাইসেন্সটা দেয়া হবে, সেটাই আপনার সংসারে টিকে থাকার ভিসা। এবং বছরে বছরে সেটা রিনিউ করে মজে থাকবেন এক আবদ্ধ ইউটোপিয়ায়।
এমনটাই আমরা দেখতে চাই।
এমনটা দেখেই আমরা খুশি।
এমনটাই তারা দেখাতে চান।
ছবি হিট, এবার বাড়ি ফিরে যান।
খুদাপেজ।

মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০১

প্রামানিক বলেছেন: “ঠাকুর যেন তোমাকে আমার আগে নিয়ে নেন। কারণ, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো। কিন্তু তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না”।
বাহ! বাহ! বাহ! কী টাচি একটা ডায়ালগ! এত কিছুর পরেও সাবলম্বী নারী সেই চাকরানীর পথেই ফিরে গেলেন। স্বামী দেবতাকে তুষ্ট করার মাঝেই তার জীবনের সার্থকতা প্রমাণ করলেন। থাকো তুমি বেঁচে স্বামী, জামা, জুতো, জাঙ্গিয়া খুঁজে দেবো আমি। এবং পাবো অর্গাজমের আনন্দ। সাবাশ পরিচালক! সাবাশ স্ক্রিপ্ট রাইটার! সাবাশ অভিনেত্রী! সাবাশ!


বাস্তব জীবনে এরকম হলে তো কাজই হতো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

নতুন বলেছেন: “তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।“

অসুস্হ চিন্তা ভাবনা :(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুবই বিশ্রী।

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই ছবিটা দেখে আপনার মতো আমিও মিস্টার মজুমদারের ডিভোর্স চাওয়ার কোন যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাইনি। তা' ছাড়া কাহিনী, সংলাপ ও অভিনয়ের মধ্যে একধরণের অযাচিত দর্শক আকর্ষণের চেষ্টা বিদ্যমান বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। পশ্চিম বঙ্গের ছবিগুলো এখন আর আগের মতো মানসম্মত নয়।

তিক্তকথন ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ হা মা ভাই।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই। বাংলা সিনেমার অবস্থা বেশি ভালা না।

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: যে ডায়লগগুলো আমার বিবমিষার উদ্রেক করেছিল আপনি সেগুলোই উল্লেখ করেছেন।
সহমত।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

ইনকগনিটো বলেছেন: দেখিনাই ছবি। পোস্ট পৈড়া দেখার আগ্রহ আরো হারাইয়া ফেললাম।

এই কারণে তুমারে মাইনাচ। <_

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: উপকার করার এই পুরষ্কার? X(

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

রাশা নোয়েল বলেছেন: এইটা কি কইলেন? বিস্তারিত আলোচনায় আইতে হবে :/ জীবনঘনিষ্ঠ সাইকোলজিক্যাল স্বচ্ছতা বিষয়ক মুভি বইলাই জানতাম /

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার যুক্তি গুলো পছন্দ না হলে এর বিপরীতে মন্তব্য আশা করছি।

৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখকের বেশ কিছু কথা খুব ভালো লেগেছে। তবে আপনি ভারতীয় সিনামা দেখেন?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। কম দেখি। যেগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয় সেগুলোই দেখি মূলত।

৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

সামুর ইমু বলেছেন: দেখতে ইচে্‌ছ জাগল।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: দেখে ফেলেন।

৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: কী বোমা ফাটাইলেন হামা ভাই?

(আমি অবশ্য খুবই অধম টাইপের লোক, শেষ কবে সিনেমা দেখেছি, মনে করতে পারছি না।)

এ্ত্ত এত্ত প্রশংসার মধ্যে আপনি একি কন?

সিনেমাটার অনেক ভাল ভাল দিক নিশ্চয়ই, কিন্তু আপনার কাছে যেটা খারাপ লেগছে, সেখানে/সেই সমাজে সেটাই যদি সমাদৃত হয়, করার কিছুই নাই, যদিও তারা চলনে-বলনে-পোশাকে-আশাকে ভীষণ আধুনিক।

ভাল থাকুন। সবসময়।



৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাউরে না কাউরে তিক্ত কথাটা বলতেই হবে। অত সহজে পার পাওয়া যাবে না। দুনিয়া বহুত কঠিন জায়গা B-)

১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: তা ঠিক, কিছু কিছু কঠিন লোক, সেইটা সময়মত প্রমাণ করে দেয় যে দুনিয়া কঠিন জায়গা।

(আপনি সিনেমাটা দেখবেন জানলে, পরিচালক আর একটু সতর্ক হতো !!!!!)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসল সময়ে দেখি নাই, যখন এইডা নিয়া ক্রেইজ চলতাছিলো। তখন দিলে এইডা আরো ব্যাপক ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতো।

১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

আলোরিকা বলেছেন: রিকির রিভিউ পড়ে ভেবেছিলাম --- মাস্ট সি ------আর আপনার রিভিউ পড়ে তো রীতিমত ( ওয়াক থুঃ |-) ) অবশ্য এই ডায়ালগটা-- “তুমি যখন মাছ খেয়ে উচ্ছিষ্ট গুলো রেখে দিতে, আমি সেগুলো খেতাম। আমার ভালো লাগতো।“----ট্রেলারেই দেখেছিলাম ---- তখনও ভাল লাগেনি :)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকেই পুরো লেখাটার সাথে একমত হলেও উচ্ছিষ্ট খাবার ব্যাপারে ছাড় দিতে চান। এটা নাকি মহব্বতের প্রকাশ। তো আমার কথা হৈলো, এই মহব্বত শুধু নারীরা দেখাবে কেন? কোন স্বামী কি এই কাম করে?

১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮

আলোরিকা বলেছেন: যদিও একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি একেকরকম --------- তারপরও আপনার বিশ্লেষণ থেকে মনে হয়েছে মুভিটাকে সত্যিকার অর্থেই ব্যবচ্ছেদ করতে বসেছিলেন -------------দাঁড়াও দেখছি কিসের শিক্ষামূলক ছবি ;)

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি খোলা মন নিয়েই দেখেছি। প্রথম ২৭ মিনিট তো খুবই ভালো লাগছিলো। তারপর থেকেই শুরু হইলো যত সব কন্ট্রাভার্সি। মেজাজ গরম হৈয়া গেছিলো।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: এইসব অখাদ্য কুখাদ্য ডায়ালগ ভর্তি সিনেমা আর ৫০ বছর পুরোন ধ্যন ধারনার ছবি বর্জন করাই শ্রেয়। তাদের বাংলা বলার ভাষা আমার কাছে বিদ্ঘুটে মনে হয়,ছবির ডায়ালগ গুলো হাস্যকর এবং অযাচিত মনে হয়.

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকাংশেই ঠিক আপনার মন্তব্য।

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

কানিজ ফাতেমা বলেছেন: আমার পরিচিত অনেকের কাছে এটা খুব আদর্শ মুভি ।
তুমি যখন বাড়িতে থাকতে না দুপুর বেলায় লুকিয়ে বই পড়তাম, যদি রেগে গিয়ে বাড়িতে আর বই না আনতে । এ ডায়লগটির কোন আগা মাথা বুঝলাম না । যাকে এতটা ভয় তাকে ভালবাসা যায় কিভাবে ? পৌরানিক অভস্ততাকে আধুনিক মোড়কে উপস্থাপন ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট ধরেছেন। আমার খেয়ালই ছিলো না এটির কথা। এ্যাড করে দেবো।

অনেক ধন্যবাদ ফাতিমা।

১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

জুন বলেছেন: Ottonto protikul poristhitey thekey o apnar ei lekhay cmnt korchi karon er proti ti okhkhor er sathey sohomot kotha ti bolar jonno ..cinema ti ami dekhi ni ..prio blogger somudro konnar riviue thekey onek personal req y o ami dekhi ni ...karon ekjon dhorey bedhey amk golpo ta line by line shunitechilo ...r eki reaction amar hotechilo ...sorry banglish lekhar jonno .
+

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কষ্ট করে কমেন্ট করার জন্যে ধন্যবাদ।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই। ছবিটা দেখার সময়, আমার কাছে কাহিনীর সবচেয়ে দুর্বল দিক মনে হয়েছে ডিভোর্সের কারনটা। তবে আমাদের সমাজের নারীদের মনের গোপন ঘরে যুগ যুগ ধরে যে বীজ বপন করা হয়েছে, তাই ছবিতে দেখানো হয়েছে। অনেক শিক্ষিত স্বাধীনচেতা নারীকেই দেখেছি বিয়ের পর "স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেশত" টাইপ হয়ে যেতে। ফলে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর কাছে ছবিটি অস্বাভাবিক লাগে নাই, কাহিনীও দৃষ্টিকটূ মনে হয়ে নাই। আর বেডরুম এর হিডেন ক্যামেরার অংশ আসলেই মাথামোটা কাহিনীকার এর রুচি নিয়ে প্রশ্ন রেখে যায়। আসলে আপনার বলা সেই এক বালতি দুধের মধ্যে কয়েক ফোঁটা গোচনা...

ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য। ভাল লেগেছে। ++++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বোকা মানুষ, আপনি বলতে চেয়ে ভালোই বলে ফেলেছেন B-)

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১

কলিন রড্রিক বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম সিনেমাটি দেখবো-আসলেই কি এভাবে নারীর আত্মমর্যাদাকে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে কিনা। কিন্তু সে আশা চলে গেলো যখন লেখার এ অংশে পৌঁছলাম-

“তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।“

এমন ডায়ালগও কি থাকতে পারে সিনেমায়!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরা টাশকি খায়া গেছি দেইখা!

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

খোলা মনের কথা বলেছেন: ছবিটি রিলিজ হওয়ার পরপরই দেখেছিলাম। ভাল খারাপের মাঝামাঝি লেগেছিল। আপনার রিভিউটি সুন্দর হয়েছে।

ছবিটি সাধারনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতো কিন্তু সেটা না করে কিছু তিক্ত ব্যাপার দিয়ে। ভিডিও ফুটেজ দেখা, কিছু বাজে ডায়লগ দিয়ে ছবিটির মুড নষ্ট করেছে। বিশেষ করে তালাকের ব্যাপারটি আমার কাছে সব থেকে বাজে ব্যাপার মনে হয়েছে।

ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা ভালো লাগলো। এভাবেই মন খুলে কথা বলে যান।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: কোনটা কার কাছে ভাল লাগবে সেটা দৃস্টিভঙ্গীর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়। সিনেমা বাস্তব জীবন নিয়ে হলেও তাতে মেলোড্রামা থাকবেই, না হলে মানুষ কেন দেখবে, পাড়ার দীনু মুদির জীবনটা দেখলেও পারে! যে ডায়ালগ নিয়ে কয়েকজন সমালোচনা করলেন উপরে তাতে এটাই প্রমানিত হয় না যে এটা তাদের মনে (খারাপ) লেগেছে আর তাতেই স্ক্রিপ্ট রাইটার সার্থক! এই যেমন আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার তবু আমি আপনার লেখার বিরোধীতা করলুম! ছবিটির চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন হামা।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন একটা কমেন্ট কারো কাছ থেকে আশা করছিলাম। ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মুভিটি দেখতে হবে । ভাল লেগেছে পোস্ট ।+

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে অনেক দিন বাদে দেখলাম। ভালো আছেন আশা করি।

২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৯

রা জ্য বলেছেন: ছবিটা যখন প্রথমবার দেখি, সে সময় অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। বলতে গেলে অন্ধ ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম ছবিটার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষ হল যে জায়গাগুলো দেখে আমি ছবির অন্ধভক্ত বনে গিয়েছিলাম আপনি প্রায় তার সবগুলোই আপনার লেখায় তুলে ধরেছেন আপনার নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গিতে। আসলে সব বিষয়ই পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গির উপরে নির্ভর করে বিভিন্ন মাত্রায় পোঔছায়,আপনার লেখাটাও অনেকটা তারই উদাহরণ বলে মনে হয়েছে আমার।
তবে আপনার বিশ্লেষণের বিষয়টা অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার, আর এটাই এখানে কমেন্ট করার মূল কারন, যদিও আমার মনে মন্তব্য করার ব্যাপারটা ভীষণ অপছন্দের ততোধিক ভয়েরও!! কিন্তু একটা কথা না বললেই নয়,আপনার এই রিভিউ দেখে এখন আমি সত্যিই দ্বিধাদন্দে পড়ে গেছি আমার নিজস্ব দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপারে!! আমি এই বিষয়গুলো খেয়ালই করি নি! নারীর অমর্যাদায় আমারও খারাপ লাগে,অথচ এখানে তার স্পষ্ট দিকগুলাই ছিল। এইভাবে মানুষকে তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে দ্বিধায় ফেলাটা ঠিক না!! :`> :P
তবে গোয়ারের মত আমার একটা কথা বলতেই ইচ্ছে করছে, ছবিটা আগেও যত ভাল লেগেছে আমার কাছে এখনো(আপনার রিভিউ দেখার পরও) ততটাই ভালো লাগে। কেননা আমার মনে হয় ছবিটার গল্পটাই এরকম। এজন্যেই এভাবে তুলে ধরেছে,তবে কিছু ডায়লগের ব্যাপারে আমারও ভীষোণরকমের আপ্ততি আছে, যেমন “তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।“
তবে এই রিভিউয়ের পরে আপনার থেকে রাজ কাহিনী ছবিটা দেখার এবং তার রিভিউ লিখার অনুরোধ করছি, ভীষন অনুরোধ।
আর হ্যাঁ, অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন অসাধারন একটা রিভিউয়ের জন্যে। :)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: কমেন্ট করেন না, করেন না করেও এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্যে ধন্যবাদ। আপনার অনুরোধ রাখতে পারলে খুশী হব।

২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কোলকাতার মুভি গুলোতে ঈশ্বর ভক্তি, পতি ভক্তি ভয়াবহ রকমের । বড্ড বিরক্ত লাগে এগুলো ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই।

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ছোটবেলায় জানতাম স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত। তিন তালাক দিলে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এসবই ছিলো কাঠমোল্লাদের ফতোয়া। বাংলাদেশে এখন প্রত্যন্ত গ্রামেও এসব কথা কেউ মানে না। কিন্তু কোলকাতার বনেদী পরিবারগুলো আজও যে এই ধারা মেনে চলেছে, তা জেনে খুবই অবাক হলাম।


সেকি! নারায়ণ নারায়ন!


কলকাতাবাসীও এমন করছে। টাস্কি খেলুম ভায়া!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও টাশকি খাইছি।

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

আরজু পনি বলেছেন: =p~
ধুরু আপনি মানুষটাতো অনেক খারাপ ! এমন লিখা লিখছেন যে অফলাইনে পড়ে সুবিধে করতে পারলাম না। লগইন হতে বাধ্য হলাম।

সাধুবাদ জানিয়ে গেলাম।
আপনার ব্যবচ্ছেদে যাচ্ছিনা। তবে এই টাইপের পুরুষদের বুড়ো আঙ্গুল দেখাতেই নারীদের পায়ের নিচের মাটি শক্ত রাখতে হয়।

আমার কাছে ছবিটি কিন্তু ভালো লেগেছে ;)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক, অনেক দিন পর আপনাকে অনলাইনে আনা গেলো। প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৮

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:

ডায়ালগ গুলো উদ্ভট। বেশি আটপৌরে হতে হতে রাস্তায় নামার অবস্থা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ছবির ভালো দিক গুলো খেয়ে দিয়েছে একদম।

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০০

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: যদিও সিনেমাটি দেখা হয়নি তবুও বলছি, এই যদি হয় শিক্ষার অবস্থা তবে এটি দেখে অযথা সময় নষ্ট করতে নারাজ আমি। আপনি পয়েন্ট গুলো যেভাবে তুলে ধরেছেন, আমার বিশ্বাস সিনেমাটির প্রতি অনেকের দৃষ্টিভঙ্গীই পালটে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্টের জন্য।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: যদি তাই হয়, আমার লেখা সার্থক হবে তাহলে। ধন্যবাদ অনু।

২৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: কোন ছবি আমি মনোযোগ দিয়ে দেখি না একারণে কিছু বুঝি না।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই। দরকার কী এত কষ্ট করার!

২৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০২

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: খুব সুন্দর বিশ্লেষন ।। ভালো লাগলো

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ রাবেয়া। ভালো কাটুক দিন।

২৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৪

অন্তু নীল বলেছেন: টয়েলেটের কেসটা এক্কেবারেই জঘন্য হয়েছে।
যাকে বলে দড়িতে পারা দিয়ে মাটিতে নামানো। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাই লালন করে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় আমার সবচেয়ে অপ্রিয় সিনে ডায়ালগ কোনটা, তবে আমি এটার কথা বলবো।

৩০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৫

নীলপরি বলেছেন: মুভিটা দেখেনি এখনো । আপনার রিভিউ পড়ার পর আর দেখার ইচ্ছে নেই । আসলে কিছু ফিল্ম তৈরী হচ্ছে যেগুলো মেগাসিরিয়ালের বর্ধিত রূপ । এর টার্গেট অডিয়েন্স এতো কিছু ভাবেন না । ভাবলে রোজ টিভিতে একজনের দশবার বিয়ে আর গোটা পাঁচেক অ্যাফেয়ার হজম করতেন না । :)

আপনার রিভিউ ভালো লাগলো ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো বলেছেন নীলপরি। শুভেচ্ছা।

৩১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২১

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: রিকি আপার মত এত সুন্দর করে রিভিউ পোস্ট কেউ লিখতে পারবে না, তাই শুধু পড়তে হয় কিন্তু দেখতে হয় না;আমি এই শিক্ষাই পাইছি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: সে বুঝলাম। কিন্তু এটা রিকির ব্লগ না, হাসান মাহবুবের ব্লগ। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করুন।

৩২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৪

সোহানী বলেছেন: মাইন্ড কইরেন না মাহবুব ভাই। জি বাংলা দেখতে দেখতে আমাদের নারীকূল তাদের সাধারন চিন্তাশক্তি হারিয়েছে। স্বামীর হাগুর মধ্যেও মহত্ব খুঁজে পায়। যাইহোক একেতো ইন্ডিয়ান কোন সিনেমা বা সিরিয়াল দেখিনা তাই এটা দেখারও ইচ্ছা নাই।

আমার সাথে এক কলকাতার মেয়ে চাকরী করে, ওরে বললাম আমাদের দেশেতো তোমাদের সিরিয়ালগুলা খুব জনপ্রিয়। ও বললো আমাদের ওখানে এগুলা দেখানো হয়না। একমাত্র হাই পে করে দেখতে হয়। এসব সিরিয়াল তোমাদের জন্য করা হয়। আমি একটু রেগে বললাম আমাদের সমাজে পরকিয়া বা বউ-শাশুড়ি মার্কা ঝগড়া হয় না, ওগুলো মনে হয় তোমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবি। ও বললো, আমাদের সমাজে হয়তো কিছু আছে বা নেই কিন্তু আমরা আমাদের সন্তানদের এসব দেখতে দেইনা কখনই।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নতুন কথা শুনলাম। লজ্জিত এবং ক্ষিপ্ত হলাম। এইসব সিরিয়াল বন্ধ করার কোন উপায়ই কি নেই!

৩৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২২

মাদিহা মৌ বলেছেন: এভাবে ভেবে দেখিনি!

কিন্তু আপনার লেখায় আপনি "পাঠিকা" বলে সম্ভোধন করলেন কেন? মুভিতে মেয়েদের অবমাননা করা হয়েছে বলে এটা কেবল মাত্র পাঠিকাদের জন্য? পাঠকদের জন্য নয়?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: কারণ নারী স্বত্তাকে এভাবে দলিত করার পরেও জাঁহাবাজ সব আধুনিক নারীদের কেউই কোন প্রতিবাদ করেন নি। আমরা পুরুষেরা নারীকে হাজার বছর ধরে পদানত করে রেখেছি। এখন সিনারিও চেঞ্জ হচ্ছে। এটা নারীবাদী পুরুষদের কৃপায় না। নারী নিজস্ব শক্তিতে বলীয়ান হতে পেরেছে বলেই সম্ভব হচ্ছে। তাদের যুদ্ধটা পুরুষেরা এসে করে দেবে না। আমরা যেই কম্ফোর্ট পেয়ে এসেছি, তা কোন দুঃখে বর্জন করতে যাবো!

সুতরাং, পাঠিকা আপনাদেরই লড়তে হবে এর বিরুদ্ধে।

৩৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

অদৃশ্য বলেছেন:



হাসান ভাই, আপনি এতো ক্ষেপলেন ক্যান! ... আপনারে বেশি জোরজবরদস্তি কইরা ফালাইছে মনে হয় এই ছবটা দেখবার জন্য... আপনার এই তিক্তরিভিও পইড়া আমি হাসতে হাসতে শ্যাষ...

আপনার সাথে আমিও একমত... (১) হাগুর গন্ধ ভালোলাগাটা তীব্র এক মানসিক বকৃতি (২) মা-বাবার একান্ত ব্যক্তিগত সময়ের দৃশ্য ধারণও চরম মানসিক বিকৃতি ও চরম অশালীন কাজ...

আপনার সাথে একমত না... (১) প্রিয় মানুষের ঝুটা খাওয়াটাকে রুচি বিকৃতির মতো কিছু মনে হয়না আমার... খুব বেশি রুচির সমস্যা না হলে একে অন্যের পরিত্যক্ত খাবার খেতেই পারে...

ছবিটাতে সৌমিত্রের চরিত্রটা কর্তা ব্যক্তির যে কিনা সবকিছুকেই তার ইচ্ছেমতো সাজিয়ে রাখতে চায় বা উপভোগ করতে চায়, শেষটাতেও ঠিক তা-ই... তবে মেসেজ আছে কর্তা ব্যক্তিদের জন্য তা হলো নারীদের অনেকটা স্বাধীনতা দিয়ে দেওয়ার জন্য যা কিনা তিনি পড়ন্ত বয়সে এসে উপলব্ধি করলেন... জীবনের একঘেয়েমিটা তার যখন ভালো লাগছিলোনা তখনই তিনি সেই পরিকল্পনাটা করলেন... কিন্তু তিনি আবারও ফিরে আসলেন কেননা ততদিনে অভ্যাসের শৃঙ্খলে কঠিনভাবেই আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, যার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপযুক্ত সময় সেটা ছিলোনা... তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাটা মোটেও ছিলোনা, তিনি শুধু তাকে প্রয়োজনেই ব্যবহার করেছেন... এখানে একঘেয়েমির সাথে অনেকটা অপরাধবোধও আছে হয়তো...

আমরা সমাজ থেকেই শিক্ষা নিয়ে থাকি, তাই হুট করেই আপনি একটি সমাজ ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন না... এর জন্য সময়, ধৈর্য এবং উদাহরণ সহ যথেষ্ট শিক্ষার প্রয়োজন... নারী ও পুরুষ উভয়েকেই তাদের কর্তব্য, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে ও সচেতন হতে হবে... এমনটা সম্ভব হলে হয়তো স্বাধীন নারী ও পরুষের সমন্বয়ে সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে...

আর পরিচালকের ক্থা যদি বলি তাহলে বলতে হয়, তিনি শুধুমাত্র শিক্ষাদানের জন্যই ছবিটি করেননি বা নারীদের পদতলে রাখা ও পুরুষকে চীরন্তন কর্তা হিসেবে দেখানোর জন্যই করেন নি... তার চিন্তার ভেতরে আর্থিক লাভ-ক্ষতিরও ব্যাপার ছিলো... যার দর্শকরা হাজার বছরের সেইসব অভ্যাস নিয়েই এখনো টিকে আছে, এবং এখনো তা পুরোপুরি উপভোগ করছে... এই পরিস্থিতিতে তাই পরিচালক স্বাভাবিকভাবে একটি পরিবর্তনের পথ বাতলানোর চেষ্টা করেছেন দুইজন পড়ন্ত/অভিজ্ঞ বয়সের মানুষের মাধ্যমে... যারা এখন কিশোর, তরুন, যুবক ও পরিণত বয়সের তারা যেন তাদের পড়ন্ত সময়ের উপলব্ধিবোধগুলোকে অনুসরণ করতে পারেন... আমার কাছে এইটা একটা নতুন বৃক্ষের বীজ বপনের মতোই মনে হয়েছে... নতন বৃক্ষের বীজও বপন করা হলো আবার পিকনিকও হলো...

আপনার লিখাটি পড়বার পর কিছুক্ষন হাসলাম আর ভাবলাম আমার ভাবনাটাও আপনাকে শেয়ার করি... ছবিটা রিলিজ হওয়ার পর অনলাইনে আসার সাথে সাথেই দেখেছিলাম... সবমিলিয়ে মোটেও খারাপ লাগেনি... আবেগ, অনুভূতি, মজা, ছিছি, রারা সবই ছিলো...
অনেক বকবক করলাম, ভুলত্রুটি হওয়াই স্বাভাবিক...

হাসান ভাইয়ের জন্য
শুভকামনা...

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা সমাজ থেকেই শিক্ষা নিয়ে থাকি, তাই হুট করেই আপনি একটি সমাজ ব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন না... এর জন্য সময়, ধৈর্য এবং উদাহরণ সহ যথেষ্ট শিক্ষার প্রয়োজন... নারী ও পুরুষ উভয়েকেই তাদের কর্তব্য, সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে ও সচেতন হতে হবে... এমনটা সম্ভব হলে হয়তো স্বাধীন নারী ও পরুষের সমন্বয়ে সুন্দর একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে...

হ্যাঁ, হুট করেই কোন চেঞ্জ আনা অসম্ভব। পরিবর্তন একটি দীর্ঘ এবং কষ্টসাধ্য ব্যাপার। বিশেষ করে হাজার হাজার বছর ধরে যে কালচার চলে আসছে, পরাধীনতার স্বাধীনতা, তা থেকে মুক্তি পেতে হলে শিল্প-সাহিত্য-সিনেমায় লেখক বা পরিচালককে সচেতন হতে হবে। উপস্থাপনের ব্যাপারটাই এখানে মুখ্য। বেলা শেষে সিনেমাটিতে নারীর স্বামীকে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করা, এটো ঝুঁটো খাওয়া, অবহেলা এবং অপমান সয়েও 'উনার' পদানত হয়ে থাকা, এসব মিলে যে ইমেজটা তৈরি হয়, তা এমন কৌশলে তৈরি, যা এই বিষয়গুলোকে গ্ল্যামারাইজ করে। সেই হাজার বছরের বঞ্চনাকে বিজয়ী করে। এবং তা বিষের মত ইঞ্জেক্টেড হয় আমাদের শরীরে। আমরা তা বুঝে উঠতে না পেরে সিস্টেমের ভেতরেই আত্মসমর্পণ করি।

এঁটো খাওয়ার ব্যাপারটা আমি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি নি। এখানে বলছি, আমাদের মা, স্ত্রী এবং বোনেরা দিনের পর দিন বোনপ্লেটের কাঁটা, পাতিলের তলার চ্যাপ্টানো ভাত এবং বাসি খাবার খেয়ে যাচ্ছে। এইখানে মহব্বতের কিছু নাই। এইটা এক নির্লজ্জ আত্মসমর্পন। কোন পুরুষ তো তা করে না। কেন করে না? আপনি কি আপনার স্ত্রীর ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে নিয়ে খেতে পারবেন? যদি পারেনও, সেটা ব্যতিক্রম। কয়জন পুরুষ এটা করে। সবখানেই সেই সিস্টেমের জাঁতাকল। এখান থেকে বেরুনোর পথ না দেখিয়ে আরো গ্লোরিফাই করা হলো বিষয় গুলো, তা আমার কাছে কুৎসিত লেগেছে।

আপনার বিস্তারিত মন্তব্য ভালো লাগলো। এভাবেই চলতে থাকুক ব্লগের মিথস্ক্রিয়া।

শুভেচ্ছা।

৩৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, ছবিটা আমি দেখিনি ,তাই এর কনটেন্ট নিয়ে কমেন্ট করবো না। কিন্তু আপনার লেখার ফ্লো অসাম। মাখনে গরম ছুরি চালনা লেখা বোধহয় একেই বলে। আরো বেশি করে লিখতে থাকুন। ধন্যবাদ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: কঠিন উপমা দিছেন! শরম পাইছি।

৩৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

রোদেলা বলেছেন: এই সিনেমা দেখার সময় চাটি খুইল্যা নিজের গালে মারতে মন চাইসিল। মধ্যবিত্ত বাংলিগো হুদাই সেন্টিমেন্ট দিয়া হলে বসায় থুয়ার সেই শাবানা টাইপ ফিলিং ২০১৬ তে দেখতে হয় কপাল। X((
এর চাইতে শ্রীলেখার রান্না বান্না টাইপ সিনেমাটা বহুত কামের।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: রণরঙ্গিনী রোদেলা :-B

৩৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

সুমন কর বলেছেন: প্রথমেই বলে নিচ্ছি, আমি বাংলা মুভি খুবই কম দেখি। পুরনো দিনের মুভিগুলো দেখা আছে। বর্তমানে যেগুলোর একটু নাম-ডাক হয় সেগুলো সময় করে দেখার চেষ্টা করি। এটি দেখেছি।

আপনি মনে হয়, এ মুভিটি দেখাই শুরু করেছেন, সমালোচনা কিংবা ভুল-ত্রুটি ধরবেন বলে। এটি সম্ভব। কারণ প্রতিটি বিষয়ের খারাপ এবং ভাল দিক রয়েছে। তারমধ্যে আছে আবার ব্যক্তিগত যুক্তি-তর্ক।

আপনি বলেছেন, সিনেমাটিতেও এমন কিছু দৃশ্য, সংলাপ এবং ‘শিক্ষা’ আছে, যা ভালো অনুভূতি গুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করে ফেলেছে। --- সহমত। কারণ কিছু দৃশ্য এবং সংলাপ অতিরঞ্জিতই মনে হয়েছে। তবুও পুরো মুভির ভালো কিছু অনুভূতি
কিন্তু দর্শকদের ছুঁয়ে গেছে।

ডির্ভোস দিয়ে বন্ধুর কাছে যাওয়া মানেই র্ফূতি করা, এটা ভেবে নেওয়া যেমন যায় তেমনি হয়তো বন্ধুর সাথে কষ্ট শেয়ার করাটাও বুঝায়।

সৌমিত্রের চরিত্রটি যে আমার দেখা অন্যতম বিরক্তিকর সিনেমা ক্যারেকটার তা নিঃসংকোচেই বলতে পারি। -- বলতেই পারেন। কারণ সৌমিত্র এর চেয়েও কিছু খারাপ অভিনয় করেছেন। কারণ সব পরিচালকই উনাকে চান। উনি যাতে একটা চরিত্রে অভিনয় করেন। টাকার জন্য যে করতে হবে, সেটা বলছি না। তবে কিছু কাজ মানুষ হয়তো অনুরোধে করেন। আমি একজন ৮০+ লোককে চিনি, এক সাথেই কাজ করি। উনাকে মাঝে মাঝে কেউ বলেন, এত বয়সে এত কাজ না করলেও চলে। তবুও উনি কাজ করেন। বেতনও সর্বোচ্চ।। এ ছবিতে সৌমিত্রের অভিনয় দারুণ হয়েছে।

মাছের কাঁটা....এটা কিন্তু এখনো কিছু মা-বোন-স্ত্রী'রা করে যাচ্ছে। তবে উচ্ছিষ্ট শব্দটা বেশি কানে লেগেছে। এখানে যদি বলা হতো অতিরিক্ত তবে শুনতে ততোটা খারাপ লাগত না।

টয়লেট......এটাই ছবিটাকে পিছনে ঠেলে দিয়েছে। যদি বলা হতো, গন্ধটা ওদের পছন্দ নয়, তাই টয়লেট থেকে আসার পর উনি (স্ত্রী) বেশি করে পানি দিয়ে আসেন, যাতে অন্যদের সমস্য না হয়। তাহলে বাস্তবধর্মী লাগত।

সৌমিত্র কিন্তু মুভিতে বলেছিল, সে অর্ধ প্রণাম নেন না। পুজোর সময় মেয়ের বন্ধু প্রণাম করতে আসলে, এটা বলে। তাই হয়তো স্ত্রী সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতো।

বেশির ভাগ স্ত্রীরাই কিন্তু স্বামীর আগে মরে যাবার ইচ্ছে করে। একা, একা, মনে মনে। তাই আমার কাছেও “ঠাকুর যেন তোমাকে আমার আগে নিয়ে নেন। কারণ, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো। কিন্তু তুমি আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না”। -- এটা ভালো লাগেনি।

আপনি বলেছেন, এমন দু-একটি অসামাঞ্জস্য পূর্ণ দৃশ্য থাকতেই পারে সিনেমায়। তাই বলবো এমন দু-একটি দৃশ্য বাদ দিলে কিন্তু সর্বপরি মুভিটি ভালো হয়েছে। মুভি দেখে মহিলা-মেয়ে এবং কিছু পুরুষের চোখ ভারি হয়নি, তা কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না। কিছু দিন মনে রাখার মতো এখানকার দিনের মুভির মধ্যে এটি অবশ্যই অন্যতম।

আমিও বলবো, জীবনঘনিষ্ঠ সংলাপ এবং অভিনয় বেশ কবার আবেগাপ্লুত করেছে।

অনেক কথা বলে ফেললাম, ভালো থাকুন। ব্লগিং মিথস্ক্রিয়া চলতে থাকুক।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে এত বড় কমেন্ট করতে এই প্রথম দেখলাম মনে হ্য়। ধন্যবাদ সে জন্যে।

আপনি বলেছেন, আপনি মনে হয়, এ মুভিটি দেখাই শুরু করেছেন, সমালোচনা কিংবা ভুল-ত্রুটি ধরবেন বলে।

আবার আপনিই বলেছেন আমিও বলবো, জীবনঘনিষ্ঠ সংলাপ এবং অভিনয় বেশ কবার আবেগাপ্লুত করেছে।

আপনার প্রথম কথার ভ্যালিডিটি এখানেই নাকচ হয়ে যায়। আর আপনি মিস করেছেন এটি, এসব নিয়ে আপনারা অনেক কিছুই বলেছেন, লিখেছেন। তাই আমি আর কিছু যোগ করতে চাই না।


আপনি বলেছেন,
ডির্ভোস দিয়ে বন্ধুর কাছে যাওয়া মানেই র্ফূতি করা, এটা ভেবে নেওয়া যেমন যায় তেমনি হয়তো বন্ধুর সাথে কষ্ট শেয়ার করাটাও বুঝায়।

সৌমিত্রের চরিত্রটি কেন ডিজগাস্টিং লেগেছে এই কথায় তার পক্ষে যুক্তি আছে। বন্ধুর কাছে যায়া কষ্ট শেয়ার করতে হলে ডিভোর্স কেন দরকার তা বুঝিয়ে বলবেন? সৌমিত্র মশাইয়ের স্ত্রী তার জন্যে জীবনপাত করতে রাজী, আর উনি এসব তোয়াক্কা না করে মানে মানে কেটে পড়ছেন, আবার তার আরাম আয়েশে ঘাটতি হলে আবার চাকরানীর কাছে ফিরে এসেছেন। ডিজগাস্টিং কেন লাগবে না? কেন মনে হবে না যুগ যুগ ধরে চলে আসা পুরুষতান্ত্রিকতা কে কিছু আবেগ দ্বারা সুগারকোটিং করে দর্শকদের গিলিয়ে দেয়া হয়েছে?

আপনি বলেছেন, সৌমিত্র কিন্তু মুভিতে বলেছিল, সে অর্ধ প্রণাম নেন না। পুজোর সময় মেয়ের বন্ধু প্রণাম করতে আসলে, এটা বলে। তাই হয়তো স্ত্রী সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতো।


স্বামীকে কেন প্রণাম করতে হবে? আবার সাষ্টাঙ্গে প্রণাম না করলে তিনি নেন না। এটা তার সন্তান এবং তাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে হলে ঠিক আছে। এর সাথে স্ত্রী কে টানা টা বহু পুরোনো সেই বৈষম্যকেই উশকে দেয়। নারী আর কতদিন দাসী বাঁদি হয়ে থাকবে?

শুভরাত্রি।



৩৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:২৯

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবিটি নিয়ে যা বলেছেন তার সাথে একমত।
আর হয়ত আপনি যা বলছেন বা যে ব্যাপারগুলিতে আপত্তি, দাসী বান্দি মনোভাবের মহিলারা যাতে সেগুলি থেকে বের হয়ে আসতে পারে এটাও সিনেমার ম্যাসেজ হতে পারে। কিন্তু আবেগি মহিলার কি শিক্ষা নিবে আমি জানিনা। নিজের সংসারে যারা দাসি বান্দি হয়ে থাকে স্বেচ্ছায়, সে সব মহিলা আমার সব সময় অপছন্দের।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ফেরদৌসী। লেখাটি ব্লগে দিতে তাগাদা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

৩৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

আহা রুবন বলেছেন: দেখতে নিয়েছিলাম, ধৈর্য্যে কুলোয়নি। বাড়িতে গাঁজা ছিল না তো...

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! ডোন্ট বি সো রুড!

৪০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: এইটা নারীবাদী পুষ্ট! :P
তাই কিছু বলবো না। |-)

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আইচ্ছা।

৪১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

জাহাজী বলেছেন: এবার সাল্লুর "সুলতান" সিনেমা দেখতে পারেন।

সবাই অন্য আঙ্গিকে দেখলেও আমার কাছে বেলাশেষে'র উল্টো লেগেছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কোনই আগ্রহ নাই।

৪২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২১

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লাগল ? :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী?

৪৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

জেন রসি বলেছেন: বাহ! মুভি দেখি নাই। তবে এই কন্টিনেন্টের অধিকাংশ পরিচালকই এই টাইপ থিম দিয়ে দর্শকদের টাচ করার চেষ্টা করে। দর্শকরা যেদিন এসব দেখে আর আবেগী হবেনা সেদিন থেকে পরিচালকরাও এই থিমের ব্যবহার কমিয়ে ফেলবে।


০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বীকার করতেই হবে তারা দর্শকের সাইকোলজি বেশ ভালো ভাবে পাঠ করতে পেরেছেন।

৪৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: বেলাশেষের যেখানে জয় জয় কার সেখানে আপনি ঘি ঢেলে দিলেন =p~
আপনার লেখাকে সম্মান জানাতেই হবে ।
ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকে ফেসবুকে ব্লক করে দিয়েছি। এখানে করতে পারছি না টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে।

৪৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ব্লগে আপনার লেখার সাথে আমি পরিচিত চার বছরের উপ্রে -ফেবুতে আছি প্রায় ২ বছরের উপ্রে
ব্লক দিলেন- আমার সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে ।
যে মন্তব্য দিয়ে আমাকে বোঝে থাকেন-সেই মন্তব্যে আমি যুক্তি উপস্থাপন করতে পারি ,তঁবে করব না !
আপনাকে যুক্তি খন্ডনে গুরু মানি ।যুক্তি দিলেও সেটাকে ভেঙ্গে এমন অবস্থা করবেন - ইচ্ছে করেই আর কী-বোর্ড হাত লাগাতে হবে না।
ভাল থাকবেন।শুভ কামনা
ধন্যবাদ

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: একবার একটা ভারতীয় সিরিয়ালের দেখছিলাম এরকম যে, মেয়েটা অনেক বাধা পেরিয়ে ঘরের বাইরে কাজ করতে যায়। সিরিয়াল টার মেইন টপিক মেয়েরা যাতে স্বাবলম্বী হয় এমন, কিন্তু এর ডায়লগ আর সিন গুলা এমন ভাবে দেখানো হচ্ছে যে ডিরেক্টার আসলে নারী জাগরনের নামে সুকৈশলে তাকে আরো বন্দী করার মন্ত্র মাথায় ঢেলে দিচ্ছেন!! মুভিটাতেও তাই করা হল কি?

বেলাশেষে মুভিটা দেখে কিজানি একটা খটকা লাগছিল। প্রথমত ডিভোর্স। বাট তাও পরিস্কার হচ্ছিলাম না ঘাপলাটা কই কই লাগছে। আপনার লেখাটা একদম মনের কথা বলল।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মনের কথাটি আমার লেখায় প্রকাশিত করতে পেরে আনন্দিত।

শুভেচ্ছা রইলো।

৪৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

রুবিনা পাহলান বলেছেন: ছবিটা আগে দেখে নি পরে কমেন্ট করবো আসিতেছি শীঘ্রই কমেন্ট করার জন্য। সিরিয়াল দিয়ে গেলাম। ছবি দেখার পরই বুঝতে পারবো আপনি কোন দৃষ্টিকোন থেকে ছবিটিকে দেখেছেন। কিন্তু সিরিয়াল যেন গরমিল না হয়। ধন্যবাদ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: সিরিয়াল কী কৈলেন ঠিক বুঝলাম না। তয় আবার আসার আমন্ত্রণ রইলো।

৪৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৪

গোফরান চ.বি বলেছেন: আপনার পোস্ট।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা। আপনি প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়েছিলেন দেখে কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম।

৪৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

মারুফ হোসেন বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, ছবিটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে শিল্পের আড়ালে।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। স্বাগতম আমার ব্লগে।

৫০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৫

সানজিদা হোসেন বলেছেন: এখন বুঝলাম আামার জামাই অর্ধেক দেখে ঘুমায় পড়ছে ক্যান? বেচারা তার দূর্গতি দেখে মনে কষ্ট পেয়ে গেছে

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: মাইরের ওপর রাখেন B-)

৫১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২

নেক্সাস বলেছেন: এই সিনেমায় আমি স্রেফ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা দেখেছি। আসলে সিনেমাটার গুছানো বক্তব্য কি আমার বোধগম্য নয়।

“তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।
এটা কি ধরণের ভালবাসার বহিপ্রকাশ আমার জানা নাই। এখানে শিল্পের ই বা ছোয়া কোথায়। একি জিনিস অন্যভাবে বলা যেত।

সব মিলিয়ে অর্ডিনারি।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস ভাই। শুভকামনা রইলো।

৫২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: নারীবাদী পনি আপায় দেহি দুদিকেই পালটি খাইল :P B-)
মাঝে মাঝে কিছু পোষ্ট আসে যেগুলাকে কষে লাইক দিতে ইচ্ছে করে । এই পোষ্ট টাও সেরকম । মুভিটি দেখার ইচ্ছে ছিল ।
আপনার রিভিউ পড়ার পর - পুরনো বস্তাপচা ধ্যানধারণাযুক্ত একটি ছবি দেখার হাত হতে বেঁচে গিয়েছি ভেবে খুব আনন্দ পাচ্ছি।
যাদের কাছে ভাল লাগছে তাদের কাছে মাত্র দুটি প্রশ্ন ঃ -
১) ৮০ দশকের শাবানার পতিভক্তিঅলায়া মারকা মুভির সাথে এই মুভির কতটুকু পার্থক্য?
২) “তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।“
, ডিভোর্স এর কারণ , ঝুটা , সবাই মিলে উৎসব করে বেডরুমে উকি মারা - এসব দেখেও ভাললাগা টা ঠিক কি কারণে বজায় রইল ? আপনার চেতনে বা অবচেতনে এসবের প্রতি কি প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে ?


একদিন দিয়ে হাসান ভাই আপনার কপাল ভাল। ।অন্তত কেউ এসে হাগুর গন্ধ এসব স্বামী - স্ত্রীর আভ্যন্তরীণ ব্যাপার , ভালা লাগতেই পারে , আপ্নে নাক গলান ক্যা '' - টাইপ কমেন্ট করে নাই । :D

সিনেমাটায় সম্পর্কের সুষম উন্নয়ন, এবং ভারসাম্যের নাম তুলে যেভাবে পুরুষতান্ত্রিকতাকে গ্ল্যামারাইজ করা হলো, সেই সম্পর্কে কেউ কিছু বলছেন না কেন? আবেগের সুগার কোটিংয়ে পতিব্রতা চরণদাসী নারীরূপের যে তেতো বড়ি গেলানো হয়েছে, আধুনিক নারীগণ তা গিলে নিলেন কীভাবে আমার মাথায় আসছে না।

আসলে আপনার এই পোস্ট দেয়া ঠিক হয় নাই । পুরুষজাতি বেহেস্তে আছে , আরামে আছে , নারীরা ভালবাইসা ঝুটা মুটা খাইতাছে সব দিক দিয়াই ত চিমা মস্তক হুল হুল !! দরকার কি সুখে থাইকা ভূতে কিলানের !!


২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি প্রস্তুতি নিয়েই ছিলাম। কিন্তু বড্ড হতাশ হতে হলো :(

চিমা মস্তক হুল হুল মানে কী?

৫৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২১

আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: “তুমি টয়লেটে গেলে আজকাল ভীষণ গন্ধ হয়। বড় বৌ মা ওগুলো পরিষ্কার করতে ঘেন্না করে। আমার কিন্তু ঐ গন্ধটাও ভালো লাগে।''

এটা কোন মুভির ডায়ালগ!? সিরিয়াস্লি??!! B:-) B:-)

কলকাতার মুভি কম দেখি। এদের মুভি বেশি আধুনিক। বেশি স্মার্ট। নিতে পারিনা।
এই মুভিটা নিয়ে সবাই বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছিলো। পোস্ট পড়ে মনে হল না দেখে ভালৈ করেছি! B-)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এক্সাক্ট না হলেও এরকমই ছিলো। অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। ভালো থাকবেন।

৫৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নারীবাদি হাসান মাহবুব।
ছবি দেখিনি। দেখার ইচ্ছাও আর রইল না।
সুন্দর সমালোচনা যদি পরিচালক দেখে একটু ব্যাখ্যা করত!!

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অত দূর কি আর আমার লেখা পৌঁছাবে! একটা কিছু করেন! :#)

শুভেচ্ছা।

৫৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

রুপ।ই বলেছেন: কেমন আছেন ?প্রিয় লেখক,আগের চেয়ে লেখার ধার কমেছে কি বেপার?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আছি ভালোই। আপনিও ভালো আছেন আশা করি। লেখার ধার কবেই বা সেরকম ছিলো!

৫৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

যোগিনী বলেছেন: যাক, কারো তো খারাপ লাগল! |-)

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার কেমন লেগেছিলো?

৫৭| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

যোগিনী বলেছেন: ফালতু, ঠিক যে পয়েন্টগুলো আপনি দেখিয়েছেন সেগুলোই আমার কাছে বাজে লেগেছে। স্বাবলম্বী করা মানে এই না যে বুড়া বয়সে সবার সামনে অপমান করে ফেলে রেখে চলে যাওয়া! ইয়াং বয়সে এতগুলো বাচ্চা পালার সময় মনে ছিল না?
আর ভালবেসে কারো কোন বাজে অভ্যাস (উচ্ছিষ্ট/ আরো ব্লাহ ব্লাহ) যদি আমি আপন করে নেই তাহলে সেটা আবার এইভাবে মনে করিয়ে দিব না। তার কথা শুনে আমার মনে হচ্ছিল নিরুপায় হয়ে সে মেনে নিয়েছে।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাই ফাইভ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.