নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ জন্মদিন আকরাম খান, বাংলাদেশের ক্রিকেট নির্মাতা

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৬


২৮শে অক্টোবর ২০১৬। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচ চলছে। ২০১০ সালে সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার পর এটি বাংলাদেশের ত্রিশতম টেস্ট। প্রথমে ব্যাটিং করে ইংল্যান্ড দেড় দিনের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে সাড়ে পাঁচশ’র মত রান করে বিরক্ত হয়ে ডিক্লেয়ার দিয়ে দিয়েছে। এ্যালিস্টার কুক এবং জো রুট দেড়-শতাধিক রান করার পর স্বেচ্ছায় ব্যাটিং ছেড়ে দিলেন অন্যদের প্র্যাকটিসের জন্যে। ব্যাটিং স্বর্গ পিচে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়ে গেলো। ১০০ রান না হতেই পাঁচটি উইকেট নেই...
এতক্ষণ আমার লেখাটি পড়ে নিশ্চয়ই খুব বিরক্ত হয়েছেন! ভাবছেন আমার মাথা বিগড়েছে অথবা নেশা করে আবোল তাবোল বকছি। বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে সেই ২০০০ সালে। ইতিমধ্যেই খেলে ফেলেছে ৯৫টি টেস্ট। ইংল্যান্ডকে সেদিনই তো কী ভীষণ নাকাল করলো! তবে কেন এসব লিখছি? আশাবাদী মানসিকতার কেউ হয়তো ভাবতে পারেন কোন একটা জমজমাট স্পোর্টস-ফিকশন লেখার পায়তারা কষছি।

না, এসবের কিছুই হয় নি। তবে হতে পারতো। বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস আরো বিলম্বিত হতো, বিশ্ব জুড়ে তারকার মর্যাদা পাওয়া আমাদের টাইগারেরা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ না পেয়ে হতাশায় ভুগতেন। যত্ন আর পরিচর্যার অভাবে ফিটনেস ঠিক থাকতো না। ইনজুরি হলে কেউ তেমন গা করতো না, অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়ার বদলে ঠাঁই হতো মগবাজারের কোন এক ঘুপচি ক্লিনিকে (মাশরাফির এমন অভিজ্ঞতা আছে, এবং এই লেখার সাথে সেটা ভীষণ প্রাসঙ্গিক)। বলতে পারেন কত কিছুই তো হতে পারতো, সেসব নিয়ে দুঃখবিলাস না করে মুস্তাফিজ আর মিরাজ মিলে ইন্ডিয়া বা নিউজিল্যান্ডকে “ধরে দেবানে” নাকি সে কথা কেন চিন্তা করছি না? হ্যাঁ, সামনের উত্তেজনাময় ক্রিকেটিয় দিনগুলির কথা ভেবে আমি অবশ্যই রোমাঞ্চিত, কিন্তু আজকের দিনটা বিশেষ। আজ এমন একজনের জন্মদিন, যার একটি ইনিংসের ওপর পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে বললে একটুও অত্যুক্তি হবে না।

তিনি আকরাম খান। দশাসই শরীরের মারমুখী ব্যাটসম্যান আকরাম খান। ব্যাটসম্যান হিসেবে দারূণ ইন্টারেস্টিং ছিলেন, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পরিসংখ্যান অবশ্য সে কথা বলবে না। ৪৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। গড় ২৩ এর একটু বেশি। টেস্টে কোন হাফ সেঞ্চুরি নেই। গড় ১৬। কিন্তু বোকা পরিসংখ্যান কীভাবে বোঝাবে ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফির সেকেন্ড রাউন্ডের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার অপরাজিত ৬৮ রানের মাহাত্ম্য? ওকে, লেটস গো টু দ্যা পয়েন্ট!
তার আগে আরেকটু ভূমিকা সেরে না নিলেই নয়! বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ভালো খেলেও বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছিলো না তখনকার উঠতি শক্তি জিম্বাবুয়ের কাছে। ৯০ এর বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়ের ৩৭ রানে চার উইকেট ফেলেও হারতে হয়েছিলো। ২৩১ রান চেজ করতে গিয়ে ১৪৭ রানে অলআউট হয়ে মেনে নিতে হয়েছিলো বিশাল পরাজয়। ৯৪ সালের আক্ষেপটা আরো বড়। কেনিয়ার ২৯৫ রানের জবাবে খুব কাছে গিয়েও হার মেনে নিতে হলো ১৩ রানে।

১৯৯৭ সালে সবাই বেশ নড়ে চড়ে বসলো। জিম্বাবুয়ে নামক ঝামেলাটা ততদিনে বিদায় নিয়েছে বাছাই পর্ব থেকে, টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়ে। বাংলাদেশের দলটাও বেশ ভালো। ঘরোয়া লীগে চমৎকার পারফরম্যান্স সবার। বুলবুল, নান্নু, শান্ত, রফিক, মনি, দুর্জয়, আতহার, আকরাম খান...রোমাঞ্চ জাগানিয়া সব নাম। সবাই খুব আশাবাদী, এবার হবেই! বেশ এগুচ্ছিলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা। কেউ তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারে নি। সেকেন্ড রাউন্ডের শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ড। ডু অর ডাই ম্যাচ। হারলেই বাদ। তখনকার দিনে নেদারল্যান্ড যথেষ্ট শক্ত প্রতিপক্ষ ছিলো বাংলাদেশের জন্যে। তবে তাদেরকে বোলিং দিয়ে ভালোই নাকাল করা হলো। ১৭১ রানে অলআউট। বিশ্বাসটা দৃঢ় হলো। এবার আমরা পারবোই।

কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে সে কী দশা! লেফেব্রের সুইংয়ের সামনে টিকতে না পেরে আউট হলেন দুর্জয়, সানোয়ার, বুলবুল। রান তখন মাত্র ১৩! সেসময় ব্যাটিংয়ে নামলেন আকরাম খান। এবং কিছুক্ষণ পরেই আউট হয়ে গেলেন আতহার। রান তখন চার উইকেটে ১৫! ১৭১ তখন বহু দুরের পথ। আবারও স্বপ্ন ভঙ্গের নিশ্চিত আশঙ্কায় রেডিওতে খেলা শুনতে থাকা টাইগার ভক্তরা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না এই ভয়াবহ বিপর্যয়। এত সাধের টিমের এই হাল! এই ম্যাচ হারলে সোজা বাদ! আবার কত বছরের অপেক্ষা করতে হয় কে জানে! আকরাম খান আর মিনহাজুল আবেদীন নান্নু চেষ্টা করলেন একটি জুটি গড়ার। ভয়ানক প্রতিকূল পরিবেশে দাঁতে দাঁত চেপে ১৮.৫ ওভারে ৫৬ রান করলেন। তখন নামলো বৃষ্টি। রিভাইজড স্কোর হলো ৩৩ ওভারে ১৪১। ৮৫ বলে ৮৫ রান চাই। হাতে ৬টি উইকেট। নান্নু বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারলেন না আকরাম খানকে। খানিক বাদে আউট হয়ে গেলেন এনামুক হক মনিও। ৫৫ রান দরকার। ৮৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে গেছে। আকরাম খান ছাড়া স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান কেউ নেই আর। আস্কিং রান রেট ছয়ের ওপরে। আর কীভাবে হবে! এখানে বলে রাখা ভালো, মালয়েশিয়ার পিচ ছিলো খুব স্লো আর বোলিং বান্ধব। আর্জেন্টিনা এবং ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ১৩৮ এবং ৯৮ রান চেজ করতে গিয়েই বাংলাদেশ হারিয়েছিলো ৫টি করে উইকেট। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করেছিলো। সেটা কত জানেন? ২১১ নয় উইকেটে! সে তুলনায় হল্যান্ড রীতিমত ভয়াবহ দল! নিশ্চিত পরাজয়ের চোখা রাঙানিতে সবাই নত হয়ে গিয়েছিলো, একজন বাদে। তার নাম আকরাম খান। পেসার সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে শুরু করলেন পাল্টা আঘাত। আমরা অতি উত্তেজনা আর অবিশ্বাসের সাথে অসম্ভব জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেছি। সাইফুল ইসলাম অমূল্য ১৮টা রান করে যখন আউট হলেন, জয় তখন হাতের নাগালে। আর মাত্র ৫ রান দরকার তখন। খালেদ মাসুদ পাইলটকে নিয়ে নিরাপদেই সেই পথ পাড়ি দিলেন আকরাম খান।

অপরাজিত থাকলেন ৯২ বলে ৬৮ রান করে। এই ৬৮ রানের মধ্যে বাউন্ডারি ছিলো কটি জানেন? মাত্র ৩টি। এই ম্যাচের কোন ভিডিও নেই। থাকলে অবশ্যই আকরাম খানের এই বিরোচিত ইনিংসটি বাংলাদেশের সকল ব্যাটসম্যানের নিয়ম করে দেখা বাধ্যতামূলক করা হতো! ৪ উইকেটে ১৫ রান থেকে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এমন অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন আকরাম খান তার চওড়া কাঁধে পুরো দেশের স্বপ্নের ভার বহন করে! বীরত্ব আর নার্ভের চরমতম এই পরীক্ষায় বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানটি খেলতে নামলেও লেফেব্রে অথবা অসীম খানের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারতেন কি না তা বলা দুষ্কর।
আকরাম খান পেরেছিলেন। বলতে গেলে একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে, নিয়ে গিয়েছিলেন পরম আরাধ্য অর্জনের খুব কাছাকাছি।

এর পরের কাহিনী সংক্ষিপ্ত। সেমিফাইনালে স্কটল্যান্ডকে সহজেই হারিয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফাইনালে কেনিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র উত্তেজনা পূর্ণ সেই ম্যাচটি তো বাংলাদেশের ক্রিকেট রূপকথার অংশই হয়ে গেছে। এই ম্যাচটির হাইলাইটস পাওয়া যায়। দেখে নিয়েন।

আকরাম খান যদি নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি না জেতাতেন, তাহলে আমাদের ৯৯’র বিশ্বকাপে খেলা হতো না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জেতা হতো না। টেস্ট স্ট্যাটাস কবে মিলতো তার কোন ঠিক থাকতো না। ঠিক কত বছর পিছিয়ে যেত আমাদের ক্রিকেট তা নিশ্চিত করে বলা অসম্ভব। তবে নূন্যতম ৪ বছর তো বটেই! কে জানে হয়তো বা পরের বাছাই পর্বেও পুরো টুর্নামেন্ট ভালো খেলে এক ম্যাচে কিছু ভুলের জন্যে হারিয়ে যেতো। ইতিহাস তৈরি করতে একটি ইনিংসই যথেষ্ট। আর বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে যেতেও একটি ক্যাচ মিসই যথেষ্ট। আমাদের সৌভাগ্য আকরাম খান সেদিন কোন ভুল না করে এক অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন। যার ফলশ্রূতিতে এখন আমরা বিশ্ব ক্রিকেটে একটি ডাকসাইটে দল। আমাদের খেলোয়াড়েরা সর্বোচ্চ সুবিধা পান। হ্যাট্রিক করেন। দ্বি-শতক হাঁকান। বিদেশী লীগে খেলেন। তারা সুখী, দর্শকরা গর্বিত।
এই সুদিন এনে দেয়ার জন্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখা আকরাম খান, আপনাকে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই। শুভ জন্মদিন বীর। বেঁচে থাকুন, ক্রিকেটেই থাকুন।

ওহ, একটা কথা তো বলতে ভুলেই গিয়েছি! ওই ম্যাচে ২১ রানে দুটি উইকেটও পেয়েছিলেন আপনি। সেদিন আপনার ওপর কী ভর করেছিলো, একটু বলবেন?

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

কালীদাস বলেছেন: মালয়েশিয়ায় সম্ভবত টার্ফে খেলা হয়েছিল রেগুলার পিচের পরিবর্তে; জঘণ্য একটা জিনিষ ছিল ঐটা।

এই ম্যাচটা একটা পিস ছিল। ঢাকায় সেদিন বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল, মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছিল বারবার উইকেট পড়ার নমুনা দেখে, এরমধ্যে ধারা বিবরণীতে ছিল "ঘাস গড়িয়ে গড়িয়ে চলে গেল মাঠের বাইরে"। ১৫রানে ৪জন প্যাভিলিয়নে ফেরার পর বাংলাদেশ জিতবে ভুলেও ভাবি না। একেই বলে ক্যাপ্টেনস নক, এত ঠান্ডা মাথায় আকরাম খানকে খুব কমই দেখেছি।

হ্যাপি বার্থডে, আকরাম খান :)

হাসান ভাই; প্রিমিয়ার লীগের আবাহনী মোহামেডানের ম্যাচগুলো কিন্তু সেরকম জমত খানের ক্যাপ্টেন্সিতে। সেই দিন যে কই গেছে :(

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ঠিক। আমি ছিলাম মোহামেডানের পাড় সাপোর্টার। তাদের প্রতিটা ম্যাচের স্কোরকার্ড আর মন্তব্য টুকে রাখতাম। একবার আবাহনীর ২৭০ চেজ করতে গিয়ে মোহামেডানের ১৬ রানে ৩টা উইকেট পড়ে গেলো। সেই অবস্থা থেকে বুলবুল অপরাজিত সেঞ্চুরি (নাকি নাইন্টি? শিওর না) করে ম্যাচ জেতালো। রেডিওতে শুনেছিলাম। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশ রোমঞ্চকর স্মৃতিচারণ....

৪ উইকেটে ১৫ রান থেকে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এমন অবিশ্বাস্য জয় এনে দিলেন আকরাম খান তার চওড়া কাঁধে পুরো দেশের স্বপ্নের ভার বহন করে! বীরত্ব আর নার্ভের চরমতম এই পরীক্ষায় বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানটি খেলতে নামলেও লেফেব্রে অথবা অসীম খানের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারতেন কি না তা বলা দুষ্কর।
আকরাম খান পেরেছিলেন। বলতে গেলে একাই জিতিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে, নিয়ে গিয়েছিলেন পরম আরাধ্য অর্জনের খুব কাছাকাছি।

একবারে মাঠের আবেগটাকে ছুঁয়ে দিতে পেরেছেন।

তাই ..এ কথাই সই
এই সুদিন এনে দেয়ার জন্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখা আকরাম খান, আপনাকে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই। শুভ জন্মদিন বীর। বেঁচে থাকুন, ক্রিকেটেই থাকুন। :)

++++

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুভেচ্ছা। ভালো থাকবেন।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৯

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আকরাম খান একজন অনুপ্রেরণা! রয়েল বেংগল টাইগারের সাদা দাত আর ক্ষুরে থাবার থেকে আকরাম খানের আগ্রাসী ক্রিকেট মস্তিষ্ক! এই মহান ক্রিকেটারের জন্মদিনে অজস্র ফুলের শুভেচ্ছা! শুভ জন্মদিন জনাব আকরাম খান!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যতার্থ বলেছেন । আকরাম খান বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটের গৌরবজনক অধ্যায়ের ভিত্তিটা গড়ে দিয়ে গেছেন । তার কির্তির অতি চমৎকার একটি কাব্যিক বিবরণ দিয়েছেন এই লিখাটিতে । তাকে তাঁর এই জন্মদিনে তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে । রেডিউতে খেলাগুলির ধারা বিবরণী শুনেছি , মনে হল খেলাটি যেন আবার মানষপটে দেখতে পাচ্ছি । কেপটেনসির দৃঢ়তা ও দক্ষতা তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন, দুর্যোগময় মহুর্তে কিভাবে খেলার হাল ধরতে হয় তিনি তা দেখিয়েছেন । তার জন্ম দিনটিকে আমাদের স্মরণে আনার জন্য ধন্যবাদ । শুভ জন্মদিনে আকরাম খানের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা , তিনি টিকে থাকুন আমাদের ক্রিকেটের মাঝে এ কামনাই করি ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের আবেগ ছুঁয়ে গেলো আমাকে। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪১

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: বাংলাদেশের ক্রিকেটের গর্ব আকরাম খান।
তাঁকে জন্মদিবসের অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ আপনাকে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অনু। শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

সুমন কর বলেছেন: সুদিন এনে দেয়ার জন্যে সর্বোচ্চ অবদান রাখা আকরাম খান, আপনাকে হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাই। শুভ জন্মদিন বীর। বেঁচে থাকুন, ক্রিকেটেই থাকুন। -- একদম ঠিক বলেছেন।

আপনার লেখাটি পড়ে আবার সেই ভয়-মিশ্রিত শিহরহ অনুভূত হলো। বাংলাদেশের ক্রিকেটে আমার অন্যতম পছন্দের নাম - আকরাম খান।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন। আকরাম খানকে দেখলেই একটা জোশ লাগতো শরীরে B-)

৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২২

মেহেদী রবিন বলেছেন: আকরাম খানের খেলা দেখার সৌভাগ্য আমারও হয়েছে। একটা সময় উনিই তো বাংলাদেশ ছিলেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। আমাদের হিরো।

শুভেচ্ছা রইলো।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: শুভ জন্মদিন আকরাম খান। আজকের বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম রূপকার, শ্রদ্ধা রইল।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: থিংকু শুভ্র। ভালো কাটুক সারা দিন।

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

জেন রসি বলেছেন: অনেক ছোট ছিলাম। তবুও মনে আছে। রেডিওতে শুনেছিলাম। জিতার পর অনেকেই থালা বাসনকে ড্রাম বানিয়ে ফেলেছিল। সেই আনন্দের সময়টা এখনো অনুভব করতে পারি। ফাইনালে হারলেও আমরা বিশ্বকাপে খেলতাম। কিন্তু সেই ম্যাচ হারলে সেখানেই সব শেষ হয়ে যেত।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের জয়ে নতুন প্রজন্ম যত আনন্দ পায়, আমরা- ত্রিশোর্ধরা তার চেয়ে বেশি আনন্দিত হই। আমরা রেডিওতে খেলা শোনা মানুষ। টানা ৪৭টা হার প্রত্যক্ষ করা মানুষ। আমরা আকরাম খানের ইতিহাস রচনার প্রত্যক্ষদর্শী।

১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: movies queenরে ব্যান করার লিগা মডুরে ধইন্যা।

১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬

ইনকগনিটো বলেছেন: গতকাল রাতে ৯৭ এর সেই ফাইনালটা দেখলাম, বাংলাদেশ- কেনিয়া। আকরাম খানের কথা মনে পড়তেছিল।

পুরান বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের দিকে তাকাইলে খুব মায়া হয়। আবেগটা অন্যরকম। সবাই খুব কষ্ট করছে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব কথা পৌঁছে দেয়া উচিত।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

কালীদাস বলেছেন:
অফটপিক: এ কি অবস্হা ব্লগের হাসান ভাই? কবিতার স্রোত (কোয়ালিটি নিয়ে বললাম না কিছু), আস্তিক-নাস্তিক কোপাকুপি আর হিলারি-ট্রাম্প!! বৈচিত্র‌ অনেক কমে গেছে। রিডার নেই বললেই চলে আর স্বঘোষিত স্টার কমেন্টার দুয়েকজনের কমেন্টের নমুনা দেখলে হাসি পাচ্ছে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্বঘোষিত স্টার কমেন্টার কারা? বহুৎ পিছায়া পড়সি দেখতাছি!

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

কালীদাস বলেছেন: না ভাই, আপনে পিছায়া পড়েন নাই; রেগুলার না আসাতে আমি অনেক বিনোদন মিস করি আরকি :D একজন স্বঘোষিত স্টার কমেন্টারের (পুরাই এরোগ্যান্ট তালগাছি, দুনিয়ার সবকিছুতে মহাপন্ডিত) সাথে দেখলাম আপনার বিশাল ক্ল্যাশ লাগছিল মাস কয়েক আগে, কয়েকটা গালি দিছিলেন মনে হয় ভদ্রলোকরে। আরও দুচার জনকে দেখলাম; এরা অবশ্য গণ কমেন্টার, পয়লা জনের তুলনায় কিছুই না =p~

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ও আচ্ছা বুঝতে পারছি কার কথা কইতাছেন। এখন আর এইসব বিষয়ে আমোদ পাই না। পাইনসা মার্কা ব্লগার হইয়া গেছি /:)

১৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

এম জাহিদুল ইসলাম বলেছেন: আকরাম খান হলেন বাংলাদেশের গর্ব

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: জ্বী অবশ্যই। ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

একজন সৈকত বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে অনেক পুরনো কথা মনে পড়ে গেল। নব্বইয়ের দশকই ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটের উজ্জ্বল সংগ্রামের দিন। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে এটাই অনেক বড় ব্যাপার ছিল। আজকের তরুণেরা ভাবতেই পারবে না কতটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আজকের ক্রিকেটের এই অবস্থান। ৯৪ এর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কেনিয়ার কাছে হেরে যাওয়া আর 'ভাড়াটে' ক্রিকেটারদের দল আরব আমিরাতের বিশ্বকাপ খেলা - কিসব দুঃসহ হতাশার সব দিন গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট আর তার ভক্তদের! তারপর '৯৭ এর সেই কাংখিত জয়- কি এক উন্মাদনা পুরো দেশ জুড়ে-
আকরাম খান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটীয় নায়ক - নিঃসন্দেহে। তবে উনার ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক মনে হয় তাঁর বিনয় । সর্বশেষ বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের খেলার সময় তাঁর সাক্ষাৎকার দেখছিলাম টিভিতে- প্রটিটা প্রশ্নের কি বিনয়ী উত্তর- লাজুক হাসি দিয়ে ভিন্ন মতামত প্রকাশ - অনবদ্য একজন মানুষ মনে হয়েছে বাংলাদেশের আজকের অসামান্য সাফল্য গাঁথার নেপথ্য নায়ককে। জন্মদিনে দেরিতে হলেও তাকে অভিনন্দন জানাই।
মালয়শিয়ায় হল্যান্ডের বিরুদ্ধে আকরাম খানের কিংবদন্তীতুল্য এই অবদানের কথা জানা ছিল না- আপনার লেখার মাধ্যমে জানলাম। ব্লগে চলাচল আমার অনেক কমে গেছে- আপনি ডার্ক থ্রিলার বাদেও নানা স্বাদের দারূন সব লেখা লিখছেন- পড়তে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন প্রিয় হামা ভাই। শুভেচ্ছা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার আবেগ ভীষণ ভাবে ছুঁয়ে গেলো আমাকে। আকরাম খান তার ভাতিজার মত প্রতিভাবান ছিলেন না, কিন্তু তার অবদান যেন আমরা কখনও ভুলে না যাই।

অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে।

১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩০

বিজন রয় বলেছেন: গল্পের মানুষ গল্প লেখে না কেন?

আর কি গল্প লিখবেন না?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপাতত কিছুদিন লিখবো না। খোঁজ নেয়ার জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন: আকরাম খান বাংলাদেশের ক্রিকেটের স্থপতি। লোকটাকে সবসময়ই ভালো লাগে। হামার লেখায় ভালোলাগা আরও বেড়ে গেল।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভরাত্রি।

১৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ এমন একজনের জন্মদিন, যার একটি ইনিংসের ওপর পুরো বাংলাদেশের ক্রিকেট কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে বললে একটুও অত্যুক্তি হবে না -- ঠিক বলেছেন। খেলা ছাড়াও, এই বিনয়ী, বিনম্র, ভদ্র সজ্জন ব্যক্তিটিকে আমার খুব ভাল লাগে। তার লাজুক লাজুক কথাবার্তাও বেশ ভাল লাগে।
এই বীরের বীরত্মগাঁথা পড়ে ভাল লাগলো, যদিও রেডিওতে কান চেপে সে খেলার ধারা বিবরণী পুরোটাই আগেই শুনেছিলাম।
শুভ জন্মদিন, আকরাম খান (বিলম্বিত)!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪০

পিকাচু বলেছেন:
ছালাম হাছান ভাইয়া

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিডারে তুই?

২০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৭

পিকাচু বলেছেন:
পিকাচু বলেছেন:
ছালাম হাছান ভাইয়া
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৯ ০
লেখক বলেছেন: কিডারে তুই?


হতাশ /:)

হ্যাপি নিউ ইয়ার !:#P

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হতাশার কিছু নাই। চিন্নালাইসি। শুভ নববর্ষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.