নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিস্তল না কি সায়েন্স কিট? কোনটা বেছে নেবেন সন্তানের জন্যে?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮


এই ছবিটি বাণিজ্য মেলার একটি শিশুদের খেলনা বিক্রয়ের স্টল থেকে তোলা। নানারকম খেলনা দেখতে পাচ্ছেন এখানে। গিটার, খেলনা পশু, গাড়ি ইত্যাদি। সেই সাথে আছে একে-৪৭ রাইফেলও। চমৎকার খেলনা, তাই না?
আসুন এবার সাম্প্রতিক কিছু খবর পড়ি-
(১) উত্তরায় কিশোরদের দুই গ্রুপের বিবাদের জেরে হত্যা করা হলো এক কিশোরকে।
(২) ফরিদপুরে মোটর সাইকেল কিনে না দেয়ায় বাবা-মা’র গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এক কিশোর।
(৩) মতিঝিল এজিবি কলোনির কিশোর বাইকারদের দলের সন্ত্রাসের বলি হলেন একজন মা।
(৪) ড্রাগ এ্যাডিক্ট কিশোরী ঘুমের বড়ি খাইয়ে অজ্ঞান করে হত্যা করলো তার বাবা-মাকে।
(৫) ফেসবুকের ‘আনসেন্সর্ড’ গ্রুপে রাতভর অশ্লীলতায় মগ্ন কিশোর-কিশোরীরা।

ভাবছেন, সামান্য খেলনার প্রসঙ্গে এত কথা কেন বলছি? আসুন এবার অন্য একটি ছবি দেখি,

এই মেয়েটা এসেছে বাণিজ্যমেলারই অন্য একটি স্টলে। বিস্মিত হয়ে দেখছে নানারকম সায়েন্স টুলস। ছবিটা দেখুন, আর ভাবুন। একটা আশাবাদ জাগে না? একটু ভরসা পাওয়া যায় না?
আমাদের অবিমৃষ্যকারীতায় লুট হয়ে যাচ্ছে শিশুদের বিনোদন আর সৃজন। তারা আসক্ত হয়ে পড়ছে সেক্স আর ভায়োলেন্সের প্রতি। এই নগরায়নের যুগে শুধুমাত্র আপনার শিশুর অবসর সময়টাকে রি-ডিফাইনড না করতে পারার কারণে তারা হয়ে পড়ছে বিচ্ছিন্ন আর বিষণ্ণ। আনন্দের খোঁজে বেছে নিচ্ছে ধ্বংসাত্মক উপায়। এর প্রভাব থেকে আপনি বাঁচতে পারবেন বলে ভাবছেন? ঐশির বাবা-মা বাঁচতে পারে নি, রাজনের বাবাও পারে নি। তাই, সময় থাকতেই সতর্ক হোন। আজ আপনি মরছেন, কাল আমি মরবো, পরশু পুরো দেশেই ম্যাসাকার লেগে যাবে।
শিশুর অবসর হোক সুন্দর। কিছু পরামর্শ-
১) গল্প লেখার পাল্লা! – শিশুরা গল্প শুনতে পছন্দ করে। রঙীন ছবিওলা মজার গল্পের বই হলে তো কথাই নেই! গল্পের প্রতি এই আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে আপনি তাকে আরো সৃজনশীল করে তুলতে পারেন। এমনিতে হয়তো সে তেমন আগ্রহ বোধ নাও করতে পারে। তবে যদি বলেন যে, আপনার সাথে পাল্লা লেগে গল্প লিখতে হবে, এবং জিতলে পুরষ্কার দেবেন, তাহলে সে উৎসাহী হবেই। আর এক্ষেত্রে যে আপনি ইচ্ছে করে বারবার হেরে যাবেন তা তো বলাই বাহুল্য!
(২) অরিগ্যামি বা ট্যানগ্রাম জাতীয় খেলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করুন- কিছু কাগজ, কিছু নকশা, আর অনেক আনন্দ। শুধু শিশুদের জন্যে না, আপনি নিজেও মজা পাবেন অনেক!
(৩) বোর্ড গেম খেলুন- তাকে লুডু, চেকারস, দাবা ইত্যাদি বোর্ড গেম শেখান। এগুলো যেমন আনন্দ যোগাবে, তেমন বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশেও সহায়ক হবে। দাবার কথা বিশেষ ভাবে বলতে হয়। দাবা তো স্রেফ একটি খেলা না, একটি বিজ্ঞান! খেলতে খেলতে বিজ্ঞান চর্চা, এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে!
(৪) জাদুঘরে নিয়ে যান- প্রথম জাদুঘরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রত্যেক শিশুর জন্যেই বিশেষ। পুরাতন আমলের বিশাল বিশাল খাট-পালঙ্ক, তিমি মাছের ফসিল, নৌকা, উল্কাখণ্ড, নানারকম জিনিস দেখে সে আনন্দে আপ্লুত হবে, জানার আগ্রহও তৈরি হবে।
(৫) চিঠি লেখা শেখান- খুব দূরের কাউকে না, পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই চিঠি দিক! এতে সে লেখার শৈলী অর্জন করবে, এবং পরস্পরের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।
হ্যাপি প্যারেন্টিং।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভাবনা :)

বদলে দিতে হবে চিন্তার জগতকে বৃহত সত্য সুন্দরের ধারনায়

++++

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভায়া। আশা করি ভালো আছেন।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। ইয়ং প্যারেন্টসদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাড়ায় পাড়ায় গল্প বলা, গল্প লেখা, আবৃত্তি, গান, নাচ, ইনডোর গেমস ইত্যাদির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হোক! খেলনা পিস্তল রাইফেল আমদানীর উপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হোক!
পোস্টে প্লাস + +

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার প্রস্তাব!

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !! ভালো লিখেছেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩

শায়মা বলেছেন: বন্দুক আর পিস্তল খেলনার দোকানগুলো থেকেই তুলে দেওয়া উচিৎ।

আমাদের স্কুলে আমরা লেগো দিয়েও যদি বন্দুক বানায় কোনো বাচ্চারা সেটাকে নিরুৎসাহিত করি। শুধু নিরুৎসাহিতই না অন্য দিকে নিয়ে যাই কোনো সুন্দর ক্রিয়েশনে......

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব সুন্দর ভাবনা শায়মান্টি।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বন্দুক জিনিসটা খেলনা হয় কিভাবে আমার মাথায় আসে না!


আপনার পোস্টটা সুন্দর এবং সময়োপযোগী!

খায়রুল ভাইয়ের ২য় মন্তব্যের সাথে সহমত!

পোস্টে ২য় প্লাস!:)

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার রহমান। ভালো থাকবেন।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ।
পাড়ায় পাড়ায় গল্প বলা, গল্প লেখা, আবৃত্তি, গান, নাচ, ইনডোর গেমস ইত্যাদির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হোক!
সময় কোথায় সবার। বাবা ব্যস্ত অফিস আর রাস্তার জ্যামে। মা ব্যস্ত সিরিয়াল আর শপিং এ। বড় ভাই বোন ব্যস্ত মোবাইল আর ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল প্রেমে।

আমি আমার অফিসের কলিগদের বাসায় বা আত্নীয়ের বাসায় গেলে বই কিংবা রং পেন্সিলের বক্স নিয়ে যেতাম, কিন্তু এতে অনেকে খুশি হত না। আমার কলিগের এক ছেলের জন্য বই কিনেছিলাম। ৬ মাস ধরে বইটা তার ডেস্কে পড়ে ছিলো।

স্কুলে একটা কাজ করা যেতে পারে, দূরে থাকা আত্নীয়দের চিঠি লেখানো যেতে পারে। প্রতি মাসে/ সপ্তাহে চিঠি লিখবে। এতে পারিবারিক বন্ধনও জোড়ালো হবে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার ভাবনা।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাচ্চাদের মাঝে একটি খুবই প্রিয় খেলা, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা; খেলনার পিস্তল, বা খেলনার বন্দুক না পেলে তারা কি দিয়ে খেলবে?

শুধু সায়েন্স কিট দিয়ে খেলতে পারবে? সায়েন্স কিট দিয়ে খেললে ভালো হবে, আমরা অনেক নিউটন পাবো; কিন্তু বাচ্চা কি সেই বয়সেই নিউটন হতে চায়?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: শুধু সায়েন্স কিটের কথা বলি নাই। অরিগামি, ট্যানগ্রাম এগুলোর কথাও বলেছি। আফনে খিয়াল করেন নাই? আমি নিউটন হিতে কই নাই, কইছি যে অবসরটা সুন্দর কাটায়া যেন সেক্স-ড্রাগ-ভায়োলেন্স-গ্যাংবাজি ইত্যাদি থিকা বাঁচতে পারে। আফনে বুঝেন নাই?

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫২

সুমন কর বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়েই ট্যানগ্রাম গেম মোবাইলে ইনস্টল করলাম। রাতে খেলুম।

ধন্যবাদ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: বাহ! আমিও একসময় ট্যানগ্রাম খেলতাম। শুভেচ্ছা সুমন।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৪

তাসজিদ বলেছেন: আজ গিয়েছিলাম বাণিজ্য মেলায়। কিনে দিতে পারি নাই ভাগ্নে কে। কারণ সব আগেই কেনা।

তবে হামা ভাই, কিছু কথা না বলে পারছি না। এ বক্স এর দাম কোন ভাবেই ৭৫০ +/- রাখা ঠিক হচ্ছে না। এ বক্স মেনুফেকচার করতে কোন ভাবেই ২০০ টাকার বেশি খরচ হবে না। সেক্ষেত্রে দাম অবশই খুব বেশি।
আর বক্সের বেশ কিছু কনসেপ্ট সরাসরি ব্রাইট সাইট ওয়েব থেকে কপি করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে এ বক্সের পেছনে শিক্ষা থেকে বাণিজ্যিক মনোভাব বেশি কাজ করেছে বলে আমার ধারণা।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি অফিসে আয়া পড়েন, একটা ফ্রি দিমু নে আপনারে :#)

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাচ্চাদের মাঝে একটি খুবই প্রিয় খেলা, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা; খেলনার পিস্তল, বা খেলনার বন্দুক না পেলে তারা কি দিয়ে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলবে?

আমরা উঁচু শ্রেণীর বাচ্চা নিয়ে অনেক চিন্তি্ত, তারা কি পড়বে, কি দিয়ে খেলবে, কোন ভাষা শিখবে। সাধারণ মানুষের বাচ্চারা বাবাকেও দেখছে না, বাবা আরবে থাকে, মালয়েশিয়ায় থাকে, টেলিফোনে মাঝে মাঝে কথা হয়; অথবা বাাবা দিন মুজুর, মেজাজই খারাপ থাকে, ঘরে এলে বাবাকে দেখেই ভয় পায় শিশু।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: উঁচু শ্রেণী, নিচু শ্রেণী সবার জন্যেই কাজ করা দরকার। ছিন্নমূল শিশুদের জন্যে ভলান্টারি ওয়ার্কে কত কত কোটি টাকা ডোনেশন আসে আপনি জানেন? আমি তো মনে করি এই আধুনিক নগর শিশুদের জন্যেই সবচেয়ে কম কাজ করা হয়। এই অবহেলার ফলাফল কিন্তু খুব খারাপ হবে, খিয়াল কইরা।

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শিশুর অবসর হোক সুন্দর। সহমত।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস ভাই।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

কালীদাস বলেছেন: পোস্টের চিন্তার থিমটা খুবই সময়োপযোগী হাসান ভাই। তবে খেলনার ব্যাপারটায় পুরাপুরি একমত না আমি। আমাদের ছোটবেলায় সমবয়সীরা অহরহই খেলনা বন্দুক নিয়ে খেলতাম। আমি অতি এক্সট্রিম ছিলাম এই জায়গায়, আমার মা এখনও বলেন যে কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হওয়ার আগে আমাকে ঠান্ডা করতে মাঝে মাঝে আমার বাবার লাইসেন্স করা রিভলবার (আনলোডেড) আমার হাতে তুলে দিতেন; এতে আসলেই আমি দ্রুত ঠান্ডা হতাম। মতিঝিল মডেলে পড়ার সময় কলোনীর যে ছেচড়া ছেলেগুলো ছিল, তাদেরও কিন্তু ক্রাইমের ধরণের একটা লিমিট ছিল। গ্যাং ফাইট আমরাও দেখেছি, কিন্তু খুন লেভেলে যায়নি কখনও। এখন যাচ্ছে কেন? মেইন চেন্জটা কোথায় হয়েছে?

পারিবারিক মূল্যবোধে। বাসাগুলোতে বাবামায়ের শাসন নেই বললেই চলে এখন। বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা, অনেকগুলো বাসায় মনে হয়েছে ছেলেদের এসব বিহেভে বাবামা অনেকটা খুশি হন :| স্কুলের শাসন আইন করে বন্ধ করা হয়েছে, পড়াশোনা যাই করুক না কেন রাষ্ট্র নিশ্চিত করেছে "গোল্ডেন জিপিএ পাইব"। এত কম বয়সে ওপেন অনলাইনে চলে যাচ্ছে একেকজন যেটা গাইডেন্স ছাড়া মাঝে মাঝে আতংকজনক। স্যাটেলাইটে সারা দুনিয়ার কালচার শিখছে কোনরকম প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ছাড়া অথচ সেক্স এডুকেশন চালু করার কথা বললে এক শ্রেণীর অতি ধার্মিকের মরা দাদাদাদীর ধর্ম নিয়ে টান পড়ে যায়। আমি এইদিকগুলোতে জোর দিতে বলব সংশ্লিষ্ট সবাইকে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

হাসান মাহবুব বলেছেন: রঙচঙে মিউজিক্যাল পিস্তল, আর এই ছবির পিস্তল গুলো কি এক? আসল বন্দুকের সাথে এর কোনো পার্থক্য বোঝা যায়?

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমরা বাচ্ছাদের অতি আধুনিকতা কিংবা প্রগতিশীলতা শিখাতে গিয়ে তাদের হাতে অল্প বয়সে তথ্য প্রযুক্তির মত বিষয়গুলো খারাপ দিক বিবেচনা না করেই ছেড়ে দেই। ফলে সদ্য বয়স সন্ধিতে পা রাখা ছেলে মেয়েগুলো পর্ণ সাইটে আসক্তি হয়ে পরে। যার কারণে, তাদের মধ্যে এক্সটা এক্সসাইটেট অনুভব করে এবং তারা ইংলিশ একশন মুভি দেখা শুরু করে এবং বিদেশী কালচারে আসক্ত হয়ে পরে।

তার কু ফলাফল জাতি প্রত্যক্ষ করছে। য়ূরোপের আদলে দেশের কিশোরা-কিশোরীরা দোস-বন্ধু সম্পর্ক গড়ে তুলছে। সেখানে মন্সতাত্ত্বিক দ্বন্দের কারণে গাং স্টার গ্রুপ গড়ে তোলে নিজেরা খুন খারাপীতে মেতে উঠছে। এর থেকে পরিবার ও নিস্তার পাচ্ছে না।
এর থেকে পরিত্রান পেতে রাষ্ট্র এবং সমাজকমীদের এখন ই করণীয় ঠিক করতে হবে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, অবশ্যই।

১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজ ঘুমাতে যাচ্ছি। কাল সবার সাথে কথা হবে আশা করছি। শুভরাত্রি।

১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ক্লাস থ্রী বা ফোরের ঘটনা।। আব্বা হাত ধরে কমলাপুর স্টেশনের লাইব্রেরী থেকে ঈশপস ফেবল নামের বইটা কিনে দিয়েছিলেন।। সেই নেশায় সিক্সে উঠার পরই ব্লাকবোর্ডের লেখা আবছা দেখতাম।। ৭মে উঠার পরই চশমা।। মাইনাস সেভেন ও এইটের।। বদনেশা বলতে ছিল বইপড়াই।। ধীরে ধীরে সামাজিক পরিবেশ আর পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে।। অবক্ষয়ের কবলে, সাধরন মূল্যবোধও।। এবং তাতে ইন্ধন দেয় "রাজনীতি"!!
জানি না পথ হারিয়ে অন্য পথে বলা শুরু করলাম কি না?? আসলে এটা এমনই একটা ব্যাপার, যা শোনা,বোঝা আর উপলব্ধি করার পরও আমরা পথ হারাচ্ছি।। তখন মূল্যবোধ যাও ছিল, এখন তার কিছু আছে কি না জানি না।।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমি তো আজকাল বাচ্চাদের হাতে ক্লাসের বই ছাড়া অন্য কোন বই মা-বাবাদের তুলে দিতে দেখিনা।সবাই ব্যাস্ত ট্যাব নিয়ে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আমি নিজেও অনেক ক্ষেত্রে এমন করি। এটা কাটিয়ে উঠতেই হবে।

১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

আপনি খুব উচিত একটা প্রশ্ন তুলেছেন শিরোনামে আর তার বিস্তৃতিতে খুঁজে পেয়েছি তার বাস্তবিক, মানানসই, প্রজন্ম গড়ার উত্তর।


সুপ্রিয় লেখক, আপনাকে ধন্যবাদ!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: ekmot na.

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনার যুক্তি গুলো শুনতে চাই। বলবেন?

১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো বিষয় । আর আপনি খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি। ভালো থাকবেন।

২০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

আরজু পনি বলেছেন: আমার পোলা মোটামুটি অরিগ্যামি মাস্টার বনে যাচ্ছে :D

আর অন্যরকম বিজ্ঞান বাক্সের একটা আমার কন্যা তার ভাইয়ের জন্মদিনে গিফ্ট করেছে এরমধ্যে।
কন্যা শিশু একাডেমিতে অন্যরকম বিজ্ঞান বাক্সের স্টলে কী সব মিলিয়ে পুরস্কারও নিয়ে এসেছে।
আমরা ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ ...
আপনার এই পোস্টটা খুব বেশি ভালো লাগলো।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো পনি আপা। ভালো থাকবেন।

২১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০০

ভাবুক কবি বলেছেন: এমন একটি লেখা ফেইসবুক সেলিব্রেটি আরিফ আর হোসাইন ভাইয়ের স্টাটাসেও পড়েছিলাম। নিঃসন্দেহে ইহা আমাদের কোমল শিশুদের বাঁচানোর যথাযোগ্য ও সময় উপযোগী উদ্যোগ।
খুব ভাল একটা পোস্ট।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

শোভন১ বলেছেন: পিস্তল যে শুধু সন্ত্রাসীরাই ব্যবহার করে থাকে, এরকমতো না। পুলিশ, আর্মি এদের জন্যই আসলে পিস্তল... ভালোর জন্য পিস্তল; সন্ত্রাসীদের পিস্তল ব্যবহার করার বিষয়টা হলো একটা অপব্যবহার। দোষটা খারাপ লোকেদের, পিস্তলের না। খেলনা হিসেবে পিস্তল মোটেই খারাপ কিছু না যদি ওটার সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে বাচ্চাদের শেখাতে পারেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: পিস্তলের সঠিক ব্যবহার শেখানোর জন্যে ছোট বাচ্চাদের প্রশিক্ষিত করছি, খুবই মারদাঙ্গা আইডিয়া। শুইনা গায়ে জোশ চইলা আসছে পুরা হাহাহা =p~

২৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

আমি তুমি আমরা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ন পোস্ট

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: থ্যাংকস।

২৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: (৫) ফেসবুকের ‘আনসেন্সর্ড’ গ্রুপে রাতভর অশ্লীলতায় মগ্ন কিশোর-কিশোরীরা।



আমার মনে হয়, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের কারণে এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা যে গভীর গর্তে পড়ে গেছে, সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা তাদের উদ্ধারের অনুকূলে নয়।

ধন্যবাদ হা মা ভাই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ হেনা ভাই।

২৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩২

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: পোষ্টটি অত্যন্ত ভাল লেগেছে। ভাল থাকবেন হাসান মাহবুব ভাই।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ সুজন। ভালো থাকবেন।

২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩২

অরুনি মায়া অনু বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহারে শিশু শ্রেণীর পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠছেনা। আর পড়ার অভাবেই লেখার অভ্যাসটা গড়ে উঠছেনা। মেতে উঠছে ক্ষতিকারক খেলনা সামগ্রী নিয়ে। আপনার সাথে একমত আমি।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ অনু। ভালো কাটুক দিন।

২৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

বর্ষন হোমস বলেছেন:

ঠিক বলেছেন।
বিশেষ করে ৫ নাম্বারটাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।এইসকল আনসেন্সর্ড গ্রুপ গুলোর ক্ষমতা এতটাই যে প্রায় একচতুর্থাংশ কিশোরই নিয়মিত ভাবে এসবের সাথে জরিয়ে পড়েছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, এখনই সময় কিছু একটা করার। ধন্যবাদ।

২৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,



কি বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনে ! এমন প্রস্তাবনাময় লেখেকে চমৎকার বলবো, না কি সচেতনতা মূলক বলবো, না কি গুরুত্বপূর্ণ ? ঠিক কোনটি যে এমন ভাবনাময় লেখার যোগ্য হতে পারে ঠিক করে উঠতে পারছিনে । কোনটাকে যে বেছে নেবো......................

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: সব গুলারেই বাইছা ন্যান :-B

২৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

সানজিদা হোসেন বলেছেন: এই জিনিশ কিনে লাভ নাই। আমি আমার পিচ্চির সাথে দখলদারি নিয়ে মারামারি সুরু করবো । কয়েকদিন আগে বেচারি একটা পাজল সেট গিফট পেয়েছিল। প্রথম এক সপ্তাহ আমিই খেলেছি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা! মজা পাইলাম =p~

৩০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

আলোরিকা বলেছেন: আমার ছেলের পিস্তল খুবই পছন্দ । চুইংগাম স্যার তার রোল মডেল আর জীবনের লক্ষ্য আমরি হওয়া ---দুষ্টু লোকদের শিক্ষা দেয়া । পিস্তল কিনে দিই না নিজেই লোগো দিয়ে বানিয়ে ফেলে ---আমি পিস্তলের খারাপ গুণাগুণ বললে উল্টো আমাকে বোঝায় --মা , এটাতো আসল না খেলনা পিস্তল ।

চমৎকার একটি পোস্ট ! বাচ্চা কাচ্চাদের ভার্চুয়াল লাইফ থেকে রিয়েল লাইফে ফিরিয়ে আনা দিন দিন আসলেই দুরূহ হয়ে পড়ছে ।
ভাল থাকুন । শুভকামনা :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আলোরিকা। ভালো থাকবেন।

৩১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০

ANIKAT KAMAL বলেছেন: স‌ত্যি অাপ‌নি ব্লক ভুব‌নের উজ্জল নক্ষত্র ভাই

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ এবং ভালোবাসা নিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.