নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে আমাকে একজন বললো তার না কি আমার, অর্থাৎ যারা শাহবাগ আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো, তাদের ওপর খুব রাগ হচ্ছিলো গতকাল। আমি ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কেন তার এত রাগ। তিনি উত্তরে বললেন, আমরা ২০১৩ তে শাহবাগে গিয়ে দিনের পর দিন পড়ে থেকেছি, কিন্তু এখন দ্রব্যমূল্য হুহু করে বাড়ছে এর প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ করছি না কেন? সত্যি কথা বলতে কি, হুট করে আমার মুখে কোন জবাব আসে নি। আমি অতটা প্রত্যুৎপন্নমতি অথবা বাকপটু না। তাই লিখেই জবাবটা দেই।
প্রথমে আমার প্রশ্ন, আপনার কি আমার তথা শাহবাগীদের ওপর হঠাৎ করে রাগটা তৈরি হয়েছে, না কি অনেক আগে থেকে পুষে রেখেছেন? আপনি কি এতদিন আমাদের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন? দ্রব্যমূল্য বাড়ার প্রতিবাদে শাহবাগ অবরোধ না করায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন? না কি আরো আগে থেকেই অসন্তুষ্ট? যদি আরো আগে থেকে হয়, সেটা কবে থেকে? শাহবাগের আন্দোলন শুরু করার সময় থেকে কি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট ছিলেন, না কি তখন থেকেও অসন্তুষ্ট? আর যদি তখন থেকেই অসন্তুষ্ট হন, তাহলে জানতে চাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া কেন অপরাধ হবে? কেন এতে আপনার দিল নাখোশ হবে?
আমার আরো প্রশ্ন আছে। ১৯৯০ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন হয়েছিলো। সেই আন্দোলনে রাজপথ উত্তাল ছিলো। প্রাণহানি হয়েছিলো। সেখানে রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরাও ছিলো। ছিলো নাট্যাঙ্গন, সঙ্গীতাঙ্গন তথা শিল্প-সংস্কৃতির সাথে জড়িত অনেক মানুষজন। আপনি কি সেই সময়ে যারা আন্দোলন করেছিলো, তারা এখন আবার কেন মাঠে নামছে না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বা ক্ষুব্ধ?
কিংবা ধরেন ১৯৯৫ সালে সার, তেল, কীটনাশক ও কৃষিপণ্যের দাবিতে আন্দোলন করে প্রাণহানি হয়েছিলো যে কৃষকদের তাদের বংশধরদের ওপর কি রেগে আছেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিচ্ছে না বলে?
আবার ধরেন কিছুদিন আগে যে নটরডেম কলেজের ছাত্রের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে বিশাল আন্দোলন হলো, এখন সেই আন্দোলন তো শেষ। কিন্তু দুর্ঘটনা কি ঘটা বন্ধ হয়েছে? সড়কে মৃত্যুর মিছিল থেমেছে? সড়ক নিরাপত্তা আইন ঠিকভাবে পালন হচ্ছে? আপনি কি ওদের ওপরও রেগে আছেন প্রতিদিন এত এত দুর্ঘটনা হওয়া সত্তেও আন্দোলন করছে না বলে?
দিনাজপুরে ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলো ৭ জন মানুষ। দিনাজপুরে কি ধর্ষণ থেমে গেছে? তারা আর আন্দোলন করে না কেন? রেগে আছেন তাদের ওপর?
আচ্ছা, ২০১০ এর আরব বসন্ত নিয়ে নিশ্চয়ই আপনার উচ্ছ্বাস আছে? যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিলো তিউনিসিয়া থেকে মিশর, লিবিয়া, সিরিয়ায়। ২০১০ এর পরে যে তারা আর কোন বসন্ত উপহার দিলো না এতে আপনার রাগ হয় না? এমন তো না যে তাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
এরকম চাইলে অনেক অনেক উদাহরণ দেয়া যায়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ আমি করি নাই। তার মানে এই না এটা নিয়ে আমার অসন্তোষ নাই। প্রতিটা ইস্যু ধরে কথা বলাটা ক্লান্তিকর লাগে। তারপরেও আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দোষারোপ করতেই পারেন। কিন্তু আমার শাহবাগ সতীর্থ অনেকেই প্রতিবাদ করেছে, করবে। তাদের তো আর রাজভান্ডার নেই যে তুলে তুলে খাবে! সবাইকে পেটে চালাতে কষ্ট করতে হয়। কিন্তু আরেকটা শাহবাগের দাবীতে ঘ্যানঘ্যান করাটা বড্ড শিশুতোষ আবদার।
ফরাসী বিপ্লবের আগে জনগণকে স্ফুলিঙ্গে পরিণত করেছিলো রাণী মেরি এ্যান্টিনিটের বক্রোক্তি, "ওরা রুটি পায় না তো কেক খেলেই পারে"। শাহবাগের ক্ষেত্রে এই নিয়ামক ছিলো কসাই কাদেরের হাসিমুখের ভি চিহ্ন। তারা কেউ জেনেশুনে নিজের কবর ডেকে আনে নি।
সময় এবং পরিস্থিতি কীভাবে মানুষকে তাঁতিয়ে তোলে তা বলা যায় না। একটা মানবস্ফুলিঙ্গ তৈরি করতে প্রয়োজন হয় বিশেষ সময়ের, বিশেষ মানুষের। সেই সময়টা বলে কয়ে কেউ তৈরি করতে পারে না। সেটা কীভাবে কীভাবে যেন হয়ে যায়। একটা ১৯৯০ বা ২০১৩ বলে কয়ে তৈরি করা যায় না। ১৯৭১ এর কথা বাদই দিলাম। মুক্তিযুদ্ধের সাথে তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। একেকটা আন্দোলনের একেকরকম বৈশিষ্ট্য। কোনটাকেই ডুপ্লিকেট করা যায় না। আরেকটা ১৯৯০ যেমন আসবে না, আরেকটা শাহবাগও আসবে না। তবে মানবস্ফুলিঙ্গ আবার তৈরি হবে,সময়ের প্রয়োজনে। সাধারণ জনগণ থেকে প্রতাপশালী শাসক, কেউ তার হদীশ জানে না।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আপনি কি সাদা-কালোর বাইরে ধূসর জায়গায় অবস্থান করছেন? অতি উত্তম।
২| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:৩৪
অপু তানভীর বলেছেন: "ঐ সময়ে প্রতিবাদ করেছো এই সময়ে কেন প্রতিবাদ করো না কেন" এই টাইপের অভিযোগ আমি আগেও শুনেছি মানুষের কাছ থেকে ! বাস্তবে জীবনে এরা বেশির ভাগই যুদ্ধাপরাধি বিচারের বিরোধী তবে পাছে রাজাকার ট্যাগ খেতে হয় তাই মুখ বুঝে থাকে । সেই আন্দলনের সময়ে তারা আন্দোলনের বিপক্ষে কিছু বলতে পারে নি ! এখন তাই এই টাইপের তুলনা টাইপ অভিযোগ করে কিছু মনকে শান্তি দিচ্ছে !
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক ক্ষোভ তাদের।
৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:০৭
জ্যাকেল বলেছেন: মোটাদাগে দেখলে শাহবাগ এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল যেইটা সহজ বাক্যে বোকাচোদা তরুণের দল নাচিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দেওয়া হইয়াছে। আসেন, আসেন আমাকে এখন ল্যাদাইতে আসেন, পাপড় ভাজা না পাই মুড়ি নি বসে বসে দেখুম। জামাতের কথা বলতেছি না, বলতেছি বিম্পির কথা। যাও এক আধটু বিরোধী দল ছিল সেইটা শাহবাগ হইচইয়ের উসিলায় একেবারে রাজনৈতিক দেউলিয়া বানিয়ে দেওয়া হইয়াছে, বিরোধী নেতৃত্বকে দেশে কোন অবস্থান তৈরি করতে দেওয়া হইতেছে না ফলে ক্রমশ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে অবমুক্ত করা হইতেছে। বংগবন্ধুর দেওয়া শিক্ষা কোন কাজে লাগতেছে না, উনি তো দেখাই দিয়ে গেছিলেন বাকশাল ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল। শেইখ হাসিনা বাবার ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা না নিয়ে নিজের মত করে বাকশাল প্রতিষ্টা করতেছেন। দেখা যাক, আর কত ধোঁকা আমাদের খাইতে হয়।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার কাছে হিসাব সিম্পল। শাহবাগে কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবীতে যাওয়া হইছিলো। সেইটা আদায় হইছে। ঘটনা শেষ। শাহবাগ সফল। বিএনপির যদি সেইরকম জনসমর্থন থাকতো তাহলে কখনই এভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতো না। এইখানে শাহবাগীদের বোকাচোদা বইলা গাইল্লায়া চুলকানোর দরকার হইলে মলম লাগান। আওয়ামী লীগের সেই ক্ষমতা আছে বিএনপিকে ধ্বংস করে দেয়ার। সেইডা আপ্নের ভাষ্যমতে শাহবাগের উছিলায় না হইলে অন্য উছিলায় হইতো। আওয়ামী লীগ ২১শে আগস্ট ভোলে নাই। বিএনপি যেমন আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেয়ার ট্রাই করছিলো, আওয়ামী লীগও তাই করছে এবং সফল হইছে। শাহবাগ না আইলেও হইতো।
৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: ''ছাড়'' দিন। অনেকে কথা বলবে। সব কথা ধরতে হয় না।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ওরকম নির্লিপ্ত তো হইবার পারি না।
৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৯
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এগুলো বলে ঐসব ছাগু নিজেদের একটু হালকা করে। ওদের বাবাদের না বাঁচাতে পারার যন্ত্রনা কমাতে চায়, ব্যাস আর কিছুই না।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়
৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৪
স্প্যানকড বলেছেন: ধুর বইলা খেদাইয়া দ্যান ! আর না গেলে গর্দানে দুইটা দ্যান । শাহবাগ সফল আওয়ামীলীগ ও সফল জনতার বাড়ছে খালি ধকল ! তবে এদেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা ধরেন মেট্রোরেলের ভেতর বসে বলবে " শেখের বেডি বজ্জাত ! " সুতরাং কারে কি কইবেন ? ভালো থাকবেন।
৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৮
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: শাহবাগ' শাহবাগী' গালিতে পরিনত কেমনে হয়েছে তার উদাহরণ পাচ্ছি ।
৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ২:১৭
গরল বলেছেন: ঐসব ধীকৃত জঘন্ন জামাত নেতাদের ফাসি যারা মেনে নিতে পারে নাই তারাই শাহবাগ নিয়ে খেদ প্রকাশ করে।
৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ২:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া ঊচিত। আরেকটা ১৯৯০ যেমন আসবে না তেমনি আরেকটা শাহবাগও আসবে না। কিন্ত পরে ইমরানকে সরকার নাকানিচুবানি দিলো কেনো
১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ ভোর ৬:৫৮
সাসুম বলেছেন: খুব খেয়াল করে দেখবেন হাসান ভাই- শাহবাগী বলে গালি দেয়া মানুষ গুলোর একটা কমন পাটার্ন আছে। তারা সবাই মোটাদাগে- কসাই কাদের, গোয়াজম, আল্লামা চন্দ্রপুরি, আল্লামা খাসি দের ভালোবাসার মানূষ।
এবং এরা সবাই , মানে একদম ৯৯% হল এক্সট্রিমিস্ট টেরোরিস্ট মেন্টালিটির এবং একটা স্পেসিফিক ধর্মের কট্টর অনুসারী এবং তাদের ধর্ম না মানলে কল্লা ফেলে দেয়া নীতিতে বিশ্বাসী।
এরা কোন মতেই বিলিভ করতে রাজি নয়- শাহবাগে মানুষ রাজনৈতিক ইচ্ছায় যায়নায়, গেছে রাজাকার এর বিচারের দাবিতে। কসাই কাদের এর ক্যাপিটাল পানিশ্মেন্ট এর দাবিতে। এখন সেটাকে আওয়ামী লীগ কৌশলে ইউজ করছে বিধায়, কিংবা ইম্রান এইচ রা আলাদা সুবিধা নেয়ার জন্য কাজ করেছিল বিধায় শাহবাগের মূল চিন্তা তো আর বাদ হয়ে যায় না।
এই বলদে আকবর, মারখোরে শাহেনশা এবং লাহোরে কুতকুতি রা এতই ভক্সড, এতই জন্ম পরিচয় হীন, এতই গান্ডু, এতই অমানূষ যে- সে যে দেশের জল বাতাস মাটিতে বাস করে তার জন্মের বিরোধীদের সাথে গলা মিলায়, তাদের বিচারের দাবিতে হওয়া সমাবেশ কে ডিমিন করে এবং বাইঞ্চুত গুলো বাংলাদেশ রাস্ট্রের জন্ম কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এম্নে এম্নে ছফা বলে নাই- শেখ মুজিব একটা অনিচ্ছুক জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল।
প্রতিবাদ ফেব্রুয়ারি এলে তাদের আব্বাদের ঝুলানির ব্যাথা কেউ কেউ করে উঠে , ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে বড় হুজুরের সহবতের আর ব্যাথার সোদনে ফেসবুক ব্লগে এসে শাহবাগী বলে চিৎকার করে উঠে পরদিন।
এদের কে পাত্তা দেয়ার কিছুনাই। এদের জন্মে দোষ মাত্র , অন্য কিছুনা।
১১| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কোনো নির্দিষ্ট দল-উপদল-পন্থী-সমর্থকের হিসাব করে লাভ নাই। মূলত আমাদের সকলের চামড়া মোটা হয়ে গেছে। কোনো কিছুই আমাদের গায়ে লাগে না।
তবে মানবস্ফুলিঙ্গ আবার তৈরি হবে,সময়ের প্রয়োজনে।
সময় যথেষ্ট গেছে। মানুষের সহ্য সীমা বলে একটা জিনিস আগে ছিল, এখন সেই সীমাটানেই হয়ে গেছে। সব কিছু সহ্যের মধ্যে এসে গেছে।
১২| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৮
কলাবাগান১ বলেছেন: জীবনে একটা বড় আফসোস যে শাহবাগ আন্দোলনে যোগ দিতে না পারা ..।দেশে থাকলে অবশ্যই যোগ দিতাম....উপরে যে রাজাকার বান্ধব পোকা টা শাহবাগী কে গালি বলছে, তাকে বলছি..বলে যান শাহবাগী হবার মত এমন সৌভাগ্য সবার হয় না..।শাহবাগী আপনার কাছে গালী কিন্তু আমার কাছে অহংকার
১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২৪
বিটপি বলেছেন: শাহবাগিদের উপর আমিও খুব খুশী ছিলাম, কিন্তু এই খুশী মুছে গেছে যখন ছাত্রলীগ সভাপতিকে সেখানে খুব হাসি হাসি মুখে ভাষণ দিতে দেখলাম। তখন বুঝতে বাকী রইলনা যে শাহবাগীরা ক্ষমতাসীনদের ক্রীড়ানকে পরিণত হয়ে তাদের কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে? সেই এজেন্ডা কি? একটা ছিল জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগানে পরিণত করা। এরকম আরো অনেক এজেন্ডা ছিল যা বাস্তবায়ন করা যায়নি হেফাজতের বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া একটা আন্দোলনের জন্য।
যুদ্ধাপরাধীদের দল বা গোষ্ঠী আমাদের দেশে খুব একটা শক্তিশালী নয়। জাতীয় নির্বাচনে এদের দল ৫% এর বেশি ভোট পায়না। রাজপথের খেলাতেও তারা খুব একটা দক্ষ নয়। দেশে অরাজকতা সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ যেরকম পটু, তার ধারে কাছেও নেই ঐ দলটি। তাই তাদের নেতাদের ফাঁসি দেবার জন্য ক্ষমতাসীনদের কোন নাটক মঞ্চস্থ করার প্রয়োজন ছিলনা। তারপরেও নাটক কেন করতে হল?
সেটা না করলে বিনা বাধায় ২০১৪ সালের নির্বাচন করা এবং ২০১৮ সালের ভূমিধস বিজয় এত সহজ হতো না। এ ব্যাপারে অবশ্য রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা বুঝেছি, তাই বলেছি।
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দ্রব্যমুল্য এক জিনিষ, খুনি যুদ্ধাপরাধি আল-বদর নেতাদের বিচার চাওয়া ভিন্ন জিনিষ।
শাহাবাগের আন্দোলন মোটেই ব্যার্থ আন্দোলন নয়।
শাহাবাগ আন্দলনের প্রথম ১০ দিনেই আন্দলনের মুল অর্জন টি হয়ে গেছে।
তাদের দাবিমত আইন সংসোধন করা হয়েছে, এই আইন আইনমাফিক ব্যাকডেটে দায়ের করার ব্যাবস্থা করে কাদের মোল্লাকে আবার আদালতে তোলা সম্ভব হয়েছে, এবং আইনের মাধ্যমে ফাঁসিকাষ্ঠে জল্লাদের হাতে তুলে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
আন্দলন সমাপ্ত হওয়ার পরও প্রতিটি রায়, ও ফাসির দিন শাহাবাগে সমাবেশ হয়েছে উল্লাস হয়েছে। জামাত শিবিরের চোরাগুপ্তা অগ্নি তান্ডবও দিন দিন কমতে থাকে। অতচ শাহবাগের আগের দিনও বগুড়া রাজশাহীতে প্রকাশ্যে পুলিশ পিটিয়ে মারা হচ্ছিল। শাহবাগ শুরুর পরপরই সারা দেশে শিবিরের সকল আক্রমন বন্ধ হয়ে যায়। এরকম কয়েক হাজার উদাহরন দেখানো যাবে।
সর্বস্তরে আন্দোলনের ভলিয়ুম দেখে মনস্তাত্তিকভাবেই পিছিয়ে পরে জাশি। হরতাল ডাকাও সীমিত হয়ে যায়, শুধু ফাঁসির দিন ফর্মালি একটা হরতাল দিত সেদিন টুকটাক দুএকটি ককটেল ফুটতো।
কিন্তু ২০১৫ মুজাহেদ-সাকা একই দিনে 'জোড়া ফাসিরমঞ্চে' ঝোলানোর সাতে ও ৫ শির্ষ যুদ্ধাপরাধীর সমাপ্ত হওয়াতে পরবর্তিতে আদালত যথাযথ ভাবে চলায় শাহাবাগ আন্দলনে লাকিদের প্রয়োজন সীমিত হয়ে যায়। সবাই ঘরে ফিরে যায়।
জাসিদের আগুন বোমা তান্ডোবও সমাপ্ত হয়ে যায়। এটাই বাস্তবতা।
সাকা-মুজাহেদ 'জোড়া ফাসির' দিন শহর থমথমে থাকলেও একটা বাসেও আগুন লাগে নি, একটা ঢিলও ছোড়া হয় নি। এরপর আরো ফাসি হলেও পরবর্তিতে আর হরতাল ডাকা হয় নি। বন্দুক কামান বাদেই জাশি থামলো।
শাহাবাগ আন্দলন সফল কি না আর কোন প্রমান লাগে?
এখন অন্তরে জামাত শিবির ধারন করা ব্যক্তিরা ও আলবদর ছানা পোনারা এখন আর লজ্জায় নিজেকে জাশি পরিচয় দেয় না, বিদেশে নিরাপদ পরিবেশে থেকেও না। ক্লাসিক্যাল জাশি সমর্থকরা হতাশ হয়ে যখন জাতীয়তাবাদীদের আশ্রয় গ্রহণ করে তখন তাঁরাই শাহাবাগী বলে গালি দেয়। অথচ প্রকৃত জাতীয়তাবাদীদের কোন স্বার্থই নেই একটা কুলাঙ্গার কশাইকে সমর্থন করার।
প্রকৃত জাতীয়তাবাদীরা কখনোই বিচার বিরুদ্ধ, কখনই কশাই সমর্থক ছিলো না।
ধন্যবাদ।
১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনি শাহাবাগি না একজন ন্যায়ের পক্ষের যোদ্ধা ?? আগে এটা পরিষ্কার করুন !!!
১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১৭
বিটপি বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, আইনের কোন ধারার কারণে পূর্বের বিচারে কাদের মোল্লার ফাঁসি দেয়া সম্ভব হয়নি? এজন্য আইন সংশোধন করার প্রয়োজনীয়তা সরকার আগে কেন অনুভব করেনি? আইন সংশোধনের জন্য কেন তথাকথিত আন্দোলনের দরকার পড়ল? আন্দোলন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতিপূর্বে বিচার সংশ্লিষ্ট কোন আইন কি সংশোধন করা হয়েছে? যে আইন সংশোধন করতে সরকার নিজেই চাচ্ছিল, তার জন্য আন্দোলন করতে হল কেন? একে কি আন্দোলনের বিজয় বলা যায়? বিজয় অর্জন করার পরেও কেন আন্দোলন চলছিল?
সবচেয়ে বড় কথা, এই আন্দোলন কার বিরুদ্ধে? আইন? বিচারের রায়? সরকার? নাকি সিস্টেমের?
আইনের চোখে এই আন্দোলন কি বৈধ?
১৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
সাবিনা বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে বোঝার চেষ্টা করছি
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ওরকম নির্লিপ্ত তো হইবার পারি না।
এই দেশে বাস করতে হলে বোবা হয়ে যেতে হবে। নইলে বিপদ।
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ বিটপি।
সরকার সংসদে দ্রুত আইন সংসোধন করে আপিল দায়ের করলেও পুনরায় বিচার করতে উচ্চ আদালত বেকে বসে।
ফাইনাল রায় হয়ে গেছে, সংসোধিত আইন পরে জারি হয়েছে। হিসেবে সাদা চোখে এই সংসোধিত আইন কাদের মোল্লার উপর প্রয়োগ হওয়ার কথা না। পরে অন্য আসামীর উপর হতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে এই ফাইলটি প্রধান বিচারপতির টেবিলে পাঠিয়ে দেয়।
সরকারপক্ষের প্রবল চাপের মুখেও উচ্চ আদালতের বিচারকরা এই নতুন তৈরি আইনটি কাদের মোল্লার উপর প্রয়োগ করতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের মুল দাবি ছিল - পৃথিবীতে এ পর্যন্ত য্ত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন হয়েছে, সব ক্ষেত্রেই ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইন তৈরি হয়েছে অপরাধ সংঘটনের পরে।
তাই এক্ষেত্রে দেশী আইনের সাথে আন্তর্জাতিক এই ধারাটি কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রজয্য হতে পারে। যেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আইনে অস্পষ্টতা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আদালত আন্তর্জাতিক অঙ্গনের মীমাংসিত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে পারে।
এটা প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে বিভেদ দেখা দিলে দেশীয় আইনই প্রাধান্য পাওয়ার কথা। সাধারণত দেশীয় আদালত দেশীয় আইন অনুসরণ করে। কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আইন পূর্ণাঙ্গ নয়, যেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আইনে অস্পষ্টতা রয়েছে সেসব ক্ষেত্রে দেশীয় আদালত ভারত পাকিস্তান সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বা বিভিন্ন দেশের মীমাংসিত সিদ্ধান্ত (রায় গুলো) অনুসরণ করে থাকে। কিন্তু আসামী পক্ষ নতুন তৈরি আইনটি কাদের মোল্লার উপর প্রয়োগ অনৈতিক ও বেআইনি বলে দাবী করে।
আদালতে এধরনের জটিল পরিস্থিতি হলে যা হয় তাই হয়েছিল।
প্রধান বিচারপতি ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন। এব্যাপারটিতে মতামত দিতে।
যাদের দুজন বাদে প্রায় সবাই আওয়ামী বিরোধী, কিছু বিএনপি-জামাত শুধু সমর্থক না,বিএনপি-জামাতের উকিল হিসেবেও পরিচিত।
আপিল বিভাগের মননিত অ্যামিকাস কিউরি ৭ সিনিওর আইনজিবী। এরা হচ্ছেন
ব্যারিস্টার টিএইচ খান,
এডভোকেট এএফ হাসান আরিফ।(বিএনপি-জামাত সরকারের সাবেক এটর্নি জেনারেল)
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক,
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম,
ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ,
এডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম,
ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন. কিউসি,
শেষ দুজন বাদে সবাই আওয়ামী বিরোধী, তবে সেই সময়ে শাহাবাগের যুদ্ধাপরাধ বিচার দাবিতে উত্তাল ঢাকায় এদের সবাই কিছু না কিছু প্রভাবিত।
৭ জন অ্যামিকাস কিউরিদের কাছে দুটি প্রশ্ন করা হয় -
১। দণ্ড ঘোষণার পর নতুন তৈরি সংশোধনী আইনটি কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে ভূতাপেক্ষ (Retro perspective) ভাবে প্রযোজ্য কি না?
২। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর অধীনে গঠিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন প্রযোজ্য হবে কি না?
নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিষ্টার রফিক-উল হক সবচেয়ে আগে আদালতে উপস্থিত হয়ে ওনার মতামত তুলেধরেছিলেন। তিনি এই আইনটির প্রশংসা করেন এবং কাদের মোল্লার উপর এই নতুন আইন প্রয়োগ করতে কোন বাধা নেই বলে স্পষ্ট মত দেন।
ব্যারিষ্টার রফিক-উল হকের বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ২১ ধারায় যে সংশোধনী আনা হয়েছে। তা সম্পুর্ন বৈধ ও সংবিধানসম্মত। এই সংশোধনী ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য করা যাবে। সংবিধানের ৪৭(৩) অনুচ্ছেদে আইনটিকে সুরক্ষা দেওয়া আছে। নতুন ধারা অনুসারে, কাদের মোল্লার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে অধিকার হিসেবে সরকার আপিল করতে পারে।
সাবেক এটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার টি এইচ খানও পিছনের তারিখ দিয়ে সরকারকে আপিলের সুযোগ দেয়ার বিরোধিতা করেছেন। তিনি আইন সংশোধনের আগের বিষয় এর আওতায় আনার বিরোধিতা করে মত ব্যাক্ত করেছেন।
হাসান আরিফ পরে বিবিসিকে বলেছিলেন, ''যদি কারও বিরুদ্ধে রায় হয়, তখন তার অধিকার জন্মেছে বলে আইনের ভাষায় বলা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে রায় হয়ে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আইনের সংশোধনী এনে সরকারকে সাজা নিয়ে আপিলের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটা এই রায়ের ক্ষেত্রে কার্যকর হয় না। এরসাথে আমি আদালতে আরও বলেছি, সেই সংশোধনী অবশ্যই বৈধ। এটি শুধু মি: কাদের মোল্লার রায় বাদ দিয়ে অন্যদের রায়ের ক্ষেত্রে কার্যকর করতে আইনগত কোন সমস্যা নেই।''
ব্যারিষ্টার রফিক-উল হকের দ্রুত মতামত অন্যান্ন অ্যামিকাসদের উপর কিছুটা হলেও প্রভাব বিস্তার করে বলে আমার মনে হয়েছে।
ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন. কিউসি, সবাই কাদের মোল্লার উপর এই নতুন আইন প্রয়োগ করতে কোন বাধা নেই ভলে স্পষ্ট মতামত দেন।
তবে আন্তর্জাতিক আইন ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনে প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইন (কাস্টমারি ইন্টারন্যাশনাল ল) ব্যাপারে সবাই মিশ্র বক্তব্য প্রকাশ করেন।
এরপর আপিল দায়ের হল।
মামলার নাম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বনাম আবদুল কাদের মোল্লা’
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ । বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন বহুল আলোচিত বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
আসামি ও সরকার—উভয় পক্ষের দুটি আপিলের ওপর ৩৯টি কার্যদিবস শুনানি শেষে ২৩ জুলাই আপিল বিভাগ রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। শুনানি শেষ হওয়ার ৫৪ দিনের মাথায় রায় ঘোষনা তারিখ দেয়া হয়েছিল।
(আমার এই কমেন্ট ২ বছর আগের আমার একটি পোষ্ট থেকে নেয়া, পড়ে দেখতে পারেন।)
view this link
২০| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯
বিটপি বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী, যদিও কপিপেস্ট করেছেন, কিন্তু এই ঘটনার এ টু জেড আমার জানা, আমি তখন ঢাবি'র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র - এগুলো না বোঝার কথা নয়। আমার জানার ইচ্ছে যে, এই ঘটনায় শাহবাগীদের ভূমিকা কি? শাহবাগী নাটক না হলে সরকার এইসব কাজে আগ্রহী হতো না? শাহবাগ কি সরকারকে বাধ্য করেছে এই আইনী পদক্ষেপগুলো নিতে?
নাকি এরকম আন্দোলনের পরিবেশ না থাকলে এ্যামিকাস কিউরিরা স্বাধীন মতামতের সুযোগ পেতেননা! যদি তাই হয়, তাহলে বলতে হয় শাহবাগীরা স্বাভাবিক আইনী কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে ফাঁসির রায় নিয়ে এসেছে।
আমাকে দালাল রাজাকার যুদ্ধাপরাধী ট্যাগ না দিয়ে এট লিস্ট আমার প্রশ্নটাকে সিরিয়াসলি নিয়েছেন - এজন্য ধন্যবাদ।
২১| ০৩ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:০৮
বংগল কক বলেছেন: আঃ শাহবাগ !
ফ্রি বিরিয়ানি খাইতে মনে চায়।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৫৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শাহবাগে পুরোটা সময় ছিলাম। বিরিয়ানি তো পাইলাম না। বিরিয়ানি খাইতে হলে এত নকশা করতে হয় জানা আছিলো না। হ্যাঁ, একটা জায়গায় কিছু মানুষ দিনের পর দিন অবস্থান করলে তাদের জন্যে খাদ্য এবং পানীয় প্রয়োজন হয়। পানি কেনার জন্যে আমিও চাঁদা দিছি। সেই পানি কেউ পান করছে। কেউ হয়তো বিরিয়ানিও পাইছে। আপনার কি বিরিয়ানি খাওয়ার খুব লোভ? বিরিয়ানির লোভে জিহভা বাইর কইরা পইড়া থাকতেন?
২২| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৯
জ্যাকেল বলেছেন: শাহবাগের উসিলায় হইয়াছে বলিয়া শুধু শাহবাগ যে দায়ী উহা কিন্তু বলতেছি না। শাহবাগের চামে ওরা যাহা চাইছিল তাহা পানির মত সজা হইয়া গেল। যা হইবার কথা ছিল তার চাইতে অনেক বেশি আওয়ামীলীগ করতেছে এই আরকি। মাঝখান দিয়া দেশের টাকা বৈদেশে চইলা যাইতেছে। প্যারা নাই চিল ব্রু।
০৮ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ, তা ঠিক। শাহবাগ জামাতকে শেষ করে দিছে। যদিও জামাতের এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার নাই, তবে তারা সাংগঠনিকভাবে খুবই শক্তিশালী দল ছিলো। তারা থাকলে আসলেই বিএনপির অনেক লাভ হইতো। বিএনপি ৯০ এর ফ্রন্টলাইনার ছিলো। তারা জামাত ছাড়া এভাবে মুখ থুবড়ে পড়াতে শাহবাগীদের দোষ না দিয়ে নিজেদের গলতিটা খোঁজা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শাহবাগের জমায়েতটা একটা সাদা-কালো টাইপের ভাগ হয়ে গেছে।
ব্লগে আপনি শাহবাগের বিরুদ্ধে কথা বললে আপনাকে মৌলবাদী ট্যাগ দেওয়া হবে, জামাতী বলা হবে, রাজাকার বলা হবে। কিন্তু হয়ত আপনি নিজের জীবনে ইসলামও মানেন না, জামাত-শিবিরও করেন না। কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না।
আবার শাহবাগের পক্ষে বললে সাধারণ মানুষের কাছে আপনি নাস্তিক হিসাবে পরিচিত হয়ে যাবেন; কিন্তু হয়ত আপনি যে কোন ধর্ম-কর্ম মোটামুটি করেনও।
তবে শাহবাগ একটা উদাহরণ সেট করে দিয়েছে, কোনটা আসলে সরকারের কাছে দাবীর আন্দোলন, আর কোনটা সরকার সমর্থিত আন্দোলোন সেটা এক শাহবাগ প্যারামিটারে ফেললেই এখন টের পাওয়া যায়।