নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুর!

বিকট

হাসান মাহবুব

আমার অপদার্থতাকে মাহাত্ম্য ভেবোনা...

হাসান মাহবুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার সন্তানকে কোনো চাপ দিবেনই না, কিন্তু কেন?

১০ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪


(১)
“আমার বাচ্চাকে আমি কোনো প্রেসার দিবো না”
“আমার বাচ্চাকে আমি কোনো স্ট্রেস দিবো না”
“তার যেটা ভালো লাগে করবে”
এই উক্তিগুলি উন্নত মানসিকতার আশাবাদী বাবা-মায়ের ওয়ালে ঘুরে ফিরে দেখা যায়। এই ধরণের মানসিকতা প্রশংসনীয়। কিন্তু, জীবনে কি আসলে স্ট্রেসকে এড়ানো যায়? প্রেসার থেকে কি মুক্তি মেলে?
একটা না একটা পর্যায়ে এসে স্ট্রেসের মুখোমুখি হতেই হবে। চাপ নিতেই হবে। সারাজীবন কারোই হেসেখেলে রূপকথার বাগানে গোল্লাছুট খেলে কেটে যায় না। একটা শিশুর অবশ্যই চাপহীন, সুন্দর শৈশব কাম্য। কিন্তু কতদিন সে থাকবে চাপহীন? কবে থেকে তাকে চাপের সাথে পরিচয় করাতে হবে?

আপনি আপনার সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামান না। দীপু নাম্বার টু-এর বাবার মতো উদাস। ঠিক আছে। পড়াশোনা নিয়ে যদি অতটা চিন্তা করার ইচ্ছা না’ই থাকে, তাহলে তাকে অন্য দিকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন। গ্রাফিক্স ডিজাইন, বা ইলেকট্রনিক্স, বা কোডিং। কিন্তু কোনো ব্যাপারে দক্ষ হতে হলেও কিন্তু পরিশ্রম করতে হবে। চাপ নিতে হবে। এখন, কেউ যদি কোনো একটা বিষয়ে আগ্রহী হয়, তাহলে চাপ তার কাছে চাপ মনে হবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সমাজে এত পরিমাণ পছন্দের কাজ নেই, যা সবার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেয়া যায়।
ভূমি অফিসে দাগ, খতিয়ান আর মৌজা নিয়ে কাজ করার মানুষের দরকার আছে।
ব্যাংকে হিসাব মেলানো, ঋণ আর কিস্তি নিয়ে কাজ করার জন্যে মানুষের দরকার আছে।

এই যে কম্পিউটারে লিখছি, এই কম্পিউটার যারা উৎপাদন করে তাদের বিক্রয় এবং বিপননের জন্যে লোক দরকার আছে।
এগুলির কোনোটা কারো ড্রিম জব হতে পারে না। জীবনের লক্ষ্য বলতে গেলে তপো সবাই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, চিত্রশিল্পী বা লেখক- এর বাইরে আর কিছু বলতে পারে না। তাহলে বাকি কাজগুলি করবে কারা?
আর এই স্বপ্নের পেশাগুলিও কি স্ট্রেসবিহীন? একজন ডাক্তারকে কী পরিমাণ পড়াশোনা করতে হয় আর কী পরিমাণ দায়িত্ব নিতে হয় সেটা তো কারও অজানা না। ইঞ্জিনিয়ার? সেদিন একজনের কথা পড়লাম, বিদ্যুৎ বিভাগে চাকরি করে। এই লোডশেডিংয়ের সময়ে তাকে বাসায় ফিরে রাত দুইটা তিনটার সময়ও কাজ করতে হয়েছে, আবার সকাল ছয়টায় উঠতে হয়েছে।

(২)
এশিয়ার দেশগুলিতেই মূলত অভিভাবকেরা পড়াশোনা নিয়ে বেশি সিরিয়াস। এখানকার সমাজ ব্যবস্থাই এরকম, পড়াশোনা-ভর্তি-চাকরি। আমেরিকার মতো হাইস্কুল পাস না করে কিছু একটা কাজ শিখে নিয়ে সাবলম্বী হবার প্রক্রিয়া এখানে নিন্দনীয়।
আপনার সন্তানকে দশ ক্লাস পাস করার পর তো একটা মুদী দোকানে বসিয়ে দিতে পারেন, তা দিবেন না। আপনি কিন্তু চান সেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারই হোক। তাহলে কেন অযথা এই “চাপ দিবো না, ওর যা ভালো লাগবে করুক”- এই গালগল্পে মজে থাকেন?

(৩)
একটা সময়ের পর আপনার সন্তানকে স্ট্রেসের সাথে পরিচিত করাতেই হবে। পরীক্ষায় যা ইচ্ছা তাই করুক, শুধুমাত্র আনন্দ করে বেড়াক, অত চাপ না নিক, রেজাল্ট ভালো করতে চাপ দেয়া যাবে না, এগুলি আমার কাছে সচেতন প্যারেন্টিং মনে হয় না।
হ্যাঁ, আপনি অবশ্যই তাকে পরীক্ষায় প্রথম না হলে বলবেন না যে- অমুকের পা ধোয়া পানি খা,
কিন্তু অংকে কেন ১০০তে ৫০ পেলো, কোন কোন জায়গায় ভুল করেছে, কোন কোন জায়গায় উন্নতির দরকার সেগুলি আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।
অ্যাডমিশন পরীক্ষায় ভালো না করলে তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবেন না, কিন্তু অ্যাডমিশন পরীক্ষায় যাতে ভালো করে, সে যেন চেষ্টার কমতি না করে সেজন্যে তাকে অনুপ্রেরণা এবং উৎসাহ যোগাবেন। এবং চেষ্টার পরেও যদি ভালো করতে না পারে, তাকে বোঝাবেন যে এতেই জীবনের শেষ না।
কিন্তু চেষ্টাও করবে না, খারাপ করবে, আপনি তাকে চাপ দিতে পারবেন না, এইসব ইউটোপিয়া তো অচল বাস্তব জীবনে! জীবন অত সহজ না। কোনো দেশেই না।
১৮ কোটি মানুষের জন্যে পর্যাপ্ত কাজ নেই। ড্রিম জব তো বাতুলতা!
ব্যবসা করতে গেলেই যে স্বাধীন, সুন্দর এবং স্ট্রেসবিহীন জীবন তাও তো না!
ফ্রি ল্যান্সিং করতে গেলে সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা।
এখন আবার মানুষের সাথে প্রতিযোগিতায় যুক্ত হয়েছে ai.
সামনের পৃথিবীতে স্ট্রেস এবং প্রেসার বাড়বে বই কমবে না।
তাই আপনার সন্তানের জীবনে স্ট্রেস, প্রেসার আর রিলাক্সের ভারসাম্য কীভাবে করবেন এটা আসলে খুব ভেবেচিন্তে নির্ধারণ করার ব্যাপার।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:১৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সন্তানকে কে যেমন অযৌক্তিক ভাবে চাপ দেয়া উচিত নয় আবার মাত্রাতিরিক্ত ফ্রিডম ও দেয়া উচিত নয়। তাকে ধীরে ধীরে তৈরী হয়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। তার মধ্যে আগ্রহ তৈরী করে তারপর খুব ধীরে ধীরে লোড দিতে হবে যাতে সে লোড নিতে শিখে যায় আবার তার উপর অতিরিক্ত চাপও তৈরী না হয়।

তবে আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কোনো সন্তানের জন্য বেড়ে উঠার জন্য আমার কাছে সহায়ক বলে মনে হয় না।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সেটাই। সিস্টেমের দুষ্টচক্র ভাঙা খুব কঠিন।

২| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার বাচ্চাকে আমি কোনো প্রেসার দিবো না”
“আমার বাচ্চাকে আমি কোনো স্ট্রেস দিবো না”
“তার যেটা ভালো লাগে করবে”


এসব কথা বাবা মা'রা শুধু মুখে মুখেই বলে, কিন্তু করে তার উল্টোটা।

আসলে প্রেশার দিলে যেমন সমস্যা আবার প্রেশার না দিলেও সমস্যা, দুটোর মধ্যে ব্যালেন্স থাকাট জরুরী। এ বিষয়ে কবিগুরু এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছিলেন- "শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করে যে"

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই। ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



সন্তানকে বাস্তবতার বাইরে রাখতে গেলে,হিতে বিপরীত হয়।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ।

ভালো থাকবেন।

৪| ১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: বাচ্চাকে শেখাবে স্কুল,বাবা মা কেবল সাহায্য করতে পারে।বাচ্চাকে শিখানোর ট্রেনিং কি বাবা মার আছে?তারা কি শিখাবে?তারা শুধু ধর্ম শেখায় যেটা সে জানে।

১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১০

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ঠিক যে প্যারেন্টিং বেশ সফিস্টেকেটেড একটা ব্যাপার, এবং দিনকে দিন এর গুরুত্ব এবং জটিলতা বাড়ছে। তাই কিছু জিনিস অবশ্যই শেখা দরকার।

৫| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,




বাস্তবমুখি ধ্যান ধারণার কতোখানি এবং কোন কোন বিষয় সন্তানদের মধ্যে সঞ্চালন করতে হবে এবং তা কেনই বা করতে হবে, এবং কি ভাবে করতে হবে তা নিয়ে অভিভাবকদের করণীয় সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
চাপ ও যেমন দিতে হবে তেমনি তা সহ্য করার ক্ষমতাটুকুও তৈরী করে দিতে হবে। এসবই করতে হবে চাইল্ড সাইকোলজি বুঝে বুঝে, ইন্ডিভিজুয়ালি। সব সন্তানের বেলায় একই পদ্ধতি চলবেনা। শিশুরা চারাগাছের মতো, রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে তারা যেন ঠিকমতো টিকে থাকতে পারে সেরকম ব্যবস্থা রাখতে হবে কিন্তু কোনও অবস্থাতেই উদোম মাঠে প্রোটেকশনবিহীন ছেড়ে দেয়া যাবেনা এই কথা ভেবে যে, সে নিজে নিজেই বড় বৃক্ষ হয়ে উঠবে।!

১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: যথাযথ, জী এস ভাই।

ভালো থাকবেন।

৬| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২১

চারাগাছ বলেছেন: মানুষের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হচ্ছে শৈশব। কিন্তু সেটা খুব সময় স্থায়ী থাকে।

১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। এজন্যে শৈশবকে লালন করতে বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন।

৭| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:




পোষ্টেই সব এতো সুন্দর করে বলা হয়েছে যে সহমত ছাড়া এর বাইরে আসলে কিছু সেরকম বলার নেই।
জীবনের সব ক্ষেত্রে ব্যালেন্স ইম্পরট্যান্ট,প্যারেন্টিংও তার বাইরে না।

সন্তানের ভালো লাগাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে, কিন্তু কোনটা তার জন্য ভালো বা মন্দ সেটা বোঝানো বা শেখানোর ভূমিকাটা বাবা মায়ের। সন্তানের বয়স অল্প, অভিজ্ঞতা কম, তারা ভুল করতে পারে। তাই বন্ধুর মতো পাশে থেকে তাদের গাইড করতে হবে। কারণ এই সময়ের একটা ভুল সিদ্ধান্ত ফিউচার লাইফের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ আয়নাপুতুল। ভালো থাকবেন।

৮| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ২:৩৯

একলব্য২১ বলেছেন: এটা আমার জন্য অনেক উপকারী পোস্ট। আপনার লেখা পড়ে একটা দিশা পেলাম কিভাবে আমার ক্ষুদের সাথে ডিল করা উচিত। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করলাম।

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা আমার জন্যে পরম প্রাপ্তি। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ১১ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯

সোহানী বলেছেন: যেহেতু শিশুদের বিষয় নিয়ে বরাবরেই লিখি/ভাবি/উপদেশ দেই তাই কিছু কথা ;

আমাদের দেশ এ মূহুর্তে যেখানে দাড়িঁয়ে তা অনেকটা জগাখিঁচুড়ি টাইপের। সেখানে না আছে সে বাবা-মায়ের কঠোর শাসনের পরিবেশ, না আছে উন্নত বিশ্বের মতো উদার পরিবেশ। এরকম অবস্থায় বাবা-মা যেমন চাপে থাকে বাচ্চারাও তেমন চাপে থাকে। যেমন, প্রেসার দেয়া যাবে না বাচ্চাদের। কিন্তু প্রেসার না দেবার জন্য যে পরিবেশ দরকার তা এখানে নেই। আবার প্রেসার দিবেন, দেখবেন বাচ্চা পারলে কচু গাছে দঁড়ি দেবার জন্য দড়িঁ খুঁজবে।

আবার বাচ্চারাও মাইনকার চিপায়!! এক পাশের বন্ধুরা নতুন গ্যাজেট নিয়ে চলে, অ ব কোন রকমে করেই আম্রিকা চলে যায়। আরেক পাশের বন্ধু টিকটক/ফেসবুক/নীল-লাল ছবি দেখে নতুন নতুন বান্ধবী জুটায়।

এমন একটা অস্থির অবস্থায় প্রেসার দেয়া লাগে না এমনিতেই প্রেসার হাই থাকে।

যাক্, বলতে থাকলে লম্বা হয়ে যাবে। প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করি, প্রেসার দিতে হবে তবে যাতে প্রেসার মেশিন না ভাঙ্গে। যেমনটা আপনি বলেছেন B:-/

১৩ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আলাদা একটা পোস্ট দিয়ে ফেলেন!

১০| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

নতুন বলেছেন: আমাদের বাচ্চাদের আরো ২০ বছর পরের সমাজের চ্যালেন্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

দেশের চাকুরীর বাজারের প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার চেয়ে এভারেস্টে উঠা সহজ।

এই রকমের অবস্থায় বাবা মা জানেনা কি করলে তাদের সন্তানের ভবিষ্যত ভালো হবে। :(

তাই এই বাচ্চাদের চাপ থাকে সীমাহীন।

এই চক্র থেকে বের হওয়া খুবই কঠিন কাজ।

১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। সিস্টেম চেঞ্জ না হলে একসময় তো সেই দূর্বিপাকে পড়তেই হবে।

১১| ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: সন্তান কে কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে, সেটা আমাদের রবীন্দ্রনাথ তার শিক্ষা প্রবন্ধে বলে দিয়েছেন।
সেটা ফলো করলেই হবে। ব্যস। আর কিছুর দরকার না।

১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সন্তান লালনপালন খুবই জটিল বিবষয়। কোনো একটা নির্দিষ্ট প্রবন্ধ বা গ্রন্থ অনুসারে কখনই পূর্ণ দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে না।

১২| ১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি শিশুদের স্বিধান্ত গ্রহনে চাপ না দিয়ে তাকে সহযোগিতার পক্ষে । আমাদের বাবা মা দের একটা বদ গুন আছে তারা খুব দ্রুত শিশু কে বড় বানাতে উদগ্রীব হয়ে থাকে । তাদের ধমকের মধ্যে সব থেকে বড় বাক্যমালা থাকে যে এত্ত বড় ছেলে/মেয়ের কি এমন করা উচিৎ ? অথচো দেখা যাবে যাকে বলছে সে হয়তো ক্লাশ সিক্স বা সেভেনে পড়ছে । এতে বাচ্চা অন্তরগত চাপের সম্মুখীন হয়ে পরে । সে নিজেকে সব কিছুর জন্য দায়ী মনে করে ।

১৩ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ। তবে চাপ না দিয়ে একদম কেয়ারলেস হয়ে যাওয়াটাও কাজের কথা না। আর একটা সময় চাপ আসবেই। এটা থেকে কারো নিস্তার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.