![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাইবেরিয়া রাশিয়ার এক বিশাল অংশ। দেশটার ৭৭ ভাগই সাইবেরিয়া। কিন্তু প্রায় মানুষহীন এক অঞ্চল। রাশিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র ২৭ ভাগ এখানে থাকে। অবশ্য মানুষ এখানে থাকার কথাই আসে না। পৃথিবীর ভয়ংকরতম শীতল স্থানগুলো এখানেই আছে। এশিয়ার উত্তর অংশের প্রায় পুরোটা জুড়েই আছে এই সাইবেরিয়া। নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে---
১৭ শতক থেকে এটা রাশিয়ার সাথে আছে। মানে জার থেকে শুরু সোভিয়েত আমলের অস্ত যাওয়ার পর আজকের রাশিয়া।
এর নামটা এসেছে তুর্কি শব্দ থেকে। যার বাংলা দাঁড়ায় "ঘুমন্ত ভূমি" অথবা "সুন্দর" (সাইবার)। তবে আনাতোল বৈকালফের মতে এই নামটা এসেছে দু'টো তুর্কি শব্দ থেকে। "su" জল আর "birr" বন্য ভূমি।
এই এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু পর্বতমালা, নদী। কয়েকটা নিচে দেখালাম--
আল্টাই পর্বত মালা। এটা রাশিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান জুড়ে অবস্থিত। বেলুখা পর্বত। যা আল্টাই এমনকি সাইবেরিয়াতেই সবচেয়ে বড়।
কুচেরলা হ্রদ। বৈকাল হ্রদ ছাড়াও আরও অনেক সুন্দর হ্রদ আছে রাশিয়ায়। এটা তাদের অন্যতম।
বৈকাল পর্বতমালা। নামেই বোঝা যায় বৈকালের সাথে কোনো সম্পর্ক আছে। এটা বৈকাল হ্রদের উত্তর-পুর্ব তীর জুড়ে অবস্থিত। এর গড় উচ্চতা ২থেকে২.৫ হাজার মিটারের মাঝে।
উরালস। পশ্চিম রাশিয়া, আর্কটিক, উরাল নদীর তীর, উত্তর-পশ্চিম কাজাখস্তান জুড়ে আছে এই পর্বত মালা। এই পর্বতমালার অন্যতম পর্বত বিগ ইরেমেল।
মজার ব্যাপার এখানে এই সাদাসিধে (!) Wolverine প্রাণীটা পাওয়া যায়।
সাথে এটাও বলি এই পর্বতমালাই ইউরোপ আর এশিয়ার মাঝে প্রাকৃতিক সীমানা টেনে দিয়েছে।
এবারে নদী---------
আঙ্গারা নদী। নদীটার লেক বৈকালের কাছাকাছি অংশের ছবি।
১১০৫ মাইল লম্বা এই নদী ইরকুতস্ক ওব্লাস্ত, ক্রাস্নোয়ারস্ক ক্রাই, দক্ষিণ-পুর্ব সাইবেরিয়া, রাশিয়ার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটাই একমাত্র যা বৈকাল হ্রদ থেকে পানি বের করে দেয়।
ইরতীশ নদী। এটা সাইবেরিয়া আর কাজাখস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
ওমস্ক শহরে এই নদী।
কাজাখস্তানে ইরতীশ।
Ukok Plateau
সবুজ ভূমি।
এটা দক্ষিণ-পশ্চিম সাইবেরিয়ায় অবস্থিত। এটা ইউনেস্কোর World Heritage Site এর একটা অংশ। একে Golden Mountains of Altai বলা হয়।
এবার আসি বৈকাল হ্রদে।
এর নাম মঙ্গোলিয়ার ভাষায় Baygal nuur. মানে natural lake।
বৈকাল হ্রদ।
মানচিত্রে বৈকাল
স্যাটেলাইট থেকে বৈকাল।
৬৩৬ কি,মি, লম্বা ৭৯ কি,মি চওড়া এই লেক। এশিয়াতে এটাই সবচেয়ে বড় পরিষ্কার পানির আধার ৩১,৭২২ বর্গ কি,মি। আবার এটাই সবচেয়ে গভীর লেক সারা পৃথিবীতে; ১৬৪২ মিঃ। এই লেককে মনে করা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরোনো লেক। ২৫ মিলিওন বছর পুরোনো।
যদিও এখন রাশিয়ার ভূখন্ডে এটা, তবে একসময় এটা ছিল জিউংনু কনফেডারেশনের উত্তরাংশে। হান এবং জিউংনুদের যুদ্ধের পর এটা বিজয়ী হানদের দখলে চলে যায়। তারা এর নাম দেয় hanhai বা huge sea। কুরাইকানস'রা যারা ৬ষ্ঠ শতকে বৈকালকে ঘিরে বসবাস করত তারা এর যে নাম দিয়েছিল তার ইংরেজী হল much water। এই কুরাইকানসদের থেকে আরও দু'টো এথনিক গ্রুপ আসে। ব্রুইয়াতস আর ইয়াকুতস। ওরা এর নাম দেয় যথাক্রমে Bayagal nuur-- natural lake আর Bay Gol-- rich lake।
বৈকালের ডিজিটাল মডেল।
বৈকালের তীরের পর্বতমালা
বৈকালের প্রাণী বৈচিত্র্য প্রশংনীয়। ১০৮৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, আর ১৫৫০ প্রজাতির প্রাণী আছে এখানে।
বৈকাল সিল। পুরো বৈকাল জুড়েই এদের পাওয়া যায়।
বৈকাল গ্রেইলিং। এটাও মোটামুটি ভাবেই পাওয়া যায় সেখানে।
কেবল সৌন্দর্য্যই এর আসলে চাহিদা নয়। রাশিয়াতে এই লেকের বেশ কদর আছে। একে বলা হয় সাইবেরিয়ার মুক্তা। রাশিয়ার সরকার বৈকালের এলাকাকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বলে ঘোষণা করেছে। এবারে বৈকালের কিছু খুব সুন্দর ছবি দিয়ে লেখাটা শেষ করছি।
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
৭।
৮।
২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন:
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩১
মুদ্দাকির বলেছেন: অসাধারন সুন্দর পোষ্ট ++++++++
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ মুদ্দাকির ভাই
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ......।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব চমৎকার পোষ্ট ! ++++
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
মামুন রশিদ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট!
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৯
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩২
বটের ফল বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অনেক কিছু জানলাম। ++++++++++++
০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ বটের ফল ভাই
৭| ২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারন! আপনাকে অনুসরণে নিলাম
ভাই ।
ভাল থাকবেন ।
২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ অনুসরণে নেয়ার জন্য
৮| ২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জুন বলেছেন: সাইবেরিয়া সম্পর্কে প্রথম জানি সেই ছোট বেলায় যখন বিখ্যাত রুশ শিশুতোষ গল্প লেখক আর্কাদি গাইদারের চুক আর গেক থেকে। বইতে দেয়া ছবিতে দেখেছিলাম কি ভয়ংকর বরফের রাজ্য সেটা। কিন্ত ভয়ংকরের মাঝেও যে সৌন্দর্য্য থাকে তা দেখলাম আপনার ছবিতে। ছবিগুলো অসাধারন।
+
২০ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১
পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য বলেছেন: ধন্যবাদ + এর জন্য। আমার অবশ্য ঐ বইটা পড়ার সৌভাগ্য হয় নি। আমি যা-ই দিলাম সব ইন্টারনেটে পাওয়া। কেবল বাংলা তরজমা করে দিলাম
আবারও ধন্যবাদ পড়ে দেখা জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৯
নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: