নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ের ভেদবমি।

কিসু লিখার নাই

পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য

আমি লিখি; কিন্তু আমাকে নিয়ে লিখি না .।

পার্থ সুমিত ভট্টাচার্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদের হাসি

১১ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮

প্রচন্ড গরমের একরাতে খোলা মাঠে আকাশের দিকে তাকিয়েছিলাম। দেখলাম আকাশে এমন কালো রাতেও একটা চাপা আলো হাসছে। একটা হালকা আলোর পরশ আছে পুরো আকাশ জুড়ে। একটু ধাক্কা খেয়ে গেলাম। এ যে চাঁদের কারসাজি বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু নিজের চোখে দেখতে না পেয়ে বিশ্বাসও করতে পারছিলাম না। ভাল করে চোখ বুলিয়ে নিলাম আকাশে। কোনো তারা ছিল না, তবে সত্যিই চাঁদ ছিল। মেঘও ছিল, তবু চাঁদের অস্তিত্ব ঠিকই বোঝা যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল গোল কোনো উৎস থেকে কোমল একটা আলো আসতে চাইছে। কিন্তু মেঘের ঘন চাদর জেদ ধরে তাকে আসতে বাঁধা দিচ্ছে আর কোমল আলোটা তার ব্যাপকতা নিয়ে পুরো আকাশে রহস্যময়ভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভেবে অবাক হয়েছিলাম কত সহজে ঐ দুরের চাঁদ নিজের সাথে সাথে পুরো আঁধার কালো আকাশকে হাসিয়ে দিচ্ছে !

একটা অদ্ভুত ব্যাপার আমার চোখে পড়েছিল তখন। যখন খোলা কালো মেঘহীন আকাশে চাঁদের দেখা পাই তখন মনে হয় চাঁদটা ঐ আকাশের গায়ে লেগে আছে। হাত বাড়িয়ে দিলেই ছুঁয়ে দেখা যাবে। খুব কাছে কাছে মনে হয়। অথচ সেই রাতে মেঘের ওপারে চাঁদকে দেখে বুঝতে পারছিলাম চাঁদের দুরত্ব। গাণিতিক হিসেবে যেটা কয়েক লক্ষ মাইল। পরিষ্কার বুঝতে পারছিলাম হাত বাড়ালেই এই চাঁদকে ছোঁয়া যাবে না। এরপরেও শিশুর মতো একবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।

খুব আশ্চর্যভাবে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখছি সবসময় চাঁদ একটা রূপকথাকে শুরু করে আর মেঘেরা সবসময় বাস্তবতার মতো এসে ঐ রূপকথাকে মাঝপথে থামিয়ে দেয়।



পুনশ্চঃ গতরাতেই বুঝতে পেরেছি সবকিছুর শেষে ঐ মেঘগুলোই বাস্তব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.