নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Parvej molla

Parvej molla › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থ বুঝে কুরআন পড়ুন, কুরআন নাজিলের উদ্দেশ্য পূরন করুন

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:০৬

অর্থ বুঝে কোরআন পড়ুন, কোরআন নাযিলের উদ্দেশ্য পুরন করুন
===================
আমরা অনেকেই কোরআন পড়ি,কিন্তু অর্থ বুঝে পড়ি না! যার ফলে আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা অমুল্যবান বানী আমরা অন্তর দিয়ে উপলদ্বি করতে পারি না।

আল-কোরআন হল,
*জ্ঞানীদের জন্য জ্ঞানের ঝর্নাধারা
*বিপদগামীদের জন্য পথপদর্শক
*নির্বোধদের জন্য সতর্কবাণী
*যারা সন্দিহান তাদের জন্য নিশ্চয়তা
*দুঃখীদের জন্য সমাধান
*যারা হতাশ তাদের জন্য আশা

আল-কোরআন হল মানবজাতির সকল সমস্যার সমাধান!
যদি আমরা কোরআন অর্থ বুঝে না পড়ি, তাহলে কিভাবে আমরা কোরআন থেকে আমাদের সমস্যাগুলোর সমাধান পাব??

আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝায়,
মনে করেন,
আপনি খুব অসুস্থ, এখন ডাক্তার সাহেব আপনাকে জাপানিজ ভাষায় একটি প্রেস্ক্রিপসন লিখে দিয়েছেন সুস্থ হবার জন্য।

এখন আপনি যদি প্রেস্ক্রিপসনটা শুধু জাপানিজ ভাষায় না বুঝে পড়েই যান,
সে প্রেস্ক্রিপসনের কথাগুলো কি আপনি উপলদ্বি করতে পারবেন?

আর যদি আপনি উপলদ্বি করতে নাইই পারেন তাহলে কিভাবে আপনি সে প্রেস্ক্রিপসন অনুযায়ী আমল করবেন এবং আপনার অসুস্থার সমাধান পাবেন?

ঠিক একইভাবে যদি আপনি কুরআন অর্থ না বুঝে পড়েই যান,আপনি প্রতি হরফে ১০টি করে নেকি পাবেন ইনশাল্লাহ, কিন্তু আধ্যাত্মিকের ও আধ্যাত্মিক এই আল -কুরআন থেকে মানবজাতির সম্যসাগুলোর সমাধান আপনি উপলদ্বি করতে পারবেন না!

নিম্নের আয়াতগুলো পরে দেখুন,আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা কুরআনকে অর্থ বুঝে পড়ার জন্য কতভাবে মানবজাতিকে বুঝিয়েছেন

আল্লাহ বলেন,
*আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি?
(সুরা কামার:১৭,২২,৩২,৪০)

*এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্যে, যার অনুধাবন করার মত অন্তর রয়েছে। অথবা সে নিবিষ্ট মনে শ্রবণ করে।
(সুরা ক্বাফ:৩৭)

*এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসূহ লক্ষ্য করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।
(সুরা ছোয়াদ:২৯)

*আমি এ কোরআনে মানুষের জন্যে সব দৃষ্টান্তই বর্ণনা করেছি, যাতে তারা অনুধাবন করে;
(সুরা যুমার:২৭)

*আমি এই কোরআনে নানাভাবে বুঝিয়েছি, যাতে তারা চিন্তা করে। অথচ এতে তাদের কেবল বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়।
(সুরা বনি-ইসরাঈল:৪১)

* রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।
(সুরা বাকারাহ:১৮৫)

*তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?
(সুরা মুহাম্মদ:২৪)

এমনকি আল্লাহ সুবাহান্তায়ালা পাহাড়ের উপমা দিয়েছে আমাদেরকে কুরআন বুঝে পড়ার জন্য এবং তা নিয়ে চিন্তা করার জন্য।

আল্লাহ বলেন,
*যদি আমি এই কোরআন পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ তাআলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
(সুরা হাশর:২১)

তাই আসুন কোরআন পড়ি,বুঝি এবং অনুসরণ করি।

নিজে জানুন এবং অন্যকে জানানোর সুযোগ করে দিন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.