নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর একটি পৃথিবী চাই

পিট পলাশ

নিতান্ত অলস একজন মানুষ

পিট পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুখতার নামা (নটর ডেম কলেজের কিংবদন্তী মুখতার স্যারের ক্লাসগুলো ) [ ১ম পর্ব ]

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২

গতকাল নটর ডেম কলেজের শ্রদ্ধেয় বিদ্যুৎ স্যারের ডায়লগ নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলাম ।কয়েকজন বলেছিলেন মুখতার স্যারকে নিয়ে লিখতে । তাই স্যারের কিছু স্মরণীয় ক্লাসের ঘটনাবলি নিয়ে আজ লিখলাম । যারা মুখতার স্যারের নাম শোনেননি তাদের বলছি, মুখতার আহমেদ ছিলেন নটর ডেম কলেজে বাংলা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক । কয়েকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন । তিনি নটরডেম কলেজের কিংবদন্তীতুল্য একজন শিক্ষক । স্যারের এক বিখ্যাত ডায়লগ হলো, "সর্বনাশ করে ছেড়ে দেব ।" তবে পোস্টটি পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে বল আমি মনে করি । আর নটরডেমিয়ান ভাইদের তো কিছু বলার প্রয়োজনই নেই ।



যারা মুখতার স্যারকে চেনেন না তাদের বলছি, এই পোস্টের অনেকগুলো অংশই প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য । স্যারের স্মৃতিগুলো আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিতে স্যার ক্লাসে যেভাবে কথা বলেছেন হুবহু সেভাবে আমি তুলে দিয়েছি । বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল ।





মুখতার স্যারের সোনালি দুপুরের ক্লাসের ঘটনাবলি :



সেদিন ছিল কোন এক "সোনালী" মধ্যদুপুর ।নটর ডেম কলেজের আকাশে বাতাসে শুধু একটাই গুঞ্জন। গ্রুপ ১ এ মুখতার স্যার নাকি আজ "অপরাহ্ণের গল্প" শুরু করবেন। টিফিন পিরিয়ড শেষ হতে আরও অনেক সময় বাকি। কিন্তু কেমনে কী ? গ্রুপ ১ এ এখন মানুষের ঢল। এমনকি পা রাখার জায়গাটাও আর নাই। ঘণ্টা বাজলো । ছাত্র জনতার ধ্বনিতে মুখরিত হল আকাশ-বাতাস," ওওওওওওওওওও ..............................

উইইইইই "



স্যার আসবেন এখন। আমাদের ক্যাপ্টেন স্যার কে আনতে গেলো।কিছুক্ষণ পরেই , স্যার ওর কাঁধে "ভর" দিয়ে এলেন । মুখ গম্ভীর। খেয়াল করলেন যে, ১৮০ জনের ক্লাসে আজ কমপক্ষে ২৫০টা ছেলেপেলে। কেও দাঁড়িয়ে, কেও বসে, আর যারা তাও পায় নি, তারা একেবারে মেঝেতে চিতপটাং।হুম, স্যার এর মুখ কিন্তু তখনও গম্ভীর।



এরপর স্যার চেয়ারে বসার জন্য যেই গেলেন, দেখলেন "ওটা" নেই ।

স্যারঃ " ক্যাপ্টেন, (-_-) , ওখানে ওটা নেই কেন ? যাও এক্ষুনি নিয়ে আসো। " (ওটা মানে কিন্তু চেয়ার)



আমরা চিন্তায় পড়লাম, স্যার কি আজকে আমাদেরকে নিরাশ করবেন ? যথারীতি "ওটা" নিয়ে আসা হল।



স্যার চেয়ারে বসতে গেলেন, পারলেন না, ক্যাপ্টেনের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিয়ে বললেন,"ক্যাপ্টেন, সোফাটা আমার পাছায় সেট করে দাও তো :V "

আর আমরাও হাসিতে ফেটে পরলাম ।যাক, আজকে কিছু না কিছু তো হবেই ।



স্যার বসলেন , দীর্ঘক্ষণ মাথার ঘন কালো রেশমি চুল আঁচরালেন। তারপর খুললেন, সেই রহস্যঘেরা "লালখাতা" ।

মুখতার আহমেদঃ "আমি আজগে তোমাদের এটেন্দেন্স দেবো না ।"

আমরাঃ " ইয়েএএএএএ .....................(^_^) "



স্যারঃ " হুম, এবার থামো । আজগে আমি শুরু করছি, অপরাহ্ণের গল্প। যদিও চ্যাপটার টা অনেক "ছোট" কিন্তু এর ভাববস্তু অনেক "বড়" আমি এক ক্লাসে এটা শেষ করতে পাড়ব না। অনেকগুলো ক্লাস লাগবে হুম, আমি বলছি............, তোমরা শুনবে .................. আমি..................লক্ষ্য করেছি,তোমাদের মাঝে........... অনেকেইআছে, যারা জানে না,...............কী দিয়ে কি করতে হয় ।আমার পক্ষে.............. এখন সম্ভব হলে, আমি তোমাদের প্র্যাকটিকালি সব দেখাতাম ,কিন্তু, কলেজ কতৃপক্ষ ,

বিষয়টা মেনে নেবে না। তাই বলে............ হতাশ হবে না, আমি............ তোমাদের কে হাতে কলমে সব

শিখিয়ে দো বো । [স্যারের চোখ টিপ]



লক্ষ্য কর, ............সৃষ্টির............. আদিলগ্নে, .........নরনারী দিগম্বর হয়ে ঘুরে বেড়াতো।তখন তাদের.................. লজ্জা-শরমের বালাই ছিল না। যে যার ইচ্ছে মতন, কাম-কাজ করত।(আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে )কেও,............ এটা নিয়ে মজে থাকত, কেও,............. ওটা নিয়ে নারাচারা করত আবার কেওবা,...........এটা ওটা সেটা , সবগুল একসাথে নিয়ে খেলা করত। কিন্তু ............তখন তাদের

মাঝে এইডস রোগ ছিল না। কারণ ,.............. ওঁরা জানতো ,কী দিয়ে কী করতে হয় । "



জনৈক কিউরিয়াস মাইন্ডঃ "আচ্ছা স্যার, আমার একটা প্রশ্ন ছিল। সমকামীদের মাঝে নাকি এই রোগ

বেশী হয়। কথাটাকি সত্য ? "



স্যারঃ " তুমি............., খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছ।হুম,............. আমি বুঝতে পারছি, তুমি কী চাও

ক্যাপ্টেন,................. ওর নাম্বারটা নাও তো, হুম।আর তুমি .............,তুমি রাতে আমাকে কল দেবে,

আমি সব শিখিয়ে দো বো "



পুরো ক্লাস তখন হাসির চোটে তুলকালাম । এমন সময় ছুটির ঘণ্টা। (>.<) (>.<)

(>.<)



স্যার বললেনঃ" আজ , এটুকুই থাক। আমি আগামী ক্লাসে, একটিভ আর পেসিভ নিয়ে আলোচনা করব।

এছাড়াও, আমি তোমাদের অনেক্কেই, বিভিন্ন কলেজের সামনে ঘুরে বেড়াতে দেখি। তাই তো তোমাদের বলি, "ওখানে যেও না বাবা এইডস বড় ভয়ঙ্কর এটা দিয়ে ওটা করলে বেঁচে থাকা দুষ্কর । "



নটর ডেম জুরে তখন একটাই ধ্বনি........................ও ও ও ও ও ও ও ও ও ও উইইইইইইইইইইইইইইইইই .........................................



( চলবে..................)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: পুরাটাই ভালগারিটি।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫১

সুমন কর বলেছেন: একই জিনিস ভাল লাগবে না ...............

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৯

সাদরিল বলেছেন: পড়ে হাসলাম। তবে নটরডেমের বাইরে যারা, তাদের অনেকের কাছেই অশ্লীল বলে মনে হবে। আর আপনি লেকচারের জন্য স্যারের সবচেয়ে আনসেনসরড লেকচারটাই নিলেন!!! হালকা পাতলা যেসব বিষয় দিয়ে স্যার শুরু করেন সেগুলো বাছাই করতে পারতেন

১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

পিট পলাশ বলেছেন: কি আর করব ভাই, আমি তো স্যারের ক্লাস পাইনি । সব লোকমুখে শোনা ।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যার বাংলাতে ভালো ছিলেন।
আপনারা বাংলায় কেমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.