নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুখতার স্যারকে নিয়ে অনেকদিন আগে লিখেছিলাম। নটর ডেম কলেজের সেই কিংবদন্তী বাংলা শিক্ষকের সোনালী ক্লাসের স্মৃতির ২য় পর্ব পর্ব লিখলাম আজ । প্রত্যেকটি ঘটনাই একটু প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উপযোগী । সেই সোনালী ক্লাসের স্মৃতিগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরতেই হবহু ক্লাসের ঘটনার অনুরুপ তুলে ধরলাম ।...........................................
গ্রীষ্মের দুপুর। প্রচন্ড তাপদাহ। সমগ্র নটর ডেম কলেজ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে কয়েকটা নাম না জানা পাখি অলস ভঙ্গীতে গলার কসরত দেখাচ্ছে। তার মাঝেও ক্লাস হচ্ছে। মার্টিন হলে যারা ক্লাস করতেছে তারা ঠিক ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারতেছে না। পাশে আরামবাগের কোন এক হোটেলে রান্না করা মাংশের ঘ্রাণ তাদের সমস্থ মনোযোগ চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছে। এর মাঝে হঠাৎ গাংগুলী ভবন থেকে সমুদ্র কল্লোলের মত নটরডেমিয়ানদের উল্লাস ভেসে আসল। আসলে ওখানে আমাদের প্রাণপ্রিয় মুখতার স্যার ক্লাস নিচ্ছিলেন। স্যার পড়াচ্ছিলেন ‘অপরাহ্নের গল্প’, সেখানে ‘নিরাপত্তা’ বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ এক লেকচার দিয়ে স্যার আমাদেরকে অভয় দিলেন ‘নিঃসঙ্কোচে যার যা প্রশ্ন আছে তা জিজ্ঞেস করার জন্য’; আমাদেরও প্রশ্নের কোন সীমা নেই।
আমাদের মাঝে একজনের আবার জানতে চাওয়ার ইচ্ছার কমতি নেই। সে উঠে বলল, আচ্ছা স্যার! ইয়ে, আমরা যদি ওসব ক্রিয়া শেষ করার পর ওটা ভিতরে রেখেই ঘুমিয়ে যাই তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?
স্যার নাকমুখ কুচকে বলল, কি কদর্য চিন্তা ভাবনা! তোকে দেখেই বুঝা তুই কোন নিচু বংশ থেকে উঠে এসেছিস। বলি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার একটা ব্যাপার আছে না?
এরপর সেই ভুবন ভুলানো চোখ টিপ....... ..
একবার স্যার ক্লাসে পড়ানোর সময় এক ছেলে কথা বলেছিল । তার ভাগ্যে যা ঘটেছিলঃ
স্যার হুংকার দিয়ে বলে উঠলেন, "এই শুয়োরের বাচ্চা, আমি পড়াচ্ছি আর তুই কথা বলছিস । ছাদের দিকে তাকিয়ে মুখ হাঁ করে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাক । আর এইডস রোগিরা তোর মুখে পায়খানা করবে ।"
আরেক স্বর্ণালী দুপুরে 'রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকের ক্লাসে মুখতার স্যারঃ
“মুঘল আমলে রাজ পরিবারে মেয়েদের বিয়ে দেয়ার নিয়ম ছিল না। কারন বিয়ে দেয়া মানেই সিংহাসনের দাবিদার বেড়ে যাওয়া। তোমরা ভেবে দেখ, তখনকার পুরুষরা কত বড় লম্পট ছিল! নিজেরা প্রতিদিন মেয়ে খেত, ফূ্রতি করত কিন্তু তাঁদের মেয়েদের সে সুযোগ দিত না। আরে, মেয়েদেরও তো শরীরের একটা চাহিদা আছে, নাকি?? আর সেজন্যই দেহের জ্বালা মিটাতে সিরাজদ্দৌলার খালা, ঘসেটি বেগম, সেনাপতির সঙ্গে ‘ঘষা-ঘষি’ করত। সিরাজ যখন তা জানতে পারে, তখন সে সেনাপতিকে ফুটন্ত তেলে পুড়িয়ে মারে। সেই থেকে সিরাজ আর ঘসেটি বেগমের শত্রুতা”।
আরেকদিন স্যারের ক্লাসে :
মালিবাগ থেকে আসার পথে রিক্সায় এক যুবক-যুবতি কে দেখলাম..
তখন আমি যুবকের একটি হাত দেখতে পাচ্ছিলাম কিন্তু আরেকটি হাত খুজে পাচ্ছিলামনা..
অনেক খুজা খুজির পর আমি দেখতে পাই যুবকটির হাত যুবতির কোথায় ডুকে যেন নাড়াচাড়া করতেছে..
আমি বাসায় এসে যখন আমার স্ত্রী এই ঘটনা খুলে বলি তখন সে আমাকে টেনে বিছানায় নিয়ে অনেক্ষন কুতাকুতি করে...
মাত্র গোসল করে তোমাদের সামনে আসলাম..
দেখ চুল গুলো এখন ও ভেজা.. তারপর স্যারের সেই ঐতিহাসিক চোখ টিপ...
১ম পর্ব
(চলবে)
©somewhere in net ltd.