নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুৎ স্যারের ডায়লগ নিয়ে এর আগেও আরো ৩টি পর্ব লিখেছি । অনেকের কাছেই স্যারের ডায়লগগুলো ভালো লেগেছে । ৩টি পর্ব লেখার পরেও স্যারের সব ডায়লগ আপনাদের কাছে তুলে ধরতে পারিনি । তাই আজ বাদ পড়া কিছু ডায়লগ আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম ।
"শোন বন্ধুগণ, কোনো বাবা-মা চায় না যে তাদের মেয়ের এইচ.এস.সি. পরীক্ষার সিট এই কলেজে পড়ুক । কিন্তু তারাই আবার তাদের ছেলেকে এই কলেজে ভর্তি করানোর জন্য পাগল হয়ে ওঠে।"
"আরে বন্ধু, কুইজে যদি তুমি শূন্য না পাও তবে বোর্ড পরীক্ষায় কেমন করে তুমি একশ পাবে?"
"যারা ঘুমাতে চাও ঘুমাও, যারা প্র্যাকটিকাল করবে তারা কর, আর যারা অংক করবে চলো আমরা অংক করি ।"
"আরে ওকি বন্ধুগণ, তোমাদের ঘুমাতে বলেছি বলেই কি তোমরা ঘুমাবে নাকি ?? আরে তোমাদের মায়েরা অনেক সময় তোমাদের মরে যেতে বলে কিন্তু তারা তো সেটা মন থেকে বলে না । তোমাদের তো আমি মন থেকে ঘুমাতে বলিনি । ছোট বাচ্চারা কাঁদলে যেমন তাদের মুখে চুসনি লাগিয়ে দেয়া হয় তেমনি তোমরা যাতে ক্লাসে হৈ-হল্লা না কর তাই তোমাদের ঘুমাতে বলেছিলাম । কিন্তু তোমরা তো সত্যি সত্যি ঘুমিয়ে গেলে, বড় কষ্ট দিরে বন্ধু বড় কষ্ট দিলে ।"
"শোন, জীবনে যদি শান্তিতে থাকতে চাও তো তোমাদের বউ কে গয়না কিনে দিও না । কারণ এগুলো শুধু তোমার টেনশন বাড়াবে । আবার বউকে বলো না যেন আমি গয়না কিনে দিতে বারণ করেছি । তাহলে দেখা যাবে আমি তোমার বাড়ি গেলে তোমার বউ আমাকে এক কাপ চা পর্যন্ত খাওয়াবে না। "
"আরে তোমাদের যে বকাবকি করি তাতে মনে কষ্ট পেও না বন্ধু । শোন ঈশ্বর প্রদত্ত বাইরের খোলস ছাড়া সব ছাত্রের ভেতরটা একই রকম । আমাকেও আমার স্যারেরা বকা দিত । ঠিকাছে, গরু গাধা বললে যদি তোমরা কষ্ট পাও তাহলে তোমার গরু গাধার বদলে গন্ডার, জলহস্তী, ওরাং ওটাং বলে ডাকব । এসব হলো ডিসকভারি চ্যানেল দেখার ফল । হে-হে বুঝেছতো কথাটা?"
"শোন, আমাদের দেশে ঘরের বউদের সাধারণত নাম ধরে ডাকা হয় না । বিয়ের পর বাড়ির লোকজন তাকে নতুন বউ বলে ডাকে । বছর ঘুরলে যখন তার কোলে একটা গেদা বা গেদী আসে তখন তাকে সবাই গেদার মা বা গেদীর মা বলেই ডাকে । দেখ, একজন মানুষ কিন্তু তাকে কত নামে ডাকা হয় । গণিতের ক্ষেত্রেও তাই ।"
"আরে, বন্ধু তোমাকে আমি বকা দিলে যদি তুমি আমার ওপর রাগ করে রাস্তায় দেখা হলে আমার সাথে কথা না বল তাহলে তো আমি কষ্টে হৃদয় ফেটে মরে যাব ।"
"আরে ওই, ওই পাবলিক গোলমাল কর কেন??"
"আরে ঘন্টা পড়ার আর কতক্ষণ আছে সেটা তোমার বলা লাগবে না । আমাদের সুজা মিয়া জানে । সে ঠিক সময় মত ঘন্টা বাজিয়ে দেবে, আর আমি ডাস্টার ফেলে দিয়ে চলে যাব ।"
স্যারের ডায়লগুলোর আগের পর্ব গুলো পড়ে দেখতে পারেন । আশা করি ভালো লাগবে ।
নটর ডেম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভদ্র স্যারের কিছু ডায়লগ ( পর্ব-১)
নটর ডেম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভদ্র স্যারের কিছু ডায়লগ ( পর্ব-২)
নটর ডেম কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক জনাব বিদ্যুৎ কুমার ভদ্র স্যারের কিছু ডায়লগ ( পর্ব-৩)
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০
বেদুঈন -01 বলেছেন: it's all bullshit!
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
প্লাবন২০০৩ বলেছেন: আপনার স্যারের সাথে পরবর্তীতে কখনও দেখা হলে আমার শ্রদ্ধা জানাবেন প্লিজ । ধন্যবাদ ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:১৬
পিট পলাশ বলেছেন: অবশ্যই জানাব
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০০
সাদ রহমান বলেছেন: স্যালুট স্যালুট!!!!
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪৪
সাজেদুর রহমান সাজু বলেছেন: ক্লাসে শিক্ষকরা মজা না কোরলে,পাগল হয়ে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের যন্ত্রনায়।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:১০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
স্যালুট ফর বিদ্যুৎ স্যার।
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪৭
আলপিন ম্যান বলেছেন: যারা ঘুমাতে চাও ঘুমাও, যারা প্র্যাকটিকাল করবে তারা কর, আর যারা অংক করবে চলো আমরা অংক করি
প্রতিদিন স্যার এর এই ডায়ালগ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে যেত। যাহোক, এত দিন পরে স্যারকে খুব মিস করছি ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
চমৎকার মানুষ। ++