![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খোলা জানলার বাইরে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফঁোটা অনুভব করার সাথে সাথে পুরনো কিছু স্মৃতি ভারি হয়ে এল মাথায়। আজকের মতো এমনই এক বারিধারার অতল স্রোতে পাল মেলে দিয়ে ছুটে চলে গিয়েছিলো সুশান্ত দিগন্তের অতল কিনারায়। আর সেখান থেকেই খঁোজ পেয়েছিল ঝিনুকের মধ্যেকার লুকিয়ে থাকা মুক্তোর মত পাপিয়ার।
সান্ধ্যরাগের গোধূলিতে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে দূর দিগন্ত থেকে দিগন্তে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়েছিল তাদের; কিন্তু রবীন্দ্্রসদনের আর ময়দানের ঐ রাস্তাটুকুই ছিল ওদের কাছে যথেষ্ট দিগন্তের সীমানা। ছুটে চলা হাওয়ার সাথে গতিবেগ ঠিক রাখার জন্য দুজনে চলেছিল বহুপথ চলা, হাতে হাত রেখে দিয়েছিল অসীমান্তের প্রতিশ্রুতি। কল্পনার জুড়িমেলা ভার আর রঙীন স্বপ্নের হাতছানিতে হয়েছিল তাদের প্রেমের শুরু।
কিন্তু একদিন আচম্কা প্রচন্ড সাইক্লোনের দাপটে ছিড়ে গেল জীবনের তার, বেসুরে হয়ে উঠল জীবনের গান আর ফ্যাকাশে হল জীবনের রঙ। কালো আলকাতরায় মাখামাখি হল দুহাত, বেদনাকে চেপে ধরতে নেই সহানুভূতির পদর্া আর শোককে মুছে দিতে নেই ভালোবাসার রঙীন কাপড়।
তাই আজ বড় একা হয়েই সুশান্ত জীবনকে কিনে নিয়েছে কেবল দুঃখ-শোকের মুছ্রে পড়া, হাত্ড়ে খঁোজা কালো টাকার বান্ডিল আর কালো চশমার আড়ালে, যেখান থেকে জীবনকে শুধুই দেখাবে কালো কালো আর কেবলই কালো।
মন খুলে কথা বলার শক্তি সে হারিয়েছে, পারে না প্রান খুলে হাসতে। শুধু কালো হাতে মুখ চেপে কান্নায় ভেঙে পড়লে.... না থাক... সুশান্ত-র কথা এখানেই শেষ। বাকি যে'কটা দিন সে জীবনে বঁাচবে হয়ত, ক্যানসারের মত উৎকট রোগের বজ্্রাঘাতে তার জীবন-নাশ হতে বেশিদিন সময় লাগবে না...!
আর ও-দিকে, ঐ যে পাপিয়া, সে তো আজো সন্তানের জননী হয়ে পারেনি সবর্ সুখ-শান্তিকে চুরি করতে। স্বামী-সন্তানের জগৎ-এর বাইরে তাকে আজো কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে সোহাগের যন্ত্রনা, ভালোবাসার বিদ্রুপ আর প্রেম করার চূড়ান্ত শাস্তি...!
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১
নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন: