নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্রান্ত বিশ্বাসের বন্দী আমরা

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৩


হস্তিশিশু আদরিণী। মায়ের সাথে বনবাদাড় ভেঙে চষে বেড়ায় মুক্তির আনন্দে। এ আনন্দে ছেদ পড়ল একদিন। শিকারিদের হাতে ধরা পড়ল সে। পায়ে শক্ত শিকল পরিয়ে বিক্রি করে দেয়া হলো সার্কাস পার্টির কাছে। সার্কাসের পশুপালক তাকে ছ’ফুট লম্বা লোহার শিকল দিয়ে বিরাট থামের সাথে বেঁধে রাখল।
বনের মুক্ত প্রাণী আদরিণী বন্দী হয়ে গেল ছ’ফুট ব্যাসার্ধের বৃত্তের মাঝে। কিশোরী আদরিণীর কাছে এ এক অসহ্য যন্ত্রণা। বারবার জোরে টান মেরে শিকল ছিঁড়ে ফেলতে চেষ্টা করতে থাকে। চেষ্টায় লাভ হয় না কিছুই। শুধু পা রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। ব্যথা ও যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়। রক্তাক্ত পায়ে টান পড়লে ব্যথা আরও বাড়ে। শিকল ছেঁড়ে না। মুক্তিও মেলে না। আস্তে আস্তে তার বিশ্বাস জন্মাতে লাগল, এ শিকল ভাঙা যাবে না। ভাঙতে গেলে ব্যর্থতাই আসবে, ব্যথাই বাড়বে।

আদরিণী বড় হতে লাগল। কিন্ত শিকল সে ভাঙতে পারল না। আস্তে আস্তে তার মুক্তির আকাঙ্খাও মন থেকে বিলীন হয়ে গেল। তার পৃথিবী সীমিত হয়ে গেল ছ’ফুট শিকলের বৃত্তের মাঝে। পায়ে একটু টান পড়লেই বোঝে তার সীমানা শেষ। এতেই সে অভ্যস্ত হয়ে উঠল। এখন আর শিকল বাঁধার জন্যে মোটা শক্ত কাঠের গুঁড়ির প্রয়োজন হয় না। ছাগল বাঁধার ছোট খুঁটি হলেই চলে। পরিণত বয়সে বিশাল দেহ ও বিপুল শক্তির অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও আদরিণী তার দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা ধারণার নিগড়েই আটকে থাকল। এক ঝটকায় খুঁটি থেকে নিজেকে মুক্ত করার শারীরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও তার মনে বদ্ধমূল হয়ে রয়েছে যে, এই ছ’ফুট ব্যাসার্ধের বৃত্তই তার পৃথিবী। এটাই তার বিধি। এটাই তার নিয়তি। যখনই তার পায়ে একটু টান লাগে তখনই সে ধরে নেয় এর বাইরে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। সার্কাস দলের সাথে সে নানা জায়গায় যায়। শেখানো খেলা দেখায়। একটি ছোট খুঁটিতেই এখন তাকে বেঁধে রাখা হয়।

সার্কাসের তাঁবুতে আগুন লাগল একদিন। সার্কাসের লোকজন যার যার জীবন নিয়ে পালাল। আগুন নেভানোর পর দেখা গেল অনেক কিছুর সাথে আদরিণীও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পায়ের সেই শিকল রয়েছে। খুঁটি পুড়ে গেছে। পর্যাপ্ত শারীরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও ভ্রান্ত বিশ্বাসের বন্দী আদরিণী মুক্ত হওয়ার কোন চেষ্টাই করে নি।

আদরিণীর এই কাহিনী কোন বানানো গল্প নয়। যাঁরা সার্কাসের দল দেখেছেন, তাঁরা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন সার্কাসের বিশালকায় হাতিগুলোকে এভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সার্কাসের বহু হাতি এভাবেই মারা গেছে অগ্নিকাণ্ডে।

হতভাগিনী এই হাতির মতই ভ্রান্ত বিশ্বাসের বন্দী নরনারীর সংখ্যা আমাদের সমাজে মোটেও কম নয়। কত ধরণের ভ্রান্ত বিশ্বাস যে আমাদের মাঝে রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। যেমন : আমার পোড়া কপাল.... , এত দায়িত্ব পালনের যোগ্য আমি নই...., সে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশুনা করেছে, তার সাথে প্রতিযোগিতায় আমি পারব না....., এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো মুশকিল.... , জীবনটা আমার দুঃখে-দুঃখেই যাবে.... , বড় কিছু করা আমার কপালে নেই...., আমার কপালে সুখ সয় না...... , আমার এই অসুখ ভাল হবে না....
এরকম হাজারও নেতিবাচক ও ভ্রান্ত বিশ্বাসের নিগড়ে আমরা বন্দী জীবন যাপন করছি।

কোয়ান্টাম মেথটের আত্মনির্মান থেকে নেয়া।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: এগুলি কি সাবেক ভন্ড জ্যোতিষী ও বর্তমানের কোয়ন্টাম গুরুজী নামধারী প্রতারক শিখিয়েছে?

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কোয়ান্টাম, আমার একেবারেই অপছন্দনীয় একটা প্রতিষ্ঠান।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: এক ৪২০ মাত্র ৪ দিনে ১০,০০০ টাকা নিয়ে ফাজলামি শেখায়।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: যিশু যে অমিয় বাণী রেখে গিয়েছেন তার দ্বারা আমরা পারলৌকিক মুক্তিরপথ খুঁজে পাই এবং সংঘাত ও স্বার্থের দ্বন্দে লিপ্ত আজকের দুনিয়াকে মুক্তির পথদেখাতে পারে যিশুর সেই অমিয় বাণী ।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

বনসাই বলেছেন: দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে। খুব ভালো লিখেছেন।

যে জানে আর যে জানে না সে কি কখনো এক হতে পারে? আপনি জানাদের দলে, জানানোর দলে; আশা করি আপনি সফল হবেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুব ভালো কিছু কাজ করছে।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

ফেনা বলেছেন: কথাগুলি যারই হোক না কেন, কথা সত্য। আমাদের বিশ্বাসের পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই ভাল কিছু আমাদের নাগালে আসবে।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন খুব ভালো কিছু কাজ করছে।[/sb- জ্যোতিষী সেজে হাত দেখার নামে ২০ বছরে মানুষদের প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এখনো এই ভন্ড গুরুজীর বিচার করা যায়,সেটা জানেন?

এখন সে হাত দেখে না কেন?এর মাধ্যমে সে নিজেই স্বীকার করেছে যে সে একটা ভন্ড ছিলো এবং হাত দেখার নামে প্রতারণা করতো।

অার সে যে সিলভা ম্যাথডের নকল করে নিজেকে এই পদ্ধতির অাবিস্কারক বলে দাবী করছে এটাও অারেক প্রতারণা।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

বনসাই বলেছেন: হায় অনল চৌধুরী হায়! কুয়ার ব্যাঙ কি সাগরের বিশালতা কখনো জানতে পারে?

এক/ আপনার ভন্ড গুরুজী'র মাধ্যমে প্রতারিত যদি কেউ হয়ে থাকে তবে আপনার ভাষায় বিচার হতে পারে, এ রকম একজনও ভুক্তভোগী খুঁজে পান কি না দেখুন; যিনি মনে করছেন যে তাকে সে সময় ঠকানো হয়েছিল।

দুই/ সিলভা মেথড নকল করে কোয়ান্টাম মেথড করা হলে সিলভা'রা কি ঘুমাতো? তারা কেন মামলা না করে ঝিমাচ্ছে আজো?

তোতা পাখি হওয়ার দিন আর নেই, মানুষ হোন। ভালো থাকবেন। কোয়ান্টাম মেথডের খারাপ বিষয়গুলো জেনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করুন। কোয়ান্টাম মেথড শিখতে বা জানতে অনলাইনকে ভরসা করলে আপনার দুর্বিপাক কখনো কাটবে না। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনই একমাত্র স্থান যেখান থেকে আপনি তাদের নাড়ী-নক্ষত্র বের করতে পারবেন।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: অাপনার মতো মূর্খদের সাথে তর্ক করার মানে নিজেকে ওই স্তরে নামিয়ে ফেলা। দুইনের বৈরাগী ....
কয়দিন চেনেন এই ৪২০ কে? অামি জন্মের পর থেকেই চিনি।তার সব কর্মকান্ড সম্পর্কে জানি।
সিলভা কেন মামলা করবে? বাংলাদেশে মেধাস্বত চুরির অভিযোগে কোন মামলা এখনই হয়না অার ২৬ বছর অাগে তো অচিন্তনীয় ছিলো।
যদিও ভূয়া নামে অাইডি,তারপরও আপনার বিরুদ্ধেও অাইসিটি অাইনে মামলা করে গ্রেফতার করাতে পারি।দেখতে চান? কারণ অামার নাম ভূয়া না।
এই নামে অাপনার জন্মেরও অনেক আগে থেকে লেখালেখি করি।

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

বনসাই বলেছেন: @ অনল চৌধুরী, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

এই ভাষায় মন্তব্য করা কি আপনার সাজে! ভুয়া নামের আইডি দিয়ে ব্লগিং করতে দেয়ার জন্য আমার সাথে সামু'র নামও মামলায় জড়িয়ে দিতে পারেন। সামু সুযোগ না দিলে তো আমি আপনার ভাষায় 'ভুয়া নাম' নিতে পারতাম না। আর 'ভুয়ানাম' আর 'ছদ্মনাম' এর পার্থক্য এক ফাঁকে জেনে নিতে পারেন। আচ্ছা আইসিটি আইনের কোন ধারায় মামলা হতে পারে বলে মনে করছেন? কে মিথ্যা অপবাদ কোনো কারণ ছাড়াই উপযাচক হয়ে এখানে লিখেছেন তা পাঠক মাত্রই ধরতে পেরেছেন। আর ব্লগার মোঃ পলাশ খান তো বেশ ভালো বিষয়ই তুলেছিলেন এখানে।

আমার জন্মের অ-নে-নে-নে-ক আগে থেকে লেখালেখি করার জন্যে অভিনন্দন জানাই। আপনার বয়স বেশ হয়েছে। চিলের পিছে আর না দৌড়িয়ে কোয়ান্টামে যেয়ে কোয়ান্টাম মেথডের খারাপ বিষয়গুলো জেনে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করুন। কোয়ান্টাম মেথড শিখতে বা জানতে অনলাইনকে ভরসা করলে আপনার দুর্বিপাক আর কাটবে বলে মনে হচ্ছে না। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনই একমাত্র স্থান যেখান থেকে আপনি তাদের নাড়ী-নক্ষত্র বের করতে পারবেন। আশা করি কোনো 'ফাজলামি' শিখবেন না। আর যেহেতু দীর্ঘ বছর লেখালেখিতে আছেন কোর্স থেকে নোট নেয়া পয়েন্টগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা আপনার পক্ষেই রাখা সম্ভব হবে; পাঠককে বঞ্চিত করা বড় অন্যায় হবে।

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:৩৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: একজন প্রবীণ লেখককে কুয়ার ব্যাঙ বলা দন্ডনীয় অপরাধ এটা জানার কথা।
অামি যখন থেকে মেডিটেশন করি,তখন মহাজাতক হাত দেখা ছাড়তে পারেনি।প্রতিদিন ইত্তেফাকে রাশিফল লিখতেন অার বছরের প্রথম দিন রাশিফলের বই বের করতেন। মানুষকে পাথর নেয়ার পরামর্শ দিতেন।
১৯৯১ সালে সিলভা’র মাহি কাজী এদেশে প্রথমবারের মতো কোন আত্ম-উন্নয়ন প্রশিক্ষণ চালু করেন।মহজাতক সেই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। প্রমাণ চাইলে সিলভা’র অফিসে গিয়ে তার আবেদনপত্র দেখতে পারেন।
পরে তার ধুরন্ধর বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সিলভা মেথড-কেই এদিক-ওদিক করে কোয়ান্টাম ভুয়ামী চালু করেন।
অঅমার কোয়ান্টাম শেখার দরকার নাই।এরচেয়ে অনেক ভালো মেডিটেশন জানি।সেটা নাহলে একসাথে এতাগলি ডিগ্রী অর্জন করতে পারতাম না বা এতো বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করা সম্ভব হতো না।অার অামার ছাত্রদেরও এসব শেখাই।এজন্য কোন টাকাও নেই না।
উক্ত গুরুজী-ও এব্যাপারে ভালোভাবে অবগত,যিনি অামার কাছাকাছিই থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.