![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD
শেফালী (ছদ্মনাম) জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। খুব সহজ সরলভাবে চলাফেরা করে সবসময়। আর পাঁচটা মানুষের মত নিজের চাহিদা বা মনের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে পারে না মেয়েটা। শেফালীর পরিবারে আছে চার ভাই ও দুই বোন এবং বাবা-মা আছে।
পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে শেফালী তার এক চাচার পরিবারের সাথে বসবাস করে। চাচার পরিবার মোটামুটি বৃত্তশালী বিধায় তাদের শেফালীর ভরণ-পোষন বহন করতে কষ্ট হয়না বরঞ্চ তাদের জন্য ভালো হয়েছে কারন শেফালী মোটামুটি ঘরের কাজ ভালোই করতে পারে। তাই তাদের আর কাজের লোক খুঁজতে হয়না।
আগেই বলেছি শেফালী আর পাঁচজন মানুষের মত চলতে পারে না এমনকি নিজের ভালো-খারাপ বিষয়টিগুলো নিয়েও তার সেই ২-৩ বৎসরের বাচ্চাদের মত জ্ঞান। এবার ঘটনায় আসি.....।
শেফালী প্রায় প্রতিদিন ই বাটি হাতে চাচার বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দুরে অবস্থিত একটি বাজারের এক কোনে বসে থাকা ঝালমুড়িওয়ালার কাছ থেকে ঝালমুড়ি কিনে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে তা মজা করে খেতো।
হঠাৎ একদিন শেফালীর চাচার পরিবারের সবাই জানতে পারলো সেফালী (ছদ্মনাম) অন্ত:সত্ত্বা। এর পর তো তাদের চিন্তার শেষ নেই কিভাবে সম্ভব এটা। শেফালীর চাচার বাড়িতে আছে চাচা-চাচি, চাচাত ৩ ভাই ২ বোন। এর মধ্যে বিবাহিত দুই ভাই ও ছোট এক বোন বাড়িতে থাকে অন্যরা পড়াশোনা ও অন্যান্য কারনে দুরে থাকে।
শেফালীর চাচাত ভাইয়েরা জানার চেষ্টা করলো কে হতে পারে এই অঘটন ঘটানোর জন্য দায়ী। তাই তাদের স্ত্রীদের দিয়ে শেফালীর কাছে জানতে চাওয়া হলো, অনেক চেষ্টার পরে শেফালী দুজরে নাম বললো তারমধ্যে একজন হলো সেই ঝালমুড়িওয়ালা আরেকজন আতাহার নামে কেউ।
শেফালীর বয়স তখন ১২-১৩ বৎসর এবং সে ৪ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। শেফালীর চাচাত ভাই সোহম (ছদ্মনাম) দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে গর্ভপাত করার ব্যবস্থা করলো এবং গর্ভপাত ভালোভাবে সম্পন্ন করানো হলো।
পরবর্তিতে চাচাত ভাই সোহম এলাকার খুব কাছের ২ জন ছোট ভাইদের দায়িত্ব দিলো বিষয়টির সত্যতা যাচাই করার জন্য। ছোট ভাইয়েরাও দায়িত্বের অবহেলা না করে জানার চেষ্টা শুরু করে দিলো আসলে কে অপরাধী।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ২ ছোট ভাই ঝালমুড়িওয়ালা কে অনেকভাবে বুঝিয়ে আশ্বাস দিয়ে জানতে চাইলেও ঝালমুড়িওয়ালা এক জায়গায় ই স্থির ছিল যে, সে এই ঘটনার বিষয় জানে না এবং এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল না। অবশেষে সেই আতাহার নামের লোকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল ঘটনার তথ্য। এই আতাহার দায়িত্বরত ২ ছোটভাইয়ের কাছে শিকার করলো সে মেয়েটিকে ৩ বার ধর্ষণ করেছে।
ঘটনার বিবরণ দিলো, যখন মেয়েটি সন্ধা-সন্ধা ঝালমুড়ি নিয়ে বাড়ি যাওয়া ধরতো তখন আতাহার মেয়েটির পিছু নিতো এবং অনেকভাবে ছলচাতুরীর মাধ্যমে রাস্তার পাশের ফাকা মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করতো। মেয়েটি এতটাই নির্বুদ্ধিবান ছিল যে, সে গুছিয়ে বলতে পারেনি ঝালমুড়ি কিনে আনার সময় আতাহার তার পিছু নিতো। আর এই কারনেই নির্দোষী ঝালমুড়িওয়ালার নামটিও সন্দেহের মধ্যে চলে এসেছিল। যাক এখন তো সত্যটা জানা গেলো।
দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই ছোট ভাই শেফালীর চাচাত ভাই সোহম এর কাছে এসে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরলো এবং বিস্তারিত জানালো। কিন্তু অপরাধীর পরিচয় জানাসত্বেও তারা কোন আইনের ব্যবস্থা নিলো না, অপরাধীর বিচারের কোন ব্যবস্থা করলো না। কেন তা জানেন? কারন এই বিষয় যদি প্রকাশ হয় তাহলে তাদের পরিবারের সম্মান হানি হবে!
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ মাস আগে এবং মাসখানেক হলো অপরাধীর পরিচয় জানা গেছে। এখনো পর্যন্ত সেই অপরাধীর বিরুদ্ধে এমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি যা একজন ধর্ষকের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত নেয়া উচিৎ।
কেন এই অবহেলা?
শেফালী যদি চাচাত বোন না হয়ে নিজের বোন হতো তাহলে কি এভাবে বসে থাকতে পারতেন??
আজ শেফালীর সাথে হয়েছে, কাল আপনার নিজের বোনের সাথে এই ঘটনা ঘটবে না তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন?? তাহলে কেন এই অবহেলা??
আসুন আমরা ধর্ষকদের সবদিক থেকে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করি।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮
বাংলার মেলা বলেছেন: এই দেশে বসবাস করে ধর্ষণের কোন বিচার হয়েছে বলে আমি আজ পর্যন্ত শুনিনি। ধর্ষণের বিচার করা এত সহজ না। ধর্ষণকারী প্রথমে ধরে ভিকটিমের পরিবারকে, তারপর ধরে বিচারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে, তাতেও কাজ না হলে ধরে থানা পুলিশ - এতগুলো ধাপ অতিক্রম করে ধর্ষণের বিচার করা অসম্ভবের কাছাকাছি - তাই ধর্ষকেরাও পার পেয়ে যায়।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২২
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষন এর চেয়ে দূর্নীতি ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
তারেক ফাহিম বলেছেন: ধর্ষনের ঘটনার পর ধর্ষক ধর্ষনের ঘটনা স্বীকার করলেও মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষন হওয়ার বিষয়টি পরিস্কার না