নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি ভাই সোজা রাস্তার মানুষ।

০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯


নিজে একটি ছোটখাটো ব্যবসা করি। পরিবার নিয়ে তিন বেলা খেয়ে-পরে আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আর সুযোগ পেলেই জনকল্যানমূলক কাজে ঝাপিয়ে পরি।

দূর্নীতি বা অনিয়ম নিজেও করি না অন্যেরটাও কখনো প্রশ্রয় দেই না।
প্রথমে সম্ভব হলে দূর্নীতিবাজ বা অনিয়মকারীকে বোঝানোর চেষ্টা করি বা মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি আপনি যা করছেন তা ঠিক নয়। তাতে কাজ না হলে একটা বিষয় আমি খুব ভালোভাবে অবগত আছি যে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হওয়ার সুবাদে আমাদের দেশের সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই দেশের সকল ক্ষমতার মালিক আমিই । হ্যা আপনিও এই ক্ষমতার মালিক আর এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হলে আপনাকে হতে হবে একজন সচেতন মানুষ ও একজন সু-নাগরিক।

#কিছু_বাস্তবতা__

#১মঃ ছোট ভাই বিদেশ গমন করবে, আমাকে বললো ভাই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন, ছোট ভাই এলাকায় থাকে না, ভার্সিটিতে পড়াশোনার সুবাদে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করে। আমি বললাম ঠিক আছে যেহেতু অনলাইনে আবেদন করা যায় আমিই সব ব্যবস্থা করছি। যেই কথা সেই কাজ।
বাংলাদেশ পুলিশের অয়েবসাইট http://www.police.gov.bd তে গিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন সম্পন্ন করলাম, এরপর বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অনলাইনে অর্থ গ্রহনের অয়েবসাইট http://www.echallan.gov.bd তে লগঅন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সরকারী ফি ৫০০ টাকা পরিশোধ করলাম।
পরের দিনই স্থানীয় থানা থেকে আমাকে ফোন করা হলো(আবেদনে আমার মোবাইল নম্বরটি প্রদান করেছিলাম), জানতে চাইলো আপনি কি একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করেছিলেন? আমি বললাম হ্যা, আমার ছোট ভাইয়ের জন্য করেছিলাম। সে আমাকে বললো পাসপোর্ট এর কপিটি নিয়ে থানায় এসে দেখা করেন(আবেদনের সাথে পাসপোর্ট এর কপি সংযুক্ত করা সত্বেও)। আমিও কথামত পাসপোর্ট এর কপি নিয়ে থানায় উপস্থিত হলাম। তখন জানতে পারলাম আমাকে থানার কম্পিউটার অপারেটর ফোন দিয়েছিল।

কম্পিউটার অপারেটরের কাছে গিয়ে বললাম ভাই এইযে পাসপোর্ট এর কপি, আর কি করতে হবে বলেন? সে আমার কিছুটা পরিচিত হওয়ায় আমাকে বললো ভাই আপনাকে কি বলবো বলেন, এখানে তো কিছু খরচ আছে। আমি জানতে চাইলাম, কিসের খরচ ভাই? আমিতো ব্যাংকে ফি জমা দিয়ে দিয়েছি। তখন সে আমাকে জানালো ওসি সাহেব কে কিছু দিতে হবে আবার যে তদন্তে যাবে তাকে কিছু দিতে হবে। আমি সাফ জানিয়ে দিলাম, ভাই আমি আর কোন টাকা-পয়সা দিতে পারবো না। সে আমার সাথে বেশী পিড়াপিড়ি করলো না, বললো ঠিক আছে আপনার সাথে তদন্ত অফিসার কথা বলবে। আমি চলে আসলাম।

কয়েকদিন পরে আমার সাথে যোগাযোগ করলো তদন্ত অফিসার। বললো ভাই আপনার ছোট ভাইয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর তদন্তের জন্য আমি দায়িত্ব পেয়েছি, বাড়িটা কোথায়? আমি তাঁকে ঠিকানা দিয়ে আসতে বললাম এবং সে এসে সব কিছু ঠিকঠাক পেলো। তদন্ত শেষে সে আমাকে বললো ভাই এখানে তো কিছু খরচ আছে, কম্পিউটার ম্যান আপনাকে কিছু বলেনি? আমি বললাম ভাই সে আমাকে বলেছে কিন্তু, আমার জানামতে ব্যাংকে ফি জমা ছাড়া আর কোন টাকা লাগে না পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে।
আপনিই বলেন আর কিসে খরচ আছে? সে জানালো ওসি সাহেবকে কিছু দিতে হবে, কম্পিউটার ম্যানকে কিছু দিতে হবে। আমি তাঁকে বললাম ঠিক আছে তাহলে আমি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলছি, সে সাথে সাথে আমাকে বাধা দিয়ে বললো তাহলে আমি আসছি কেন? আমি বললাম আপনি এসেছেন তদন্ত করতে, তদন্ত করে কোন গাফিলতি পেয়েছেন কিনা তা দেখেন, আমি ভাই সোঁজা পথের মানুষ, আমাকে সোঁজা রাস্তায় হাটতে দিন। সে আর কথা না বাড়িয়ে বললো- ভাই আবেদনের সাথে পাসপোর্টের তথ্য মিল না থাকলে কিন্তু সমস্যা হবে। আমি তাঁকে সায় দিয়ে বললাম ঠিক আছে সমস্যা হলে আমাকে জানিয়েন।

সব মিলিয়ে আমার কাছে বিষয়টি সাধারণ মানুষের জন্য খুব হয়রানিমূলক মনে হলো। তাই আর বিলম্ব না করে থানার কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অয়েবসাইটে গিয়ে কমপ্লেইন/পরামর্শ অপশনের মাধ্যমে পুলিশের আইজিপি সেলে দূর্নীতির একটি অভিযোগ করে দিলাম।
অভিযোগের কয়েকদিন পর স্থানীয় জেলা পুলিশ সূপারের কার্যালয় থেকে আমার ডাক পরলো, যথাসময়ে আমি উপস্থিত হলাম এবং দেখলাম ঐদিনই থানার সেই কম্পিউটার অপারেটরকেও ডাকা হয়েছে।
সার্কেল এসপি মহোদয়(খুব আন্তরিক মানুষ) দুজনকে এলসাথে করে দুজনের বক্তব্য শুনলেন এবং সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার করলেন।
আমিও ন্যায় বিচার পেয়ে খুশী মনে ন্যায়ের পথে চলার উৎসাহ নিয়ে চলে আসলাম।

#২য়ঃ অনেকদিন পর ঢাকায় এসেছি। গত তিনদিন অনেক ঘুরেছি, কিন্তু আজ আর ব্যস্ততার কারনে থাকতে পারছি না।

আগেই বলেছি ছোটখাটো একটি আইটি কর্ণার পরিচালনা করি আমি। তিনদিনে অনেক কাজ জমে গেছে তাই সকালে উঠে তৈরী হলাম দেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। ছোট ভাইয়ের বাসায় ছিলাম। বাসা থেকে বের হতে হতে প্রায় ১১ টা বেজেঁ গেল। বাইক নিয়ে যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্থান আসতে আসতে ১১:৩০ - ১১:৪৫ বেজে গেল।

গুলিস্থান এসে একটা বিষয় দেখে খুব ভালো লাগলো তা হলো- ফুটপাতে হকারদের স্থায়ীভাবে অপসারন করা সম্ভব হয়েছে। সাধারণ মানুষ এখন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারছে ঐতিহাসিক গুলিস্থানের রাস্তায়।

আমি বাইক নিয়ে গুলিস্থান শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে থামলাম। মার্কেটের ভিতরে একজন বড় ভাইয়ের কাছ থেকে একটি মোবাইল নেয়ার ছিল। যেহেতেু মার্কেটের ভিতরে যাবো সেহেতু অবশ্যই বাইকটি মার্কেটের সামনেই রেখে যেতে হবে। সেই মতই বাইকটি লক করে মার্কেটেরে সামনে রেখে মার্কেটের ভিতরে ডুকলাম। ২-৩ মিনিট পরে কাজ শেষ করে মার্কেট থেকে বের হয়ে আসলাম। বাইকের কাছে এসে দেখলাম বাইকের সাথে হেলমেটটি নেই।

ভাবলাম মনে হয় চুরি হয়ে গেছে। পাশে থাকা রিক্সাওয়ালা ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এখানে কি এমনি হয়? সে আমার কথার উত্তর না দিয়ে কাছেই নিয়োজিত থাকা ট্রাফিক পুলিশ দেখিয়ে বললো ট্রাফিকের সাথে কথা বলেন। গেলাম ট্রাফিকের কাছে...

আমি: স্যার আমার বাইকটি রেখে ২-৩ মিনিটের জন্য মার্কেটের ভিতরে গিয়েছিলাম এসে দেখি হেলমেট নেই।

ট্রাফিক পুলিশ আমান সাহেব: হেলমেট পাবেন তবে মামলা হবে।

ট্রাফিক পুলিশ মইনুল সাহেব: আমান সাহেবকে ইশারা করে কত ৪০০ টাকার মামলা হবে না?

আমি: স্যার আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, আমি মানছি আমার ভুল হয়েছে, আমার হেলমেটটি এভাবে রেখে যাওয়া উচিৎ হয়নি, চুরি হতে পারতো। ভবিষ্যতে আর ভুল হবে না।

ট্রাফিক পুলিশ মইনুল সাহেব: না আপনার মামলা হবে, আপনি লং পাকিং করেছেন।

আমি: স্যার আমি তো লং পার্কিং করিনি, এই সর্বোচ্চ ২-৩ মিনিটের জন্য মার্কেটেরে ভিতরে গিয়েছিলাম আর এখানে তো পার্কিং করা যাবে না এই মর্মে কোন "নো পার্কিং" সাইনবোর্ড ও নেই।

ট্রাফিক পুলিশ মইনুল সাহেব: ওখানে তো পার্কিং করা যাবে এমন কোন সাইনবোর্ডও নেই।

আমি: স্যার এটা কেমন কথা বলছেন? আমি মার্কেটের ভিতরে যাবো তো আমার বাইক মার্কেটের সামনে রাখবো না তো কোথায় রাখবো? আচ্ছা ঠিক আছে মার্কেটের সামনে বাইক পার্কিং করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি জানতাম না, এই প্রথম জানলাম এবং সতর্ক হলাম, সামনে থেকে বুঝে-শুনে পার্কিং করবো।

ট্রাফিক পুলিশ মইনুল সাহেব: এত কথা বলেন কেন? আচ্ছা শুনেন মামলা হলে ৪০০ টাকার মামলা হবে, আপনি ২০০ টাকা হ্যান্ড ফি দিয়ে দেন মামলার ঝামেলা পোহাতে হবে না।

আমি: স্যার আমাকে অন্তত একবারের জন্য সতর্ক হওয়ার সুযোগ দেয়া উচিৎ।

শেষ পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ আমান সাহেব "রং সাইড ড্রাইভিং" কমেন্ট করে ২০০ টাকার একটি মামলা আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন।

এই কথোপোকথনে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট চলে গেল। এরপর মামলাটি ভাঙ্গিয়ে ১:৩০ মিনিটে গুলিস্থান থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।

এবার আসি মূল কথায়, এর আগে আমার সামনে কেউ পুলিশ সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা বললে উল্টো আমি তাদের বলতাম মিয়া আপনি ঠিকমত চলেন না পুলিশের দোষ দেন কেন?

আর এই দুই-তিনদিন আমি ঢাকায় অবস্থান করে বুঝতে পারলাম সাধারণ মানুষ পুলিশকে এতটা নিচু প্রকৃতির ভাবে কেন, কেন পুলিশকে অন্য প্রাণীর সাথে তুলনা করে।

এখানে আমি নিজে আইন মেনে চলেও যদি এতটা হয়রানির শিকার হই, তাহলে একটু-আধটু ভুল করা সাধারণ মানুষগুলোর কি অবস্থা হতে পারে?

একজন মানুষ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেয় এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে যে সে দেশ ও জনগণের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখবে। কিন্তু কিছু পুলিশ তার পুরো উল্টো টা করছে।
কেন.....? আপনারাই তা খুজেঁ দেখুন!

আমি চাই পুলিশ বাহিনী হোক সাধারণ মানুষের স্বস্তি এবং অপরাধীদের ত্রাস কিন্তু, আদৌ কি তা সম্ভব?

হ্যা সম্ভব। কারন পুলিশ সবাই খারাপ না, পুলিশের কিছু অংশ অসাধু। এই অসাধুদের অন্যায় কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের সকলের প্রতিবাদী হতে হবে। অপরাধ মেনে নেয়া যাবে না, সাহসী হতে হবে। আর এর সাথে পুলিশ কর্তৃপক্ষকেও নিজেদের ইমেজ ঠিক রাখতে এই আগাছা পরিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকাতে আমার অনেক বন্ধু, বড় ভাই, ছোট ভাই- সাংবাদিক, নেতা এমনকি পুলিশ বাহিনীতেও কর্মরত আছে। পারতাম তাদের ব্যবহার করে এই হয়রানির থেকে রক্ষা পেতে কিন্তু, এটা করলে আমি নিজেই একটা অন্যায় করতাম বলে আমি মনে করি। এই হয়রানি থেকে আমি শুধু নিজে নয় সকল জনগণের মুক্তি চাই।

উপরের ঘটনায় আমি প্রতিবাদী হয়েছি। সরাসরি নয় তবে পুলিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারা।

অভিযোগ করেছি পুলিশের আইজিপি সেলে এবং কয়েকদিন পরে ডাক পেলাম ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) সাহেবের দপ্তরে। AC সাহেব খুব আন্তরিকতার সাথে আমার কাছ থেকে সব কিছু জানলেন এবং বললেন আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচারের জন্য সকল ব্যবস্থা করবো, আপনি নিশ্চিত থাকেন আপনি ন্যায় বিচার পাবেন।
আশা করি তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি পাবে এবং ভবিষ্যতে কাউকে হয়রানি থেকে বিরত থাকবে।

#৩য়ঃ সামাজিক কার্যক্রম করতে গিয়ে কিছু মানুষের চোখের কাটা হয়ে গিয়েছি তাই, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি পাচ্ছিলাম। বিলম্ব না করে স্থানীয় থানায় গিয়ে একটি জিডি(সাধারণ ডায়েরি) করলাম। জিডি করতে কোন হয়রানির সম্মুখীন হতে হলো না কারন, #১ম ঘটনার পর থেকে থানায় অনেকটা স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
জিডি সম্পন্ন হওয়ার পরে একজন এসআই সাহেব তদন্তে এসে আমার কাছে বিস্তারিত জানলেন এবং তদন্ত শেষ করে সহকারী জজ সাহেবের কাছে তা হস্তান্তর করলেন। কিছুদিন পর.... আমাকে গতকাল সংশ্লীষ্ট জেলার জিআরও এর দপ্তর থেকে জানানো হলো মাননীয় সহকারী জজ সাহেবের আদালতে উপস্থিত হয়ে জজ সাহেবের সামনে বাস্তব অভিজ্ঞতা বলতে হবে।
যেই কথা সেই কাজ চলে গেলাম জেলা জিআরও সাহেবের দপ্তরে তিঁনি আমাকে মাননীয় জজ সাহেবের কাছে নিয়ে গেলেন এবং আমি বিস্তারিত মাননীয় জজ সাহেব কে জানালাম। মাননীয় জজ সাহেব এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিলেন।
আদালত থেকে বের হয়ে আসার সময় জিআরও সাহেব আমাকে ডেকে বললেন কিছু খরচাপাতি দিতে হবে ভাই, শুধু ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি পেলেই হবে না, আরো অনেক কাজ আছে।
জিআরও সাহেবের কথা শুনে খুব হতাশ হলাম! এখানেও দুর্নীতি!! একথা বলার সাথে সাথে তাকে সোজা বলে দিলাম আমার জানামতে এখানে কোন খরচের ব্যাপার নেই, আমি কোন খরচ দিতে পারবো না।
উনি গম্ভীর স্বরে বললেন ঠিক আছে তাহলে আপনি যান। আমি সাথে সাথে বের হয়ে চলে আসলাম। তারাহুরোর মধ্যে জিআরও সাহেবের নামটি দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম। তার মোবাইলে ফোন করে নাম জানতে চাইলে তিনি বললেন না। ব্যাপার না আমি অন্য কারো মাধ্যমে তার নামটি জেনে নিতে পারবো এবং আইজিপি সেলে অবশ্যই তার নামে একটি অভিযোগ দায়ের করবো। কারন আমি সচেতন তাই দূর্নীতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি কিন্তু, অন্যান্য সাধারণ মানুষ তাদের কাছে কতটা জিম্মি একটু চিন্তা করে দেখুনতো!

এমন অনেক বাস্তব ঘটনা আমার সাথে এই ছোট ও সাধারণ জীবনে ঘটেছে যা বলতে বা আপনাদের জানাতে গেলে অনেক সময়ের ব্যাপার।

একটা বিষয় সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই সরকারী কর্মচারী বা পুলিশ প্রশাসনের সবাই খারাপ বা দূর্নীতিবাজ না, এর মধ্যে কিছু আগাছা আছে যা আপনার আমারই চিহ্নিত করে দিতে হবে।

আসুন আমরা সচেতন হই, এবং নিজেকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি।

পুলিশের দ্বারা হয়রানী বা দূর্নীতির স্বীকার হলে--
‘আইজিপি’স কমপ্লেইন সেল’ ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৫, ০১৭৬৯৬৯৩৫৩৬ মোবাইল নম্বরে অথবা [email protected] ই-মেইলে এ সেলে অভিযোগ করুন। অথবা অনলাইনে অভিযোগ দাখিল করুন- Click This Link এই লিংকে লগঅন করে।

(বিঃদ্রঃ আমি আইজিপি'স কমপ্লেইন সেলে একাধিকবার অভিযোগ করে ন্যায় বিচার পেয়েছি। আশা করি আপনিও পাবেন।)

#সচেতন_হোন_প্রতিবাদী_হোন_একজন_সু_নাগরিক_হোন।

সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন নিজের আশপাশ।
সরকারী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ প্রশাসন হোক জনগণের বন্ধু।।

মোঃ পলাশ খান
০৭/০৫/২০১৯ইং
জাজিরা, শরীয়তপুর।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: দেশের সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই দেশের সকল ক্ষমতার মালিক আমিই =p~

০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:১০

মোঃ পলাশ খান বলেছেন: ভুল কিছু লিখেছি কি দাদা? ভুল করলে সংশোধন করে দেয়ার অনুরোধ রইলো।

২| ০৮ ই মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: খুব ভাল কাজ করেছেন। দেশে পুলিশ যদি ঠিক থাকত তাহলে সব কিছুই ঠিকঠাক মতো চলত।
ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৯ রাত ১১:৪২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সহজ সরল ভাবে চলাই উত্তম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.