নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচেতনতা-২ ভোক্তা অধিকার (অনিয়মের পরাজয়!)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৭


আমি শরীয়তপুরের বাসিন্দা হওয়ায় ঢাকায় যাতায়ত করতে পদ্মা আমাদের পাড়ি দিতেই হয়।
আমি সাধারণত বাইক নিয়ে ঢাকায় যাতায়ত করায় ফেরীতেই পাপাড়াপাড় হই। গত আগষ্ঠ ২০১৯ এ শ্রীনগরে একটি বিশেষ ভ্রমণে যাওয়ার সময় আমার একজন ছোটভাইকে নিয়ে লঞ্চে পদ্মা পাড়াপাড় হই।

যথারীতি লঞ্চে উঠার পরে কন্ট্রাক্টর টিকিট সহ ভাড়ার জন্য হাজির। ভাড়া কত জানতে চাইলে বললেন ৩৫ টাকা, আমি দুজনের জন্য সত্তর টাকা দিয়ে দুটি টিকিট নিলাম।
আমার একটি অভ্যস্ততা হচ্ছে, আমি কোন জিনিস ক্রয় বা সেবা গ্রহণ করলে তার ভাউচার সংগ্রহ করার চেষ্টা করি। তেমনিভাবে লঞ্চের টিকিট দুটি পকেটে রাখবো তার আগে একবার চোখ বুলাতে ইচ্ছা হলো। খেয়াল করলাম টিকিটের গায়ে সিরিয়াল নম্বর আর ভাড়ার পরিমাণ সুন্দর করে উল্লেখ্য আছে। কিন্তু কোন তারিখ বা স্বাক্ষর নেই।
চোখ পড়লো ভাড়ার বিষয়টিতে লেখা আছে লঞ্চ ভাড়া ৩০ টাকা ও বিআইডব্লিউটিএ প্রবেশ ফি ৫ টাকা।

হঠাৎ মনে পরে গেলো ২০১৫ সালে ইস্যুকৃত নৌ-মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন। যাতে স্পষ্ট বলা ছিল যে, মঙ্গলমাঝির ঘাটে লঞ্চ ভাড়ার সাথে যাত্রী প্রতি ২ টাকা টোল আদায়ের নির্দেশ করা হলো।

টিকিটগুলো সংগ্রহ করলাম(সাথে এক ছোটভাই ছিল)।

কয়েকদিন পর আবারও পদ্মা পাড়াপাড় হওয়ার প্রয়োজনে লঞ্চে যাতায়াতের মনস্থির করলাম। ভাড়া দিতে গিয়ে খেয়াল করলাম সেই একি অবস্থা, লঞ্চ ভাড়া ৩০ টাকা ও বিআইডব্লিউটিএ প্রবেশ ফি ৫ টাকা।

এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না, টিকিটগুলো সংগ্রহ করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের স্বরণাপন্ন হলাম। গত ০১/০৯/২০১৯ইং তারিখে আমার জেলা শরীয়তপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মহোদয় জনাব সুজন কাজীর সাথে সাক্ষাৎ করে ২০১৫ সালে জারিকৃত নৌ-মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও টিকিটগুলো প্রমাণ হিসেবে দাখিল করে মোট ৪টি লঞ্চ মালিক ও মাঝিরঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির নামে একটি অভিযোগ দায়ের করি।

অভিযোগ দাখিলের ২ সপ্তাহের মধ্যেই উক্ত কার্যালয় হতে শুনানীর তারিখ ধার্য করা হয়। দুই পক্ষের উপস্থিতিতে উক্ত শুনানীতে বিবাদী পক্ষ তাদের পক্ষে দলিল দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করলে উক্ত কার্যালয় হতে তা আমলে নিয়ে পরবর্তি শুনানীর দিন ধার্য করে।

গত ২১/১০/২০১৯ইং তারিখে উক্ত অভিযোগের শেষ শুনানী অনুষ্ঠিত হয় এবং অভিযুক্ত মাঝিরঘাট লঞ্চ মালিক সমিতি ও ৪ লঞ্চ মালিক তাদের পক্ষে যে দলিল পেশ করে তাতে তাদের বিআইডব্লিউটিএ প্রবেশ ফি ৫ টাকা নেয়ার আদেশ কার্যকর হয় গত ০১ অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে কিন্তু, তারা তার অনেক আগে থেকেই নেয়া শুরু করে এবং আমার অভিযোগটি উক্ত নতুন প্রজ্ঞাপন কার্যকর হওয়ার আগে হওয়ায় অভিযুক্তরা অপরাধী হিসেবে গণ্য হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের এর ৪০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উক্ত ৪ লঞ্চ মালিকের ৫০,০০০/- টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং প্রত্যেকের ১ বৎসর করে কারাদণ্ড হয় কিন্তু, উক্ত লঞ্চ মালিকগণ তাদের এই ভুল প্রথমবার দাবী করায় এবং সর্বদিক বিবেচনা করে কারাদন্ড ও ধার্যকৃত জরিমানা হতে বিবেচনা অনুযায়ী মাফ করে জরিমানা করা হয়। আমার উদ্দেশ্য ছিল অনিয়ম ছোট বা বড় হোক তা বর্জন করতে হবে নয়তো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে #অনিয়মকারীদের বুঝিয়ে দেয়া এবং সাবধান করা।আমি তা করেছি, জড়িমানা বা কারাদন্ড মুখ্য বিষয় নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের এর ৪০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অভিযোগকারী জরিমানার ২৫% পাবেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরিমানার ২৫% শরীয়তপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মহোদয় জনাব সুজন কাজী আমার হাতে তুলে দেন। প্রাপ্তিস্বীকার ফর্ম এ স্বাক্ষর করে টাকা নিয়ে চলে আসলাম। :)

#কিভাবে_অভিযোগ_করবেন?

অভিযোগ করার জন্য সেবা বা পণ্যের মূল্য বেশি রাখার প্রমাণপত্র লাগবে।

Website: (http://www.dncrp.gov.bd) এই অয়েবসাইট এ গিয়ে অভিযোগ ফর্ম নামাতে হবে। হাতে পূরণ করে স্ক্যান বা সুন্দর করে ছবি তুলে, সাথে প্রমাণপত্রের ছবি ও পণ্যের গায়ে বা সেবার জন্য নির্ধারিত যে দাম আছে সেটার ছবি তুলে Email Address: ([email protected]) এই ই-মেইল এ পাঠাতে হবে বা সরাসরি আপনার নিকটস্থ জেলা কার্যালয়ে গিয়ে ফরম সংগ্রহ ও যথাযথ পূরণ করে জমা দিন অথবা ফোন করুনঃ ০২-৫৫০১৩২১৮ মোবাইল: ০১৭৭৭-৭৫৩৬৬৮। কাজ শেষ।

তারপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে আপনাকে শিঘ্রই শুনানীর জন্য ডাকা হবে।

অভিযোগ ঘটনা ঘটার এক মাসের মধ্যেই করুন।

অভিযোগ ফরম ডাউনলোড ও বিস্তারিত জানার জন্য নিচের লিংক এ প্রবেশ করুন-- dncrp.portal.gov.bd/site/page/2e1c613d-e162-436c-b024-a0468fee2b6e/-অভিযোগ-দায়েরের-পদ্ধতি?fbclid=IwAR0i99eiXTkzFuUqtuSIifslTCS2BILN3j-JsW8ylGafOgd6loX7IyHJAzQ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: একটা ভালো কাজ করেছেন।
সবার যাওয়া উচিত ভোক্তা অধিকার আদায় করার জন্য।
আরেকটা ভালো কথা হচ্ছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ভালো কাজ করে। দ্রুত কাজ করে।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

আরাফআহনাফ বলেছেন: সবার সচেতন থাকা উচিত ভোক্তা অধিকার আদায় করার জন্য।
আমার দেখা ও জানা মতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর বেশ ভালো কাজ করছে। তাদের সাধুবাদ জানাই।

ভালো থাকুন।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

ইফতি সৌরভ বলেছেন: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বেশ ভালো কাজ করছে যা সত্যি প্রশংসনীয় । সাথে আপনাকেও ধন্যবাদ পদক্ষেপ নেবার জন্য । সবার নিজ নিজ অধিকারের প্রতি সচেতন হওয়া দরকার ।

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

তারেক ফাহিম বলেছেন: সবার সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.