নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসলে দোষটা কার?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪


ছোটকাল থেকে জেনে এসেছি
★খাবার হোটেল
★পরিবহন
★প্রাইভেট হাসপাতাল
এগুলো হলো সেবা মূলক ব্যবসা। অর্থাৎ প্রথমে মানুষের সেবা নিশ্চিত করে তারপর ব্যবসায়ের চিন্তা করা। কিন্তু, এখন যা দেখতে পাচ্ছি তাতে পুরোটাই উল্টো হয়ে গেছে! মানে আগে ব্যবসা তারপর মানুষ বাঁচুক বা কষ্ট পাক তা দেখা যাবে!

বর্তমানে অধিকাংশ খাবার হোটেলগুলোতে খাবারের মান, খাবারের যথাযথ মূল্য নির্ধারণ, ভোক্তাদের সাথে আন্তরিকতায় ব্যর্থ। যখন এসব কারনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে অসাধুদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসে তখন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরতে হয় নানান প্রতিকুলতায়!

বর্তমান বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থার এতোটা অবনতি হয়েছে যার বিষয়ে আমার বলার কিছুই অবশিষ্ট নেই! এইযে দেখেন গত ২২ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় মাইক্রোবাসটি যেভাবে ধুমরে-মুচরে দিয়েছে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস নিহত হয়েছ ১০ জন। এখানে একটা বিষয় দেখুন ঘটনাস্থল ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক, যে সড়কটি পদ্মা ব্রীজ হওয়ার আদলে নতুন করে সংস্কার কাজ চলছে, যেহেতু রাস্তাটিতে কাজ চলছে সেহেতু অবশ্যই গাড়ির গতি সহনশীল থাকা জরুরী! কিন্তু মাইক্রোবাসটির দিকে তাকিয়ে দেখুন এবং ভেবে দেখুনতো কতটা গতিতে বাসটি চলমান থাকলে একটি গাড়ির আঘাতে অন্য গাড়িটি এমন ধুমরে-মুচরে যেতে পারে? অতীতে এমন ঘটে যাওয়া আরো অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে পরিবহন সেক্টরের কিছু অসাধু মালিক, কর্মচারী বা চালকদের গাফিলতির কারনে। আবার সম্প্রতি সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রনয়নের পরে ধর্মঘট শুরু করে সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিক অসাধু লোকগুলো, যেখানে সাধারণ মানুষদের বা মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সমূহ যথাযথভাবে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে তাদের সেবার চিন্তা করার কথা!!

এবার আসি বাংলাদেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর কথায়, এই সেক্টরে বর্তমানে যে ধরণের অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে তা বলে শেষ করা সম্ভব না। তারপরও একটু বলি, যেমন ধরেন মানুষের সুস্থ থাকা বা জীবন বাঁচানোর কথা আসলে উপরে সৃষ্টিকর্তা তারপরেই আসে ডাক্তারের কথা, সবাই চায় একটু ভালো চিকিৎসা একটু স্বস্তির চিকিৎসা। আর বাংলাদেশের জনসংখ্যাজনিত কারনে সরকারি হাসপাতালগুলোতে পুরো সক্ষম না থাকায় বেশীরভাগ মানুষই প্রাইভেট হাসপাতালে ছুটে যায়।
কয়েকদিন আগের একটা ঘটনা বলি, আসলে ঘটনাটি ঘটে আসছিল অনেকদিন যাবৎ কিন্তু হয়তো কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি! শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় একটিমাত্র প্রাইভেট হাসপাতাল ছিল যা জাজিরা উপজেলার মানুষের জন্য খুবই দরকার ছিল কিন্তু, কয়েকদিন আগে এক ছোটভাইয়ের খালার সিজারিয়ান অপারেশন করা হলো উক্ত প্রাইভেট হাসপাতালে অপারেশন সাকসেস হলো, কিন্তু সপ্তাহ খানেক পরে জানা গেলো অপারেশনের স্থানে ইনফেকশন হয়েছে। ছোটভাই অপারেশন পরিচালনাকারী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তিতে রোগীকে সুস্থ করে তোলার ব্যাপারে কোন সদুত্তর না পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলো তারাও দায়সারা ভাব নেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু ছোটভাই প্রতিবাদী হওয়ায় ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষ পরবর্তি চিকিৎসার দায়ভার নিলেন কিন্তু তাতে হিতে বীপরিতই হলো! রোগীর অপারেশনের স্থানে পচঁন ধরলো, তাও সেই ডাক্তারের অবহেলায়। পরবর্তিতে ছোটভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানা গেলো উক্ত হাসপাতালে এই রোগীর আগে, সাথে এবং পরে যাদের অপারেশন করা হয়েছে অধিকাংশেরই কোন না কোন সমস্যা হয়েছে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র দৌড়াতে হয়েছে খরচ করতে হয়ে অনেক বেশী, আরো জানা গেলো উক্ত হাসপাতালটি মাত্র এক বৎসরের অনুমতি নিয়ে শুরু করে নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল পরিচালনার জন্য স্বাস্থ মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চাহিদা পূরণ না করতে পারায় আর কোন অনুমতি বা স্বীকৃতি পায়নি, কিন্তু হাসপাতাল প্রায় ৩ বৎসর ঠিকই অবাধে চলে এসেছে। এখানে বুঝার বাকী রইলো না যে এই হাসপাতাল মানুষের সেবার জন্য নয় খোলা হয়েছিল শুধুমাত্র ব্যবসায়ের পরিকল্পনায়!!!

এবার বলেন এখানে কার দোষ দিবেন?
প্রশাসন, সরকার, কর্তৃপক্ষ?
হ্যা, আমি আপনাদের সাথে একমত, কেননা আইন থাকা সাপেক্ষে তা ঠিকমত প্রয়োগ করেনি বা করেনা তারা, তাহলে আজ নতুন সড়ক আইন করার পরে পরিবহন সেক্টরের লোকেরা মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলনে নামতে পারতো না।
কিন্তু আপনি আমি কি ভালো? নিয়ম বা আইন মেনে চলার চেষ্টা করি কি আমরা??
হ্যা, আমি সাম্প্রতিক সমস্যাগুলোর ৮০% দোষ আপনার-আমার দিচ্ছি। যেমন ধরেন এইযে বিডি ক্লিন সারাদেশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে যে স্থানগুলো পরিস্কার করে যাচ্ছে তা কি আমরা অন্তত পরেরদিন পর্যন্ত পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছি? নাহ্ কারন আপনার আমার বিবেকে যে জং ধরেছে, যত্রতত্র ময়লা ফেলা আমাদের অভ্যাসে পরিণত করেছি, কিন্তু আপনি কি জানেন জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রধান কারনগুলোর একটি হলো আমাদের এই যত্রতত্র ফেলা ময়লা-আবর্জনাগুলো।।

সর্বশেষ__ কর্তৃপক্ষ তথা প্রশাসন, সরকারের প্রতি আহবান রইলো বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরের জন্য যে আইনগুলো রয়েছে তা অন্তত প্রয়োগ করে মানুষকে আইন মানায় অভস্ত্য হওয়ার ব্যবস্থা করুন।

আর সকলের প্রতি আহবান রইলো আসুন আমরা যেহেতু সকলেই ভালো থাকতে চাই, নিজের পরিবারকে ভালো রাখতে চাই, সেহেতু অন্তত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলার চর্চা শুরু করুন।
আর কেউ যদি চিন্তা করে থাকেন আরে ধুর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে কি হবে, নিজে কোন রকমে খেয়ে-পরে জীবন কাটিয়ে যেতে পারলেই হলো।
তাদের বলছি... আপনারা অন্তত নিজেদের বংশেরবাতি হিসেবে রেখে যাওয়ার জন্য হলেও কাউকে দুনিয়াতে আনার অধিকার রাখেন না, কারন আপনি সমাজ ও দেশকে ভালোবাসেন না। তাই এই সমাজ, এই দেশ আপনাকে কোন অধিকার দিতে পারে না।।

কথাগুলো লেখার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সম্প্রতি পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অযাচিত ধর্মঘটের প্রতিবাদে। আরে ভাই নতুন সড়ক আইন হওয়াতে আপনাদের সমস্যা হচ্ছে তা সংশোধনের দাবী তোলার জন্য একটা সেক্টর তো আছে আপনাদের জন্য, সেখানে গিয়ে দাবী তুলেন। শুধু শুধু নিরীহ মানুষগুলোকে কেন কষ্ট দিচ্ছেন!!

আপনাদের মনে রাখা উচিৎ বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আর এই দেশের মালিক সাধারণ জনগণ। অতএব তাদের কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন নয়তো এতে ফলাফল ভালো হবেনা।।

#মোঃ_পলাশ_খান।
২২/১১/২০১৯ইং

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙ্গালীরা হলো ব্যবসা পাগল জারি। তাদের কাছে সব কিছুই ব্যবসা। যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। টিভি চ্যানেল, পত্রিকা অফিস। সব সব ব্যবসা।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

নুরহোসেন নুর বলেছেন: সব দোষ সাধারন মানুষের,
কারন সাধারণ মানুষ কর্মকর্তাদের কলার ধরে অধিকার আদায় করতে পারেনা।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০০

অপর্ণা সেন বলেছেন: বাংলাদেশের বাসমালিক ও চালকগং আসলেই মানুষ নয়।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

হাবিব বলেছেন: দোষটা আমাদেরই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.