নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।। একজন বাঙালী ।। ধরণীর সন্তান ।।

মোঃ পলাশ খান

Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD

মোঃ পলাশ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজবীয় করোনাকাল

০২ রা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৬


কয়েকদিন আগে সরকারী বাস বিআরটিসি তে ভ্রমণের সময় দেখলাম হেলপার/স্টাফ'রা মাস্ক ব্যবহার করছে না। যখন আমার কাছে টিকিট যাচাই করতে আসলো বললাম আপনার মাস্ক কোথায়, মাস্ক পরেন না কেন? তিনি "মাস্ক আছে" কথাটুকু ছোট করে বলে টিকিট যাচাই না করেই কেটে পড়লেন।

আবার একটু পরে এসে আমার কাছে টিকিট চাইছে, আমি আবারও বললাম আপনি মাস্ক পড়েননা কেন?
এবার কথার উত্তর না দিয়েই কেটে পড়লেন!

একটু পর আমি নিজেই দুজন স্টাফকে কাছে ডাকলাম, বললাম আপনারা যেহেতু একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন সেহেতু আপনাদের অন্তত সরকারী নিয়মটা সঠিকভাবে পালন করা উচিৎ, আর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তো আছেই।

আহা কাদের কি বললাম, মনে হলো তারা আমার কথা এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দিলেন।

এরপর আমি বাস এ অবস্থান করা অবস্থায় আমার ধারে-কাছেও ঘেঁষলো না স্টাফ'রা!

নিজেকে শান্তনা দিলাম, যাক তাহলে করোনার চেয়েও অধিক শক্তিশালী হতে পেরেছি। :)

এবার আসি সরকারী নির্দেশনা মেনে চলায় সরকারী দপ্তরগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ভুমিকার বিষয়ে।
এখানে আমি প্রথমেই বলতে চাই, ইদানীং সরকারের পক্ষ থেকে কোন কর্ম সম্পাদনের নির্দেশনা দেয়া হলে বলা হয় অবশ্যই স্বাস্থ্য বিধি মেনে করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে কি তা পর্যবেক্ষণ করা হয়? আমার চোখে তো এখনো পড়েনি!

আরো বেশী ভয়ংকর ব্যাপার হলো, যাদের দেখে বা যাদের কথা শুনে আমরা সাধারণ মানুষ সচেতন হবো বা যাদের কাজটিই প্রথমে জনগণকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেয়া সেই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা সরকারী নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে স্বয়ং নিজেরাই জনসমাগমমূলক কর্মসূচীর আয়োজন করে আসছে। আর তাদের সেসব কর্মকান্ডে ভালো-খারাপ দিকগুলো দেখিয়ে দিতে যাওয়া মানুষগুলো হয়ে যাচ্ছে তাদের চোখের কাঁটা স্বরূপ!

এরপর আসি আমার দেশের আইন ও আইনের প্রয়োগের কথায়।
আইনে আছে পাবলিক প্লেসে ধুমপান করা দণ্ডনীয় অপরাধ, কিন্তু আমার এই বয়স পর্যন্ত এসে মনে পড়েনা কখনো দেখেছি এমন অপরাধ করার পরেও আইন অনুযায়ী আমার দেশের প্রশাসন কাউকে শাস্তি প্রদান করেছে। এমন অনেক আইন আছে কিন্তু তা কাগজ-কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে চিরকাল!

আমার কথা হলো যদি আইন প্রয়োগই না করা হয় তাহলে আইন প্রণয়ন করার দরকার কি। তবে এটাও মানতে হবে শুধু আইন প্রয়োগ সংস্থা বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা চাইলেই আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
তার জন্য সাধারণ জনগণ সহ সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিকতা, সভ্যতা ও সহনশীলতা বজায় রাখার প্রয়োজন।
সব বাদ দিলাম। একটা বৈশ্বিক মহামারী চলছে আর সেই মহামারীতে আক্রান্ত আমার বাংলাদেশও। শুধু শিকার নয় একেবারে বিশ্বের তালিকায় শীর্ষ ২০ ক্রমিকের মধ্যে আছে।
কিন্তু আমাদের চলাফেরা-কর্মকান্ড দেখে মনে হয় সারাবিশ্ব মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে হিমসিম খাচ্ছে আর আমাদের বাংলাদেশের ধারে কাছে মহামারী ঘেঁষতে পারেনি!

আবার অনেকে এও বলে এতো সচেতন হয়ে কি হবে, আল্লায় চাইলে হবেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন কোন ধর্মে কি বলা হয়েছি তুমি যেভাবে খুশি উল্টোপাল্টা চলো মালিক দেখবেন বা বুঝবেন? আমার মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী যতটুকু জানি আল্লাহ্ আমাদের দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন পরীক্ষা নেয়ার জন্য, আমরা যে যা কর্ম করবো সেই অনুযায়ী তিনি আমাদের পাওয়ানাটা দিবেন।
অথচ আমরা নিজেরা ভুল কাজ করি আর আমাদের সৃষ্টিকর্তার উপর দায় চাপিয়ে দেই।

আসলে সভ্যতা বলতে একটা কথা আছে।
আমার দেশের মানুষগুলো নিজেদের কখনোই সভ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারেনি। পারেনি তাও বলবো না, আসলে চেষ্টাই করেনি।

করোনা আমাদের অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছে কিন্তু আশাতীত পরিবর্তনটা আমাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র আনতে পারেনি, সক্ষম হয়নি সভ্য হিসেবে গড়ে ওঠার শিক্ষা দিতে!

অতএব দেশটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিকতা-সততা-ন্যায়পরায়ণতা ও সদিচ্ছা তবেই সম্ভব একটি সুখী-সুন্দর আদর্শ দেশ গড়ে তোলা।

মোঃ পলাশ খান
সমাজকর্মী
[email protected]
৩১ অক্টোবর ২০২০ইং।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১১

অধীতি বলেছেন: একটা জাতি যত মুর্খ হবে, নিজের ব্যাক্তিত্ববোধ ও চেতনাবোধ সম্পর্কে অচেতন হবে তাদের মনমত শাসন করা যাবে।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানুষ কি অরাজকতায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে, ইহা কি ভালোর দিকে যাবে, নাকি আরো খারাপের দিকে যাবে।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৫৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: একটা গুষ্টি পরিকল্পিত ভাবে তরাজকতা শৃষ্টির জন্য এসব করছে।সরকারের ভিতরে দুষ্ট চক্র আছে।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই চমৎকার পোস্ট স্যার।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাস সরকারী হলেও কন্টাকট, হেল্পার বা ড্রাইভার কিন্তু সরকারী চাকরিজিবি না। তারা রোজ হিসাবে চালায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.