নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Entrepreneur, Journalist, Social Activist, Freethinke. www.fb.com/Pkhan.BD1, www.twitter.com/PkhanBD
গত ১০ এপ্রিল সন্ধায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ব্যবসায়ী ওয়াদুদুর রহমান রওয়ানা দেন তার দেশের বাড়ী ঝালকাঠির কাঠালিয়া। শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে ফেরিতে করে জাজিরা ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার পরে রাত ১১ টার দিকে ঐ ব্যবসায়ীর ভাতিজার সাথে যোগাযোগ হয়। এর পরেরবার ফোন দেয়ার পরে অন্য কেউ তার ফোন রিসিভ করে এবং ঠিকমত কিছু না বলেই ফোন কেটে দেয়া হয়। এরপর অনেক চেষ্টার পরেও আর তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সকাল পর্যন্ত তার স্বজনেরা তাকে খুঁজে না পেয়ে শিমুলিয়া এলাকাটি যেহেতু লৌহজং থানার মধ্যে তাই তারা লৌহজং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যায়। কিন্তু তাদের জিডি না নিয়ে লৌহজং থানা থেকে স্বজনদের দেয়া তথ্যের ভিত্ততে বলা হয় ঐ ব্যবসায়ী শেষ যোগাযোগের সময় জাজিরা প্রান্তে ছিল তাই লৌহজং থানার আওতায় না বিধায় জাজিরা থানায় জিডি করতে হবে। এরপর ব্যবসায়ীর স্বজনেরা জাজিরা থানায় জিডি করতে গেলে তাদের বলা হয় এই জিডি জাজিরা থানায় হবেনা। নিখোঁজ হওয়ার আগে যেখান থেকে রওয়ানা দিয়েছে অর্থাৎ কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করতে হবে। এরপর স্বজনরা কোন পথ না দেখে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে বিষয়টি জানালে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান সোহেল জাজিরা থানার ওসি সাহেবের সাথে এবিষয়ে কথা বললে ওসি তাকে সেই একি কথা শুনিয়ে দেয়। এরপর স্বজনরা এবার রওয়ানা দেয় কেরানীগঞ্জ থানায়। নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজ পেতে একটি জিডি করতে। তবে তাদের ভাগ্য ভালো ছিল তার আগেই যেকোন মাধ্যমে তারা খোঁজ পায় নিখোঁজ ওয়াদুদুর রহমানকে বরিশাল অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে।
তবে আমি নিশ্চিত যদি নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান না মিলতো। তার স্বজনরা যদি কেরানীগঞ্জ থানায় জিডি করতে যেতো সেখানেও হয়তো তাদের পড়তে হতো বিড়ম্বনায়। কেরানীগঞ্জ থানা থেকেও হয়তো টালবাহানা করে এই ভুক্তভোগীদের বিদায় করা হতো।
এখন আমার কথা হচ্ছে, একজন নাগরিক নিখোঁজ হলে তার সন্ধান পেতে কিংবা খুঁজে পেতে থানা-পুলিশের কাছে সহযোগীতা চাইতে গিয়ে এমনভাবে বিভিন্ন টালবাহানার খপ্পরে পরে যদি হযরানি হতে হয়। তাহলে তারা তাদের নিখোঁজ স্বজনকে খুঁজবে না এমন দ্বারে দ্বারে ঘুরেই সময় নষ্ট করবে।
আমি মনে করি এহেন কর্মকান্ডে একজন নাগরিকের অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করা হয় এবং পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বের অবহেলাও বলা যায়।
একজন সাধারণ নাগরিকের জায়গা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বলবো, আপনারা স্লোগান দিয়ে বেড়ান পুলিশ জনগনের বন্ধু অথচ সাধারণ জনগণকে এভাবে হয়রানি করে কিভাবে নিজেদের জনগনের বন্ধু দাবী করেন?
"মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার"
এই হবেটা কবে? তার অপেক্ষা জনগণ আর কতকাল করবে?
আপনারা চাইলে এধরনের সমস্যায় যেকোন থানায় জিডি গ্রহণ করে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট থানায় দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো প্রেরণ করতে পারেন।
এখন বলবেন কাজের পরিমানের চেয়ে আপনাদের জনবল কম তাই আপনাদের ঝামেলায় পড়তে হয়?
আসলে সদিচ্ছা থাকলে কোন কাজই ঝামেলার হয়না। সদিচ্ছা পোষণ করুন। সাধারণ ডায়েরির ক্ষেত্রে নাগরিকদের হয়রানি করা বন্ধ করুন।
সাথে পুলিশ প্রধানের কাছে অনুরোধ রইল আপনার থানাগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিন জনগনকে এই ধরনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে।
মো: পলাশ খান
সমাজকর্মী ও সাংবাদিক
ই-মেইল:[email protected]
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: সেই থানায় যদি আপনার পরিচিত কেউ থাকতো তাহলে সমস্যা হতো না।
আপনি যা লিখেছেন সেটাই দেশের আসল অবস্থা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমরা নামেই ডিজিটাল হয়েছি। কাজে খুব ডিজিটাল হতে পারিনি এখনও।
মেয়ের বয়স যখন ১৫দিন, পাসপোর্ট তৈরী করতে গেলাম, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ১৫০০ টাকা দিতে বাধ্য হলাম। ১৫ দিনে বয়সের মেয়ে যে ক্রিমিনাল না, তার প্রমান করতে আমার ১৫০০ টাকা গুনতে হলো।
অপর দিকে আমি বর্তমানে সৌদীতে যে চাকরীতে আছি, এখানে জয়েন করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন দরকার ছিলো। এই মর্মে একটা চিঠি নিয়ে একটা থানায় গেলাম, আড়াই মিনিটের মধ্যে ক্রিমিনাল চেক শেষ করে আমার হাতে কাগজ ধরিয়ে দিলো। না কোন টাকা, না কোন লাইন, না কোন ফর্ম পূরণ!
আমাদের পুরা পুলিশ ব্যবস্থাপনা অনলাইনে আনা দরকার। আমার যেখান থেকে মন চায়, যখন মন চায় আমি জিডি করে দিবো, সেই জিডি যে কোন থানা থেকেই একসেস করা যাবে। এমন করাটা অসম্ভব কিছু নয়।