![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১১ তলার ঝুল বারান্দা থেকে শাঁ করে পড়ে তার কয়েকটা হাড় ভেঙেছে বটে, তবে বেঁচে আছে দিব্যি। চিকিত্সকেরা আশা করছেন, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে সে। দুনিয়াজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই মানবসন্তান নেহাতই ১৫ মাসের শিশু। এর মধ্যে ‘অলৌকিক শিশু’ বলে খেতাব জুটেছে তার।
আজ বৃহস্পতিবার এএফপির খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
শিশু মুসা দাইয়িবের মা ছিলেন বাড়ির বাইরে। বাবা ছিলেন তার দেখভালে। বাড়িতে আরও ছিল তিন বছরের বোন। খেলতে খেলতে শিশুটি কখন ১১ তলা বাড়ির খোলা বারান্দায় চলে গেছে, কেউ তা খেয়াল করেনি। রেলিং থেকে পা হড়কে সেখান থেকে একেবারে সোজা নিচে পড়ে যায় মুসা। সবাই ভেবেছিল, সে আর বেঁচে নেই। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে বেঁচে গেছে সে।১১ তলার বারান্দা থেকে পড়ে বেঁচে যাওয়া ১৫ মাসের মুসা দাইয়িব। ছবি: ইন্টারনেটচিকিত্সকেরা জানান, মুসার দুই হাত ভেঙে গেছে। তার মেরুদণ্ড ও পাঁজরের হাড়ও ভেঙে গেছে। প্রচণ্ড আঘাতের ফলে মুসার শ্বাসকষ্টে সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য তাকে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হচ্ছে। তবে শিশুটির অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল। সে বেঁচে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমন ঘটনায় বিস্মিত হেনেনপিন কাউন্টির চিকিত্সাকেন্দ্রের চিকিত্সক টিনা স্লাসারও। দ্য স্টার ট্রিবিউন পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে তিনি বলেন, যদি আমি বা আপনি এত উঁচু থেকে পড়তাম, তাহলে মারা যেতাম। আর দাইয়িব তো একজন শিশু। তার শরীর আমাদের চেয়ে অনেক বেশি নমনীয়। এমন দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়ার ঘটন সত্যিই সৃষ্টিকর্তার বিস্ময়কর উপহার। কাদামাটির ওপর পড়ার জন্য সে বেঁচে গেছে বলে ধারণা করছেন চিকিত্সকেরা।
শিশুটির চাচা আবদিরহিম আহমদ এনবিসি টিভিকে জানান, আমি জানি না দাইয়িবের মা, বাবা এ ঘটনার পরে স্বাভাবিক হতে পারবেন কি না। শিশুটি পড়ে যাওয়ার পর থেকে ঘটনার জন্য নিজেদের তাঁরা দায়ী মনে করছেন।
দ্য ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরে প্রতিবেশী আবদিরিজাক বিহি বলেন, তিন বছরের বোনটি বারান্দার দরজা খুলে রেখেছিল। তাই শিশুটি পড়ে যায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় মুসা দাইয়িবের বাবা পাশের ঘরে কাজ করছিলেন। বোনটিই চিত্কার করে জানায় যে তার ভাই পড়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.