![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখনী আমার প্রতিবাদের ভাষা, ব্লগ আমার স্বপ্নবোনার জমিন, আমি এক স্বাপ্নিক চাষা
অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, এটা নিয়ে লেখা ঠিক হবে কি না। কিন্তু আজ লিখতে বসে গেলাম। বলা যায় একটি হাতির বিরুদ্ধে এ এক মশার প্রতিবাদ। শুরুতেই বলে রাখি, এই লেখাটা পড়ে যারা আমার জ্ঞান-বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তারা জেনে রাখুন, ও দুটোই আমার বড্ড কম।
যা হোক, হকিং যা বলেছেন তা সংক্ষেপে হলো, পরকাল বলে কিছু নেই, যারা অন্ধকারকে ভয় পায়, এটা তাদের বানানো রূপকথা। তিনি আরো বলেছেন, মস্তিষ্ক কম্পিউটারের মতোই মনের একটি কর্মসূচি (প্রোগাম), তাই তাত্ত্বিকভাবে কম্পিউটারে মস্তিষ্কের প্রতিলিপি তৈরি করা সম্ভব, আর এভাবে মৃত্যুর পরেও একটি জীবনকে ধরে রাখা যায়।
link: Click This Link
পরকাল নিয়ে আমার দীর্ঘদিন-লালিত ধারণা (যা এতকাল আমার স্ত্রী ও বুয়েটের রুমমেটরা ছাড়া কাউকে ফলাও করে বলিনি), মানুষের মৃত্যুর পর তার শরীর নিয়ে আল্লাহ বা ফেরেশতাদের কোন মাথাব্যথা নেই। শরীর একটি হার্ডওয়্যার, যাকে চালায় মন বা মস্তিষ্ক। কাজেই ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ সব কিছুর কৃতিত্ব বা দোষ একমাত্র অপারেটিং সিস্টেম বা মনের। হকিং এর মতো আমিও মনে করি মন অবিনশ্বর, কারণ তার কোন ভৌত অস্তিত্ব নেই। মনকে ধরা-ছোঁয়া যায় না; অনুভব করা যায় না, অনুধাবন করা যায়। মনের কোন ভৌত বা রাসায়নিক ধর্ম নেই। সফটওয়্যারেরও তাই।
১৯৯৬ সালে আমি প্রথম কম্পিউটার নামক যন্ত্রটির সাথে পরিচিত হই। Word Perfect 5.0, MS Word ও Paranoid Games – এর মধ্যে আমার কম্পিউটার সাক্ষরতা সীমাবদ্ধ ছিল। ১৯৯৯ সালে বুয়েটে ভর্তি হবার সুযোগ পাবার পুরষ্কার হিসেবে বাবার কাছ থেকে একটি Pentium-2 ডেস্কটপ কম্পিউটার আদায় করেছিলাম। সে ইতিহাস অপ্রাসঙ্গিক; তবে এর সাথে আমার মতবাদের যোগসূত্র আছে বলেই উল্লেখ করলাম। সেই তখন থেকে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলতে খেলতে আমি অনুধাবন করলাম, আমাদের জীবনটা একটা প্রোগ্রাম করা গেমস-এর মতো। এখানে কিছু বিষয় পূর্বনির্ধারিত এবং অপরিবর্তনীয়। কিছু বিষয় customize করা যায়। আর কিছু বিষয় নির্ভর করে পরিস্থিতি ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধা্ন্তের ওপর। আমি অনেককেই এটি বলেছি যে, জীবনে কে কী করবে তার কিছু পরিসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, তবু প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে কিছু কাজ করার বা না করার। কাজেই যা কিছু হয়, তার সব আল্লাহর ইচ্ছায় হয়, এটি আমি পুরোপুরি সমর্থন করি না। গেমসগুলোয় কখন কোন লেভেলে কী কী ঘটবে, তার কিছু অংশ আগেই প্রোগ্রাম করা থাকে। কিন্তু একজন প্লেয়ার কোন লেভেল পর্যন্ত যাবেন, কত স্কোর করবেন ইত্যাদি নির্ভর করে তাঁর পারফর্ম্যান্স-এর ওপর ।
জীবনের আলোচনায় ইতি টেনে আসি মূল কথায়, তথা পরকাল প্রসঙ্গে। মানুষ মারা যাবার পর তার শরীরটিকে এক কালে মমি করা রাখা হতো। কেন হতো, আমরা জানি। বর্তমানে কোনো কোনো ধর্মে শরীরকে সমাধিস্থ করা হয়, কোনো কোনো ধর্মে পুড়িয়ে ভষ্ম করা হয়। অনেকেই রেখে দেন হিমঘরে। কিন্তু এই শরীরটির ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে আমার আলোচনা নয়। মূল প্রশ্ন, মৃত্যুর পর মানুষটি যায় কোথায়? মানুষটি যেহেতু শুধু শরীর নয়, বা শুধু আত্মা নয়, কাজেই একজন আস্তিক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, শরীরের যে পরিণতিই হোক না কেন, আত্মাটি রয়ে যায় কোথাও না কোথাও। ধর্মে কী বলা আছে, তা সবাই জানেন, (কেউ মানেন, কেউ মানেন না)। আমি বিশ্বাস করি আত্মাটি বিলীন হয়ে যায় না।
জন্মের আগে আত্মা কোথায় ছিল? সব আত্মাই ছিল " আলমে আরওয়াহ"-তে। আত্মা এক অবিনশ্বর শক্তি। কাজেই মৃত্যুর পর তা শূন্যে মিলিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অনেকটা কম্পিউটারে Shift+delete করলে যেমন ফাইল/ডেটা চিরতরে গায়েব হয়ে যায়, আমার এই কথার সাথে যারা একমত, এবার তারা বলুন, হারিয়ে যাওয়া ডেটা পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব কি না? IT বিশেষজ্ঞরা জানেন, সেটি সম্ভব। অন্তত কিছুটা হলেও (নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে) তো সম্ভব । কীভাবে সম্ভব? তার মানে ওটা কোথাও না কোথাও ছিল…। তাহলে বলুন, বিলীন হয়ে যাওয়া আত্মার পক্ষে কোথাও না কোথাও সংরক্ষিত থাকা খুব কি অসম্ভব?
কবরে আযাবের যে বর্ণনা আমাদের ধর্মে আছে, অনেকেই তা উড়িয়ে দেন এই বলে যে, কেউ যদি প্লেন ক্র্যাশে বা জাহাজডুবিতে মারা যায়, তাহলে তার কবর কোথায়, আর আযাবটাই বা হবে কোথায়? আমার ধারণা, শরীরটি কোথায় আছে তা মূখ্য নয়। আত্মাটি যেখানে সংরক্ষিত থাকে, সেখানেই পৌঁছে যান মুনকার-নাকীর নামের সেই কবরের ফেরেশতা, শুরু হয় সওয়াল জবাব। প্রশ্ন আগে থেকেই ফাঁস হয়ে আছে, তবু নাকি ‘ভাল ছাত্র’ ছাড়া কেউ এই পরীক্ষায় পাশ করে না। পরীক্ষায় পাশ না করার ফলাফল: ভয়ংকর আযাব। আমার মতে, এই আযাব ঘটে Virtually, একমাত্র আত্মা এটি অনুভব করে। (আমরা যারা স্বপ্নের ভেতর পানিতে ডুবেছি, বা মার খেয়েছি, তারা জানি, বাস্তবে মার না খেলেও ব্যথা একই রকম অনুভূত হয়। কিছুদিন আগে আমি স্বপ্নে দেখছিলাম আমি পানির গভীরে ডুবে যাচ্ছি; এবং অনেক দীর্ঘসময় আমি শ্বাসকষ্ট অনুভব করছিলাম।) স্বপ্ন বিষয়টি একটি ভারচুয়াল রিয়েলিটি। পরকালও আমার কাছে তাই।
শেষ বিচারের দিন কী ঘটবে তা সব ধর্মেই বিস্তারিত বলা আছে। আমাদের ধর্মে আছে, সূর্য মাথার ওপর নেমে আসবে, সবাইকে পুনরুত্থিত করা হবে, কারো গায়ে কাপড় থাকবে না, কেউ কাউকে চিনতে পারবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা যারা অ্যানিমেটেড মুভি দেখি, তারা জানি অবাস্তব বস্তুকে কতটা বাস্তব করে সৃষ্টি করা যায়। কাজেই একজন মানুষ তার মৃত্যুর পর যদি দেখেন, তার কবরে (কবর বলতে আমি সেই স্থানকে বুঝাচ্ছি না যেখানে তার শরীর রাখা আছে; বরং যেখানে তার আত্মাকে রাখা হয়েছে সেটি তার জন্যে কবর) সওয়াল-জবাব হচ্ছে, তার কিছু বছর পর ইস্রাফিল শিঙ্গায় ফুঁ দিলেন, তারপর তার বিচারকার্য শুরু হলো এবং জীবনকালে তার কৃতকর্ম অনুযায়ী বিচার করে তাকে জান্নাত বা জাহান্নামে পাঠানো হলো – সেটা কি খুব অসম্ভব? এই ঘটনাগুলি বাস্তবেই ঘটতে হবে কেন? এটি যদি মৃত ব্যাক্তির মনের ভেতর ঘটে, তাহলে সমস্যা কী?
পৃথিবীতে যখন টেলিভিশন ছিল না, তখন মানুষ ভাবতে পারেনি একই ব্যক্তিকে একাধিক স্থান থেকে দেখা সম্ভব। যখন ইন্টারনেট আসেনি, তখন মানুষ কল্পনা করতে পারেনি কত দ্রুত দূরতম স্থানে বার্তা পাঠানো সম্ভব। একটি ঘটনা দ্বিতীয়বার দেখা যায়, এমনটা এক সময় কেউ ভাবতে পারকতো না। তখন মানুষের বিশ্বাস করতে কষ্ট হতো, সে জীবনে যা কিছু করেছে, শেষ-বিচারের দিনে তাকে সব দেখানো হবে। এখন আমরা কথায় কথায় মোবাইলের ক্যামেরায় ভিডিও করি, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফেসবুকে আপলোড করে দুনিয়াকে জানিয়ে দিই; এখন তো আমরা বিশ্বাস করতেই পারি যে, আমরা জীবনে যা করছি, প্রত্যেকের একটি বিশেষ একাউন্টে তার ফুটেজ save হয়ে যাচ্ছে। এবং কেয়ামতের দিন তা বিশাল প্রজেক্টরে দেখানো সম্ভব।
স্বর্গ-নরক বলুন আর জান্নাত-জাহান্নাম বলুন, সব ধর্মে মৃত্যুর পর দুই ধরনের জীবনের কথা বলা আছে। একটি পরম শান্তির, অপরটি চরম শাস্তির। আমি সব ধর্মের গ্রন্থ পড়িনি। আমার জ্ঞান আমার ধর্মের ভেতর সীমিত। সেই সীমিত জ্ঞানে বলতে পারি, সেই যে শীতল বায়ুপ্রবাহ, স্বর্ণের ইট দিয়ে তৈরি গৃহ, বিশালাকার ছায়াদার বৃক্ষ অথবা জমিনের তলদেশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সোতস্বিনীর যে লোভনীয় বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তা তৎকালীন উষ্ণ আরব দেশীয় লোকেদের পরম কাম্য বস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম বলেই দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্ম যদি আরবে অবতীর্ণ না হয়ে ভারতবর্ষে বা ইউরোপে অবতীর্ণ হতো, বেহেস্তের বর্ণনা অন্যরকম হতো। মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই ভোগবিলাসী, আর তাইতো পুরুষদের জন্যে অল্পবয়স্কা সেবাদাসীর প্রলোভন…। “যে যা ইচ্ছে খাবার খেতে পারবে” এই bottomless offer আজকাল তো অনেক রেস্টুরেন্টই দিচ্ছে, সেই আমলে এটা ছিল কল্পনাতীত, আর হয়তো তাই তা চলে এসেছে জান্নাতের বর্ণনায়…। জাহান্নামের বর্ণনায় তেমনি উঠে এসেছে বিশালাকার সাপের দংশন আর অন্তহীন আগুনের লেলিহান শিখার ভীতিসঞ্চারক বিবরণ।
আমার বক্তব্য হলো, স্টিফেন হকিং এর মতো যাঁরা ভাবছেন, এসব আসলে কিছুই exist করে না, তারা ভুল বলছেন না, আবার ঠিকও বলছেন না। আমি মনে করি, আসলেই এসবের কোন existence নেই বাস্তব জগতে। সৃষ্টিকর্তা সব বানিয়ে রেখেছেন এক ভার্চুয়াল জগতে। যারা “হ্যারি পটার” এর সিনেমাগুলো দেখেছেন, তারা জানেন বাস্তব জগত থেকে অবাস্তব জগতে পৌঁছানোটা আর কল্পনাতীত নয়।
শেষ করি, আল-কোরআনের একটি বাণী দিয়ে, যার মর্মার্থ হলো, আল্লাহ এমন অনেক কিছু ঘটান যা আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধি দিয়ে আমরা অনুধাবনও করতে পারি না। কাজেই ধর্মে বর্ণিত সবকিছুকে Physics, Chemistry বা Philosophy-র এ যাবৎকালের আবিষ্কৃত তত্ত্ব দিয়ে বিচার করতে যাওয়াটা জ্ঞানীর লক্ষণ নয়।
- কাজী মিতুল
22.9.2013
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
কাজী মিতুল বলেছেন: সহমত
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্ধের হাতি দর্শনের গল্প জানেনতো!
তারা ঐ একটা রুপকে দেখে ঐটাই চূড়ান্ত বলে মেনে নিজেরা বিজ্ঞান মনস্ক দাবী করেও অবৈজ্ঞানিক প্রমাণ করছে নিজেদেরই!!!
আপনার বোঝা খারাপ না, পূর্ণও না। তবুও সত্যকে জানার চেষ্টা আপনার মাজে আছে..
কিন্তু তাদের সীমাবদ্ধতায় একটা সীমার মাত্রকে পেয়েই অসীমকে অস্বীকারের বোকামো দেখে শুধু করুনা হয়।
++++
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২
কাজী মিতুল বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার সম্পর্কে আপনার মন্তব্যটি বেশ মনে ধরেছে আমার
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আপনার নিজস্ব ভাবনা ভালো লাগলো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
কাজী মিতুল বলেছেন: ধন্যবাদ ! আমি বলছি না, কাউকে এটা মানতে হবে, বা আমি সঠিক বলছি। এটা আমার একান্ত নিজস্ব ধারণা। আমার সন্তানের মাঝে আমি এই ধারণা সঞ্চারিত করে যাব
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর পর কিছু নেই এটা মেনে নিতে পারি না। কিন্তি কোথায় যাবো সেটা নিয়েও অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। এর সমাধান মরার পরেই বোঝা যাবে! তবে আপনার চিন্তার সাথে আমার মিল রয়েছে কিছুটা।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
কে বা কারা বলেছেন: হকিংয়ের 'প্রতিলিপি বানানো'র বক্তব্যের মধ্যেই পুনরুত্থানের কথা নিহিত আছে।
وَالَّذِي نَزَّلَ مِنَ السَّمَاءِ مَاءً بِقَدَرٍ فَأَنشَرْنَا بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا ۚ كَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ [٤٣:١١]
"এবং যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন পরিমিত। আতঃপর তদ্দ্বারা আমি মৃত ভূ-ভাগকে পুনরুজ্জীবিত করেছি। তোমরা এমনিভাবে উত্থিত হবে।" সূরা জুখরুফ : ১১
অন্য জায়গায় আছে, তোমরা কিছুই ছিলে না। কিছু না থেকে যেভাবে তোমাদেরকে তিনি সৃষ্টি করেছেন, একইভাবে আবার তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করবেন।
যা-ই হোক, আমাদের সমস্যা হলো এরকম কিছু লোক আমাদের সামনে সন্দেহমূলক কিছু কথাবার্তা উঠিয়ে দেয়; আমরা তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু সেই সময়টা যদি আমরা কুরআন অধ্যয়নে ব্যয় করতাম, আমাদের সন্দেহ দূর হয়ে যেতো।
লেখককে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সহজভাবে সহজ কথা আপনি উপস্থাপন করেছেন। আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিন। জাজাকাল্লাহু খাইরান।
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
উড়োজাহাজ বলেছেন: আরো বহু কথা বলা যায়। কিন্তু বলে লাভ নেই। আমার কথায় তারা পরিবর্তিত হবে না।
তারা বিখ্যাত, আমি অখ্যাত। অবশ্য অথ্যাত বলে কোন দু:খ নেই।
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আসলে মানুষ নীতি আদর্শ বা শুভর পক্ষ নিয়ে যেসব নীতিমালা বা নৈতিকতার মানদন্ড দাঁড় করায় বাস্তব জীবনে অনেক সময়ই তার সঠিক প্রতিফলন দেখা যায়না। যেমন, নৈতিকতা বলে ভালো কাজ করলে ভালো হবে খারাপ কাজ করলে তার জন্য ক্ষতি হবে। কিন্তু অনেক সময়ই বাহ্যিক দৃষ্টিতে দেখা যায় একজন অনেক সৎ জীবন যাপন করে অত্যন্ত কষ্টকর জীবন যাপন করছে আবার একজন অসৎ অনেক বেশী সুখে সাচ্ছ্যন্দে জীবন যাপন করছে। তখন আমাদের সাধারণ ভাবনা স্বভাবতই প্রশ্ন তুলে আসলে হচ্ছেটা কি? শুভ অশুভের ফারাকটা কোথায়? হিসেবটা মিলছেনা কেন? তখন এই হিসেব মেলানোর জন্য আসে পরকাল। মানে, ইহজীবনই সবকিছু না। এর সব চুড়ান্ত হিসেব করে অশুর শাস্তি ও শুভর পুরষ্কার পাওয়া যাবে পরকালে। সেভাবেই আসে ধর্মের বেহেশত দোযখ। এখন চুড়ান্ত হিসেব পরকালে নিয়ে গেলে তখন প্রশ্ন আসে, তাহলে সেখানে কে এসবের হিসেব নিবে? আর তখনই প্রয়োজন হয় একজন বিচারকের। কিন্তু বিচারক কে, কি তার পরিচয়? ধর্মগ্রন্থের নানাবিধ তত্ত্ব আলোচনার বিচারে, পরকালের বিচারক এমন একজন যার কল্পনা করা আমাদের সাধ্যাতীত অতিপ্রাকৃত এক সত্ত্বা। এভাবে বিচারকের ব্যাক্তিত্ব বিশ্লেষণ করলে তার বিচার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করার অবকাশ থাকেনা। আর এভাবেই পৃথিবীর আলোচিত নিয়ম নীতির বা নৈতিক কথার যে বৈপরিত্য সমাজে দেখা যায় তার একটি ব্যাক্ষা সমাজকে দেয়া যায়।
৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: তবে বিজ্ঞানের উপর ভর করে কোন সিদ্ধান্তে আসাটাও এক ধরনের সংকীর্ণতা। কারণ বিজ্ঞানের সুত্রগুলো সবসময়ই পরিবর্তিত। আগামীতে নতুন তত্ত্ব আসবে কিন্তু কি সে নতুন তত্ত্ব বিজ্ঞানকে যারা বেদবাক্য মানে তারা সেটা জানেনা। আসলে কেউ জানেনা। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের কিছু ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী করা গেলেও তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের উচ্চতর শাখা বরাবরই ধোঁয়াটে এবং ঘোলাটে। যার কারণে আজকের একটি তত্ত্বের উপর ভর করে ঈশ্বর পরকাল এসবের ব্যাপারে চুড়ান্তে সিদ্ধান্তে আসাটা কতটা যৌক্তিক সেটাও বিজ্ঞানবাদীদের বিবেচনা করতে হবে।
৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুর পর কিছু নেই এটা মেনে নিতে পারি না। কিন্তি কোথায় যাবো সেটা নিয়েও অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে। এর সমাধান মরার পরেই বোঝা যাবে!
@হামা ভাই.. মরার আগেই জেনে গেলে কতইনা সূখের আর স্বস্তির! নয়?
কে বলেছে মরার ছাড়া জানা যাবেনা? আর মরার পরে জেনেও তো আপনি সংশোধনের বা গ্রহন বর্জনের সুযোগ পাচ্ছেন না।
সো আপনাকে এখান থেকেই জেনে, আয় করে যেতে হবে।
আদ্ব দুনিয়া মাজরাইতুল আখেরাহ...
দুনিয়া আখেরাতে শস্য ক্ষেত্র স্বরুপ।
সো এইবার আসেন- আপনার জমিন কোনটা?
সেখানে কোন ফসলে আপনার লাভ হবে?
তা ফলানোর পদ্ধতি কি?
পরিচর্যার পদ্ধতি কি?
ফষল কাটা সংরক্সনের পদ্ধতি কি?
ব্যাস! এইবার আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে ওপার যাত্রা করেন।
দুনিয়ার ৬০ বছরের জন্য, বসের ভয়ে, বা নিজের তুষ্টির জন্য বস্তুগত ক্ষয়িত দেহের জন্য উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন, করছি আমরা সবাই-
অথচ যে আত্মা এই দেহকে জাগ্রত রাখছে-তাকেই ভুলে বসে আছি। যে আত্মা দেহ ছেড়ে যাবার পরপরই পচনের ভয়ে দ্রুত দাফন করা হয়।
যেই প্রিয়জনদের জন্য সারা জীবন সব সুন্দর দামী জিনিষ আয় করলেন, দান করলেন- তারাই দ্রুত দেহটাকে ঘর থেকে বের করে দিতে চায়!!!!!!
হায় কি অর্জন? একি প্রাপ্তি?
তাই- যে অর্জন শুধূ নিজের জন্য, আত্মার জন্য যা কোনদিন হারিয়ে যাবে না, যা কখনো কমবে না, যা সেই অনাগত দিনকে সয়ম্বর করবে-তারজণ্য একটু পরিশ্রম, একটু জ্ঞান অর্জন কি জরুরী নয়???????
১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
খাটাস বলেছেন: আপনার ভাবনা গুলো জেনে ভাল লেগেছে। কারন আমি মানুষের ভাগ্য রেখা কে এক টা ষ্টেজ গেমসের মত মনে করি, যার নানা পথ পূর্ব নির্ধারিত কিন্তু গেমার কোন পথে যাবে, তা গেমারের ব্যাপার, এখানে প্রোগ্রামারের কোন দায় নেই।
তবে যদি ও আপনি বলেছেন, এটা আপনার নিজস্ব ধারনা, কিন্তু পরকাল সম্পর্কিত ব্যাপারে একটু বলতে চাই। মৃত্যুর পর মানুষের রুহ নিয়ে যায় আজরাইল। পরকালে শাস্তি টা রুহের হবে, এটা কোরআনেই আছে, আয়াত মনে পরছে না।
আর আপনি বলেছেন, আমি মনে করি, আসলেই এসবের কোন existence নেই বাস্তব জগতে।
এই ব্যাপারে একটু চিন্তার দ্বিমত আছে। আমরা তৃতীয় মাত্রার প্রাণী, চতুর্থ মাত্রা সম্পর্কে আমাদের ধারনা নেই। আমাদের বাস্তব আর চতুর্থ মাত্রার বাস্তব এক হবে না হয়ত। বাস্তবতা কে স্ট্যান্ডার্ড ধরা মনে হয় বিজ্ঞানে মানানসই হউয়া উচিত নয়। আমার কাছে বাস্তবতা ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
ভাই অনেক দিন পর নিজের চিন্তার মত প্রথম কারও চিন্তা দেখলাম, তাই শেয়ার করলাম, কিছু মনে করবেন না।
অনেক ভাল লিখেছেন।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
কাজী মিতুল বলেছেন: আপনার মতামত সানন্দে গ্রহণ করলাম
১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২০
এম ই জাভেদ বলেছেন: বাহ , বেশ তো ধর্মের ডিজিটাল ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে ফেললেন। তো কেমন হবে ডিজিটাল স্বর্গ - নরক এ ব্যাপারে একটু বলেন।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
কাজী মিতুল বলেছেন: প্রথমত: অবিশ্বাসীদের সাথে আমি কোন তর্কে যাই না।
দ্বিতীয়ত: আপনার প্রশ্নের জবাব - স্বর্গে যার যা খুশি, সে তাই দেখতে পাবে। এক কথায় স্বর্গ হবে যার যার রুচিমতো কাস্টোমাইজড সুখের, আর নরক হবে স্রষ্টার ইচ্ছামতো আযাবের
পুনশ্চ: এটি আমার নিজের মতবাদ। কাউকে মানতে হবে, এমন কোন কথা জোর দিচ্ছি না।
১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
ডাক্তার আমি বলেছেন: শেষ করি, আল-কোরআনের একটি বাণী দিয়ে, যার মর্মার্থ হলো, আল্লাহ এমন অনেক কিছু ঘটান যা আমাদের ক্ষুদ্র বুদ্ধি দিয়ে আমরা অনুধাবনও করতে পারি না। কাজেই ধর্মে বর্ণিত সবকিছুকে Physics, Chemistry বা Philosophy-র এ যাবৎকালের আবিষ্কৃত তত্ত্ব দিয়ে বিচার করতে যাওয়াটা জ্ঞানীর লক্ষণ নয়।
agree ..
১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
মৃত্যুর পর কী হবে, মানুষের আত্মা কী অবস্থায় থাকবে, তার ষ্পষ্ট বর্ণনা হাদীছ শরীফে রয়েছে। এর এক চুল এদিক ওদিক হবে না। আমি দৃঢ়ভাবে এটাই মনে করি।
পরকাল নিয়ে হকিং কী বলেছে এটিকে এত গুরুত্ব দেয়ার কী আছে? এটা তার সাবজেক্ট এস্ট্রোফিজিক্স নয়। বিজ্ঞানের কোন বিষয় হলে তার কথার একটা গুরুত্ব দেয়া যেত। প্রাণ কীভাবে সৃষ্টি হলো হকিং বলুক। মৃত্যুকে জয় করুক। দেখি। বিজ্ঞানের শতশত সাবজেক্টে সে মাত্র একটিতে পন্ডিত। অন্য কোন বিষয়ে নয়। অন্য বিষয়ে মতামত দেয়া, আতঁলামী করা, বিরক্তিকর।
বিজ্ঞানী বিজ্ঞানের সীমার ভেতর থাকা উচিৎ। পরকাল বিষয়ে তার ভাবনা তার একান্ত ব্যক্তিগত। তাকে জিজ্ঞেস করা হলে সে নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না। এটি তার অনুমান। ধারণা মাত্র।
বিজ্ঞান মানব মনের সকল প্রশ্নের জবাব দিতে অক্ষম। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডকে বুঝতে বিজ্ঞান, ধর্ম ও দর্শন এই তিনের সমন্বয় অপরিহার্য।
মাঝে মধ্যে হকিং এর মনে পাবলিসিটির খায়েশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এর আগে সে একবার "দর্শন" ও দার্শনিকের পেছনে লেগেছিলো। আর এখন ধর্মের পিছনে লেগেছে। তার বিজ্ঞানের মেধা বোধহয় শেষ হয়ে এসেছে। আর কিছু দেয়ার ক্ষমতা নেই। তাই এটা সেটা বলে মানুষের মনোযোগে থাকতে চায়। তার উচিত বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে থাকা। নতুন তত্ত্ব পেলে তা মানুষ জানানো।
আমরা সাধারণ মানুষদের একটি বদভ্যাস যে খ্যাতির শিখরে থাকা কোন ব্যক্তি যা-ই বলুক, তা' নিয়ে নাচানাচি করা। তর্কের ফেনা তোলা। চিন্তা করে দেখে না যে ঐ খ্যাতিমান ব্যক্তিটির এ ব্যাপারে অথরিটি আছে কি-না। এ কথা মানুষ চিন্তা করে না। নির্বোধ মানব।
পৃথিবীর সবকিছু বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরীতে তৈরী হয় না। সম্ভবও নয়। শুধু বিজ্ঞান দিয়ে মানুষের চলে না। জ্ঞান বিজ্ঞানের আরও নানান শাখা রয়েছে। সব শাখার সমন্বয় দরকার ও জরুরী। তাহলেই জ্ঞানের মুক্তি। পরিপূর্ণতা। শুধুর হকিং এর জ্ঞান দিয়ে পেট ভরবে না।
খ্যাতিমান মানুষেরাও মাঝেমধ্যে পাগলামী করে থাকে। পরকাল বিষয়ে হকিং এর মন্তব্য এক ধরণের পাগলামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
ধন্যবাদ।
+++
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
কাজী মিতুল বলেছেন: সহমত
১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল জয় বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন নামের এক ব্লগার জাইগা জাইগা ঘুমায়। সে নাকি সৃস্টিতে সৃস্টিকর্তার কোন চিহৃই দেখে না। পুরান ছাগলে (আসিফ, সুভ্রত, আরো কয়েকটা) কাঠাল পাতা পায় না নতুন ছাগল আমদানী।
১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১
তাসফিক হোসাইন রেইজা বলেছেন: ভাই পরকাল এ কি হবে তা আমরা নিজ চখে দেখিনি
আর দেখাতেও পারবনা জীবন থাকা কালে
পরকাল ( মিত্তুর পরের জীবন) কিছু থাকার কথা
কারন আমার শরির মুল্লহিন হয়ে যেতে পারে না। আর থাকুক আর নাই থাকুক তা একটু পরে ভেবে আগে ভেবেনেই যে প্রবিত্র কোরআনে যা আছে সব সত্যি ভেবে নেই মানে বিশ্বাস করি , আর করে অই ভয়ে নিজে ভালো কাজ করি কার ক্ষতি না করি এটা করে আমাদের মানব জাতি ভালো থাকবে ।তাই নয় কি??
আর লেখা টা ভালোলাগা তে নিলাম
১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: আমি এখানে লেখকের সাথে কিছুটা দ্বিমত। কারণটা হল স্টিফেন হকিংসের জীবনাচরণ এবং তার মন্তব্যের প্রেক্ষাপট।
স্টিফেন হকিংসকে একসময় তার চিকিৎসকরা বলেছিলো যে সে আর বড়জোর ২ মাস বাঁচবে। সেটা তার যুবক বয়সের কথা (২৫/২৬ বছর, শিউর না)। কিন্তু অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর অধ্যবসায়ের কারণে তিনি এখনও বেঁচে আছেন এবং তাঁর গবেষণার ক্ষেত্রে নিজেকে একজন কিংবদন্তী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি যেটা বুঝাতে চেয়েছেন, তাঁর এই বেঁচে থাকার জন্য পরকালের বিশ্বাস আনার কোন প্রয়োজন হয়নি।
তাই ব্যাপারটাকে আমরা তাঁর নিজস্ব মত হিসেবে ধরে এখানে একটা প্রশ্ন নিয়ে আলাপ করতে পারি, "পরকালে বিশ্বাস নাকি পরকালে অবিশ্বাস, কোনটা জ্ঞানচর্চা এবং জীবনে সফল হওয়ার জন্য জরুরী? কারণ সাধারণত পরকালে অবিশ্বাসীগণ চরম প্র্যাকটিক্যাল মানুষ হয়ে থাকেন এবং এই পৃথিবীর জীবনে যশ,বিত্ত, বৈভব পাওয়ার সম্ভাবনা তাদেরই বেশি থাকে। পরকালে বিশ্বাসী মানুষের চিন্তাভাবনা যেহেতু এককেন্দ্রিক হয়ে থাকে সেহেতু তাঁর পক্ষে কি মুক্তভাবে জ্ঞানচর্চা করা সম্ভব? "
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
কাজী মিতুল বলেছেন: আমাদের সমাজে পরকালে বিশ্বাসী মানুষেরা কিন্তু অন্যায় কাজ বন্ধ করেন না। তারা পাপ করেন, তারপর ক্ষমা চান। আবার পাপ করেন।
আর আমি যত জন অবিশ্বাসী/নাস্তিক মানুষ দেখেছি, তারা অপেক্ষাকৃত সৎ ও সরল জীবন যাপন করেন।
কাজেই মানুষ হিসেবে আমি কেমন, তা আমার বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে না, করে আমার আচরণের উপর।
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪২
যে শহর চোরাবালি বলেছেন: তাইলে ভাই হুরের সাথে ব্যপারটা আর স্বপ্নদুষের ব্যাপারটা একই রকম হৈবে ??
১৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
জগ বলেছেন: আহাম্মক হকিং এর কথা শুইনা নাস্তিক মুরতাদরা ল্যাজে-পানি পাইব- এইটা আমি আগেই ভাবছিলাম। অখন এইগুলানের নর্তক কু্র্দন দেখবার লাগি গ্যালারীতে বসলাম।
১৯| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: আপনার লেখাটা একটানে পড়ে ফেললাম।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
কাজী মিতুল বলেছেন:
২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: পরকালে বিশ্বাস যে জায়গা থেকে এসেছে সেই ধর্মের মর্ম অনুধাবন করার মত মানুষ আমাদের চারপাশে অনেক কম। তাই হয়তো তাদের বিশ্বাসটা তাদের জীবনাচরণের উপর তেমন প্রভাব ফেলছে না। কিন্তু মানুষের আচরণ সম্পূর্ণ বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল। আপনি যাদের কথা বলেছেন তারা হয়তো সামাজিক মুল্যবোধের উপর বিশ্বাসী। কিন্তু বিশ্বাস ছাড়া মানুষ এককদমও ফেলে না।
২১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: খাটাস বলেছেন: আপনার ভাবনা গুলো জেনে ভাল লেগেছে। কারন আমি মানুষের ভাগ্য রেখা কে এক টা ষ্টেজ গেমসের মত মনে করি, যার নানা পথ পূর্ব নির্ধারিত কিন্তু গেমার কোন পথে যাবে, তা গেমারের ব্যাপার, এখানে প্রোগ্রামারের কোন দায় নেই।
তবে যদি ও আপনি বলেছেন, এটা আপনার নিজস্ব ধারনা, কিন্তু পরকাল সম্পর্কিত ব্যাপারে একটু বলতে চাই। মৃত্যুর পর মানুষের রুহ নিয়ে যায় আজরাইল। পরকালে শাস্তি টা রুহের হবে, এটা কোরআনেই আছে, আয়াত মনে পরছে না।
আর আপনি বলেছেন, আমি মনে করি, আসলেই এসবের কোন existence নেই বাস্তব জগতে।
এই ব্যাপারে একটু চিন্তার দ্বিমত আছে। আমরা তৃতীয় মাত্রার প্রাণী, চতুর্থ মাত্রা সম্পর্কে আমাদের ধারনা নেই। আমাদের বাস্তব আর চতুর্থ মাত্রার বাস্তব এক হবে না হয়ত। বাস্তবতা কে স্ট্যান্ডার্ড ধরা মনে হয় বিজ্ঞানে মানানসই হউয়া উচিত নয়। আমার কাছে বাস্তবতা ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
****সহমত
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯
শেলী বলেছেন: পরকালে বিশ্বাস থাকলে পাপ করে ক্ষমা চেয়ে পার পাওয়া যায়না,কারন এটা হল আল্লাহর সাথে বাটপারি। আমাদের দেশের যারা পরকালে বিশ্বাস করে ইচ্ছে করে গুনাহ করেন তাদের ধর্ম নিয়ে জ্ঞান কম আছে। আর আমি ব্যক্তিগতভাবে যত নাস্তিক দেখেছি সবাই অত্যন্ত কটুভাষী, অহংকারী,মানবিক ভাবে অনেক খারাপ। এজন্য আমরা নিজেরা বলে চাইনিজ মানুষরা অনেক খারাপ,তাদের সাথে কাজ করা খুবই কঠিন।কারন তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেনা ,যদিও তারা কাজের বেলায় সৎ হয়।
আরেকটা ব্যাপার বলছি, মরার পর ত মানুষের টাইম কনসেপ্টটা চলে যাবে,তাই সাথে সাথেই কিয়ামতকেফেস করবে তাই না?
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
উড়োজাহাজ বলেছেন: ধর্মে বর্ণিত সবকিছুকে Physics, Chemistry বা Philosophy-র এ যাবৎকালের আবিষ্কৃত তত্ত্ব দিয়ে বিচার করতে যাওয়াটা জ্ঞানীর লক্ষণ নয়।
আজ থেকে একশত বছর পরে আপনার কতদূর চিন্তা করতে পারবেন এখন তার কল্পনা করতে পারছেন কি?
হকিঙস বা এই জাতীয় মানুষগুলোর বুদ্ধি একমুখী হয়। অর্থাত তাদের লিমিট থাকা জ্ঞান একদিকে ঝুকে যায়। বাকী দিক, আত্মার দিক শূন্য হয়ে যায়। গাজাখোরদের ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই ঘটে। খারাপ অর্থে নিবেন না, এটাই বাস্তবতা। গাজাখোরদের কোন বিষয় নিয়ে ভাবতে পারলে তারা খুব উন্নতি ঘটে। হকিঙ অনেকটা প্রতিবন্ধি, তার শরীরের ক্ষমতা মাথায় প্রবেশ করেছে। সুতরাঙ তার বুদ্ধির প্রশঙসা করলেও অন্তর্জ্ঞানের জন্য করুনা হয়।