নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় বদর-ওহোদ-কারবালা ।

রাসেল সরকার

প্রিয়নবীর প্রেমহীন আত্মামৃত, সর্ব মিথ্যার অন্ধকারে নিমজ্জিত ।

রাসেল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদ নয় ধর্ম নাশের যাঁতাকল

১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

পবিত্র কলেমার শত্রুরা আল্লাহর প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামকে হত্যার বহু মরণ ফাঁদ তৈরি করেও সক্ষম হয়নি । মহান প্রিয়নবীকে হত্যা করতে গিয়ে স্বয়ং তারাই চির জান্নামী হয়ে প্রাণ হারিয়েছে । যেমনঃ ইসলামের প্রথম যুদ্ধ বদর ময়দানে অন্ততঃ ২৪ জন সত্যের শত্রু প্রাণ হারায় ।
এ কারণেই প্রিয়তম নূরনবী হিজরত করে মদিনাতুল মনোয়ারায় গমন করার পরও কুফফারে কুরাইশগণ মহান প্রিয়নবীর শত্রুতায় মেতে উঠে । তারা মদিনাতুল মনোয়ারার মুনাফেকদের সাথে এ মর্মে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল যে, প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম যেহেতু মক্কাতুল মোকাররমা ত্যাগ করে মদিনাতুল মনোয়ারায় বসতি স্থাপন করেছেন, তাই তোমাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ রইল, তোমরা তাঁকে মদিনাতুল মনোয়ারাতেই হত্যা করবে । মদিনাতুল মনোয়ারার মুনাফেকগণ কুরাইশদের বন্ধুত্বের খাতিরে মহান প্রিয়নবীকে হত্যা করার বহু পরিকল্পনা অংকন করে, কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি পরিকল্পনাই ব্যর্থ হয়ে যায় ।
মুনাফেকদের একটি পরিকল্পনা ছিল এই যে, ইবাদত বা উপাসনার নামে,তারা যেরার নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করে এবং তথায় দয়াময় হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামকে উদ্ভোধনী দাওয়াত দেয় । তাদের লক্ষ্য ছিল নূরনবী যখন মসজিদে উপস্থিত হবেন, ঠিক তখন তারা সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালিয়ে আল্লাহর প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামকে হত্যা করবে । কিন্তু রাহমাতুল্লিল আল-আমিন মক্কাতুল মোকাররমায় যেরূপ কাফের হতে সতর্ক ছিলেন, তদ্রুপ মদিনাতুল মনোয়ারাতেও মুনাফেক হতে অধিক সতর্ক ছিলেন । এই সতর্কের মূল বাক্য ছিল আল্লাহ তায়ালা মুনাফেকদের তথাকথিত মসজিদ খানাকে অনিষ্টকারী মসজিদ নামে অভিহিত করেন । যেমন বলেনঃ মুনাফিকরা হল এরূপ ব্যা্কি যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে । যা হল অনিষ্টকারী ও কুফরীতে ভরপুর । অর্থাৎ মুনাফেকদের উদ্দেশ্য হল তারা তথায় আপনাকে হত্যা করবে । (আপনি সতর্ক হউন) ।
মসজিদে যেরার অনিষ্টকারী মসজিদ হল, কিরূপে তা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের মধ্যে ব্যাখ্যা করেননি, তবে হাদীস শরীফের মধ্যে উহার বিস্তারিত আলোচনা বর্ণিত আছে । সেই আলোচনাটি এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ ।
"জাল্লস" নামক একজন প্রসিদ্ধ মুনাফিকের নির্দেশে মসজিদে কোবার পাশাপাশি একটি সমজিদ নির্মাণ করা হয় । এতে মুনাফিকদের উদ্দেশ্য ছিল যে, মহান প্রিয়নবী যখনই ধর্মনাশা মসজিদখানাকে উদ্ভোধন করতে আসবেন, তখনই তাঁর চতুর্দিক ঘেরাও করে দয়াময় নূরনবীকে সেখানে হত্যা করে ফেলবে ।
এতদ্ উদ্দেশ্যকে মোনাফিকগণ অন্তরে গোপন করে রেখে তারা কয়েক মাস যাবত অতি পরিশ্রম করে তথাকথিত মসজিদ খানা নির্মাণ করে । নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হওয়ার পর তারা আল্লাহর প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামকে উদ্ভোধন করার দাওয়াত দিল । আর আরজ করল, হে আল্লাহর প্রিয়তম হাবীব ! ইবাদত ও উপাসনার খাতিরে আমরা "কোবার" ন্যায় আরো একটি মসজিদ তৈরী করেছি । আপনি সেখানে পাদার্পণ করতঃ বরকতের জন্য দোয়ায়ে খায়ের করুন । উদ্ভোধনী দাওয়াত কালে রাসুলে পাক সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাবুকের যুদ্ধ পথে রওয়ানা দিচ্ছিলেন, তাই প্রিয়নবী মুনাফেকদের উদ্দেশ্য করে বললেন যে, আমি তোমাদের দাওয়াত সম্বন্ধে পরে বিবেচনা করব । এখন তোমরা যদি খাঁটি মুসলমান হও, তবে আমার সঙ্গে তাবুকের পথে রওয়ানা হও । তখন মুনাফিকরা ওজর আপত্তি জানাতে থাকে । কেহ বলে আমার কয়দিন হতে জ্বর । কেহ বলে আমার পরিবার অসুস্থ ইত্যাদি ইত্যাদি । এরূপ আরো অনেক ওজর আপত্তি পেশ করে তাবুকের যুদ্ধে যাওয়া হতে বিরত থাকলো ।
আল্লাহ তায়ালার প্রিয়তম হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তাঁর মহান সাহাবাগণকে সঙ্গে করে তাবুকের পথে রওয়ানা দিলেন । যুদ্ধ পরিসমাপ্তির পর মহান প্রিয়নবী আবার মদিনাতুল মনোয়ারার পথে রওয়ানা দিলেন । পথ চলতে চলতে যখন তাবুক ও মদিনাতুল মোনয়ারার মধ্যবর্তী স্থানে (আকাবায়) উপস্থিত হন, তখন দাওয়াত দাতা মুনাফিকগণ সে আকাবার ঘাটিতে উপস্থিত হয়ে প্রিয় নবীকে প্রাণে বদ করার ষঢ়যন্ত্র করে । আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম জানতেন যে, মুনাফিকগণ পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে । ;তাই প্রিয়নবী মহান সাহাবায়েকেরামকে নির্দেশ দিলেন যে, আমি যখন আকাবা ঘাটির নিকটে পৌঁছবো, তখন তোমরা সে ঘাটির দু'ধারের বস্তির পথ এগুতে থাকবে । আমি একাই আকাবার "মধ্য" পথ দিয়ে অতিক্রম করব । সাহাবায়েকেরাম প্রিয়নবীর নির্দেশ মোতাবেক বস্তির দু'ধারের পথে মদিনাতুল মনোয়ারের দিকে এগিয়ে চললেন ও হযরত ইমার বনি ইয়াসেরকে বললেন, তুমি আমার উটের লাগাম ধরে সামনের দিকে পথ অগ্রমর হ্‌ও । হযরত হুজায়ফা বিন ইয়ামন রাদ্বিয়াআল্লাহু আনহুকে বললেন, তুমি আমার উটের পিছে পিছে থেকো । এভাবে পথ চলতে চলতে যখন 'আকাবা' ঘাটির মুখে উপস্থিত হতে থাকেন, তখন প্রিয়নবী পিছনের দিক হতে শত্রুর উটের পায়ের শব্দ ও অস্ত্রের ঝনঝনানী শুনলেন । হযরত হুজায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু শত্রুর আক্রমণ দেখে চিৎকার দিতে থাকেন, হে শত্রুর দল ! প্রিয়নবীর পথ রুদ্ধ করো না , এর ফলাফল ভাল হবে না । হযরত হুজায়ফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর চিৎকার শুনে বস্তি পথে চলমান সাহাবায়েকেরাম যখন প্রিয়নবীর দিকে এগিয়ে আসলেন তখন মুনাফিকদের দল পার্শ্ববর্তী বস্তিতে পলায়ণ করে । অতঃপর প্রিয়নবী নিরাপদে পথ অতিক্রম করে মদিনাতুল মনোয়ারায় উপস্থিত হন । পথিমধ্যেই উপরে বর্ণিত আয়াতখানা অবতীর্ণ হয়েছিল । অর্থাৎ যে আয়াতের মধ্যে মুনাফিক নির্মিত মসজিদখানা ভেঙ্গে ফেলার কথা আছে । অতঃপর প্রিয়নবী মদিনাতুল মনোয়ারায় উপস্থিত হয়ে তথাকথিত মসজিদে যেরারকে ভেঙ্গে চূরমার করে দিলেন ।
পাঠকঃ যে মসজিদের মূলভিত্তি স্থাপন ইসলাম ধ্বংসের জন্য হয় সে মসজিদ যত বড় বা ছোট হোক না কেন, উহাকে ভেঙ্গে ফেলা উচিত । সে হিসেবে যে সমস্ত মসজিদ বা মাদ্রাসা জঙ্গীবাদের আখড়া, হোটেলের ন্যায় ব্যবহার করে শানে রেছালাতে বেয়াদবী করা হয়, ধর্মের অপব্যাখ্যা দেওয়া হয়, তা ভেঙ্গে ফেলা উচিত নয় কি ?
আল্লাহর প্রিয়তম হাবীব সাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তথাকথিত মসজিদে যেরারকে স্বমূলে ভেঙ্গে ফেলে সে স্থানে মসজিদে "ফাতেমা" নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন । আজ সেই মসজিদ খানা নজদীদের হাতে ধ্বংস প্রাপ্ত । এ ধ্বংসের মূল কারণ এও হতে পারে যে, নজদীগণ কাফের ও মুনাফিক পস্থী । মহান প্রিয়নবী মুনাফিকদের নির্মিত মসজিদ যখন ধ্বংস করেছেন তাই তারা প্রতিশোধ স্বরূপ মসজিদে ফাতেমাকে ভেঙ্গে দেয় । এ ছাড়া নজদীগণ উহুদ ময়দানে নির্মিত মসজিদে "সানায়া" কেও ভেঙ্গে নিশ্চহ্ন করেছে । মসজিদে "মায়েদা" ও মসজিদে "ইজাবা" এর বর্তমান অনুরূপ অবস্থা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.