নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা,সহজ সত্য আমার মতামত । প্রচার করুন যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়....লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানুষের জীবনকে বদলে দেয় ইসলামিক বিধান মেনে একটি সুন্দর জীবন চায়।আল্লাহ্‌ আপনি সব কিছুর মালিক ।

আর বি এম টুটুল

সহজ মানুষ,সহজ মন,সহজ কথা

আর বি এম টুটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট মানুষ ♦ নষ্ট সমাজ

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

!! জানি আমরা শুধু চিৎকার করে যাবো, আমাদের সেই চিৎকার কেউ শুনবেনা !!
কারন মানুষ আজ প্রচন্ড রকম স্বার্থপর আর নির্দয় হয়ে গেছে ।
কেউ কারো পাশে দাঁড়ানোর সময় দিবে না । যদি সে অপরাধ না করেও অপরাধী হয়ে যা,
পাশে কি হচ্ছে ভেবে কি লাভ !
কি দরকার পাশের ঘরে নির্যাতিত মানুষের নির্মম কষ্টের গোঙ্গানির আওয়াজ শোনার
কি দরকার পাশের কাম লালসার শিকার হয়ে ,পাশের ঘরে, ময়লার ভাগারে
কিংবা ড্রেনের পাশের কুকুরের কামরে ক্ষত বিক্ষত নবজাতকের চিৎকার শোনার ।

চুপ আছি,একা আছি, এইতো বেশ ভাল আছি । এতো কিছু দেখার সময় কোথায় !

< কি দরকার শোনার সেই নির্যাতিত কষ্টের আত্ত্বচিৎকার >
হায়রে মানুষ, হায়রে মানুষ কি বিশেষণ তোমায় দেবো আর !!

[ -বিচারহীন নিষ্ঠুর ধর্ষক, জন্মদেয় নির্লজ্জ ধর্ষকের বাচ্চা- ]

সমাজের রন্ধ্রে রন্দ্রে আজ অনেক ব্যাথা ! কে শুনবে অসহায় ধর্ষিত তনুদের কথা ?

এই ধর্ষণ হত্যার বীজ বুনা হয়েছিল, দিনাজপুর ইয়াসমিন ধর্ষণ হত্যা দিয়ে,
তারপর ঢাকা ভার্সিটির মানিকের ধর্ষণ গর্ব সেঞ্চুরি।
তখন থেকেই শুরু, আর আজকের সোহাগী তনু।
আমরা বারবার চুপ থেকেছি বলেই একেরপর এক নির্মম ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে।

এ সমাজ আজ পুরোটাই কুলষিত,, পচা গন্ধে নাক চেপে সমাজের পথে চলতে হয়।
সমাজের উচ্চ শিক্ষিত আর উচ্চ ভিত্ত মানুষ গুলি একেকটা স্বার্থপর,
কারন এই মানুষ গুলোর হৃদয়কে কোন ঘটনায় নাড়াতে পাড়েনি।
কোন ঘটনায় তারা একবারো প্রতিবাদ করেনি। তারা স্বার্থ ছাড়া এ চুল নড়েনা।

যদি প্রতিটি ঘটনারর পর এর বিচারের জন্য সব স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা, ভার্সিটি বন্ধ করা
হত,যদি নিজ উদ্দ্যেগে সব ছাত্র ছাত্রী নিয়ে আন্দোলন করা হত
তবে অবশ্যই আজ তনুরা ধর্ষণ হতনা।
আর কেনইবা তারা বিচারের জন্য আন্দোলন করবে,,
তারা নিজেরাই তো অনেক নিকৃষ্ট ঘটনার জন্মদাতা।
যেমন কলেজ,ভার্সিটির ছাত্রীর খাতায় পাশ নাম্বার দিতে হলে তার শরীলের মাংসপিণ্ড ছোয়ে দেখতে হবে।
আর উচ্চভিত্তের রুচিহীন নিকৃষ্ট লালসার রুচিবোধের কাছে বাসার কাজের মেয়ের ক্লান্ত দেহটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
কত আজব! কত রুচিহীন আমরা । আবার নানা যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করি ।

এ রকম হাজার ঘটনা ঘটে চলেছে, ভার্সিটি,কলেজ,হাসপাতাল, ব্যাংক ও বিভিন্ন এসি
ওয়ালা স্যারদের রুমে, তাদের মনোরঞ্জন করতে পারলেই মিলে বিশেষ পুরুষ্কার।
এই আমাদের সমাজ।
আর সেই কবি চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে কলম হাতে
অপেক্ষায় থাকে নতুন কোন তনুর জন্য দু লাইন লিখবে বলে।
আর ডাক্তার সাহেব চুরি হাতে অপেক্ষমান প্রতিটি তনুর মাংসপিন্ড টুকরো করার জন্য।
উকিল সাহেব অপেক্ষায় আছেন, তনুদের মক্কেল হিসাবে কাঠগড়ায়য় দাড় করাতে।
আর জজ সাহেব রায়ের তারিখ দিয়েই বেলা শেষ করে যাচ্ছে।

রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, তবে আর কি বা করার থাকে।
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত এড়িয়াতে সেনাবাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে যখন এতো বড়
ঘটনা ঘটে, আমাদের নিরাপত্তার জন্য আর কার উপর নির্ভর করার উপায় থাকে।
আজ সেই সব জ্ঞানী মারকা বিভিন্ন পুরস্কারপ্রাপ্ত বেয়াদব মানবাধিকার কর্মীরা
চুপ করে থাকে কারন তনুদের নিয়ে কথা বললে তাদের সারথ হাসিল হবেনা।
সরকারি বেসরকারি বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে স্পেশাল বোনাস মিলবেনা।
আর তনুদের জন্য ক্ষমতাশীলরা সব সময় আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়েই যাবে।
আজ না হলে কাল বিচার হবেই হবে।
আর সেই মুলা দেখে দেখে আমাদের মত আম পাবলিকের এক তনু থেকে আরেক তনুর
বিচারের আওয়াজ চাপা পড়ে যায়।
জানি বিচার হবে, আবার বিচারহীন নিকৃষ্ট ধর্ষক জন্মদিবে নতুন কোন ধর্ষিত তনুর।
তবু তনুদের বিচারের আশায় আম জনতা চিৎকার করে যায়।

বিচার চাই-বিচার চাই, তনু হত্যার বিচার চাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

বিজন রয় বলেছেন: বিচার নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.