নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই।কোথাও কেউ নাই। শুধু শূন্য। মহাশূন্য।\n

রেফায়েত প্রধান

পরিচয় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি । খুঁজে পেলেই জানিয়ে দেব।

রেফায়েত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবন্ধ: মা দিবস

১০ ই মে, ২০১৫ রাত ২:০৯


, "মাকে কিভাবে ভালবাসা উচিৎ আর আমরা কিভাবে ভালবাসছি। "
,
,
আপনার উঠোনে ১ টা মুরগী তার বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ঘুড়ে বেরাচ্ছে। আপনি তাদের সামনে ১ মুঠো চাল ছিটিয়ে দিয়ে মা মুরগী টার দিকে লক্ষ করুন।আপনি দেখতে পাবেন, মা টুকটুক করে চাল ১বার মুখে নিচ্ছে আবার ফেলে দিচ্ছে। কারণ কি?? কারণ হল মা তার বাচ্চাদের খাওয়া শেখাচ্ছে। আর নিজে খাচ্ছে না যাতে তার বাচ্চারা বেশি বেশি খেয়ে দ্রূত বড় হতে পারে।
,
সামান্য মুরগীর যদি তার বাচ্চাদের জন্য স্নেহ, মমতা,ভালবাসা এই হয়, তাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষের তার সন্তানের প্রতি স্নেহ, মমতা, ত্যাগ, ভালবাসা সম্পর্কে বলাই বাহুল্য। আমি যেটা বলতে চাই তা হল মায়ের এই অফুরন্ত ভালবাসার বিপরীতে আমরা মাকে কি দিচ্ছি? মার সাথে কেমন ব্যবহার করার কথা, আর কেমন করছি?
,
আল্লা পাক সূরা বনী ইসরাঈলের মধ্যে বলেছেন, তোমরা মা-বাবার সাথে বিরক্তি সূচক "উহ" শব্দ পর্যন্ত করবে না।
,
আল্লাহর আদেশের বিপরীতে আমরা কি করছি? উহ শব্দতো কোন বিষয়ই না বরং সারাদিন আমরা অতীব তুচ্ছ ব্যপারে ও মাকে ঝাড়ির উপর রাখি।শেষ পর্যন্ত বিরক্তির চরম বহিঃপ্রকাশ হিসাবে মাকে রেখে আসি বৃদ্ধাশ্রমে। তারপর সভা-সেমিনারে, কবিতা-গল্পে আর ফেসবুকে মাতৃভক্তি জাহির করি।
,
রাসূল (সাঃ) কে এক সাহাবী প্রশ্ন করলেন, ইয়া নাবী, আমার কাছ থেকে সবচেয়ে ভাল ব্যবহার পাওয়ার যোগ্য কে?
নবীজি বললেন, তোমার মা।
সাহাবী বললেন, তারপরে কে?
নবীজি বললেন,তোমার মা।
এভাবে নবীজি ৩ বার বললেন মায়ের কথা, চতুর্থবার বললেন বাবার কথা।
,
,
যখানে নবীজি বাবার চেয়েও মায়ের মর্যাদা ৩ গুন বেশি দিলেন সেখানে আমরা কি করছি ??
মাসের প্রথমেই বেতনের অর্ধেক টাকা দিয়ে আপেল-কমলা-আংগুর, গরু-মুরগী-খাসি, পারলে গোটা বাজার সুদ্ধ শাশুড়ির পায়ে ঢেলে দেই। আর মিনিটে ৫০ বার আম্মা আম্মা জপতে জপতে মুখের ফ্যানা তুলে ফেলি। অথচ অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের জন্য আপেল-কমলা তো দূরের কথা, প্রয়োজনীয় ওষুধ(ইনসুলিন) কিনতে গেলে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। মনে মনে ভাবি ২/১দিন ইনসুলিন না নিলে কি এমন হবে? পরে কিনে দেব নে।
পরে আর কিনে দেওয়া হয়না।
(বিঃদ্রঃ আমি শাশুড়ি কে অসম্মান করে কিছু বলছি না।
,তার প্রাপ্য সম্মান আমি অবশ্যই তাকে দিতে চাই।)
,
রাসূল (সাঃ) সহাবাদের বললেন, কেউ যদি তার পিতা-মাতার প্রতি ১বার রহমতের দৃষ্টিতে তাকায় তবে তার আমলনামায় ১টি কবুল হজ্জের সওয়াব লেখা হবে। সাহাবারা বললেন, ইয়া নবী, যদি কেউ ১০০ বার তাকায়, তবে?? নবীজি বললেন, তবে ১০০ টা হজ্জের সওয়াব দেয়া হবে।
,
,
অথচ, রহমতের দৃষ্টি তো দূরের কথা মা-বাবার দিকে তাকানোরই যেন সময় নেই আমাদের।লাখ লাখ টাকা খরচ করে আমরা মক্কা যেয়ে হজ্ব করে আসতেছি যেটা কবুল হওয়ার কোন গ্যারান্টি নাই।তারপর আলহাজ্ব পদবী নিয়ে সমাজে দম্ভভরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছি।
,
এভাবে কুরআন -হাদিসের অসংখ্য জায়গা থেকে উদাহরণ দেয়া যাবে যে মা-বাবার সাথে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। এবং আমরা সেই হুকুমগুলো কিভাবে অমান্য করছি বাস্তব জীবনে তারও অভাব নেই।
,
শুধু ইসলাম ধর্মেই নয়, প্রতিটা ধর্মেই বলা হয়েছে মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার করার কথা, তাদের সেবা করার কথা।
,
,
,
তাই সবার প্রতি অনুরোধ, মা-বাবার প্রতি ভালবাসা ১ টা বিষেশ দিনের ভিতর সীমাবদ্ধ করে ফেলবেন না, প্লিজ।বরং মা-বাবাকে ভালবাসুন প্রতিটা দিন, প্রতিটা ঘন্টা, প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা মুহূর্ত। নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালবাসতে শিখুন মা-বাবাকে।।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:৩৭

মোঃমোজাম হক বলেছেন: ভাল বলেছেন ভাই

১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

রেফায়েত প্রধান বলেছেন: ধন্যবাদ হক ভাই

২| ১০ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

টি এম মাজাহর বলেছেন: " মাসের প্রথমেই বেতনের অর্ধেক টাকা দিয়ে আপেল-কমলা-আংগুর, গরু-মুরগী-খাসি, পারলে গোটা বাজার সুদ্ধ শাশুড়ির পায়ে ঢেলে দেই।" আপনি কাকে দেখে এগুলো বলেছেন জানি না, কিন্তু ৯৯ ভাগ লোক কিন্তু এরকম না। অযথা ঢালাওভাবে এভাবে বলা ঠিক না। প্রত্যেকে তার মা কে সর্বোচ্চ পরিমাণই ভালোবাসেন। একেক জনের ভালোবাসার প্রকাশ একেক রকম। আমার মতোন করে অন্য একজন ভালোবাসা দেখাতে পারলোনা দেখেই সে তার মা কে কম ভালোবাসলো, এটা ভাবা ঠিক নয়। মা হলেন এমন একটি বাধন যে বাধন মহাজগতের কেউ চাইলেও ছিড়তে পারবে না।

১০ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

রেফায়েত প্রধান বলেছেন: মাজাহর ভাই, এই লাইন টার ঠিক পরেই কিন্তুু আমি বলেছি যে শাশুড়ির প্রাপ্য সম্মান তাকে আমি দিব।
এবার কথা হল মায়ের থেকে শাশুড়ির সম্মান কখনো বেশি হতে পারে না।
দ্বিতীয়ত, মাকে একটু ঝাড়ি দিলেই কি বা একটু উচু গলায় কথা বললেই কি আর সব সময় খোঁজ খবর না নিলেই বা কি?? মায়ের বাঁধন তো আর কখনো ছিড়ে যাবে না। অন্যদিকে শাশুড়ির খোঁজ খবর রেগুলার না রাখলে বাসায় বউয়ের সাথে বেধে যাবে লঙ্কা কান্ড। ছিড়ে যাবে বঁধন। তাই শশুড়বাড়ির খোঁজ নেয়া চাই টাইম টু টাইম। আমি যতটুকু জানি এটাই বর্তমান বাংলাদেশের মোটামুটি চিত্র। তবে ভালো সন্তান ও অনেক আছে এদেশে এখনো।

৩| ১০ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

টি এম মাজাহর বলেছেন: স্যরি ভাই, আপনি ভুল জানেন। মায়ের প্রতি লোক দেখানো ভালোবাসা হয় না। যে পুরুষ বউয়ের সাথে ঝগড়ার ভয়ে মাকে ভুলে যাওয়ার ভান করে, সে হিজড়া ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু সেই হিজড়াও কিন্তু রাতের আধারে মায়ের জন্যই কাদে। আবার বউ তার মাকে দেখতে চাইলে সেটাতেও নেগেটিভলি দেখবার কিছু নাই, কেননা,ওই মহিলা তো সেই মেয়েটারও মা। বরং বউকে তার মা কে দেখে রাখার জন্য উৎসাহ দেয়াটাকে অপরাধ হিসেবে দেখা উচিত নয়। কিন্তু মায়ের মর্যাদা মায়ের কাছেই, শাশুড়ীই হোক কি মিনিস্টারই হোক, তার সাথে তুলনা করারই না। মায়ের বাধন কখনই ছিড়ে যাবার নয়। পরিশেষে এমন একটি বিষয়ে আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.