নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই।কোথাও কেউ নাই। শুধু শূন্য। মহাশূন্য।\n

রেফায়েত প্রধান

পরিচয় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি । খুঁজে পেলেই জানিয়ে দেব।

রেফায়েত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুদ্ধুজী, দয়া করে আরেকবার পৃথিবীতে আসুন

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭


,
,
,
বৌদ্ধ ধর্মের যে পাঁচটা মূলনীতি রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম একটা হল, " জীব হত্যা মহাপাপ "। জীব হত্যা করতে হবে বলে তারা মাংস পর্যন্ত খায়না।এমন কি ভূলবশত পায়ের নিচে পিপড়া পরে মারা গেলেও সেটাকে তারা মহাপাপ বলে মনে করে।
,
অথচ, এখন প্রায় প্রতিদিন মায়ানমারের রাস্তা-ঘাটে, ছবিতে দেখানো এরকম অসংখ্য রোহিঙ্গা মুসলমানের জীবন্ত পোড়া লাশ দেখে মনের ভিতর থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে আসতে চায় কিছু প্রশ্ন,,, মন চায় গৌতম বুদ্ধকে ডেকে বলি,,,,
,
বুদ্ধুজী, এই রোহিঙ্গা গুলা, ধরলাম মানুষের মধ্যে নাহয় নাইবা পড়ল, তাই বলে কি এরা অন্ততপক্ষে জীবের মধ্যেও পরে না?? এদের জীবনের দাম কি পিপড়ার জীবনের চেয়েও কম?? এরা কি কাঠের মতই জড় পদার্থ যে কাঠের বদলে এদেরকে দিয়ে আগুন জ্বালাতে হবে?? যদি প্রশ্নগুলোর উত্তর "না " হয় তাহলে বুদ্ধুজী দয়া করে একবার পৃথিবীতে এসে আপনার অনুসারীদের বলুন," ঔ ব্যাটারা অনেক রোহিঙ্গা মারছোস, এবার তোরা অফ যা। " এটা যদি বলতে নাই পারেন তাহলে অন্তত আপনার ধর্মের ৫ মূলনীতি থেকে "জীবহত্যা মহাপাপ " এই নীতিটা বাদ দিয়ে দিন, প্লিজ।
,
আর গোটা বিশ্বের মানবাধিকারের সোল-এজেন্টদের বলি, আপনাদের অন্তর্চক্ষুর উপর থেকে মোটা পর্দাটা সরিয়ে পরিষ্কার চোখে একটিবার রোহিঙ্গাদের দিকে তাকান। আমি শিওর তাহলে আপনাদের কলম তাদের পক্ষে কথা বলতে বাধ্য হবে,,,,,,,

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

জুন বলেছেন: অনেক বছর আগে এক বার্মিজ বৌদ্ধ ভিক্ষু আমাদের সহযাত্রী ছিল মাদ্রাজগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসে। উনি শ্রিলংকা যাচ্ছেন। এক স্টেশনে ট্রেন থামলে তার সঙ্গী এক বাঙ্গালী নেমে রুটি আর মাংস কিনে আনলো সেই বিশাল দশাসই ভিক্ষুর জন্য । ভিক্ষুকে মাংস খেতে দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম সেই বাঙ্গালীকে। আমরা ছোট থেকেই শুনেছি তাদের ধর্মের অন্যতম উপদেশ জীব হত্যা মহাপাপ যার জন্য তারা শাকান্ন ভোজী । সেদিন সেই বাঙ্গালী জানিয়েছিল বৌদ্ধ ভিক্ষুদের একটি অংশ নাকি জীব হত্যা করে খায় ।
আমি অনেকের মুখে শুনেছি ভিক্ষুদের মধ্যে অনেকে নাকি খুব নৃশংস, আর তার প্রমান অহরহই পত্রিকায় দেখছি ।
আপনার ছবিগুলো দেখে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো । ঘৃনা সেই সব লোকদের জন্য যারা কৈফিয়ত দেয় তালেবানের হাতে বামিয়ানের বৌদ্ধ মুর্তি ধ্বংসের জন্য নাকি তাদের এই আচরন । বৌদ্ধ কি এই শিক্ষা দিয়েছে ? তারাতো মুর্তি আর মুর্তি পুজার থেকে ধর্মকে রক্ষা করার জন্যই তো সে নিজ ধর্ম ত্যাগ করেছিল । আজ তারই মুর্তি পুজিত হচ্ছে আর তার নামে জীব হত্যা হালাল করছে তারা ।
+

২৯ শে মে, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

রেফায়েত প্রধান বলেছেন: কি আর বলব! ভাই জুন,মনটা খুব কাঁদে রোহিঙ্গা ভাই-বোনগুলার জন্য।ইশ, যদি পারতাম তাদের কাছে যেয়ে কোনভাবে একটু সাহায্য করতে,,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.