নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ নই।কোথাও কেউ নাই। শুধু শূন্য। মহাশূন্য।\n

রেফায়েত প্রধান

পরিচয় খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করছি । খুঁজে পেলেই জানিয়ে দেব।

রেফায়েত প্রধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ব্যাধিগ্রস্ত মনের জিজ্ঞাসা ও তার জবাব

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:১৪

গুরূত্বপূর্ণ একটি লেখা।একটু বড়। ধর্য্য নিয়ে পড়বেন আশা করি।

এক ব্যাধিগ্রস্থ মনের প্রশ্নঃ" কোনো ব্যাক্তির জন্মগত শারীরিক সমস্যা কি আল্লাহ পাকের সৃষ্টিগত ভূল , না'কি ঐ ব্যাক্তিকে কষ্ট দেয়া?? "
,
এই প্রশ্নের প্রেক্ষাপটে কিছু কথা বলতে চাই,,
,
মুসলমান হিসাবে আমাদের মূল টার্গেট কি?? নিশ্চয় জান্নাত। তবে এবার সূরা বাক্বারার ১৫৫ নং আয়াতের দিকে লক্ষ করুন _
,
. [এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।] এখানে সবর/ধৈর্য্য ধরতে বলা হয়েছে।
,
মনে করুন, কোটিপতির ঘরে জন্মগ্রহণ করল প্রতিবন্ধী এক সন্তান।যার কারণে তার পিতা-মাতাকে সারা জীবন সহ্য করতে হয় নানা সমস্যা। যেমন, সেই সন্তান তাদের কথা বোঝেনা, সুখ-দূঃখ বোঝেনা। চিকিৎসার পিছনে ব্যয় হয় অনেক অর্থ। তার কারণে পিতা-মাতাকে প্রায় সময়ই পড়তে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে, ইত্যাদী, ইত্যাদী।
,
এবার ধরুন, আরেকজন কোটিপতির ঘড় আলো করে পৃথিবীতে এল চাঁদের মত ফুটফুটে একটি সন্তান।অতি আদরে বড় হতে থাকা এই সন্তানটি এক সময় হয়ে গেল পিতা-মাতার অবাধ্য সন্তান।পিতা-মাতার কোনো কথাই সে শোনে না। যেমন সে নাইট ক্লাবে যায়,বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে ফুর্তিবাজি(যেই ফুর্তি সমাজের চোখে দৃষ্টিকটু) করে।যখন-তখন তেজ পাতার মত লাখ লাখ টাকা উড়ায়। এভাবে সে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়।টাকা না দিলে মারতে উদ্যত হয়, অনেক সময় মেরেই ফেলে।যেমন, ঐশির ঘটনা আপনারা সবাই জানেন।
,
উপরের দুই পরিবারের কোনটিই কিন্তু তাদের সন্তানের জন্য এই দুনিয়াতে সুখি হতে পারেনি। তবে সূরা বাক্বারার ১৫৫নং আয়াতের শিক্ষা অনুযায়ী যারা সবর করতে পারবে, আল্লাহর উপর বিশ্বাষ রেখে তাঁর হুকুম অনুযায়ী
চলবে, তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ, আর সেটা হল জান্নাত,যার জন্য আমরা প্রতিক্ষায় আছি।
,
এবার আসি মূল কথায়:-
হাসরের দিন বিচারের মাঠে যখন আল্লাহ বিচার করবেন তখন প্রত্যেকের অবস্থা অনুযায়ী বিচার করবেন। যাকে আল্লাহ সুস্থতা দিয়ছেন তাকে তার অবস্হা অনুযায়ী বিচার করবেন। যাকে আল্লাহ অঢেল সম্পদ দিয়ছেন তাকে তার অবস্থা অনুযায়ী বিচার করবেন। এটা অনেকটা এরকম যে ধনীদের ৫০০ বছর পূর্বে গরীবরা জান্নাতে প্রবেশ করবে। এক্ষেত্রে যাদের congenital anomaly( জন্মগত ত্রুটি) আছে তারাও ইনশা-আল্লাহ সুস্থদের চেয়ে অনেক অনেক বছর পূর্বে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অপরদিকে যে শিশু অবস্হায় মারা গেছে সেও বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে কারণ সে অবুঝ আর অবুঝদের জন্য কোন হিসাব নেই। মহান আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক এবং তিনি কারো প্রতি বিন্দুমাত্র যুলুম করেন না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.