![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমবারের মতো বই বের করার জন্য গতবছর শায়মা প্রকাশনী এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কথা ছিলো আমার সুবিশাল ১০০০ পৃষ্ঠার প্রথম বই সৌজন্য সংখ্যা (বইয়ের নাম "সৌজন্য সংখ্যা") প্রকাশের মাধ্যমে শায়মা প্রকাশনী আত্মপ্রকাশ করবে। কিন্তু গতরাতে এর কর্ণধার শায়মা হক ফোন দিয়ে জানালেন প্রিন্টারের কালি শেষ হওয়া জনিত কারণে ছাপার কাজ শেষ করতে পারেননি। ফলে এইবারের বইমেলায় তিনি আর প্রকাশক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারছেন না বলে সে কি কান্না! এ যেনো ডাঙ্গায় উঠিয়া বাবু প্রথম কথা কইলেন, "আমার আরেকপাটি পাম্পসু?" আমি যে বইয়ের লেখক হিসেবে এবারো আত্মপ্রকাশ করতে পারলাম না সেদিকে ঊনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং, এডভান্স করা টাকা ফেরত চাওয়াতে কাঁদতে কাঁদতে জানালেন মেকাপের জিনিসপত্র কিনিয়া শেষ করিয়া ফেলিয়াছেন। এইডা কুনো কথা??? লোকে বই বের করলে টাকা পায়, আর আমি দেই। ভেবেছিলাম কালি কেনার টাকা দেবো। পরে মনে হলো, না দেওয়াই ভালো। দিলে তাহা দিয়া কালি না কিনিয়া কাজল কিনিতে পারেন।
আমার সাধের বউ থুক্কু বই এবারো প্রকাশ হইলো না।
যাউগ্গা, তিনি প্রকাশক হতে আরো এক বছর অপেক্ষা করুক। কিন্তু লেখক হিসেবে আমি পারমু না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বইয়ের বিস্তারিত ব্লগেই লিখিয়া পাঠকের সমীপে পৌঁছিয়া দেবো। তাই আইনি ঝামেলা এড়াতে আগেই বলিয়া লই যে, এই লিখা সেই স্পয়লার দোষে দুষ্টু যেই বই এখনো প্রকাশই পায় নাই।
তো এতোক্ষণে নিশ্চিত পাঠক হৃদয়ে প্রশ্ন জাগিয়া গিয়াছে কেনো এমন নাম আর কি আছে এতো মোটা বউয়ে থুক্কু বইয়ে! ধীরে বন্ধু ধীরে। সবই বয়ান করিতেছি।
একসময় লেখকের বই প্রকাশিত হবার পর এর মান যাচাইয়ের ও উন্নয়নের পরামর্শ লাভের আশায় লেখাবোধ্যাদের সৌজন্যতা স্বরূপ সৌজন্য কপি প্রদানের মাধ্যমে এই সৌজন্য সংখ্যার প্রচলন ঘটিলেও এখন কাউকে বই প্রকাশের কথা বললেই প্রথম কথা, "সৌজন্য সংখ্যা পাবোতো?" সেই ধারণা হইতে বইয়ের এইরূপ নামকরণ যেনো উত্তরে ধপ করিয়া বলিতে পারি অবশ্যই। দিন ৩০০ টাকা দিন। এই যা। বইয়ের মূল্যও বলিয়া ফেলিলাম। এখন হয়তো পাঠকের অনেকের বইটি কেনার ইচ্ছে উবে যাচ্ছে। আরে ভয় পাবেন না।
সামুর জন্যে রইয়াছে বিশেষ অফার। ৩০০ টাকার বই সামু ব্লগারদের জন্য কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়া হইবে ৭০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে মাত্র ১০০ টাকায়! ১০০ টাকায়! ১০০ টাকায়! সাথে লেখকের অটোগ্রাফ একদম বিনামূল্যে! সেইক্ষেত্রে আপনাকে প্রমাণ করিতে হইবে আপনি সামুর ব্লগার। আর তাহা প্রমাণের জন্যে আপনার ব্লগের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আমাদের নির্দিষ্ট মেইলে মেইল করে দিতে হবে। আমাদের এক্সপার্টগণ যদি তা দিয়া আপনার আইডি সফলভাবে হ্যাক থুক্কু লগিন করতে পারে তবেই আপনি এই অফারের আওতায় চলে আসবেন। ফলে মাত্র ১০০ টাকায় আপনি পেয়ে যাবেন নেট হতে কালেক্ট করা ছবি নিয়ে কেটেকুটে তৈরী করা সুদৃশ্য মলাটের ১০০০ পেইজের হেবি ওয়েটের একটি বই। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এতো বড় বই কি নিয়ে লিখা।
জটিল ভাইয়ের জটিল নামকরণ সমৃদ্ধ জটিল ফিগারের বউ থুক্কু বই হইলেও লেখা একদম সহজ-সরল। বুড়ি হতে ছুড়ি, বয়স একশো হতে কুড়ি সবাই বইটি পড়তে ও দেখতে পাবেন। কারণ, এর প্রথম কয়েক পৃষ্টা জুড়ে রয়েছে লেখক পরিচিতি যা আপনার পড়তে হবে না, বিক্রেতাই বলে দেবে। এরপরের অংশে রয়েছে কেবলই সাদা পাতা, সাদা পাতা, সাদা পাতা! তাছাড়া লেখক সারাদিন সামুতে অযথাই এতো লিখে সামুর পাতা ভরছে যে বইয়ে লিখার মত আর কিছু পাচ্ছে না। বরং যদি বই আর বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখক সামু ব্যবহার করতো তবুও হয়তো বইয়ে লেখার মতো কিছু থাকতো।
অবাক হচ্ছেন? তবে এবার বইটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে সবাক হোন।
-যারা লেখকের পরিশ্রম নয়, সৌজন্য সংখ্যাকে মূল্য দেন থুক্কু মূল্য দিলেতো আর সৌজন্য সংখ্যা খুঁজিতেন না। সৌজন্য সংখ্যা যারা পেতে চান বইটি তাদের জন্য আদর্শ।
-বেশিরভাগ এখন বইমেলায় বই কিনতে নয়, ঘুরতে যান। তাদের জন্য বউটি থুক্কু বইটি আদর্শ ফটোসেসনের একটি উপকরণ হতে পারে।
-পাঠক, অপাঠক, সুপাঠক, কুপাঠক সবাইকেই এই বইটি একজন সেরাম লেভেলের পাঠক হিসেবে চাটুকারদের সম্মুখে উপস্থাপনে সহায়ক।
-যাদের সময়ের অভাব তাদের জন্যে বইটি সময় সাশ্রয়ী।
-উপরতলার যারা পড়া নয়, বই সংগ্রহ করে তাক ভরে নিজেকে প্রগতিশীল প্রমাণে ব্যস্ত তাদের জন্যেও বইটি আদর্শ।
-বাসায় মেহমান বেশি হলে বালিশের চাহিদা মেটাতে বইটি অনবদ্য।
-সারাদিন মোবাইলে কাটানো যারা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা সংগ্রহে মরিয়া হয়ে সংগ্রহের পর বই নিয়ে দুটো ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রেটি হতে আপলোড করেই ছুঁড়ে ফেলেন তাদের জন্যে বইটি তুলনাহীণ।
-যারা সৌজন্য কপি সংগ্রহের পর লেখকের অসৌজন্যমূলক ঘেনরঘেনরের সম্মুখীন হোন বইটির রিভিউয়ের জন্য তাদের জন্য আমার বইটি স্বস্তির নিঃশ্বাস।
-যাদের ছোট্ট বেবি কিংবা ডায়রি লিখার অভ্যাস রয়েছে বইটি তাদের জন্যে অনন্য এক উপকরণ।
-সর্বশেষে বইটি সৌজন্য সংখ্যা হলেও কাগজওয়ালা বইটির জন্যে আপনাকে ভালোই মূল্য দেবে।
-মোট কথা বউটি থুক্কু বইটি আপনার সোঅফের মাত্রা কোথায় নিয়ে যে পৌঁছোবে তা আমি কল্পনাই করতে পারছি না। পাঠকগণ উল্লেখিত উপযোগ ছাড়াও বইটির আরো নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতেই থাকবেন। করতেই থাকবেন। করতে করতে জীবন শেষ হয় যাবে। কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য শেষ হবে না। কবির ভাষায় বলতে হয়,
"জীবন ফুরিয়ে যাবে, উপযোগীতা ফুরাবেনা জীবনে, বইটি আরো আগে কেনো এলো না? কেনো এলো না এই ভুবনে?"
-সর্বোপরি আমিও গর্ব করে পাচার থুক্কু প্রচার করতে পারবো আমারও একটা বই বেরিয়েছে।
মনে হয় না আর কারো বউয়ে থুক্কু বইয়ে আপনারা একসঙ্গে এতোকিছু পাবেন। আমার মতো আর কেউ ঘটকের থুক্কু পাঠকের এতোদিক চিন্তা করে বই লিখবে না গ্যারেন্টি! তাই সময় নষ্ট না করে সবাই প্রকাশ হওয়া মাত্রই বইটি সংগ্রহ করবেন বলে আশাবাদী। নতুবা লেখক আলম ভাইয়ের মতো উদীয়মান আরেকজন লেখক অংকুরে বিনষ্ট হয়ে যাবে সঠিক মূল্যায়ণের অভাবে।
তাই চাইলে বইটি প্রি-অর্ডার করতে পারেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে এই লেখক বইটির জন্য গিনিচবুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়ে নিতে পারেন। তাই প্রি-অর্ডার করতে আর দেরি না করে এখনি + দিয়ে আপনার ব্লগের ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড কমেন্ট করুন।
পরিশেষে,
জটিলবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৮
জটিল ভাই বলেছেন:
উৎসাহের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্লাস বেশী দিলাম যেন সৌজন্য সংখ্যা বেশী পাই। যেন এর থেকে বন্ধুদেরকেও বিতরণ করতে পারি। বুঝেন তো ফাও পাইলে বাঙ্গালী লুঙ্গি পাতিয়াও আলকাতরা নেয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহাহা..... নো টেনসন! সামু ব্লগার হিসেবে আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রথম কপি ৭০% ডিসকাউন্টে মাত্র ১০০ টাকায় পেয়ে যাবেন। এরপর ৩০০ করে যতো সৌজন্য সংখ্যা লাগে নিবেন। তবে একটা টিপস্ দেই। নামে-বেনামে যতো খুশি আইডি খুলে আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়ে ৭০% ডিসকাউন্ট সুবিধা যতোবার খুশি ততোবার নিতে পারবেন
আবারো জটিলবাদ প্রিয় ভাই
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৪
শায়মা বলেছেন: ঐ আমার প্রকাশনী থেকে আমি একা বই বের করবো।
আমি এই জন্য এ বছরে নো বই।
নেক্সট ইয়ার নিজের বই নিজের প্রকাশনী!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৫
জটিল ভাই বলেছেন:
আইচ্ছা! তাইলে এই ঘটনা! প্রিন্টারের কালি-ফালি ঐসব ভুংভাং কথাবার্তা! এখন আমার এডভান্সের কি হইবো!!!
জটিলবাদ আপি
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার এ চটি বইখানি একটু আগে ফেসবুকের অনেক গ্রুপের পাঠকদেরকে বিনা পয়সায় পড়তে দিছি। তারা খুব লাইক করতেছে। আমার দোয়া কামনা করছি।
অতি সহিহ সালাফী ও আহলে হাদিস আসলে সহিহ নয়
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১০। তোমরাই মানব জাতির জন্য উত্তম উম্মত। তোমাদেরকে মানব জাতির জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে।আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। আর যদি আহলে কিতাব বিশ্বাস স্থাপন করতো তবে অবশ্যই তাদের জন্য ভালো হতো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো মোমেন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসেক।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ
১৪৩। এইভাবে আমি তোমাদিগকে এক মধ্যমপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি।যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হতে পারেন।তুমি এ যাবত যে কিবলা অনুসরন করতেছিলে উহা আমরা এ এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলাম যাতে আমরা জানতে পারি কে রাসূলের অনুসরন করে আর কে ফিরে যায়? আল্লাহ যাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন তারা ছাড়া অন্যদের নিকট এটা (সৎপথ)কঠিন।তোমাদের ঈমানকে ব্যর্থ করে দিবেন আল্লাহ এমন নন।আল্লাহ মানুষদের প্রতি স্নেহশীল-দয়াদ্র।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৪ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) তাঁর বিদায় হজ্জে আরাফাতের দিন তাঁর কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহণ অবস্থায় খোৎবা দিতে দেখেছি এবং তাঁকে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল! অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা’ ধারণ বা অনুসরন করলে কখনও গোমরাহ হবে না। আল্লাহর কিতাব এবং আমার ইতরাত (আহলে বাইত)।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৬ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৭২৬। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তভাবে ধারণ করলে আমার পরে কখনো গেমিরা হবে না। তার একটি অপরটির চেয়ে চেয়ে অধিক মর্যাদা পূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত এবং আমার পরিবার (আহলে বাইত)।এ দু’টি কখনও পৃথক হবে না কাওসার নামক ঝর্ণায় আমার সাথে উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষকর আমার পরে একদুভয়ের সাথে তোমরা কিরূপ আচরণ কর।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭২৮ নং হাদিসের (আহলে বাইত এর মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৭২৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, কেননা, তিনি তোমাদেরকে তাঁর নেয়ামত সমূহ খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহর ভালবাসায় তোমরা আমাকেও ভালবাস এবং আমার ভালবাসায় তোমরা আমার আহলে বাইতকেও ভালবাস।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সুতরাং মধ্যম পন্থি উত্তম উম্মত হলো কুরাইশ বার আহলে বায়াত খলিফার অনুসারীগণ। সালাফী ও আহলে হাদিস এ তালিকায় আছে কি?
সূরাঃ ১১ হুদ, ৬৯ নং থেকে ৭৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৯। আমার ফিরিশতাগণ তো সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের নিকট এসেছিল। তারা বলল, সালাম, সেও বলল, সালাম।সে অবিলমন্বে এক কাবাবকৃত গো-বৎস নিয়ে আসলো।
৭০। সে যখন দেখলো তাদের হাত এর দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন সে তাদেরকে অবাঞ্চিত মনে করলো এবং তাদের সম্বন্ধে তার মনে ভীতি সঞ্চার হলো। তারা বলল, ভয় করবে না, আমরা তো লুতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
৭১। তার স্ত্রী দন্ডায়মান ছিল। অতঃপর সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের এবং তার পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম।
৭২। সে বলল, কি আশ্চর্য! সন্তানের জননী হব আমি? যখন আমি বৃদ্ধা এবং আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটা অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার!
৭৩। তারা বলল আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করতেছ? হে আহলে বাইত তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত । তিনিতো প্রশংসিত সম্মানিত।
* ফেরেশতাগণ আহলে বাইত বলতে ইব্রহীম (আ.) ও তাঁর স্ত্রী সারাকে (আ.) বুঝিয়েছেন।কারণ তখন সেখানে তাঁদের দু’জন ছাড়া অন্য কেউ ছিল না। সেখানে ইব্রাহীমের (আ.) আহলে বাইত বলতে ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর স্ত্রী সারাকে নিয়ে ইব্রাহীম (আ.) পরিবার বুঝানো হয়েছে। সারা (আ.) ও ইব্রাহীম (আ.) পরিবারে তখনও কোন সন্তান ছিল না। কিন্তু তখন হাজেরা (আ.) ইব্রাহীম (আ.) পরিবারে ইসমাঈল (আ.) সন্তান ছিলেন। সুতরাং ইব্রাহীম (আ.), হাজেরা ও ইসমাঈল আহলে বাইত। মুসলিমদের ইসলামের অন্যতম প্রধান ভিত্তি হজ্জে হাজেরা ও ইসমাঈল (আ.) সংশ্লিষ্ট অনেক কাজ আছে। আর ইসমাঈল (রা.) কাবার নির্মাতাদের দু’জনে একজন।
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সহিহ আল বোখারী, ৩২৪৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩২৪৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এ দায়িত্ব (মুসলিম নেতৃত্বের) চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে। যতদিন তাদের দু’জন লোক অবশিষ্ট থাকবে।
* কুরাইশ থাকতে অন্য কেউ মুসলিমদের নেতা হবে না। আহলে বাইত বলেই ইব্রাহীম (আ.) বংশীয় কুরাইশ দের এ দায়িত্ব।
# আহলে বাইত কুরাইশ বার খলিফা
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৫৪ নং হাদিসের অনুবাদ-
৪৫৫৪। হজরত হাজার ইবনে হাজার(র.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা ইয়াবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) এর কাছে যাই, যাঁর সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়, ‘তাদের জন্য কোন অসিুবিধা নেই,যারা আপনার কাছে এ জন্য আসে যে আপনি তাদের জন্য বাহনের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলুন আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না’।
রাবী বলেন, আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালামকরি এবং বলি,আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার সেবার জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহকরার জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদের সাথে নামাজ আদায়ের পর,আমাদের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতেআমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত-সন্ত্রস্তহয়। আমাদের মধ্যে একজন বললেন,হে আল্লাহর রাসূল! মনেহচ্ছে এটা আপনার বিদায়ী ভাষণ,কাজেই আপনি আমাদেরকে আরোকিছু অসিয়ত করেন। তখন তিনি (সা.)বলেন, আমিতোমাদেরকে তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শুনা ও মানার জন্যও,যদিও তোমাদের আমির হাবশী গোলাম হয়। কেননা তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে বেঁচে থাকবে, তারা বহু মতবিরোধদেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিৎহবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নতের অনুসরন করা। যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরন করবে।তোমরা বিদয়াতের অনুসরন করা ও অনুকরণকরা হতে দূরে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথাই বিদয়াত এবং প্রত্যেক বিদয়াতই পথভ্রষ্টতা।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
সহিহতিরমিযী, ৩৭০১নংহাদিসের[ রাসূলুল্লাহ (সা.) ওতাঁরসাহাবীগণেরমর্যাদাঅধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আলআব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথেনিয়ে আসবেন।আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও।সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম।তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ! আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে এমনভাবে মাফ করেদিন, যারপর তাদের আর কোন অপরাধ বাকি না থাকে।হে আল্লাহ! তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।
রাযীন এবাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ-মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর থেকে ষষ্ঠ খলিফা হযরত মুয়াবিয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রন্ত ছিল। তারপর ইয়াজিদের খেলাফত ইমাম হোসেন (রা.) স্বীকার করেননি। আব্বাসীয় প্রথম খলিফা আবুল আব্বাসের নামের সাথে আস সাফফাহ বা রক্ত পিপাসু জুড়ে গিয়েছে সুতরাং তাঁর খেলাফত স্বীকৃত নয়। আব্বাসীয় খলিফা আবু জাফর আল মানসুর থেকে আল আমিন পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত ছিল। আল মামুন মোতাজিলা ছিলেন। বিশ্বাস ঘাতক যুগের আব্বাসীয় খলিফাগণ খলিফা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। শেষ খলিফা ইমাম মাহদী (আ.)। সুতরাং কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী ইসলামের পরাক্রান্ত বার খলিফার নাম নিম্নরূপ-
১। হযরত আবু বকর (রা.) ২। হযরত ওমর (রা.) ৩। হযরত ওসমান (রা.) ৪। হযরত আলী (রা.) ৫। হযরত ইমাম হাসান (রা.) ৬। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ৭। আবু জাফর আল মানসুর ৮। আল মাহদী ইবনে মানসুর ৯। আল হাদী ১০। হারুন অর রশীদ ১১। আল আমিন ১২। ইমাম মাহদী (আ.)।
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
* যে আমিরের অবাধ্য সে রাসূলের (সা.) এবং আল্লাহর অবাধ্য। কথাটা রাসূলের (সা.)। আর আল্লাহ আমিরের অনুগত থাকতে স্পষ্ট আদেশ করেছেন।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* ইসলামে আমির অথবা আমিরে পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো ফতোয়া দেওয়ার অধিকার নেই।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* আহলে বাইত কুরাইশ বার খলিফার প্রথম ছয়জন নিজেরাই ফতোয়া দিয়েছেন। কিন্তু সাহাবা যুগেই তা’ বিনষ্ট হয়। তাঁদের কোন ফতোয়া সংকলন আমাদের নিকট নেই। বাঁকী ছয় আমিরের একজন এখনও আসেননি। তিনি যখন আসবের তখন তিনি ফতোয়া দিবেন বলে হাদিস থেকে জানা যায়। অবশিষ্ট পাঁচ আমিরের প্রথম জন ইমাম আবু হানিফাকে (র.) ফতোয়া প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।কিন্তু তিনি আমিরের অবাধ্য হওয়ায় আমির তাঁকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন। কারণ তিনি তাঁর অপরাধের শাস্তি দুনিয়াতেই পেয়ে গেছেন। পরের তিন আমির ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ও তাঁর পরিষদকে ফতোয়া দানে নির্দেশ প্রদান করেন।
# ইমাম আবু ইউসুফ (র.)
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৩০ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২৩০। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার থেকে একটি হাদিস শুনে অতঃপর তা’ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয় আল্লাহ তাকে হাস্যোজ্জল ও আনন্দময় করে দেবেন। কেননা এমন কতক ফিকাহ বাহক রয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে ফকীহ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী হয়ে থাকে।
* হাদিস অনুযায়ী হাদিসের সঠিক বাহক হলেন ফকিহ।হাদিস অনুযায়ী ফকিহ তিনি যাঁর শিক্ষার্থী তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী।ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী ইসলামে এমন একমাত্র জুটি হলেন ইমাম আবু হানিফা (র.) ও ইমাম আবু আবু ইউসুফ (র.)। কারণ ইমাম আবু হানিফার (র.) বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা থাকলেও তাঁর এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফের (র.) বিচারপতি হওয়ার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা উভয় ছিল। সুতরাং ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ইমাম আবু হানিফার (র.) থেকে অধিকতর জ্ঞানী ছিলেন।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৩১৪ নং হাদিসের (আহকাম অধ্যায়) অনুবাদ-
২৩১৪।হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছেন, বিচারক যখন ইজতিহাদ করে বিচার করে এবং তার সে ইজতিহাদ সঠিক হয়, তাহলে তার জন্য হবে দু’টি পুরুস্কার। আর সে যখন ইজতিহাদ করে বিচার করতে গিয়ে ভুল করে, তখন তার জন্য হবে একটি পুরুস্কার।
* হাদিস অনুযায়ী ইজতিহাদকারী মুজতাহিদ বিচারক হবেন। ইসলামে যাদেরকে মুজতাহিদ বলা হয় তাদের মধ্যে ইমাম আবু ইউসুফ (র.) ছাড়া আর কেউ খেলাফতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না।কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ (র.)হারূন আল-রশীদের অধীনে খেলাফতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সুতরাং ইসলামের একমাত্র মুজতাহিদ আমিরগণের পরে ইসলামের সেরা জ্ঞানী ইমাম আবু ইউসুফ (র.)। তাঁর নেতৃত্বে গঠিত ওলামা পরিষদ ইসলামের একমাত্র আহলে যিকর পরিষদ।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহি প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* আমিরের আদেশ প্রাপ্তি ছাড়া আহলে যিকর পরিষদ গঠিত হওয়া অসম্ভব। ইমাম আবু ইউসুফের (র.) আহলে যিকর পরিষদ ছাড়া অন্য কোন আহলে যিকর পরিষদের অনুকুলের আমিরের আদেশ না থাকায় ইসলামে অন্য আর কোন আহলে যিকর পরিষদ নেই।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* ইমাম আবু ইউসুফের (র.) আহলে যিকর পরিষদের পরে বিশ্বাস ঘাতক যুগ শুরু হওয়ায় আহলে যিকর পরিষদ গঠন করার আর কোন সুযোগ নেই। কারণ রাসূল (সা.) বিশ্বাস ঘাতক যুগের বিশ্বাস ঘাতকদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। তো যাদের কথা বিশ্বাস করাই নিষেধ তারা আর আহলে যিকর হয় কেমন করে?
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৩ এর অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথমে একটি সরল রেখা টানলেন এবং তার ডান দিকে দুটো সরল রেখা টানলেন এবং বাঁ দিকেও দুটো সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি রেখার মধ্যবর্তী স্থানে হাত রেখে বললেন, এটা আল্লাহর রাস্তা। এরপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, ‘আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে’। -(সূরা আল আনআমঃ ১৫৩)।
* ইমাম আবু ইউসুফের (র.) আহলে যিকর পরিষদ শয়তানের চার পথ ১। কাফেরদের পথ ২। মুশরিকদের পথ ৩। মোনাফেকদের পথ ৪। আহলে বাইত কুরাইশ আমিরের অবাধ্য ফেতনাবাজদের পথ থেকে ইসলামকে আলাদা করে সকল ক্ষেত্রে ইসলামের অভিন্ন বিধি-বিধান প্রণয়ন করেন। যা ইসলামের ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল অনুসরন করছে। কোরআন ও হাদিস তাদেরকেও সঠিক সাব্যস্ত করেছে।
# ইমাম
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়া সকল মুসলিম ও মুছল্লীর জন্য ফরজ। অথচ সালাফী ও আহলে হাদিস তাদের সাথে মতভেদ ও বিভেদে লিপ্ত। আল্লাহর কোরআন অনুযায়ী এসব মতভেদ ও বিভেদকারী সুস্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৯ এর অনুবাদ-
১৫৯। যারা দীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়। তাদের ব্যবস্থ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহর।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন।
সূরাঃ ১০ ইউনুস, ১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। মানুষ ছিল একই উম্মত। পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে।তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তার মিমাংসাতো হয়েই যেত।
সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৩। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।
সূরাঃ ৩০ রূম, ৩২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।
সূরাঃ ৪৩ যুখরুফ, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করলো, সুতরাং যালিমদের জন্য দূর্ভোগ ভয়ংকর শাস্তির দিনে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। আর স্মরণ কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করতেছিল শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে, তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আমরা প্রত্যক্ষ করতেছিলাম তাদের বিচার।
৭৯। আর আমরা এ বিষয়ে সুলায়মানকে মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমরা দিয়ে ছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আমরা পর্বত ও পাখীদেরকে অধীন করে দিয়েছিলাম, উহারা দাউদের সঙ্গে আমাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতো; আমরাই ছিলাম এ সমস্তের কর্তা।
# সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
৭৮ ও ৭৯। হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ঐ বাগানটিকে বকরীগুলি নষ্ট করে দেয়। হযরত দাউদ (আ.) ফায়সালা দেন যে, বাগানের ক্ষতিপূরণ বাবদ বকরিগুলি বাগানের মালিক পাবে। হযরত সুলায়মান (আ.) এই ফায়সালা শুনে বলেন, হে আল্লাহর নবি! এটা ছাড়া অন্য একটা ফায়ছালা হতে পারে। হযরত দাউদ (আ.) জিজ্ঞাস করলেন ওটা কি? জবাবে হযরত সুলায়মান (আ.) বলেন, প্রথমে বকরিগুলি বাগান মালিকের হাতে সমর্পণ করা হোক। সে ওগুলি দ্বারা ফায়দা নিবে। আর বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বকরির মালিককে দেওয়া হোক। সে আঙ্গুরের চারার পরিচর্যা করতে থাকবে। তারপর যখন আঙ্গুর গাছগুলি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে তখন সে বাগানের মালিককে বাগান ফিরিয়ে দিবে এবং বাগানের মালিকও বকরিগুলি ওদের মালিককে ফিরিয়ে দিবে। আর হযরত সুলায়মানকে (আ.) আল্লাহ এ মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়ে ছিলেন।
* সেকালে আল্লাহ হযরত সুলায়মানকে (আ.) মতভেদের মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছেন। একালে তিনি ইমাম আবু ইউসুফের (র.) আহলে যিকর পরিষদকে মতভেদের মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁদের ফতোয়ার সাথে যারা মতভেদ করে তারা চরম বেয়াদব।
সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের দেহ-মন বিনম্র হয়ে আল্লাহর যিকরে ঝুকে পড়ে।এটা আল্লাহর হেদায়াত। তিনি এর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়াত প্রদান করেন।আল্লাহ যাকে বিভ্রান্ত করেন তার কোন হেদায়াতকারী নাই।
সূরা: ৪ নিসা, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদেরকে পাকড়াও করবে যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর। আর যদি তাদের উপর কোন মঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা আল্লাহর কাছ থেকে। আর যদি তাদের উপর কোন অমঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা তোমার কাছ থেকে হয়েছে।তুমি বল সবই আল্লাহর কাছ থেকে হয়। অতএব ঐ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে তারা ফিকাহের মাধ্যমে (গভীর জ্ঞান) কোন হাদিস বুঝে না?
* আল্লাহর হাদিস এবং নবির (সা.) হাদিস উভয় হাদিস বুঝতে ফিকাহ লাগবে, কথাটা আল্লাহর। কোরআন+হাদিস=ফিকাহ বা আল্লাহর হাদিস+নবির (সা.) হাদিস=ফিকাহ। শুধু কোরআন ও শুধু হাদিস দ্বারা ফতোয়া প্রদানে কূ-রীতি সালাফী ও আহলে হাদিস কোথায় পেল? সুতরাং তাদের সকল হানাফী বিরোধীতা ১০০% বিদয়াত। বিদয়াত বিরোধীতার নামে আকন্ঠ বিদয়াতে নিমজ্জিত এ দলগুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিনোদন। আহলে বায়াতের সাথে কোন মিল নেই এমন কাজকেও এরা সুন্নাহ বলে। অখচ সঠিক প্রমাণিত আহলে বায়াতের আমলের পরিপন্থি কোন কাজ সুন্নত হওয়া সম্ভব নয়। বার খলিফার এগারতম খলিফাও হানাফী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। সুতরাং হানাফী মাযহাবের বাইরে ইসলাম নেই। আমরা এক হাজার আয়াত ও দুই হাজার হাদিস দ্বারা হানাফী মাযহাবের সঠিকতার অকট্য প্রমাণ উপস্থাপন করে চলছি। সবাই আমাদের জন্য খাস করে দোয়া করবেন –আমিন।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৩
জটিল ভাই বলেছেন:
মাশাল্লাহ্। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
সত্যি লিখাটি অনেক বিশ্লেষণধর্মী যদিও এখনো পুরোটা ভালো করে পড়িনি কিন্তু অংশে অংশে চোখ বুলিয়ে বুঝলাম লিখাটা ঠান্ডা মাথায় নীরবে পড়তে হবে ভালো করে বুঝার জন্য। তাই ভালো করে পড়ে আবার মতামত জানাবো ইনশাল্লাহ্।
সে পর্যন্ত সময় দিন প্রিয় ভাই।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৪
শায়মা বলেছেন: এডভান্সের টাকা ফেরৎ হয় না।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৫
জটিল ভাই বলেছেন:
সেতো দেখতেই পারছি তবে মনে রাখবেন, আমিও এই টাকার কারনে শায়মা প্রকাশনীর শেয়ারের দাবীতে মামলা লড়বো!
তবু এডভান্সের টাকা আদায় করবো
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২০
শায়মা বলেছেন: ফুহ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
মামলা টামলা ধোপে টিকিবেক লাই আমার সাথে জটিলভাইয়াজান.....
একবার লেগে দেখো......
কোমর বাঁধিয়া আমি লড়াই এ কেমন পটু!
তোমার এডভান্সের টাকা যাবে....বর্তমানের ব্যাংক বালান্স যাবে এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যুগ যুগ লড়িবেক কিন্তু কোনো কুল কিনারা পাইবেক লাই...
তখন তারা গান গাইবেক.....
ফাঁকি দিয়া পালাইনি আসাম....
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৫
জটিল ভাই বলেছেন:
শুনোগো রূপসী ললনা,
এতো তারাতারি ভুলে গেলে চলবে না!
আমি হব তোমার নাতজামাই,
সো আমার কোনো ভয় নাই।
পরবর্তী প্রজন্ম পাবে তোমারই অবদান,
প্রকাশনা-ফকাসনা নাতনিরে মানে আমারেই করবে দান।
তখনতো আমার ঘরেই নিবে তুমি ঠাঁই,
তাই জয় আমারই, তোমার বেইল নাই
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৪
শায়মা বলেছেন: এই যে গানটা
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
শুনলাম।
এবারে এটা শুনুন।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩১
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুন্দর-অভিনব ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৩
জটিল ভাই বলেছেন:
আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭
শায়মা বলেছেন: মান্ধাতার আমলের গান কই থেইকা আনছস নাতজামাই?
এইসব স্বপ্ন কি আর এই যুগে চলে???
ললনাদের মাইর খেয়ে হাড্ডিগুড়া হয়ে যাবে।
এখনকার গান হলে হইতো-
শোনো গো বোকারাম নাতজামাই
স্বপ্ন দেখা বন করে করো নিজে কামাই
যৌতুক নেওয়ার চিন্তা বাদ দাও....
নইলে এই কেসে বেইল নাই।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
তোমার মতো বুড়ি নানির লাগিয়া,
কি হইবে ব্যান্ড/রক গান দিয়া?
সেইসব তোলা থাক তোমার নাতনির তরে,
যা খুশি বলো, তবুও ভেগে যাবো ডরে!
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: শায়মা প্রকাশনির জন্য শুভ কামনা।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৬
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা.......
জটিলবাদ প্রিয় সেলিম ভাই। বহুদিন পর আপনার পদধূলি পেলাম
১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১২
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ইচ্ছে ছিলো জ ভার এই বইটি দিয়েই নিজের বই রিভিউ ক্যারিয়ার চালু করতে ইউটুবে একটা চ্যানেল খুলতে টুইটারে ঘোষণা দিবো । স্বপ্ন রেখে গেলাম। হয়তো আমার ভবিষ্যত চোদ্দগুষ্টি রেখে যাওয়া স্বপ্ন সার্থক করবে।
প্রি অর্ডারের জন্য মেইলে একাউন্ট ও পাসওয়ার্ড দিলাম । হ্যাক করলে বইয়ের চোরা কপি বাজারে ছেড়ে দিব !
হা পিত্তেশ রেখে গেলাম পোস্টে ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২১
জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ প্রিয় ভাই। মনকাড়া মন্তব্যে বিমোহিত, মনোহারিত। কিন্তু ভয় লাগে, শায়মা আপা যেভাবে পিছে লাগছে কখন জানি করে বিতারিত
আপনিতো আপনার চৌদ্দগুষ্টি সর্থক করবে আশা করছেন। কিন্তু শায়মা আপাতো আমার আশা ভরষা সব কাইড়া নিতাছে
আর কান্ডামি করেন ক্যালা? মেইল এড্রেস ছাড়া কেমনে মেইল করলেন?
১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪০
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: আপনার নানীশাশুড়ি নাকি দাদীশাশুড়ির সঙ্গে বিবাদ আপনাকেই মেটাতে হবে । তবে আপনার চরিত্র অনুযায়ী বিষয়টিকে জটিল করনে আমার স্বপ্নে বাধাপ্রাপ্ত বিধায় আমি হতাশ হয়ে পরছি । এই হতাশ মনে কাকে যে মেইল করেছি !!!
সৌজন্য সংখ্যা বইটির প্রতিটি সাদা পৃষ্ঠা আমি স্যালিভা লাগিয়ে পড়তে চাই !!
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫২
জটিল ভাই বলেছেন:
আমি জটিল কিন্তু আমার নানি শাশুড়ি আমার চাইতেও জটিলতর। এখন ভাবেন তাহার ৩য় ভার্সন মানে নাতনি কতটা জটিলতর হইবে? আর সেই নাতনি নিয়া আমি সংসার করার স্বপ্ন দেখি, হতাশ হই না। আর আপনি এতো অল্পে হতাশ হলেতো বিপদ! ভুলে বাংলাদেশের জিনিস আমেরিকা পাঠাইয়া দিলে কি বিপত্তিটাই না ঘটবে ভাবতে পারেন? এমনি সবাই দ্রব্যমূল্য আর ইউক্রেন নিয়া বিপত্তিতে আছে
তা আপনি যা খুশি তা লাগাইয়া পড়তে পারেন। তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই। কেননা, সে অংশতো আপনাদের ফ্রি রাইটিং-এর উদ্দেশ্য নিয়াই রাখা হইয়াছে। এবার আপনার লিখা আপনি যেমনে খুশি তেমনে পড়েন
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এডভান্সের টাকা দিয়ে শায়মা আপু তার একুরিয়ামের মাছ কিনেছে। সেই মাছ ফ্রাই করে খেয়ে ফেলেছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০০
জটিল ভাই বলেছেন:
না না না না....... বুঝিতে পারিলাম আপনি বড্ড অমনোযোগিতা পাঠক
আমার টাকায় নানিশাশুড়ি নিজের বই বের করার ধান্ধায় আছে। ৩ নং কমেন্ট দ্রষ্টব্য
১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০
শায়মা বলেছেন: এই বুইড়া ধামড়া আমার নাতজামাই হলে আমার অনাগতা নাতনী বিয়ের বয়স হতে হতেই এই বুড়া মরে যাবে তানীমভাইয়ু।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
আচ্ছা, আপনি আমার সম্পর্কে কি ধারণা করেন একটু শুনিতো। সত্যি বলবেন আপনার কি মনে হয় আমার বয়স কত আর কি করি? সত্যি বলবেন কিন্তু!
১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩২
শায়মা বলেছেন: চুয়াত্তরভাইয়া ফকিরা জটিলভাইয়া যেই টাকা দিয়েছিলো তা দিয়ে পুটিমাছ কিনেছিলাম তাও আবার ২৫০ গ্রাম।
কানাবগীর জন্য.....
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৫
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার নাতনিরে বুঝি ফকির ছাড়া বিয়ে দিবেন না?
বগিতো কানা হইবোই, বগির মালকিনিই যখন চৌক্ষে দেখে না!
১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০০
নীল আকাশ বলেছেন: আমি আপনার এই লেখা আমার সাহিত্য গ্রুপে শেয়ার দিবো। যেই লেখাগুলি পড়লে আমার আফসোস হয় কেন নিজে এত ভাল লিখতে পারি না ঠিক সেই লেখাগুলি আমি শেয়ার দেই।
আপনার অনুমতির অপেক্ষা থাকলাম।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
আলহাম্দুলিল্লাহ্। তবে আমি মনে করি আপনারা অনেক ভালো লেখেন যা দেখে শেখার চেষ্টা করি। আমার লেখায় আপনার এমন প্রশংসা সত্যিই ভীষণ লজ্জিত এবং উৎসাহিত করলো প্রিয় ভাই। আন্তরিক জটিলবাদ জানবেন।
অবশ্যই আপনি শেয়ার দিতে পারেন। তবে সম্ভব হলে শেয়ার করা পোস্টের লিংকটা এখানে দিয়েন। আপনার বিনয় দেখে আবারো সম্মান জানাই। কতজন যে না বলে লিখা কপি করে, তাও আবার পেস্ট করে নিজের বলে। এদের নিয়ে এখন আর কথা বলতে ভালো লাগে না।
১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০২
নীল আকাশ বলেছেন: সৌজন্য সংখ্যার চাহিদা কথা বিবেচনা রেখে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আস্ত একট বই ছাপিয়ে শুধু এদের মাঝেই বিলিয়ে দেই। তাও যদি এদের চাহিদা কমে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:২৯
জটিল ভাই বলেছেন:
তারচেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে, এই শ্রেণী দেখবেন পাঠক নয়। বিনামূল্যে সংগ্রহ করেই তৃপ্ত। তারচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এদের জিজ্ঞেস করলে দেখবেন বই কেনা দূরে থাক, বইমেলায়ও যায় না। আর বইয়ের রিভিউ চেয়ে দেখবেন কিছুই বলতে পারবে না। এরা কুঁড়ানির মতো কুঁড়িয়ে আনন্দ পায়
১৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৭
প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: দারুন
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
জটিলবাদ প্রিয় ভাই
১৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৩
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: মালদ্বীপ । পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য । দুরবীন বাংলা । Maldives । DURBEEN BANGLA
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪০
জটিল ভাই বলেছেন:
এ্যাদমে। আম ব্লক।
২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:০০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.......... শায়মা এ্যাডভান্সের টাকা দিয়ে মেকআপ কিনেছে
তারপরও এ্যাডভান্স অভিনন্দন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
এতোকিছু থেকে শুধু মেকাপের কথাটাই চৌক্ষে পরলো! অবশ্য মেয়েমানুষ বলিয়া কথা
জটিলবাদ।
২১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিছূ লোক আছে অন্যের হাতে বই কিংবা পত্রিকা দেখলে পড়তে ইচ্ছা হয়। শূধূ তাদের জন্য জটিল মিয়ার সৌজন্য সংখ্যা। শায়মা প্রকাশনী বাস্তবায়ন হোক।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা...... এভাবে বলে আমার বইয়ের বাজার নষ্ট করবেন না প্রিয় ভাই। এই বই সার্বজনীন
জটিলবাদ।
২২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনারা বইয়ের প্রি অর্ডার করুন আমার বিকাশ নম্বরে। বই বুঝে নিবেন জটিল ভাইয়ের থেকে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জটিল ভাই বলেছেন:
হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমি শুরুতে দেখছিলাম আপনি যেনো লিখেছেন, "আপনারা বউয়ের প্রি অর্ডার করুন!"
আমাকে সহযোগিতা করার জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। সেইক্ষেত্রে প্রতি বই বাবদ ৫% কমিসন আপনার প্রাপ্য
কিন্তু দুষ্টু প্রকাশকের কারণে আমাদের কারো স্বপ্নই সত্য হলো না
২৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শায়মা আপু তোমার প্রকাশনীতে বিনামূল্যে বই প্রকাশ করতাম, রাজী আছো নি?
জটিল ভাই মানুষ কেমনে যে সৌজন্য সংখ্যা চায় । মনটাই খারাপ হয়ে যায়। এমন নজিরও আছে যে, আমি বইয়ের বিজ্ঞাপন দিলাম, মূল্য বললাম, বিকাশ নাম্বার দিলাম। মানুষ ঠিকানা দিল বই কষ্ট করে পাঠালাম কিন্তু বিকাশে কেহই টাকা পাঠায়নি। অথচ আমি মূল্য বলে দিয়েছিলাম। এই হল আম পাবলিক। মাগনা খাতি চায় কেবল
থ্যাংকিউ
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
দুঃখখের কথা কি কইতাম আভী! সবাই সরলতার সুযোগ লয়
আপনার কাছে যা ভদ্রতা, অন্যের কাছে তা দুর্বলতা
তারপরও এদের মাঝেই বাঁচতে হয়। কিচ্ছু করার নাই। জটিলবাদ।
২৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫৯
শায়মা বলেছেন: ১৯. ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:১৩০
আল আমিন হাসান সাদেক বলেছেন: মালদ্বীপ । পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য । দুরবীন বাংলা । Maldives । DURBEEN BANGLA
এই ভাইয়ার এই বইটা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
জটিল ভাই বলেছেন:
আমারও। ভাবছি এই বইটার উপর একটা রিভিউ লিখবো
২৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:১৬
শায়মা বলেছেন: তোমরা আমার নামে অনেক কথা বলছো। আমি সব দেখেছি।
ওক্কে সব জবাব দেওয়া হবে।
শুধু ছবি আপুকে বলি।
আপুনি আমি নিজে হাতে জীবনেও বই বিক্রি করিনি। উপহার দিয়েছি।
প্রকাশকেরা যা বিক্রি করেছে বইমেলা থেকে তা নিজেদের উন্নয়নেই কাজে লাগিয়েছে।
কাজেই নো চিন্তা ডু ফূর্তি
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৭
জটিল ভাই বলেছেন:
তুমি বলো না, কিছু বলো না, না না না,
কোনো কথা বলো না, চেয়ে চেয়ে দেখো দু'চোখে,
বুঝে লও না, লও না, আমি কতো
ভালবাসি তোমার নাতনিকে.....
২৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৮
রানার ব্লগ বলেছেন: মেকাআপ সুন্দুরী ওরফে শায়মা প্রকাশক হিসাবে মোটেও বিশ্বাস যোগ্য নহে। টাকা পয়সা সব মেকাপের বক্স কিনতে লাগিয়ে দেবে। পরে দেখবেন উনি আপনার বইয়ের জায়গায় মেকাপের কিছু বস্তু আপনার হাতে ধরিয়ে দেবেন।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
এ মন্তব্যের উত্তর আমি নই, তিনি দেবেন
২৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা এখানে শেয়ার দিয়েছি
এটা আমার নিজের গ্রুপ। অনেক ব্লগার আছে সেখানে।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
জটিল ভাই বলেছেন:
জটিলবাদ প্রিয় ভাই। দেখেছি ও আনন্দিত হয়েছি। কিছু মনে না করলে, শেয়ার করা পোস্টের কমেন্ট অপসন বন্ধ রাখার কারণ জানতে পারি কি?
২৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৪২
নীল আকাশ বলেছেন: অন্যের লেখা না বলে নেয়াটা হচ্ছে ১০০% চুরি।
আপনার নাম জানিনা দেখে ট্যাগ করতে পারিনি দেখে লজ্জিত। আপনার এই পোস্টের লিংক শেষে দিয়ে দিয়েছি। উল্লেখ করে দিয়েছি এটা #সংগৃহীত লেখা।
ধন্যবাদ।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১০
জটিল ভাই বলেছেন:
লজ্জার কিছু নেই প্রিয় ভাই। আমি পোস্টটা দেখেছি। আপনার শেয়ার করার স্টাইলটা আমার কাছে জটিল লেগেছে। সবাই যদি কপি করে এভাবে শেয়ার করতো আর মূল লেখককে অবহিত করতো তবে অবশ্যই কপি করাকে উৎসাহিত করা হতো। আপনার স্টাইলের মাঝেই আপনার শিক্ষা ও ব্যক্তিত্ব বিদ্যমান। স্যালুটসহ জটিলবাদ প্রিয় ভাই
২৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৬
ফারহানা শারমিন বলেছেন: আপনার বউ থুক্কু বই টা যতদিন হাতে পাবো না ততদিন আমার তিয়াস থুক্কু পিপাসা মিটবে না। অনুমতি দিলে আমাদের দখিন হাওয়া ব্লগে লেখাটা শেয়ার করতে চাই।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০
জটিল ভাই বলেছেন:
পূর্বের মন্তব্যের সমস্যার জন্য দুঃখিত আপি আমি আসলে বলতে চাচ্ছিলাম,
হাহাহাহাহাহা..... তবে পিপাসা< পিয়াস<তিয়াস<তৃষ্ণ ইত্যাদি একই। তবে আপনার তিয়াস না মেটার জন্য শায়মা হক দায়ী। স্বপ্ন ভাঙ্গার কারণে তার বিরুদ্ধে আপনারা সব আপিরা মিলে আন্দোলন করলে হয়তো বইটা প্রকাশ পেতে পারে
অবশ্যই আপনি শেয়ার করতে পারেন। সম্ভব হলে কমেন্টে শেয়ার করা লিংকটা দেবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক জটিলবাদ ও পূর্ব ভুলের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
৩০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: হো হো হো.....
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৩
জটিল ভাই বলেছেন:
৩১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মোটামুটি একটা পাঠক শ্রেণি তৈরি করে বই প্রকাশ করা উচিত।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
জটিল ভাই বলেছেন:
নয়তো আমার মত করে বই প্রকাশ করা উচিৎ
জটিলবাদ।
৩২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আর যাইহোক পড়িয়া নির্মল বিনোদন পাইলাম। একটা বিষয় না বললেই নয় সেটা হলো, শায়মা ম্যাডাম কি চোখের কাজল কিনতে পেরেছিলেন?
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:২৯
জটিল ভাই বলেছেন:
আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই।
কি যে বলেন আপনি! আমার পুরো এডভান্সের টাকা মেকাপের জিনিস কিনে শেষ করে ফেলছে, আরো টাকা দিবো?
৩৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জটিল ভাই , জটিলাবাদ (জিন্দাবাদ) ।
বাবা কইছে বিয়া করাইব তয় বউ একটু মোটা । মাত্র
২১০ কেজি। সমস্যা ইডাই।কি করুম - কইনছেন দেহি?
এহন ভাবতেছি বিয়া করুম এত খুশির খবর তয় এত চিকনা বউ লই মুই করুম ডা কি ? এ নাড়া-চাড়া করতেই জান যাইব আর কোনভাবে উপরে পড়লে ত আমি একবারে উপরে চইলে যাইব। তাই বিয়া যেহেতু এহনো করি নাই বিয়া বাদ দেয়াই মনে অয় ভাল ঐব।
আর তাই জটিল ভাই রচিত (লিখিত), শায়মা (বনি) প্রকাশনী প্রকাশিত মহাজ্ঞেনের মহা (চিকনা) বই (জটিল ভাইয়ের বউ না) " সৌজন্য সংখ্যা " প্রকাশ না হওয়ায় বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। কারন, যদি একবার গড়াই এই বউ (বই) উপরে পড়ত তাইলেত মুই উপরে চলি যাইতাম।
তয়, জটিল ভাইয়ের ন বিবাহিত বউ (থুক্কো অপ্রকাশিত বই) য়ের জন্য ব্যাফোক সমবেদনার লগে লগে এর সাফল্যের জন্য একরাশ শুভেচছা রইল।
আর , শায়মা (বনি) প্রকাশনীর কর্ণধারের জন্য আরো আরো সাজু-গুজুর জন্য আশা করার সাথে সাথে বই প্রকাশ না করে এ পয়সা দিয়ে ব্যাফোক পরিসরে সাজু -গুজুর প্রতিযোগীতা আয়োজনের আহববান জানানো গেল।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৩২
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহাহা....... আপনার জটিলসব বাত-চিত পইড়া মাথা চক্কর দিতাছে। তয় আপনার বউ আর আমার বউ থুক্কু বইয়ের পার্থক্য আছে। আপনার শ্বশুড় আপনার কথা ভাইবা বউয়ের ওজন না কমাইলেও আমি কিন্তু ৭০% ডিসকাউন্ট দিয়া বইয়ের দাম কমাইয়া দিছি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য
আর আমার নানিশাশুড়ি (আপনার বনি) আমার থেইকা এডভান্স নিয়া সাজুগুজুর জিনিসতো কিনছেই, এখন কয় আগামী বই মেলায় আমার টেকায় তার নিজের বই বাহির করবো! ইডা কিছু অইলো??? আমিও কম না! কইছি মামলা করমু
জটিলবাদ প্রিয় ভাই।
৩৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু এরা যে তিনশত বই আমার হাতে তুলে দিল । এগুলা কিত্তাম
তবে বিদ্যানন্দ মাত্র দশটা বই দেয়
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
কি করবেন মানে???? সৌজন্য সংখ্যা হিসেবে বিতরণ করবেন। ব্লগের সবাইকে দেবেন। যে বলে আপনি লিখতে জানেন না তাকে দেবেন। অফিসের সবাইকে দেবেন। তারপরও থাকলে চলতি পথে "লাগবোনি সৌজন্য সংখ্যা!" বলে হাক ছাড়বেন
তারপর কয়টা থাকে জানাইয়েন
৩৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: জটিল ভাইয়ে জটিল বই
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আপনাকেও জানাই আন্তরিক জটিলবাদ
৩৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৩৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: শায়মা বউ থুক্কু বই এর ট্যাকাটুকা দিয়া একদম জটিল কাজ করিয়াছে।
আপনার নব বিবাহিত থুক্কু প্রকাশিত বউ থুক্কু বই এর জন্যে জটিলেচ্ছা।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৮
জটিল ভাই বলেছেন:
যাক তবে ঘুরেফিরে আসামি অবশেষে একখানা উকিল জোগাড়ে সক্ষম হইলো
অবজেকসন মিলর্ড, আপনার মক্কেলের কারণে আমার বউটি থুক্কু বইটি কিন্তু প্রকাশিত হয়নি। আপনি শুরুতেই মিথ্যা দিয়ে কেইস লড়ছেন। অবশ্য লড়বেনইবা না কেন? আমার বই বাজারে এলেতো আপনার বই কাটতিতে বাঁধা পরতো
তাই আমার বউয়ের থুক্কু বইয়ের পেছনে চলা ষড়যন্ত্রে আপনারও হাত আছে বলে দাবী করছি
পরিশেষে মতামতের জন্যে জটিলবাদ
৩৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হেহেহে ব্যাপক মজা পাইলাম।++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৮
জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা..... জটিলবাদ জানবেন প্রিয় ভাই
৩৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ২:৩৫
ফারহানা শারমিন বলেছেন: লেখা কপি করতে পারছিনা। আঁই কিত্তাম?
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
জটিল ভাই বলেছেন:
এই নিন কপি......
আমার বউ থুক্কু বই
প্রথমবারের মতো বই বের করার জন্য গতবছর শায়মা প্রকাশনী এর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কথা ছিলো আমার সুবিশাল ১০০০ পৃষ্ঠার প্রথম বই সৌজন্য সংখ্যা (বইয়ের নাম "সৌজন্য সংখ্যা" প্রকাশের মাধ্যমে শায়মা প্রকাশনী আত্মপ্রকাশ করবে। কিন্তু গতরাতে এর কর্ণধার শায়মা হক ফোন দিয়ে জানালেন প্রিন্টারের কালি শেষ হওয়া জনিত কারণে ছাপার কাজ শেষ করতে পারেননি। ফলে এইবারের বইমেলায় তিনি আর প্রকাশক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারছেন না বলে সে কি কান্না! এ যেনো ডাঙ্গায় উঠিয়া বাবু প্রথম কথা কইলেন, "আমার আরেকপাটি পাম্পসু?" আমি যে বইয়ের লেখক হিসেবে এবারো আত্মপ্রকাশ করতে পারলাম না সেদিকে ঊনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বরং, এডভান্স করা টাকা ফেরত চাওয়াতে কাঁদতে কাঁদতে জানালেন মেকাপের জিনিসপত্র কিনিয়া শেষ করিয়া ফেলিয়াছেন। এইডা কুনো কথা??? লোকে বই বের করলে টাকা পায়, আর আমি দেই। ভেবেছিলাম কালি কেনার টাকা দেবো। পরে মনে হলো, না দেওয়াই ভালো। দিলে তাহা দিয়া কালি না কিনিয়া কাজল কিনিতে পারেন।
আমার সাধের বউ থুক্কু বই এবারো প্রকাশ হইলো না।
যাউগ্গা, তিনি প্রকাশক হতে আরো এক বছর অপেক্ষা করুক। কিন্তু লেখক হিসেবে আমি পারমু না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বইয়ের বিস্তারিত ব্লগেই লিখিয়া পাঠকের সমীপে পৌঁছিয়া দেবো। তাই আইনি ঝামেলা এড়াতে আগেই বলিয়া লই যে, এই লিখা সেই স্পয়লার দোষে দুষ্টু যেই বই এখনো প্রকাশই পায় নাই।
তো এতোক্ষণে নিশ্চিত পাঠক হৃদয়ে প্রশ্ন জাগিয়া গিয়াছে কেনো এমন নাম আর কি আছে এতো মোটা বউয়ে থুক্কু বইয়ে! ধীরে বন্ধু ধীরে। সবই বয়ান করিতেছি।
একসময় লেখকের বই প্রকাশিত হবার পর এর মান যাচাইয়ের ও উন্নয়নের পরামর্শ লাভের আশায় লেখাবোধ্যাদের সৌজন্যতা স্বরূপ সৌজন্য কপি প্রদানের মাধ্যমে এই সৌজন্য সংখ্যার প্রচলন ঘটিলেও এখন কাউকে বই প্রকাশের কথা বললেই প্রথম কথা, "সৌজন্য সংখ্যা পাবোতো?" সেই ধারণা হইতে বইয়ের এইরূপ নামকরণ যেনো উত্তরে ধপ করিয়া বলিতে পারি অবশ্যই। দিন ৩০০ টাকা দিন। এই যা। বইয়ের মূল্যও বলিয়া ফেলিলাম। এখন হয়তো পাঠকের অনেকের বইটি কেনার ইচ্ছে উবে যাচ্ছে। আরে ভয় পাবেন না।
সামুর জন্যে রইয়াছে বিশেষ অফার। ৩০০ টাকার বই সামু ব্লগারদের জন্য কোম্পানির প্রচারের উদ্দেশ্যে দেওয়া হইবে ৭০ পার্সেন্ট ডিসকাউন্টে মাত্র ১০০ টাকায়! ১০০ টাকায়! ১০০ টাকায়! সাথে লেখকের অটোগ্রাফ একদম বিনামূল্যে! সেইক্ষেত্রে আপনাকে প্রমাণ করিতে হইবে আপনি সামুর ব্লগার। আর তাহা প্রমাণের জন্যে আপনার ব্লগের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড আমাদের নির্দিষ্ট মেইলে মেইল করে দিতে হবে। আমাদের এক্সপার্টগণ যদি তা দিয়া আপনার আইডি সফলভাবে হ্যাক থুক্কু লগিন করতে পারে তবেই আপনি এই অফারের আওতায় চলে আসবেন। ফলে মাত্র ১০০ টাকায় আপনি পেয়ে যাবেন নেট হতে কালেক্ট করা ছবি নিয়ে কেটেকুটে তৈরী করা সুদৃশ্য মলাটের ১০০০ পেইজের হেবি ওয়েটের একটি বই। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এতো বড় বই কি নিয়ে লিখা।
জটিল ভাইয়ের জটিল নামকরণ সমৃদ্ধ জটিল ফিগারের বউ থুক্কু বই হইলেও লেখা একদম সহজ-সরল। বুড়ি হতে ছুড়ি, বয়স একশো হতে কুড়ি সবাই বইটি পড়তে ও দেখতে পাবেন। কারণ, এর প্রথম কয়েক পৃষ্টা জুড়ে রয়েছে লেখক পরিচিতি যা আপনার পড়তে হবে না, বিক্রেতাই বলে দেবে। এরপরের অংশে রয়েছে কেবলই সাদা পাতা, সাদা পাতা, সাদা পাতা! তাছাড়া লেখক সারাদিন সামুতে অযথাই এতো লিখে সামুর পাতা ভরছে যে বইয়ে লিখার মত আর কিছু পাচ্ছে না। বরং যদি বই আর বইমেলাকে কেন্দ্র করে লেখক সামু ব্যবহার করতো তবুও হয়তো বইয়ে লেখার মতো কিছু থাকতো।
অবাক হচ্ছেন? তবে এবার বইটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে সবাক হোন।
-যারা লেখকের পরিশ্রম নয়, সৌজন্য সংখ্যাকে মূল্য দেন থুক্কু মূল্য দিলেতো আর সৌজন্য সংখ্যা খুঁজিতেন না। সৌজন্য সংখ্যা যারা পেতে চান বইটি তাদের জন্য আদর্শ।
-বেশিরভাগ এখন বইমেলায় বই কিনতে নয়, ঘুরতে যান। তাদের জন্য বউটি থুক্কু বইটি আদর্শ ফটোসেসনের একটি উপকরণ হতে পারে।
-পাঠক, অপাঠক, সুপাঠক, কুপাঠক সবাইকেই এই বইটি একজন সেরাম লেভেলের পাঠক হিসেবে চাটুকারদের সম্মুখে উপস্থাপনে সহায়ক।
-যাদের সময়ের অভাব তাদের জন্যে বইটি সময় সাশ্রয়ী।
-উপরতলার যারা পড়া নয়, বই সংগ্রহ করে তাক ভরে নিজেকে প্রগতিশীল প্রমাণে ব্যস্ত তাদের জন্যেও বইটি আদর্শ।
-বাসায় মেহমান বেশি হলে বালিশের চাহিদা মেটাতে বইটি অনবদ্য।
-সারাদিন মোবাইলে কাটানো যারা বইয়ের সৌজন্য সংখ্যা সংগ্রহে মরিয়া হয়ে সংগ্রহের পর বই নিয়ে দুটো ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় সেলিব্রেটি হতে আপলোড করেই ছুঁড়ে ফেলেন তাদের জন্যে বইটি তুলনাহীণ।
-যারা সৌজন্য কপি সংগ্রহের পর লেখকের অসৌজন্যমূলক ঘেনরঘেনরের সম্মুখীন হোন বইটির রিভিউয়ের জন্য তাদের জন্য আমার বইটি স্বস্তির নিঃশ্বাস।
-যাদের ছোট্ট বেবি কিংবা ডায়রি লিখার অভ্যাস রয়েছে বইটি তাদের জন্যে অনন্য এক উপকরণ।
-সর্বশেষে বইটি সৌজন্য সংখ্যা হলেও কাগজওয়ালা বইটির জন্যে আপনাকে ভালোই মূল্য দেবে।
-মোট কথা বউটি থুক্কু বইটি আপনার সোঅফের মাত্রা কোথায় নিয়ে যে পৌঁছোবে তা আমি কল্পনাই করতে পারছি না। পাঠকগণ উল্লেখিত উপযোগ ছাড়াও বইটির আরো নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করতেই থাকবেন। করতেই থাকবেন। করতে করতে জীবন শেষ হয় যাবে। কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য শেষ হবে না। কবির ভাষায় বলতে হয়,
"জীবন ফুরিয়ে যাবে, উপযোগীতা ফুরাবেনা জীবনে, বইটি আরো আগে কেনো এলো না? কেনো এলো না এই ভুবনে?"
-সর্বোপরি আমিও গর্ব করে পাচার থুক্কু প্রচার করতে পারবো আমারও একটা বই বেরিয়েছে।
মনে হয় না আর কারো বউয়ে থুক্কু বইয়ে আপনারা একসঙ্গে এতোকিছু পাবেন। আমার মতো আর কেউ ঘটকের থুক্কু পাঠকের এতোদিক চিন্তা করে বই লিখবে না গ্যারেন্টি! তাই সময় নষ্ট না করে সবাই প্রকাশ হওয়া মাত্রই বইটি সংগ্রহ করবেন বলে আশাবাদী। নতুবা লেখক আলম ভাইয়ের মতো উদীয়মান আরেকজন লেখক অংকুরে বিনষ্ট হয়ে যাবে সঠিক মূল্যায়ণের অভাবে।
তাই চাইলে বইটি প্রি-অর্ডার করতে পারেন। আপনাদের উৎসাহ পেলে এই লেখক বইটির জন্য গিনিচবুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়ে নিতে পারেন। তাই প্রি-অর্ডার করতে আর দেরি না করে এখনি + দিয়ে আপনার ব্লগের ইউজার আইডি আর পাসওয়ার্ড কমেন্ট করুন।
পরিশেষে,
জটিলবাদ।
৩৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৫
নীল আকাশ বলেছেন:
আমি নিজেই গ্রুপ এডমিন। আমার লেখায় কে কমেন্ট অফ ক রবে?
আসলে গ্রুপের বাইরের কেউ যেন যেয়ে আজেবাজে কমেন্ট ক রে চলে আসতে না পারে সেইজন্য নন গ্রুপ মেম্বারদের জন্য কমেন্ট অফ করা আছে। ইনভাইটেশন এখানে দিয়ে গেলাম আপ্নাকেঃ
https://www.facebook.com/groups/2705932176199252/
১০ ই মার্চ, ২০২২ রাত ২:১৫
জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ প্রিয় ভাই।
আপনার কার্যক্রম অতুলনীয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুন্দর++++++++++++