নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)
(ছবি নেট হতে নিয়ে এডিট করা)
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: শুরুতে ধর্মীয় বিষয় যুক্ত করাটা যাদের কষ্ট দেয় তাদের কাছে আন্তরিকভাবে অনুরোধ থাকবে আমার লিখা এড়িয়ে যাবার। আমি ব্লকলিস্ট আর ভারি করতে চাইনা। আমার ভীষণ কষ্ট হয়।
প্রিয় ভাই,
জানিনা কি লিখতে কি লিখে ফেলি, সেজন্য আগেই ক্ষমা চাইছি। ভূমিকা করে আপনার মূল্যবাণ সময় ক্ষেপন না করে সরাসরি প্রসঙ্গে আসি। অদ্যবধি ব্লগ ছাড়া হওয়ার পর প্রিয় যাঁরা কন্টিনিউ করতে সুযোগ পেলেই উৎসাহ দিচ্ছেন আপনি তাদের মাঝে অন্যতম এবং অন্যরকম। অন্যরকম বললাম কারণ, অন্যদের মতো আপনার সঙ্গে আমার বিক্রিয়াটা তেমন গভীর ছিলো না। একটা গোপন কথা বলি। সত্যি বলতে আমি খুব করে চাইতাম আপনার সঙ্গেও আমার বিক্রিয়াটা সুগভীর হোক। আর এর মূল কারণ হচ্ছে আপনার ধর্মপ্রীতি। (ধর্ম বলতে ইসলাম ধর্ম। সমগ্র লিখায় দয়া করে এটা মনে রাখবেন) কিন্তু সাহস করতে পারিনি আপনার বোধ্যা টাইপের পোস্ট দেখে। তখনই বিক্রিয়ার আশাতে ছেঁদ পরতো। আপনার গুরুগম্ভীর আলোচনা-পর্যালোচনা সর্বদা মনের কোনে এক অজানা ভয় তৈরী করে দিতো। মনে হতো এমন গুরুগম্ভীর ব্যক্তির সাথে কি আমি ক্ষুদ্র জ্ঞাণে বিক্রিয়া করতে পারবো? তাছাড়া আমি যতোটা বুঝতে পেরেছি আপনি শান্তি প্রিয় নিরেট ভদ্রলোক ও ভীষণ ধার্মিক। তাই ক্যাঁচাল হতে আপনি দূরে থাকায় আমার জন্য বিক্রিয়ার সহজ পথটা আবদ্ধ ছিলো। ধর্ম বিষয়টা আমার কাছে ভীষণ সেনসিটিভ তা নিশ্চই এতোদিনে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারেন। আপনার মতো ধর্মবিশারদের থেকে ধর্মীয় জ্ঞাণ আহরোন করতে পারা নিঃসন্দেহে সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু উপর্যুক্ত কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। কিন্তু শায়মা আপার সঙ্গে আপনার বিক্রিয়া আমার সেই ভয় অনেকটাই কাটিয়ে দেয়। তবে আর সমস্যা কি ছিলো?
হে প্রিয় ব্লগপ্রেমী,
সমস্যা ছিলো আমাদের বিক্রিয়ার মাধ্যমের কিছু উপাদান। কারণ, তাদের বৈশিষ্ট্যের কারণেই বারবার বিক্রিয়া করতে গিয়েও ফিরে এসেছি। একটা উদাহরণ দেই। সবাইতো সব জানেনা। ধরুন আপনার থেকে জানতে চাইলাম গোসলের ফরজ কয়টি। এটা তখন আর জ্ঞাণ পিপাসা না হয়ে হয়ে যাবে অপরাধ! কেনো আমি এটা জানিনা? এমন সাধারণ একটা বিষয়ে কেনো আমার জ্ঞাণ নেই? যেহুতু গোসলের ফরজ জানা নাই তাই এ পর্যন্ত আমার গোসল হয় নাই। আর গোসল যেহুতু হয় নাই তাই জীবনের কোনো ইবাদতই কবুল হয় নাই। সেই জেরে পারলে জোরপূর্বক জাহান্নামে পাঠিয়ে দেবে। নয়তো মাধ্যমের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কথা উঠবে। বলা হবে এটা ধর্ম চর্চার স্থান নয়। নয়তো বলা হবে ক্যাঁচাল করে কেনো এখন ধর্মীয় ফতোয়া খুঁজছি? বিনা কষ্টে কাঠমোল্লার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবো। সেইসঙ্গে আরো কতো যে উপাধি গলায় ধারণ করতে হবে তার কোনো হিসাব নেই। তারসাথেতো কত রকমের হুমকি-ধমকি যে থাকবে তা নিশ্চই আপনাকে আর বলতে হবে না। কিন্তু সবশেষ কথাটা হবে মুসলমান মানে জিহাদী। ইসলাম ভালো ধর্ম নয়। এই অপবাদ কি করে সইবো? আর এই যদি অবস্থা চলে তবে কি তাতে কোনরূপ ইহ বা পরকালীয় ফায়দা নিহিত থাকে?
হে ব্লগপ্রাণ,
আমার এই প্রশ্নের কারণে তখন আপনি আবার পরবেন গ্যাঁড়াকলে। উত্তর দিলেও বিপদে পরবেন, না দিলেও বিপদে পরবেন। উত্তর দিলে আপনাকে যাস্টিফাই করতে হবে উত্তর কতোটা সহী। রেফারেন্স দিলে সেই রেফারেন্স কতোটা সহী সেটাও আবার আপনাকে ক্লিয়ারিফাই করতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি যখন ধীরে ধীরে এটা আল্লাহ্'র নির্দেশ বলা পর্যন্ত যাবেন তখনই যাস্টিফাইয়ের বিষয় হবে আল্লাহ্'র অস্তিত্বের। সেক্ষেত্রে এমনসব কথা চলে আসবে যা শুনে আমাদের মত ধর্মপ্রাণের মাথা ঠিক রাখা অসম্ভব। তখন আপনার মতো জ্ঞাণীরা যাস্টিফাইয়ের উপর যাস্টিফাই করে পাবেন মূর্খের খেতাব। আর আমার মত মাথা গরম ধার্মিকের প্রতিবাদ করে কোন খেতাব পাবো তাতো জানেনই। তখন ঘাপটি মেরে থাকা আরেক শ্রেণী আসবে আমরা বর্বর সেটা প্রমাণের জন্য। তখন কোথাকার পানি কোথায় গড়াবে সেতো বুঝতেই পারছেন। আবার উত্তর না দিলে আপনাকে শুনতে হবে আপনি যে মূর্খ এই ধারণা সঠিক। নয়তো এই সাধারণ প্রশ্নের কেনো উত্তর দিলেন না। নিশ্চই বুঝতে পারছেন বাঁশ কেনো ঝাড়ে? নয়তো যদি এই সাধারণ প্রশ্নটা শুধু আপনি-আমার মাঝে আবদ্ধ থাকতো তবে কি কোনো সমস্যা হতো? আসলে এটা ব্যক্তিগত সমস্যাকে জাতীয় সমস্যা তৈরী করার একটা মেশিন কি নয়?
হে প্রিয় ধার্মিক ব্লগার,
নিশ্চই বুঝতে পারছেন এখানে ধর্ম না জানাটা কত বড় অন্যায়? আবার ধর্ম জানতে চাওয়াটাও কতো বড় অন্যায়? ধার্মিক হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তখন আবার ধর্মের মারপ্যাঁচে আপনাকে বাঁধার জন্য জোটবদ্ধ হবে। যদিও তারাও জানে ধর্ম আবদ্ধ নয়, মুক্ত করে। তখন আবার শুরু হবে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আমার মতো কারো কাছে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করাটা কতোটা হৃদয় বিদারক তা নিশ্চই আপনার মতো ধর্মপ্রেমীকে বুঝিয়ে বলার অবকাশ রাখেনা। তাই এই মাধ্যম কেবল সবজান্তা প্রগতিশীলদের জন্য। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মের প্রতি যাদের অন্ধ ভালবাসা রয়েছে তাদের জন্য দুই নৌকায় পা রেখে কতোটা আগানো সম্ভব?
হে প্রিয় বিশ্লেষক,
হয়তো বলবেন এসব বাদ-প্রতিবাদ এড়িয়ে চললেইতো হয়। যারা ছোট হতে গালাগালির মাঝে বেড়ে উঠে বা মা'য়ের পরিচয় জানেনা তারা যেভাবে মাকে নিয়ে গালি এড়িয়ে যেতে পারে সেটা কি সম্ভব হয় কোনো মাতৃভক্ত সন্তানের পক্ষে সহজে মানা? ধর্মতো আমাদের মত মূর্খের কাছে তারচেয়েও অনেক বড়। আমি মূর্খ কারণ আমি ধর্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খুঁজি না আর খুঁজতেও চাইনা। শুধু বুঝি ধর্ম এমন এক বিশ্বাস যা অন্ধের মত চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হয়। ধর্মের নিয়ম-কানুনে প্রশ্ন থাকলেও ধর্ম নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা যাস্টিফিকেসনের প্রয়োজন বোধ করি না। এটা কেবলই উপলব্ধির বিষয়। যেমনি বুঝতে চাইনা মা কোন সমাজের অংশ। মায়ের অপমানে যেভাবে সম্ভব নয় মাথা ঠিক রেখে তর্ক করা বা চুপ থাকা, ধর্মের অপমানেও তাই নয় কি?
হে প্রিয় প্রেষক,
তাই সংকটময় জীবনে যেচে সংকট বাড়াতে আর ভালো লাগেনা। একটা মানুষ ততোদিনই বাঁচতে চায় যতোদিন কোনো আশা থাকে। একজন লেখকও তাই। হোক সে ব্লগ লিখিয়ে, কিংবা অন্যকেউ। আর ধর্ম অভারলুক করে কি আসলে শান্তি মিলে? না। তখন দল, মত, স্থান, কাল ইত্যাদি একটা না একটা কিছু বিভেদ তৈরীর হাতিয়ার হয়ে যায়। তাই ধর্ম সব সমস্যার মূল এটা একটা ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছু না। তবুও জ্ঞাণীর নীরবতায় মূর্খের আস্ফালনের শব্দ বিকট। এই শব্দ আমার মতো অধমের কান আর কত নিতে পারে?
হে প্রিয়,
আপনার মূল্যবাণ সময় এবং ধৈর্য্যের আর চ্যুতি ঘটাবো না। আপনি বহুদিন ধরে প্রেষিত করছেন নিয়মিত লিখতে। অনেক কষ্ট করে কমেন্ট করেন যার সঠিক মূল্যায়ণ আমি করতে পারিনি। তারই প্রেক্ষিতে আজকের এই পোস্ট। দয়া করে ভুল-ভ্রান্তি নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। সেইসঙ্গে আপনার দোয়ার মাঝে এই অধমেরে একটু ঠাঁই দেবেন। আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন।
ফিআমানিল্লাহ্।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩
জটিল ভাই বলেছেন:
ঠিক বলেছেন প্রিয় ভাই। মাঝেমাঝে ভাবি যদি সবার মন্তব্য এমন হতো! অবশ্য আপনার মন্তব্যও খারাপ নয়। তাই মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ গ্রহণ করুন হে প্রিয়।
২| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওয়া আলাইকুমুসসালাম ভাই।
প্রথমেই বলি, আমি আসলে ধর্ম সম্পর্কে তেমন জানি না।(আমি আরবি লাইনে পড়াশুনা করিনি)। আমি কোন ধর্ম বিশারদও না। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভালো কিছু লিখতে গেলে আরবি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যেটা আমার নাই। আরবি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে কোরআন এবং হাদিসের অর্থ বুঝতে সমস্যা হয়। কারণ যে কোন অনুবাদ কখনও মূল ভাষার ১০০% বিকল্প হয় না। কিছু সমস্যা থেকে যায়। ইন্টারনেটে নাস্তিকরা যে বিষয়গুলি নিয়ে ইসলামের সমালোচনা করে তার একটা বড় অংশই ভুল অনুবাদ বা ভুল ব্যাখ্যার কারণে হয়ে থাকে। আরেকটা কারণ হোল অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোন আয়াত বা হাদিসকে উপস্থাপন করা। আর আমি যে খুব ধার্মিক তা ও না। প্রতিদিন কত গুনাহর কাজ করছি সেটা কেবল আমিই জানি। তবে ধর্ম নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ আছে। আমার প্রিয় কিছু বিষয়ের মধ্যে ধর্ম একটা।
আপনার মতই ধর্মের ব্যাপারে আমি খুব সেনসিটিভ। ধর্ম নিয়ে হাসি তামাশা আমি পছন্দ করি না।
শায়মা আপু আসলে একজন মেধাবী এবং অনেকগুলি মানবিক গুনাবলিসম্পন্ন ব্লগার। ওনার একটা গুণ হোল উনি যে কোন অপরিচিত মানুষের সাথে সহজ হতে পারেন। সামু ব্লগকে উনি অনেকভাবে আলোকিত করেছেন। ওনার অনুপস্থিতিতে ব্লগাররা ওনাকে মিস করে।
ধর্ম নিয়ে কথা বলতে অনেকেই এই ব্লগে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। আমার ধর্মীয় পোস্টে তাই অনেকে আসেন না। যদিও অন্যান্য পোস্টে তারা নিয়মিত মন্তব্য করেন। ধর্ম নিয়ে কেউ লিখলে বা মন্তব্য করলে তাকে অনেকেই গোরা, পশ্চাৎপদ, কুসংস্কার দ্বারা প্রভাবিত বা জঙ্গি মন মানসিকতার মনে করে। অনেকে ভাবে যারা ধর্ম নিয়ে বেশী লেখে তারা নারীদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ মনে করে। এই কারণে অনেকেই ধর্মীয় পোস্ট এড়িয়ে চলেন। ধর্ম নিয়ে ব্লগে ক্যাচাল শুরু হলে তখন অনেক উলটাপালটা কথা এবং আপত্তিকর কথা মানুষ বলে। এই কারণেও অনেকে এই ধরণের পোস্টগুলিতে আসতে চায় না। ধর্মীয় পোস্টের বড় সমস্যা আসলে নাস্তিকরা না বরং মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি। কেউ কোরআন মানবে কিন্তু হাদিস মানবে না বা বেছে বেছে মানবে। কেউ বলবে এই যুগে কোরআন আর হাদিসের নিয়ম যুগোপযোগী না। কেউ আবার মডারেট মুসলমান যারা মুলত পশ্চিম ঘেষা এবং ইসলামের অনেক বিষয়কে বাড়াবাড়ি মনে করে। আরও অনেক দলাদলি আছে।
আমাদের ধর্মের মূল বিষয় হোল বিশ্বাস। ধর্মের শুরুটাই হোল অদৃশ্য জিনিসে বিশ্বাস দিয়ে। আল্লাহ, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, নবী, রসূল, পরকাল, মৃত্যুর পরে বিচারের জন্য পুনরুত্থান এগুলি সবই বিশ্বাসের ব্যাপার। সূরা বাকারার ২, ৩ এবং ৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে;
'এই সেই কিতাব, যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য হিদায়াত। (২) যারা গায়বের প্রতি ঈমান আনে, নামায কায়িম করে এবং আমি যে জীবনোপকরণ তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। (৩) আর তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে ও তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে তাতে তারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং পরকালের প্রতিও তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী। (৪)
উপরের আয়াত তিনটাতে গায়েবি বিষয়ের প্রতি বিশ্বাসের উপর জোর দেয়া হয়েছে।
এই ব্লগে অনেকের কাজই হচ্ছে কিছু মিথ্যা এবং কু যুক্তি দিয়ে ইসলামকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ব্লগে অনেক মুসলমান থাকলেও মনে হয় যেন এরাই সংখ্যাগুরু। ব্লগের সংখ্যাগুরু মুসলমানেরা অনেকেই নিজেকে প্রগতিশীল মনে করেন তাই এই সব ধর্মীয় ক্যাচালে তারা জড়াতে চান না। আমি ব্লগের এই পরিস্থিতি জেনেও ধর্ম নিয়ে লিখি কারণ আমি চাই ইসলাম সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা দূর হউক। খোলা মনে কেউ ইসলামকে জানতে চাইলে ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর হয়ে যাওয়ার কথা। সারা বিশ্বে 'ইসলামোফোবিয়া' নামে একটা শব্দ এখন খুব শোনা যায়। পরিকল্পিতভাবে ইসলামকে ছোট করার জন্য পশ্চিমা মিডিয়া এবং কিছু খৃস্টান ধর্মীয়গোষ্ঠী ইসলামকে একটা ভিতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে যে এতে শাপে বর হচ্ছে। ইসলামে আগের চেয়ে বেশী মানুষ ধর্মান্তরিত হচ্ছে। ইসলাম নামক এই ভিতি সম্পর্কে জানার জন্য অমুসলিমরা এখন ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করছে। ফলে ইসলামের ফ্রি প্রচার হচ্ছে সারা বিশ্বে।
একজন মুসলমানের কাছে তার ধর্মটা মায়ের মতই পবিত্র। আমরা কেউ পারফেক্ট না। তাই যে কোন মুসলমানের কাছে ইসলামের অবমাননা তার মায়ের অবমাননার সমান। ধর্মের সমালোচনা আর ধর্মীয় বিদ্বেষ নিশ্চয়ই এক জিনিস না। এখানে অনেকে সমালোচনা না করে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ায়। ইসলামের যে কোন সমালোচনার জবাব দিতে আমি প্রস্তুত আছি। সমালোচনার জবাব আমার সাধ্যমত জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো।
পরিশেষে আপনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে মুসলিম হিসাবে আপনার ইসলামের প্রতি ভালোবাসার গভীরতা আমি অনুমান করতে পাড়ছি। এই সমাজে অনেক ধরণের মানুষ থাকে। এই ব্লগ হোল আমাদের সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। খারাপকে এড়িয়ে আমাদের চলতে হবে। আপনি বহুদিন ধরে ব্লগিং করছেন। এটা একটা পরিবারের মত। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা অনেক সময় একে অন্যের উপরে রাগ করি। কিন্তু আবার ভুলে যাই। তাই আপনার প্রতি অনুরোধ কারও প্রতি রাগ না রেখে পুনরায় আপনি আগের মত লিখে যান। আপনাকে অনেকে এই ব্লগে মিস করছে। যদিও সবাই মুখ ফুটে বলছে না।
আপনার জন্য দোয়া। আমার জন্যও দোয়া করবেন। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত হবেন।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
আপনার এই মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে বড্ড হিমশিম খাচ্ছি। যা লিখি তাই কমে হয়ে যায়। সেদিকে এরজন্য অন্যদের প্রতিউত্তরও আটকে রেখেছি। তাছাড়া মাথায় একটু চাপও আছে। তাই আপাতত আপনার প্রতিউত্তরটা সাময়িক স্থগিত রেখে আপনার থেকে অশেষ ধৈর্য্য কামনা করছি। মাথাটা একটু ঠান্ডা হলে শান্তভাবে আপনার প্রতিউত্তর করবো ইনশাল্লাহ্। সেজন্যে রাগ না করে ক্ষমা করবেন আশা রাখি। তবে আমার জন্য সময় নিয়ে যে পরিমাণ মন শীতল করা বাক্য ব্যয় করলেন সেই ঋণ শোধ করার ক্ষমতা আমার নাই। আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন।
০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫২
জটিল ভাই বলেছেন: প্রিয় ভাই, প্রথমেই ক্ষমা চাই উত্তর করতে এতো দেরি করার জন্য। আসলে বিশ্লেষণ করে লিখবো করে একটু সময় নিলাম সেইসাথে জাযাকাল্লাহ্ যে আপনি আমার জন্য এতো কষ্ট করে সময় ব্যয় করে উত্তম বাক্যদি লিখেছেন। মাশাল্লাহ্।
ভাই জন্মসূত্রে মুসলমান হিসেবে আলহাম্দুলিল্লাহ্ আপনি-আমি পরিবার, মসজিদের খুৎবা, এবং বই হতে তেমন জানি না করেও ছোট হতেই মাশাল্লাহ্ মুটামুটি জানি। মূলত ইসলামের প্রতি ভালবাসার শুরুটা এভাবেই। কেননা, সচেতন মা মাত্রই সন্তানকে আইকন হিসেবে নবী (আঃ), সাহাবী (রাঃ) এবং ইসলামিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণের কাহিণী শুনিয়ে থাকেন। তাই আমরা ধর্মপ্রাণ সবাই ছোট হতেই আলহাম্দুলিল্লাহ্ পথটা পেয়ে যাই। আর তাই ধর্ম আমাদের অন্যতম প্রিয় বিষয়। এইজন্য নতুন করে শিক্ষা নিয়ে বিশারদ হবার দরকার হয় না। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভালো কিছু লিখতে গেলে আরবি ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন ঠিক। কিন্তু এক্ষত্রে আমাদের ব্যর্থতা যে ইসলামকে আমরা সকল মুসলমান ভাষাভাষীদের কাছে সঠিকভাবে ছড়িয়ে দিতে পারিনি। আর তাইতো যতো সহী আর জালের খোঁচাখোঁচি দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢেকে চলার চেষ্টা সেই কবে থেকেই চলছে। কারণ, ইসলাম ত্যাগের ধর্ম হলেও আমরা ভোগে মত্ত হয়ে আজ ধর্মটাকেই ত্যাগ করে ফেলেছি। নয়তো ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই এর একটা পথ সুগম হতো যেমনি আজও খুব সহজে আল-কোরআন মুখস্তের বহমান ধারা চলমান। সেভাবে চাইলেই আরবীটা সকল মুসলমানের দ্বিতীয় ভাষা হতে পারতো। তখন অন্যের থেকে ভুল ব্যাখ্যা ততোটা গ্রাস করতে পারতো না। তখন অপ্রাসঙ্গিক উপস্থাপনার সুযোগও তেমন থাকতো না। আর ইসলামে ধার্মিকের মাপকাঠি মুসলিম<মুনাফিক<কাফির। কম বা বেশি বলে ইসলামে কিছু নেই। তারপরও মডারেট ইসলাম যে মুসলমান মানে বা সাপোর্ট করে সে কতোটা মুসলমানের অন্তর্গত হতে পারে?
প্রতিটি মুসলমানমাত্রই মনে করি ধর্মের ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ হবার কথা। ধর্ম নিয়ে হাসি তামাশা কোনো মুসলমানের পছন্দ করার কথা বলে মনে হয় না।
শ্যামাপির মেধা-মনন নিয়ে নতুনভাবে কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। শ্যামাপির বিষয়ে আপনার সঙ্গে কোনো দ্বিমত নেই। তারপরও ইসলামে যেহুতু মাহরাম/নন-মাহরাম বিষয়ের পাশাপাশি নরীকে সর্বোচ্চ অধিকার দিয়ে রাব্বাতুল বাইত তথা রাণীসম মর্যাদা দেওয়া হয়েছে তাই চাই সে মর্যাদা যেনো বজায় থাকে।
ধর্ম নিয়ে কথা বলতে অনেকেই এই ব্লগে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না ঠিক। ধর্মীয় পোস্ট মাত্রই আমরা পড়তে বা জানতে চাই না, এড়িয়ে যাই। আবার আগ্রহ নিয়ে পড়ে মন্তব্য করতে গিয়েও মন্তব্যের ঘরে এমন কিছু মন্তব্য থাকে যা মন্তব্য করার রুচিটাই নষ্ট করে দেয়। অনেক সময় দেখা যায় ধর্মীয় পোস্ট হলেও পোস্টদাতা মূলত এটেনসন সিকার। নয়তো মন্তব্য করে কুতর্কে জড়িয়ে পরার ভয়েও মন্তব্য করা হয় না। অনেকে ধর্মীয় পোস্টে উৎপেতেই থাকে অন্যকে লাঞ্ছিত করতে। আর ধর্মের আলোকে নারী নিয়ে কথা বললে ইচ্ছে করে সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কষ্টজনক সত্যি যে, আমাদের নারীরাও সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা সেভাবে না পাওয়ায় সেসব প্রশ্নবিদ্ধ কথাগুলোকেই অমৃত বাণী মনে করে গ্রহণ করে নেয়। ভুলেও বুঝে উঠতে পারেনা যে এটা শয়তানের কত বড় কুটচাল। এসব সুযোগেই ধর্মীয় ক্যাঁলচালের শুরু। ফলে উলটাপালটা এবং আপত্তিকর কথা মানুষ বলে। এই কারণে অনেক স্কলারও পোস্টগুলিতে আসতে চায় না যা অন্যদের আরো সুযোগ করে দেয়। তাই আপনার সঙ্গে যোগ করি যে, ধর্মীয় পোস্টের বড় সমস্যা আসলে নাস্তিকরা না বরং মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি এবং সেইসঙ্গে যারা সঠিকটা জানেন তাদের চুপ করে গা বাঁচানো। তারা কি বুঝেনা যে এই গা বাঁচানো নিজের সম্মান রক্ষা নয়, বরং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া? "কেউ কোরআন মানবে কিন্তু হাদিস মানবে না বা বেছে বেছে মানবে। কেউ বলবে এই যুগে কোরআন আর হাদিসের নিয়ম যুগোপযোগী না। কেউ আবার মডারেট মুসলমান যারা মুলত পশ্চিম ঘেষা এবং ইসলামের অনেক বিষয়কে বাড়াবাড়ি মনে করে। আরও অনেক দলাদলি আছে।" সেজন্যেইতো শুরুতেই বললাম, ইসলামে মানদন্ড মুসলিম<মুনাফিক<কাফির। যদিও এতো পার্সেন্ট মুসলমান বলতে কিছু নেই। হয় শত, নয় শূণ্য। কিন্তু নিজেদের মাঝেই হাজারো গলদের জন্য এই সত্যটা ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় কেউ মুখ ফুটে বলিনা, কিংবা মানিনা।
ঈমান অর্থইতো বিশ্বাস। যদি বিশ্বাসই না থাকে তবে ঈমান আসবে কিভাবে? আর ঈমান না আসলে মুসলমানই হবে কিভাবে? আপনি যে আয়াতের কথা যুক্ত করলেন তা ছাড়াও পুরো কোরআন মাজীদে যতো আয়াত আছে সবকটি আয়াতের পেছনের কথাই দ্বিধাহীণ বিশ্বাস। আমাদের বুঝার ভুল হতে পারে। তাই বলে কোনো একটি আয়াতের নির্দেশ কি অমান্য করার সুযোগ আছে? সেই আয়াত গায়েব সম্পর্কেই হোক কিংবা কোন ফয়সালা সম্পর্কে।
সারা সমাজেই এখন এমন। সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও লঘিষ্ঠের মত আচরণ। কারণ, এখন আমাদের যত ভয় সব সৃষ্টিতে, স্রষ্টাতে কোনো ভয় নেই। স্রষ্টা নিয়ে আছে শুধু দ্বীধা-দ্বন্দ। অন্যথায় যেখানে স্পষ্পভাবে ইসলামবিদ্বেষীদের ত্যাগের নির্দেশ এসেছে সেখানে আমরা ঘুরে-ফিরে আছি কিভাবে তাদের মনোরঞ্জন করবো। ইসলামে জানতে চাওয়া অন্যায় নয়। সেক্ষেত্রে আল্লাহ্ নিজেও সূরা ইখলাসের মাধ্যমে নিজের পরিচয় দিয়েছেন। জানতে চাওয়া অন্যায় হলে আল্লাহ্ কি নিজের পরিচয় দিতেন? তাই বলে কি তিনি ২-৩ পারা ভরে যেভাবেই হোক বুঝিয়েই ছাড়বো করে সূরা ইখলাস অবতীর্ণ করেছেন? না, তিনি স্বল্প কথায় জানিয়ে দিয়েছেন। এবার যে মানবে মানো, না মানলে নাই। এমন কি ইসলাম কোনো বল প্রদর্শনের ধর্মও নয়। নয়তো সূরা ইখলাসের শেষে থাকতো এরপরও যারা অবিস্বাস করবে তাদের বিনাবাক্যে কতল করো। কিন্তু এমন কিছু আছে কি? মূলত যা হচ্ছে তার সবটাই হচ্ছে আমাদের না বুঝা, বেশি বুঝা, অযথা তর্ক আর, কিছু আলেমের ভুল ব্যাখ্যা ও মতবিরোধ। এগুলোই মূলত ইসলামের সৌন্দর্য নষ্ট করে ইসলামকে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে। নয়তো যদি সঠিকভাবে ইসলামকে সবার সামনে তুলে ধরা হতো আর এর সঠিক চর্চা করা হতো, তবে অবশ্যই আমীরুল মুমিনিন হযরত উমার (রাঃ) এর জামানার মতোই ইসলাম আরো সম্প্রসারিত হতো।
"ইসলামের যে কোন সমালোচনার জবাব দিতে আমি প্রস্তুত আছি। সমালোচনার জবাব আমার সাধ্যমত জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো।" এটা কেবল আপনি নন, প্রতিটি মুসলমানের ব্রত হওয়া উচিৎ। কিন্তু ঐ যে বললাম আমরা মনোরঞ্জনে ব্যস্ত আছি! আর কিছু অবুঝ এবং পোশাকি মুসলমানতো চক্রান্তের স্বীকার হয়ে "জবাব" শব্দটার অর্থটাকেই মারমুখী বানিয়ে ফেলেছে! তাই এখন অনেক ইসলামী পরিভাষা ব্যবহার করতেও ভীষণ চিন্তা করতে হয়। আর এই সুযোগটাই ইসলামবিদ্বেষীরা ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।
শেষাংশের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলি, আমি কথা দিই না। তবে চেষ্টা করবো। দেখি আল্লাহ্ কি করান।
আল্লাহ্ আপনিসহ সম্পূর্ণ মুসলিম উম্মার সহায় হোন। ফিআমানিল্লাহ্।
৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: জটিল ভাই, ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এর প্রতি আপনার খোলা চিঠি পড়ে অনেক কিছু জানা হলো, সাড়ে চুয়াত্তর ভাই এর মন্তব্যটি খুবই ভালো লেগেছে যেটার ওজন একটি স্বতন্ত্র পোস্ট এর চাইতে কোনো অংশে কম তো নয়ই বরং বেশিই বলা যায়।
আপনাদের দুজনের প্রতিই রইলো নিরন্তর শুভকামনা।
পরবর্তী মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য পড়তে আবারও আসতে হবে।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
প্রথমেই ক্ষমা চাই দেরিতে উত্তর করার জন্য। সেইসঙ্গে ক্ষমা চাই এর আগেও আপনার অনেক মন্তব্যে উত্তর করতে ব্যর্থতার জন্য। আশা করি নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চই পোস্টগুলো পড়ে আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছেন। তাই এখন দূর থেকে শুধু প্রিয় মানুষগুলোর সুন্দর ও সুস্থ্য জীবন আশা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।
সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের বিষয়ে আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। সেইসঙ্গে কষ্ট করে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক জটিলবাদ গ্রহণ করবেন। তা, শরীর ভালো আছেতো?
৪| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাচু সম্পর্কে আমি যা বলেছি তিনি এ পোষ্টেই তার প্রমাণ দিয়ে দিলেন। আর আপনার চিঠি দেখে সেকালের হেদু চাচার চিঠির কথা মনে পড়ে গেলো।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
জটিল ভাই বলেছেন:
সত্যিই সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের উপমা কেবলই তিনি। তা আপনার হেদু চাচার চিঠিটা কি শেয়ার করা যাবে প্রিয় ভাই?
৫| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
শায়মা বলেছেন: চুয়াত্তরভাইয়ু আর জটিলভাইয়ু দুজন আমার নাম করেছো এবং চুয়াত্তর ভাইয়ার প্রশংসা শুনে আমি আকাশে উড়ে গেছি।
যাইহোক আসল কথা বলি তোমরা দুজন ধার্মিক বটে এবং এ ব্যপারে ভীষন সেনসিটিভ। সেটা আমি আগে বুঝিনি পরে বুঝেছি।
স্পেশালী চুয়াত্তরভাইয়া তো আমাকে মাইর দিত মনে হয় একদিন একটু ফান করার জন্য। পরে বুঝলাম ভাইয়া যতই ফান করুক ধর্ম নিয়ে এতটুকু ফান করা হয়েছে মনে হলে মাফ করেন না। যদিও আমি ধর্ম নিয়ে ফান করিনি। ভাইয়াকে এক পোস্টে অনেকে অনেক কিছু জিগাসা করছিলো ভাইয়া উত্তর দিতে হিমশিম খাচ্ছিলো তাই একটু হাসাহাসি করেছিলাম। সেটাই ভাইয়া রাগ করেছিলো। যাইহোক তারপরও ভাইয়া আমার উপর রাগ করে থাকেনি।
ইহাও তাহার বিরাট বড় গুণ! আত্ম সম্বরন করতে পারা।
তাই তো আমি নির্ভয়ে ভাইয়ার সাথে ফান করি বা মনে যাহা আসে তাহাই বলে দেই। ( শুধু মানুষ যে সবে কষ্ট পায় বা বিরক্ত হয় বা পছন্দ করে না আমি সেসব করে কাউকে কষ্ট দিতে বা বিরক্ত করতে চাইনা)
তোমরা দুজনই অনেক মজার মানুষও। অনেক কষ্ট পাও রাগ করো জটিলভাইয়া তো পুরাই লাঠি নিয়ে তেড়েও আসতে পারে তবুও মজার মানুষও তাই তোমাদেরকে ভালুবাসি।
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় শ্যামাপি, এজন্যেই তোমাকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্লগারেরা এতো শ্রদ্ধা করে আর ভালবাসে। যেহুতু দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছো আমরা ধর্মের প্রতি এতো সেনসিটিভ, তাই তোমাকে একটা গোপন কথা বলি। এই সেনসিটিভনেসের জন্য আশা করি আমার প্রিয় মানুষগুলোয় ধর্মের ব্যাপারে যথে সেনসিটিভ হোক। কারণ, চাই সব প্রিয়জনেরা যেনো একত্রে জান্নাতে থাকতে পারি
এনিওয়ে, আমার আগের পোস্টে আভী তোমার পথ চেয়ে আছে। পারলে একটু সেদিকে নজর দিও
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:২৫
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: জটিল ভাই, "বিপদে পরবেন" নয়, বিপদে "পড়বেন"।
সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, অনুমান করতে "পাড়ছি" নয়, অনুমান করতে "পারছি"।
পন্ডিতি করার সু্যোগ কি সবসময় আসে? চান্সে পন্ডিতি করলাম!
২৭ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই, আমিতো জানি পড়া মানে read
তো পন্ডিতজিকে সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ জানাই
৭| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: খোলা চিঠিটা ভালো লিখেছেন।
সাড়ে চুয়াত্তর তার দীর্ঘ মন্তব্যের দ্বারা আপনার এ পোস্টের প্রতি সুবিচার করেছেন। আপনাদের উভয়ের ধর্ম সংক্রান্ত সংবেদনশীলতা ও স্পর্শকাতরতার গভীরতা আমি অনুভব করতে পারি, তার পরেও আমি ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট পরিহার করে চলি। এটা ঠিক আপনি যেমনটি বলেছেন "দুই নৌকায় পা দেওয়া", তেমনটি নয়। ব্লগে আসি খানিকটা শান্তির সন্ধানে। এমনিতেই তো চারিপাশে বহু অশান্তির ঘটনা ও উপাদান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং অহরহ ঘটছে। তার মাঝে আবার ধর্ম সংক্রান্ত কূট কথাবার্তা আমার মন ও মনন সামলিয়ে নিতে পারে না। এটা নিঃসন্দেহে আমার দুর্বল ঈমানের কারণে হয়। এর জন্য রাব্বুল 'আ-লামীন এর অসীম ক্ষমাই ভরসা। তবে আমি ধর্ম সংক্রান্ত পোস্ট পড়ে থাকি এবং প্রায় সময়েই আলোচনা থেকে কোন না কোন ভাবে উপকৃত হই।
মোদ্দা কথা, "যা লিকাল কিতাবু লা রায়বা ফী, হুদাল্লিল মুত্তাকিন" (এর বাংলা অনুবাদ সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্যে উদ্ধৃত হয়েছে) - এটা আমি বক্ষে ধারণ করি। যখনই পথ চলতে হোঁচট খাই, এই ঐশী বাণীতেই উল্থানের শক্তি খুঁজে পাই।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৩২
জটিল ভাই বলেছেন:
কষ্ট করে এতো সুন্দরভাবে পোস্ট বিশ্লেষণ করে আন্তরিক মন্তব্য প্রদান করার জন্য জাযাকাল্লাহ্। সত্যিই সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ে নিকটে ভীষণ ঋণী হয়ে গেলাম। এ ঋণের কিছুটা পরিশোধের জন্যেও পথ খুঁজে পাচ্ছি না। আমার মনে হয় শিংহভাগই একটু শান্তির সন্ধানে এখানে আসেন। কিন্তু ভাই ধর্ম সংক্রান্ত বিষয় এড়িয়ে গেলেই কি বাস্তবে শান্তি মিলে? এখানেতো এছাড়াও আছে দল, মত, স্থান, কাল ইত্যাদি বিষয়ের দ্বন্দ। তাই এটা নিঃসন্দেহে মেনে নেওয়া যায় যে শান্তি মূলত কুরআন মাজীদেই অন্তর্নিহিত আছে যদি আমরা সছিকভাবে বুঝে হিদায়াতের পথটা ধরতে পারি। নতুবা যেখানেই যাই না কেনো, অস্বস্তি আর অশান্তি ছাড়া শান্তির পরশ পাওয়া সম্ভব নয়। আর দুর্বল ঈমান শুধু সহ্য না করতে পারার মাঝেই শীমাবদ্ধ নয়, প্রতিবাদ করার সামর্থ্য হারানোও দুর্বল ঈমানের পরিচয়। তাই ধৈর্য্য ধরার পাশাপাশি প্রতিবাদও করতে হবে। ভুল কথা শোনার পাশাপাশি সংশোধনের পথও দেখাতে হবে!
আপনার মূল্যবাণ মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ। আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন। আমাদের জন্যেও দোয়া করেন। ফিআমানিল্লাহ্।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনার পোস্টে সাচু ভাই সুন্দর মন্তব্য করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কি ধরনের মানুষ। আমিও ওনার ধর্মীয় বিষয়, পোস্ট ও জ্ঞান দেখে ওনার প্রতি ভাললাগা আরো বেড়েছে।
ধর্মীয় পোস্টে অনেকের চুকানি থাকে তবুও সেটা মাথায় নিয়েই ব্লগে ধর্ম বিষয় নিয়ে আপনার মত কয়েকজন যদি পোস্ট না করেন তবু বৈচিত্র আর জানার সুযোগ রইল কই ?
কে কি মনে করল সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় আমার কাছে, জানতে পাড়াটাই অনেক বড় কিছু বিশষ করে ধর্মীয় পোস্টে। ভাল থাকবেন আবারও লিখবেন আগের মত।
৩০ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
মূল্যবাণ মন্তব্যার জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ প্রিয় ভাই। সত্যই সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের তুলনা কেবলই তিনি।
সত্যি বলতে লিখার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি কিছু অমানুষের কারণে। দোয়া চাই।
৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার মন্তব্যের চমৎকার প্রতি মন্তব্যের জন্য। ধর্মের প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। ভালো থাকবেন। ফি আমানিল্লাহ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
জটিল ভাই বলেছেন:
জাযাকাল্লাহ্। অনেক ভয়ে ভয়ে লিখেছি। দোয়া করবেন যেনো আল্লাহ্ এই ভালবাসাকে আমার জন্য হিদায়াত এবং মুক্তির পথ করে দেন। আল্লাহ্ আপনার সহায় হোন। ফিআমানিল্লাহ্।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাচুর মন্তব্য বেশ ভালো হয়।