নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিচ্ছুটি বলার নাই.......

জটিল ভাই

ঝটট্রিল সব জটিলতা

জটিল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

আ\'বোল-তা\'বোল

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)

এই কেন? সেই কেন? অমুক কেন? তমুক কেন?
এ এটা করে কেন? সে সেটা করে কেন?

আচ্ছা, এসব কেন বাদ দিয়ে আসুন একটি গল্প শুনি। অনেকদিন আগে এলাকাতে নতুন মসজিদ নির্মাণ হবে। উৎসুক জনতার স্বঃতস্ফূর্ততায় মসজিদ নির্মাণ হলো ঠিকই। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিলো নামাজের সময়। জামাতে মুসুল্লি নাই। দিন যতো যাচ্ছে মুসুল্লি ততোই কমছে। নামাজের জন্য ইমাম সাহেব বললেই সবাই বলে এই কাজ, সেই কাজ, এই ব্যস্ততা, সেই ব্যস্ততা। আগে না পেট ভরা, তারপর ইবাদত করা। এমন জরা-জীর্ণভাবেই চলতে লাগলো মসজিদের সব কার্যক্রম। ইমাম সাহেবের মনেও কষ্টের শেষ নাই। মসজিদের সভাপতিও এখন বেশি মসজিদমূখী হন না। আবার সভাপতির নানান ধান্দার খবরও ইমাম সাহেবের কানে আসছে।

এই যখন এলাকার অবস্থা তখন জানা গেলো এলাকার আবাসিক হোটেলে নাকি অনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই শুনে ইমাম সাহেবের ঈমানি হুংকার। যদিও সেই হুংকারে সবাই দলবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তুলে আবাসিক হোটেল বন্ধ করার, কিন্তু সেই আওয়াজ আর আবাসিক হোটেল পর্যন্ত পৌঁছায় না। দিন যতো বাড়ছে আবাসিক হোটেলের আশ-পাশ ততোই রমরমা হচ্ছে। তাই বলে কেউ সেই আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম মেনে নিতে পারেনি। সেই আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে সবার বিপ্লবী মন্তব্য অব্যহত রয়েছে। সবাই সমস্বরে বলে ইহা অন্যায়। কিন্তু আবার সন্ধ্যার পরই দেখা যায় কম-বেশি সবারই সেই হোটেলের দিকেই আসা-যাওয়া।

আর এদিকে মসজিদ কাঁদে মুসুল্লির জন্যে। ইমাম সাহেব এই ভেবে পেরেশান যে, কেনো মানুষ হোটেলের দিকে যায়? প্রায়ই এই নিয়ে ইমাম সাহেব ইমানি হুংকার দেন। সবাই হুংকার শুনে যার যা আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পরে। কিন্তু সেই ঝাঁপ ইমাম সাহেবের চোখের সামনেই সীমাবদ্ধ। ইমাম সাহেব বলেন, সবাই মিলে হোটেলে যাওয়া বন্ধ করলেইতো হয়। সবাই এতে একমত হয়। সবারই এটা চাওয়া কেউ না গেলেইতো হয়। কিন্তু কেউ মন হতে এটা চায় না যে, আমি যাবো না। তাই ইমাম সাহেবের এসব ইমানি হুংকার কানে আঙুল দিয়ে শুনে শেষ করে আবার গুটি গুটি পায়ে সবাই এগিয়ে চলে সেই হোটেলের দিকে। আর অন্যদের দেখে বলে, “কত্তো খারাপ! মাত্র ইমাম সাহেবের এখানে বলে আসছে যাবেনা, আর এখনই যাচ্ছে! শেষ! সমাজটা ধ্বংস হই গেলো!”

আর এদিকে ইমাম সাহেব ভেবে পাননা, যেখানে এলে মৃত্যুর পর নিশ্চিত জান্নাত সেখানে বাদ দিয়ে যেখানে গেলে মৃত্যুর পর জাহান্নাম অবধারিত, সেখানে সবাই যায় কেনো? এই কেনোর উত্তর জানতে ইমাম সাহেব মসজিদের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। সভাপতি জানান, এটা ব্যক্তিস্বাধীনতা। এতে হস্তক্ষেপ করা অন্যায়। ধর্ম কারো উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। এসব শুনে ফিরার পথে ইমাম সাহেবরে এক না'লায়েক দুষ্টু জানায়, মসজিদের সভাপতি সাহেব নাকি এখন সেই আবাসিক হোটেলেরও সভাপতি!!!

এতোসবের পর পেরেশান ইমাম সাহেব আরো পেরেশান হয়ে যান! ইমাম সাহেবের মাথায় এখন শুধু ঘুরে, “কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো কেনো!”

ইমাম সাহেবের পেরেশানিতে আমার কানে খালি নিচের গানটা বাজে…..

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২

রবিন.হুড বলেছেন: কেন কেন কেন
মুহিব খান

কেন নারী নেত্রীর কাজের মেয়েটি হচ্ছে নির্যাতিতা, কেন অচিকিৎসায় ধুকে মরে ডাক্তার পুত্রের পিতা।

কেন সারা মাস খেটে স্কুল শিক্ষক বেতন পায়না তার, কেন ছয় চার মেরে লাখ টাকা পায় সামান্য খেলোয়ার।

কেন ছ’মাস যেতেই মহাসড়কের আস্তর যায় ফেঠে, কেন মিছে মামলার ফাদে বে-খসুর মরবে হাযত খেটে।

কেন রাজার ছেলে রাজা হয়ে যায় পীরের ছেলে পীর, কেন সার্থান্বেষী এন জিও গুলি এদেশে জমায় ভীর।

কেন বিদেশী প্রভূর ইঙ্গিতে চলে এদেশের সরকার, কেন দাদারা গোপনে ওপারে পাঠায় এপারের রোজগার।

কেন কৃষকের ছেলে মন্ত্রি হয়ে বানাবে অট্রালিকা, আমার দেশের ইমাম নিয়োগ দেবে কেন আমেরিকা।

কেন? কেন? কেন?…………………কেন?
কেন মসজিদ কমিটির নেতা ঘুষখোর বেনামাজি, কেন এলাকার ত্রাস, খুনি, লম্পট টাকার গরমে হাজী।

কেন মিছে নবুয়ত দাবীদারদের মুসলিম হবে বলা, কেন ভি আই পি দের বহর থামাবে জনতার পথ চলা।

কেন মহা পণ্ডিত রাজনীতিকরা পায়না ঘরের ভোট, আবার সাড়ে দশজন নেতা মিলে হয় এগার দলের জোট।

কেন নাস্তিক দুচ্ছোরদের ঘরে মদের আড্ডা বসে, কেন কলকাতা গিয়ে ইহাদের (তাওহীদ) গালে তাসলিমা চর কষে।

কেন ধর্মের সাথে গাদ্দারী করে মুরতাদ পাবে ছাড়, কেন টকশোতে চলে জ্ঞান পাপীদের অবাধ মিথ্যাচার।

কেন জোর পূর্বক স্বীকারোক্তির জন্য অত্যাচার, কেন সূদি মহাজন শান্তিতে পাবে নোবেল পূরস্কার।
কেন? কেন? কেন?…………………কেন?

কেন বাংলা ভাষার দিনটাকে বলি একুশ ইংরেজীতে, কেন শিল্পের নামে মন্দ চর্চা চলছে এফডিসিতে।

কেন মিনার মাজার কবরেতে দিবসের ফুল গোজা, কেন চেতনার নামে মানব মূর্তি ভাস্কর্যের পূজা।

কেন বৃটিশ আইনে করছে বিচার বাংলাদেশের কাজী, কেন পাবলিক প্যাচে কেউবা করছে অযথাই বোমাবাজি।

কেন বাংলাদেশের স্থপতি হবেন বাঙ্গালী জাতীর পিতা, কেন সংখ্যা বাড়িয়ে বলতে হবে ৩০ লক্ষ বৃথা।

কেন জাতীয়তা নিয়ে চলে বিতর্ক বাঙ্গালী. বাংলাদেশী, কেন বন্ধু না হয়ে প্রভূ হতে চায় সীমানার প্রতিবেশী।

কেন বাংলাদেশের জাতীয় কবি থাকতে মুসলমান, রাষ্ট্রিয় সঙ্গিত হয়ে যায় অন্য কবির গান।
কেন? কেন? কেন? ………………….কেন?

কেন ডিসকালচার উপহার দেবে অসভ্য এক জাতি, কেন বিদ্যার ব্যাগ হাটুতে ঝুলিয়ে ছাত্ররা মারে লাথি।

কেন মদীনা. সখীনা. কারীমার গায়ে কারিনা কাপুর জামা, কেন ঋত্বিক সেজে রফিক বাধায় অযথাই হাঙ্গামা।

কেন সুন্দরী প্রতিযোগিতার নামে নারীকে পন্য করা, কেন ফ্যাশনের নামে উগ্র নারীর উদভট নরাচরা।

কেন টিভি পর্দায় বিজ্ঞাপনের বাড়তি তেলেসমাত, কেন পত্রিকাজুড়ে ফালতু মডেল নায়িকার উৎপাত।

কেন বৈশাখ এলেই পান্জাবী আর ইলিশ পান্তা ভাত, আবার নারী মদ নিয়ে কাটে ইংরেজী নববর্ষের রাত।

যদি মর্ডান যুগে তাসবিহ খতম তাবিজ কবজ বাদ, কেন মঙ্গল প্রদিপ তিলক ঢোলক রাশির আশির্বাদ।
কেন? কেন? কেন? ………………………..কেন?

যে প্রজাতন্ত্রের মুসলিম হল ৯০ ভাগ প্রজা, তাকে সেকুলার বলে পরিচয় দিতে লাগে কেন এত মজা।

যদি ধর্মের সাথে আধুনিকতার এতটাই সংঘাত, তবে থিয়েটার উদ্ভোধনের আগে কেন কুরআন তেলাওয়াত।

কেন ভার্সিটি আর কলেজ গুলুতে অস্ত্র গোদাম রেখে, সরকার কাপে মাদ্রাসায় পড়া মাওলানাদের দেখে।

কেন মৌলবাদের অপবাদ সয়ে বাচবে মুসলমান, কেন সন্ত্রাস নামে অভিহিত হবে জিহাদের আহবান।

যদি এদেশেই চলে পুজিবাদ আর কোমিও নিজম প্রীতি, তবে তাহাদের কেন এত বিষ লাগে ধর্মীয় রাজনীতি।

যদি এদেশেই মিটে দিল্লি মসকো ওয়াসিংটনের স্বাদ, তবে মক্কার জ্যোতি মুহাম্মদের (সাঃ) ইসলাম কেন বাদ।
কেন? কেন? কেন?………………………………………………………কেন?

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

জটিল ভাই বলেছেন:
এটাতো ভাই একটা ভার্সন। এর মোট ৩টি ভার্সন হয়েছে।

২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি একমাত্র ব্লগে গল্পের মাধ্যমে শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরেন। এই ধরণের বর্ণনা স্টাইল অনেক বেশি মানুষের মনে গেঁথে যায়।

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ :)

৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: স্পেশাল প্রেজেন্টেশন!

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
জটিলবাদ প্রিয় ভাই :)

৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর কাহিনীমূলক লেখা

২০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

জটিল ভাই বলেছেন:
অসংখ্য জটিলবাদ প্রিয় ভাই ♥♥♥
তা বিবাহের আর ঘটনা কোথায়? অধির আগ্রহে অপেক্ষায় আছি যে.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.