নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিচ্ছুটি বলার নাই.......

জটিল ভাই

ঝটট্রিল সব জটিলতা

জটিল ভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রস্তুত আছেনতো?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)

(ছবি নেট হতে)

মিডিয়া আর ক্যামেরার দৌরাত্ম্যে আজ-কাল সাক্ষাৎকার বিষয়টা অনেকটা বাজ পরার মতো হয়ে গিয়েছে। আমরা যেমনি কেউ আগে-ভাগে বলতে পারিনা কখন-কোথায় বাজ পরবে, তেমনি এখন বলা অসম্ভব যে কখন-কোথায় কোন সাক্ষাৎকারের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ, এখন আমাদের চারপাশেই মানুষের চাইতে সাংবাদিকের পরিমাণ বেশি। আপনি জ্যামে বসে আছেন? কোথা হতে দেখবেন মাইক্রোফোন এসে হাজির। গভীর ঘুমাচ্ছেন? হঠাৎ মোবাইলের রিংটোনে ঘুম ভেঙ্গে অপরপ্রান্ত হতে শুনতে পাবেন আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। পাবলিক টয়লেটে প্রচন্ড চাপ নিয়ে যাবেন? সেখানেও সাংবাদিক হাজির। মোটকথা, এই ডিজিটাল যুগে সাক্ষাৎকার যেনো অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে দঁড়িয়েছে। আপনি না চাইলেও সাক্ষাৎকার আপনার পিছু ছাড়বে না।

এই যখন অবস্থা তখন নিশ্চই সাক্ষাৎকারের আবেদনকে আর অবহেলা করার সুযোগ থাকছে না। তাই এখন প্রতিমুহূর্তে আরসব পূর্বপ্রস্তুতির সঙ্গে সাক্ষাৎকার প্রদানেরও একটা পূর্বপ্রস্তুতি রাখা আবশ্যক। আর এ নিয়েই এই পোস্ট। আমার বিবেচনায় সাক্ষাৎকার প্রদানের জন্যে যেসকল পূর্বপ্রস্তুতি প্রয়োজন বলে মনে হচ্ছে তা নিম্নে উল্লেখ করছি-

বিষয় জ্ঞাণ: সাক্ষাৎকারের টপিক সম্পর্কে জ্ঞাণ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ কথা-বার্তা আর সাক্ষাৎকারের মাঝে যে বিশাল ফারাক তা উপলব্ধি করতে পারা। আর সেভাবেই প্রাসঙ্গিক উত্তর করা।

গ্রহীতার মোটিভ: বর্তমান বিশ্ব ভাইরাল জ্বরে কাঁপছে। তাই সাক্ষাৎকার গ্রহীতার মোটিভ কি তা বুঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, দিনশেষে সবাই সাক্ষাৎকার গ্রহীতাকে ভুলে যায়। কিন্তু সাক্ষাৎকার দাতার উত্তরগুলো ভুলে না। তাই মোটিভ বুঝে-শুনে উত্তর করা আবশ্যক।

অডিয়েন্স সম্পর্কে ধারণ: সাক্ষাৎকারটি কাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে এবং তাদের সাক্ষাৎকার দাতা সম্পর্কে কি বা কেমন ধারণা রয়েছে তা জেনে-বুঝে সেইভাবে উত্তর করতে পারা। কারণ, সাক্ষাৎকারে অনেক গোপন বিষয় ফাঁস হয়ে থাকে যা সাক্ষাৎকার দাতাকে উঠাতেও পারে, আবার নামাতেও পারে।

নিজের অবস্থান: সমাজ বা সংসারে নিজের অবস্থান জেনে-বুঝে সাক্ষাৎকার দেওয়া উচিৎ। এখানেই সাধারণ কথা-বার্তা আর সাক্ষাৎকারের পার্থক্য। সাধারণ কথা-বার্তা অবস্থান নাড়িয়ে দিতে তেমন সক্ষম না হলেও, সাক্ষাৎকার ব্যাপকভাবে সক্ষম। কেননা, ইহা একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া।

ট্রিকি কোয়েসচানস্: উত্তর দেবার আগে প্রশ্ন বুঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুনেই সাধারণভাবে উত্তর প্রদান অন্তত সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে একদমই অনুচিৎ। কেননা, এখানে একটি প্রশ্ন দিয়ে অন্য একটি উত্তর বের করা হয়। তাই যথেষ্ঠ্য সতর্ক থাকা উচিৎ। সাক্ষাৎকার মুখোশ খুলে দিতে পারদর্শী।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ: বাঙালির সবচেয়ে আত্মক্ষতির অস্ত্র হচ্ছে স্বীয় আবেগ। অনেকক্ষেত্রে আবেগের দংশন বিবেককেও স্তব্ধ করে দেয়। আর তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। নয়তো মুখোশ উন্মোচন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

প্ল্যাটফর্মের ধারণা: সাক্ষাৎকারটি কোন মিডিয়ায় প্রচারিত হবে তাও মূখ্য। কেননা, একসময় চলমান মিডিয়ায় একবার বক্তব্য চলে গেলে আর রিপিটের সুযোগ ছিলোনা তাই সেভাবে চুলছিঁড়া বিশ্লেষণও হতো না। অপরদিকে প্রিন্ট মিডিয়ার বক্তব্যের পোস্টমর্টেম চলতো। যদিও এখন চলমান মিডিয়াতেও পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়।

প্রশ্নের গভীরতা উপলব্ধি: প্রশ্ন কতোটা গভীর তার ছাপ উত্তরে থাকতে হবে। আপাত দৃষ্টিতে অনেক সাধারণ প্রশ্নের গভীরতাও সাক্ষাৎকারে অনেক বেশি হয়। আর এটা ধরতে পারাই সাক্ষাৎকারদাতার সার্থকতা।

গ্রহীতার ইতিহাস: সাক্ষাৎকার গ্রহীতার পূর্বে গৃহীত সাক্ষাৎকারের আউটকাম এবং সমন্বয় সম্পর্কেও সাক্ষাৎকার দাতার ব্যাপক জ্ঞাণ রাখা আবশ্যক। কেননা, অনেক সাক্ষাৎকার গ্রহীতাই তিলকে তাল করে থাকেন যার প্রভাব গিয়ে সাক্ষাৎকার দাতার ব্যক্তিত্বের উপরে পরে।

গ্রহীতার অবস্থান: সাক্ষাৎকার গ্রহীতার সামাজিক অবস্থান সম্পর্কেও জ্ঞাণ রাখা উচিৎ এই জন্য যে, কার নিকটে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যসমূহ উন্মুক্ত করা হচ্ছে আর এর রিচ কোন পর্যন্ত গিয়া ঠ্যাকবে সেটাও ভাবার বিষয়। সেইসাথে অডিয়েন্সও বিষয়টা কিভাবে নেবে সেটা ভাবতে হবে।

সাক্ষাৎকারের ভ্যালু: সাক্ষাৎকারটি কি নিছকই খেলার ছলে নেওয়া হচ্ছে নাকি তার ঐতিহাসিক ভ্যালু রয়েছে সেটাও যাচাই করতে হবে। কেননা, আজকের সাক্ষাৎকারই আগামীদিনের ডকুমেন্ট।

সাক্ষাৎকারের ধারা: যদি সাক্ষাৎকারটি কোনো ধারাবাহিক কর্মের অংশ হয় তবে এমনভাবে পার্টিসিপেইট করতে হবে যাতে করে পূর্ববর্তী সাক্ষাৎকারগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়।

প্রশ্নের টিউন ধরতে পারা: যদি অডিয়েন্স হতে প্রশ্ন আসার সুযোগ থাকে তবে সেসব প্রশ্নও খুব গুরুত্বের সঙ্গে উত্তর করতে হবে। সেজন্যে প্রশ্নের টিউন ধরতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এছাড়াও আরো অনেক বিষয় রয়েছে। তাছাড়া মৌলিক বিষয় তথা শব্দ, ভাষা, শ্রবণ ইত্যাদি টেনে আর পোস্ট বড় করলাম না। মোটকথা, সাক্ষাৎকারের সুযোগ পেলেই আবেগী হওয়া চলবে না। প্রতিটি ধাপ খুব বুঝে-শুনে সতর্কভাবে পার করতে হবে। তবেই তা একজন সাক্ষাৎকার দাতার সার্থকতার প্রমাণ দেবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এত কিছু পারতাম না। আমি অজ্ঞানী। ফাঁটা বাঁশ গলা
সব কিছু সম্পর্কে সীমিত জ্ঞান। সাক্ষাতকার মইরা গেলেও দিমু না

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪

জটিল ভাই বলেছেন:
হাহাহাহাহা..... সাক্ষাৎকার আপনার দেওয়া লাগবো না বইনে। ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তরা চামে দিয়া বামে আদায় কইরা নিবো =p~
জটিলবাদ ♥

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: গুরুত্বপুর্ন সব পয়েন্ট তুলে ধরেছেন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৫

জটিল ভাই বলেছেন:
আন্তরিক জটিলবাদ জানবেন প্রিয় ভাই :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.