![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশাল বপুর অধিকারী ছিলেন তিনি।ওজন বাড়তে বাড়তে ৫৯৭ কেজিতে পৌঁছে যাওয়ায় ২০০৬-এর জানুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শরীরের মানুষ বলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ে নামও ওঠে। কিন্তু বিরাট শরীরটাকে বোঝা, অভিশাপ বলেই মনে করতেন ম্যানুয়েল উরিবে।তখনই টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর অসহায় আর্তি শোনা গিয়েছিল, কেউ যদি পারেন, বলুন না আমায়, ওজন কমাই কী করে?সাহায্য করুন না! পরামর্শ পেয়েছিলেন। তা মেনে চলে একটু একটু করে ওজন কমিয়েও ফেলেছিলেন। ২০০৭-এ তাঁর ওজন কমে দাঁড়ায় ৩৮১ কেজি।কিন্তু তাতেও স্বাভাবিক, সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হয়নি।নিজের পায়ে উঠে দাঁড়াতে পারতেন না।২০০২ থেকে বিছানায় শুয়েই থাকতেন এবং ২০০৮ সালের ২৬ শে অক্টোবর বিছানায় শুয়েই বিয়ে করেন ক্লদিয়া সোলিশকে। কিন্ত গত ২৬শে মে ৪৮ বছর বয়সে মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ভারী শরীরের অধিকারী মেক্সিকোর ম্যানুয়েল উরিবে।
[ম্যানুয়েল উরিবে]
মেক্সিকোর মন্টেরির নুয়েভো লিওন প্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, হৃদস্পন্দন আচমকা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায়, উরিবেকে চলতি মাসের দুই তারিখ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানাননি ডাক্তাররা। তবে স্থানীয় প্রেস সূত্র থেকে জানা গেছে লিভার ফেলিওর এবং কার্ডিয়াক সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে।
[দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে যাচ্ছেন ম্যানুয়েল উরিবে]
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বইয়ের এডিটর-ইন-চিফ ক্রেগ গ্লেনডে স্মৃতিচারণায় বলেছেন, আমার উরিবের সঙ্গে ওঁর বাড়িতে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। ও তখনই নিজের ওজন মাপাতে রাজি হয়।শয্যাশায়ী হলেও ওর মেজাজটি কিন্তু ছিল চমত্কার।টগবগে মানসিকতার।গিনেস রেকর্ডটা ছিল ওর কাছে বিড়ম্বনার।তাই সবচেয়ে ভারী শরীরের মালিকের তকমাটা ঝেড়ে ফেলতে যা যা করা দরকার, তা করার চেষ্টা করত।চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হত হাসিমুখে।নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খুবই খোলামেলা কথাবার্তা বলত।ও আশা করত, গিনেস ওর কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরলে যে চিকিত্সা দরকার, সেটা পেতে সুবিধা হবে।গিনেস পরিবারের এই সদস্যকে আমরা খুব মিস করব।
[২০০৮ সালের ৯ই জুন তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি কি ভাবে বিছানায় শুয়ে ব্যায়াম করতেন]
ম্যানুয়েল উরিবে কে নিয়ে ন্যাশেনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল, হিস্ট্রিটিভির মতো জনপ্রিয় চ্যানেল গুলি অনেক গুলি ডকুমেন্ট্রি তৈরি করেছিল। যাতে দেখান হয়েছিল কি ভাবে তিনি যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে নিজের জীবন কাটান।
এক নজরে ম্যানুয়েল উরিবে
জন্মঃ- ১১ ই জুন ১৯৬৫
জন্মস্থানঃ- মন্টেরি, নুয়েভো লিওন প্রদেশ, মেক্সিকো।
পেশাঃ- কম্পিউটার সারানো
পরিচিতিঃ- জীবিত সবচেয়ে ভারী শরীরের অধিকারী।
ওজনঃ- ৫৯৭ কেজি, মৃত্যুর সময় ৩৯৪ কেজি।
স্ত্রীঃ- প্রথম স্ত্রীর বিষয়ে জানা নেই, দ্বিতীয় স্ত্রী ক্লদিয়া সোলিশ (২০০৮ - ২০১০)
মৃত্যুঃ- ২৬ শে মে ২০১৪।
মৃত্যুস্থানঃ- মন্টেরি, নুয়েভো লিওন প্রদেশ, মেক্সিকো।
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯
কবি কালিদাশ বলেছেন: সোজা কথা আপনার সাথে একমত। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯
নিজাম বলেছেন: এই জন্যই বলি দরিদ্র দেশের লোকজন ঠিকমত খেতে পায় না কেন??
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৮
কবি কালিদাশ বলেছেন: আসলে এই ভদ্রলোক যে খুব বেশি খাবার খেতেন তা নয়, আমি ওনার উপর বানানো ন্যাশেনাল জিওগ্রাফিকের ডকুমেন্ট্রি তে দেখেছি যখন উনি মোটামুটি মোটা ছিলেন, তখন ফ্যাট কমানোর জন্য একটা অপারেশন করে ছিলেন। সেই অপারেশনের পর থেকেই ওনার ওজন অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যায়।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:০০
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: এই এত মোটা ভারি লোকটিকে বিয়ে করতে গেল কে?
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
কবি কালিদাশ বলেছেন: ক্লদিয়া সোলিশ নামের এক মহিলা, তাও আবার প্রেমের বিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৪৪
সোজা কথা বলেছেন: তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।