![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম উফ নাম সুনলেই চুলকানি হয়..................
পৃথিবীতে অনেক ধর্মই বিদ্যমান।
কিন্তু ইসলাম ব্যতিত অন্যকোন ধর্মনিয়ে মানুষের মধ্যে এত
বেশি চুলকানি নেই।
কেন ইসলাম মানুষকে এত চুলকায়???
আমি নিজেকে বিশ্লেষন করে কিছু কারণ বের করতে পেরেছি। যা নিম্নরুপঃ
ইসলাম কেন আমাকে এতবেশি চুলকায়ঃ
১) ইসলাম মানলে, সকালের মধুর ঘুম ভেঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করতে হবে, সারা রাত জেগে জেগে অশ্লীল ফিল্ম দেখে/গেম খেলে/ গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলে আবার ফজরের সময় ঘুম ভেঙ্গে সালাত আদায় করা. . .
উফফ!! কি যন্ত্রণা!!!
২) ইসলাম মানলে, প্রতিদিন পাঁচবার মসজিদে গিয়ে আমার অতি মুল্যবান সময় হতে সময়ের অপচয় করে নামাজ পড়তে হবে।
৩) ইসলাম মানলে, কোন মেয়ের দিকে তাকাতেই পারবোনা। যদি ভুলে একবার তাকিয়ে ফেলি তবে সঙ্গে সঙ্গে চোখ নামিয়ে ফেলতে হবে।
উফফ!! আপু গুলি কত সুন্দর করে সেজেগুঁজে বের হয় আমাকে দেখানোর জন্য। তাও নাকি একটু তাদের রূপ-যৌবন উপভোগ করতে পারবো না।
ধুর শালা!! গুল্লি মার এই ইসলামকে।
৪) ইসলাম মানলে, বন্ধুদের বলতে পারবোনা “মাম্মা দেখ, কি মালটা যাইতেছে অথবা মালটা কি হট”
৫) ইসলাম মানলে, যখন আবাহাওয়া ভালো থাকে অথবা বিভিন্ন অকেশনে বলতে পারবোনা, “দোস্ত চল, আজকে মাল খাই”। “দোস্ত চল, আজকে DJ পার্টিতে যাই।”
৬) ইসলাম মানলে, ৩১ শে ডিসেম্বর পার্টিতে যেতে পারবোনা। পহেলা বৈশাখে মূর্তি বানিয়ে, আল্লাহ্র নিষেধ অমান্য করে শিরকে লিপ্ত হতে পারব না। নারী-পুরুষ একসাথে মজা করতে পারব না। এই ধরণের অকেশন গুলোতে একটু গার্লফ্রেন্ডরে নিয়ে বেড়ানোর সুযোগটাই বরবাদ হয়ে যাবে।
৭) ইসলাম মানলে, মোস্ট ইম্পরটেন্ট, কোন গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড-ই থাকবেনা।
৮) ইসলাম মানলে, ব্যাংকের ইন্টারেস্ট খেতে পারবো না।
৯) ইসলাম মানলে Zoom Music, MTV, ইত্যাদি ভারতীয় চ্যানেল সমুহ দেখতে পারবো না।
১০) ইসলাম মানলে, Pitbull, Sakira, ইত্যাদির গান দেখতে বা শুনতে পারবো না। Sakira-র Hip আর কারিনার belly একেবারেই দেখা বন্ধ হয়ে যাবে।
১১) ইসলাম মানলে, সানি লিওনের JISM 2 এর আগের মুভি ক্লিপ সমুহ দেখতে পারবো না।
১২) ইসলাম মানলে, বান্ধবীরে নিয়া “দূরে কোথাও” Long Drive-এ থেকে ঘুরে আসতে পারবো না।
১৩) ইসলাম মানলে, Fuck u, Asshole, You fucking bitch ইত্যাদি সুমিষ্ট কথা বলতে পারবো না।
১৪) ইসলাম মানলে, পায়ের গোড়ালির উপর পেন্ট পরতে হবে, যা পুরাই ক্ষেত।
১৫) ইসলাম মানলে, কুরআন শরীফ ও হাদীসের নিজের মত
ব্যাখ্যা করতে পারবো না, বহু তাফসীর পরতে হবে। ব্যাপক জ্ঞান অর্জন করার পরও তানিয়া আমির, শাহরিয়ার কবিরের মনগড়া ব্যাখ্যা দিতে পারব না।
১৬) ইসলাম মানলে, আমাকে রাসুলের (সাঃ) সুন্নত মেনে চলতে হবে, যাহা মধ্যযুগীয়। আমাদের এই আধুনিক যুগে যার কোন ভাত নাই।
১৭) ইসলাম মানলে, বাপ-মা কে সেবা করতে হবে, কিন্তু
তা আমি করতে পারবো না, কেননা তাইলে বউ আমার উপর রাগ করবে। আমি তো আমার বাপ-মা কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাইতে এক পায়ে খাড়া।
১৮) ইসলাম মানলে, বাপ-মা কে বৃদ্ধ্যাশ্রমে পাঠাতে পারবো না। নিজের সাথে রাখতে হবে। যা অসহ্য।
১৯) ইসলাম মানলে, একাধিক বান্ধবীদের সাথে হিরোগিরি করবার পারমু না।
২০) ইসলাম মানলে, আমারে নিজের সম্পতির উপর যাকাত দিতে হবে। আমার সম্পতিতে গরিবের হক থাকবে। এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
২১) ইসলাম মানলে, রোজার মাসে ফরজ রোজা রাখতে হবে। এইটা কেমনে সম্ভব। আমি আবার না খেয়ে থাকতে পারি না।
এটা কি ধরণের খ্যাত মার্কা ইবাদাত?
মোট কথা ইসলাম মানলে আমারে এইযুগে খ্যাত হতে হবে।
যা আমার পক্ষে কোন ভাবেই মানা সম্ভব না।
এই জন্যই ইসলাম আমকে খুব বেশি চুলকায়।
হলের ছারপোকা ভর্তি বিছানায় দরকার হইলে ১ সপ্তাহ শোয়া সম্ভব,
কিন্তু ইসলাম?????????
আমার এখনি চুলকাইতেছে।
এর বিরুদ্ধে এখন-ই লাগতে হবে।
একে কোন ভাবেই প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া যাবে না।
যদি একবার ইসলাম এদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়...
ওরে বাবা!! নাহ!! এটা কিছুতেই হতে দিব না...
আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে...
০৯ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান না হয় হয়ে গেলাম কিন্তু যদি এদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় তবে কি অবাধ মেলা-মেশা থাকবে? কেউ কি ৫/৭ গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে পারবে? সানি লিওনের JISM 2 এর আগের মুভি ক্লিপ সমুহ দেখতে পারবে ?
২| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
আহসান২২ বলেছেন: post+++
cmnt+++
৩| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
সাজেদ বলেছেন: মুসলমান হইয়াই ঐ কামগুলি হরহামেশাই করি আর খুইজা বেড়াই আকামগুলি নাস্তিকগো মধ্যি
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: আসুন ভাই নিজেদেরকে সংশোধন করার চেষ্টা করি।
এই চোখদুটো একবার বন্ধ হয়ে গেলে আর সৎ কাজ করার সুযোগ পাব না।
"প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। (সুরা মুনাফিকুনঃ ১১)
৪| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
কাজের কথা বলেছেন: ৯০% মুসলমানের ৮৯%ই ঐ কাজগুলি করে এবং সাথে সাথে টুপি পইড়া হেফাজেতর জালে ধর্ম ধর্ম খেলে।
৫| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯
রাজীব দে সরকার বলেছেন: পোস্টে প্লাস + + +
কিন্তু কাঙ্গাল মুরশিদ সাহেব, হিন্দু ধর্মে কোথাও এরকম উশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে বলা হয়নি
অন্য ধর্ম নিয়ে সাবধানে কমেন্ট করবেন, সময়টা ভালো না!
৬| ০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @রাজিব দে সরকার: হ্যা, আমি জানি দুনিয়ার কোন ধর্মই উশৃঙ্খল জীবন যাপন করতে বলে না - কিন্তু লেখক এখানে শুধুমাত্র ইসলামকেই সমস্যা বলেছেন। সেই প্রেক্ষাপটেই বলেছি - অন্য ধর্মে চলে যাওয়ার জন্য, যদি লেখকের কথা মত সেখানে কোন সমস্যা না থাকে।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
রাজীব দে সরকার বলেছেন: @কাঙ্গাল মুরশিদ সাহেব, " হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান হয়ে গেলেইতো ঝামেলা মিটে যায় - তাই না?" আপনার এই কথাটা কিন্তু স্পষ্টভাবেই এটা বোঝায় যে এ ধর্মগুলো ঐসব করার অনুমতি দেয়
আপনিই ভেবে দেখুন আপনি যা বলেছেন তা ঠিক বলেছেন কিনা?
কিংবা এই কথা টা কোন বিধর্মী ইসলামকে নিয়ে বললে আপনার কেমন লাগতো --
ভালো থাকবেন
৮| ০৯ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪৭
ব্ল্যাকমেটাল বলেছেন: শুনলাম বাংলাদেশ্র ১৮ কোটি মানুষ যার মধ্যে ৩০ কোটিই এখন নাস্তিক, যারা এ দেশ কে চেকুলার দেখতে চান।
৯| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
নবকবি বলেছেন: সব সত্যি বলে ফেলেছেন। খেয়াল রাখবেন রাম-বামের হাতে না পড়েন।
আর হলের হাম্বালীগ তো আছেই,চোখ কান খোলা রাখবেন।
১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: কেন ভাই? আমি তো তাদের দোসরদের মতই কথা বললাম!
১০| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: @রাজীব দে সরকার,
নিচের লেখা গুলো পড়ে দেখবেন আর আপনার মতামত আশা করছি । কোন ধর্মের বিরুদ্ধে লিখি নাই , আপনার ধর্মে কি আছে তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই । আপনি কাঙ্গাল মুরশিদ সাহেব এর নিকট জানতে চেয়েছেন তাই লিখলাম ।
মূল সংস্কৃত মহাভরতের ১২২ অধ্যায়ে বলা আছেঃ
“ঋত্তাবৃতৌ রাজ পুত্রী ভর্তা পতিব্রতে।
নাতি বর্তেব্য ইত্যোবং ধর্ম কর্ম বদো বিদুঃ
শেষে বন্যেষু কালেষু স্তাতন্ত্রং স্ত্রী কিলার্হতি।
ধর্ম সেবং জনাঃ খন্তঃ পুরাফ্থ পরিচক্ষতে ”
অর্থঃ “হে পতিত্রতে রাজ পুত্রি। ধর্মজ্ঞেরা ইহা ধর্ম বলিয়া জানে যে, কেবল ঋতুকালে স্ত্রী আপন স্বামীকে অতিক্রম (পর পরুষের সাথে সঙ্গম) করিবেন না; অন্যান্য সময়ে স্ত্রীগণ স্বচচন্দচারিণী (পর পুরুষের সাথে সঙ্গমে উপগত) হইতে পারিবেন। সাধু জনেরা এই প্রাচীন ধর্মের গুণ কীর্তন করিয়া থাকেন।” সূত্রঃ সংস্কৃত মহাভারত-১২২ অধ্যায়
“অনাবৃতাঃ কিল পুরাস্ত্রীয় আসর বরাননে।
কামাচার বিহারিণাঃ স্বতন্ত্রাশ্চারুহ সিনী
তামাং বুচ্চারখানানাং কৌমারোত্ সুভসে পতিন।
নবম্মোহ ভৃয়রারোহে সহি ধর্মঃ পুয়াভবত্
প্রমাণ দৃষ্ট ধর্মোহং পূজ্যতে মহির্ষিভি।
উত্তবেষ্ণুচ বম্ভোরু কুরুধন্যাপি পূজ্যতে
স্ত্রীনামনুগ্রহ করঃ সহিকর্ম সনাতনঃ।”
অর্থঃ “হে সুমুখি! (কুন্তি), পূর্বাকালে হিন্দু স্ত্রীলোকেররা অরুদ্ধ, স্বাধীনা ও স্বচ্ছন্দ বিহারিণী (রতিক্রীড়াকারিনী) ছিল। পতিকে ছাড়িয়া অন্য পুরুষে উপগতা (কামাসক্ত হয়ে রতিক্রীড়া করলে) হইলে, তাহাদের অধর্ম হইত না। পূর্বাকালে হিন্দুদিগের ইহাই ধর্ম ছিল, বরং ইহা প্রামণিক ধর্ম, ঋৃষিরা এই ধর্ম পালন করিয়া থাকেন, উত্তর কুরু দেশে অন্যাপি এই ধর্ম মান্য ও অনুকুলে।” সূত্রঃসংস্কৃত মূল মহাভারত থেকে গৃহীত, বিদ্যসাগর মহাশয়ের অনুবাদ
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫১
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: হায়-হায়!!
হিন্দু ধর্মের একি অবস্থা!
১১| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
অর্ক মুক্তমনা বলেছেন: সাব্বাস মামমা....।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই; আমি আপনার মামা হইলাম কিভাবে?
দয়া করে একটু ব্যাখ্যা করবেন।
১২| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
বাংলার হাসান বলেছেন: কিছু দেখার আশায় গ্যালারিতে বসলাম।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: কি দেখার আশায়???
১৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১
পানকৌড়ি বলেছেন: ইসলাম নিয়ে কিছু বললেই আজকাল মধ্যযুগীয় বলা হচ্ছে, কিন্তু উপায় কি ? সে হিসেবে পোষ্টদাতা মিথ্যা বলেননি ।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: মধ্যযুগীয়' মানে কী
মধ্যযুগ ও বর্বরতা-এই দুইটি শব্দকে সুশীল সমাজের অনেকেই সমার্থক বিবেচনা করিয়া থাকেন। অমানুষিক ও নির্দয় কার্যকলাপকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলিয়া বিশেষায়িত করিবার প্রবণতা মোটেও বিরল নয়। কাহারও নীতি-আদর্শ ও চিন্তাধারার নিন্দা করিতেও এই বাগধারাটি হামেশাই ব্যবহূত হইয়া থাকে। অতঃপর কৌতূহলী মানুষের মনে প্রশ্ন জাগিতে পারে যে, ইতিহাসের কোন সময়টি আসলে মধ্যযুগ? সেই সময়ে কিইবা এমন ঘটিয়াছিল, যাহার জন্য প্রাচীন ও প্রাগৈতিহাসিক এবং ঔপনিবেশিকতার কালপর্ব ছাপাইয়া মধ্যযুগের বর্বরতা অমোচনীয় হইয়া গিয়াছে, সভ্যতার ললাটে কলঙ্কচিহ্ন হইয়া রহিয়াছে! এক্ষণে এই বিষয়ে কিঞ্চিত্ আলোকপাত করা যাইতে পারে বৈ কি।
ইতিহাসবিদগণ পাঁচ শত খ্রিষ্টাব্দ হইতে পঞ্চদশ শতাব্দী পর্যন্ত কালপর্বকে মধ্যযুগ বলিয়া আখ্যায়িত করেন। এই সহস্রবর্ষের ইতিহাস বিশ্বময় ইসলাম ধর্মের প্রসার এবং মুসলমান শাসকদের বিজয়গাথায় পরিপূর্ণ। আরবের আইয়ামে জাহেলিয়াত বা অন্ধকার যুগের অবসান ঘটে মধ্যযুগের ঊষাকাল ৬১০ খ্রিস্টাব্দে হযরত মুহাম্মদের (সা.) রিসালতের মাধ্যমে। নির্জন হেরাগুহায় নবীর (সা.) নিকট আল্লাহুতায়ালা অবতীর্ণ করেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন। মদীনায় রাষ্ট্রগঠন এবং মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়া অবসান ঘটে আরবের বর্বর যুগের। খোলাফায়ে রাশেদিনের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) এর খিলাফতের সময়ে সূচিত হয় ইসলামের বিজয় অভিযান। ইসলামের প্রেরণায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে পুনর্জাগরণ ঘটে। ফিলিপ কে, হিট্টি লেখেন, 'হাজার বছর পাশ্চাত্য অধীনতায় থাকার পর পুনরায় আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল গোটা মধ্যপ্রাচ্য।' পতন ঘটে রোম সাম্রাজ্যের। বাইজেনটাইন ও পারস্য সাম্রাজ্য মুসলিম খেলাফতের অধীনে চলিয়া আসে।
মধ্যযুগের ইতিহাস এমন নয় যে, অবিমিশ্র সুখ ও সমৃদ্ধির। আবার এমনও নয় যে, বর্বরতা ও স্বেচ্ছাচারিতায় ইতিহাসের সকল কালপর্বকে ইহা ছাড়াইয়া গিয়াছিল। মানবিকতা ও বর্বরতা, সুশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতা, উত্কর্ষ ও অনুত্কৃষ্টতা সব কালেই কমবেশি ছিল এবং আছে। কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানদের বিকাশ ও বিজয়ের সহস্র বর্ষকে পাশ্চাত্যের ইতিহাসবিদগণ বর্বরতার যুগ হিসাবে কেন বিশেষায়িত করিয়াছেন তাহা সহজেই অনুমেয়। অথচ এই মধ্যযুগে জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, শিল্প-সাহিত্য ও দার্শনিক চিন্তার বিপুল বিকাশ ঘটে।
আমরা যদি উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগের মূল্যায়ন করি, তাহা হইলেও দেখিতে পাওয়া যায় উত্কর্ষ অর্জনের অব্যাহত প্রয়াস। মধ্যযুগে আমাদের এই উপমহাদেশ কোনো অখণ্ড সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল না। পঞ্চম শতাব্দীতে গুপ্ত শাসন হীনবল হইয়া যাইতে শুরু করে। এগার শতকের আগে পর্যন্ত এই উপমহাদেশে মুসলমান শাসকের আগমন ঘটে নাই। ১১শ এবং ১২শ শতাব্দীতে ভারতবর্ষের বেশিরভাগ রাজ্যই মুসলমানদের দখলে চলিয়া যায়। মুসলিম বিজয়ের পর উপমহাদেশে সামাজিক সম্পর্কের নূতন মেরুকরণ শুরু হয়। হিন্দু-মুসলমানের মেলবন্ধন রচিত হইতে শুরু করে এই সময়ে। বিদেশাগত মুসলমানরা যেমন এই অঞ্চলের সনাতন সংস্কৃতির অনেক কিছুই মানিয়া নেয়, তেমনই সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও বহিরাগত জীবন-সংস্কৃতির বহু কিছু আপনার করিয়া লয়। গোটা মধ্যযুগ ধরিয়া ভারতবর্ষে দেখা যায় শক্তিশালী গ্রামীণ সমাজ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বিদ্যমান ছিল। শাসকগণ বহু জনহিতকর কাজ করিয়াছেন। প্রজাপালনে তাহাদের বদান্যতা ছিল যথেষ্ট। সুলতানি আমলে উপমহাদেশে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা ও সাহিত্যের সবিশেষ উত্কর্ষ সাধিত হয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য এই সময়ে নবতর বিকাশের পথ খুঁজিয়া পায়। অন্যদিকে এই মধ্যযুগের শেষভাগে আসিয়া ইউরোপে মুদ্রণযন্ত্র আবিষ্কৃত হইলে সাহিত্য-দর্শন এবং চিন্তা জগতে যুক্ত হয় নূতন মাত্রা। ঐতিহাসিক ম্যাগনাকাটা সনদের মাধ্যমে ব্রিটেনের রাজনীতির নূতন বিকাশ ঘটিতে শুরু করে।
তাহারপরও ইহা অসত্য নয় যে, মধ্যযুগে বিশ্বের কোনো কোনো অঞ্চলে নৃপতি এবং সামন্ত শ্রেণীর অত্যাচার-শোষণ অব্যাহত ছিল। আর, এই উপমহাদেশে বৈদিক যুগ হইতে চলিয়া আসা ক্রীতদাস প্রথাও বহাল ছিল যথারীতি। ছিল সতীদাহ প্রথা। এইসব নৃশংসতা ও অমানুষিকতার কোনোটিই কিন্তু মধ্যযুগের সৃষ্ট নয়, সর্বব্যাপীও নয়। দেশ-কাল ও পাত্রের প্রভেদ ছিল। কাজেই কোনো একটি যুগকে বিশেষায়িত করিবার আগে ইতিহাসের নিবিড় পাঠ একান্ত প্রয়োজন।
১৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: সহমত
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ধন্যবাদ।
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
১৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:১৮
মায়াবীনি৬৫৪ বলেছেন: ইসলাম মানলে গনজাগরন মঞ্চে ছেলে মেয়ে একসাথে নাচাগানা করতে পারব না
১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন:
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুব ভাল লিখিয়াছেন
এবার ঘুম থেকে জাগেন আযান হল যে
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ঘুম থেকে জাগব মানে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: যদি এ'গুলিই সমস্যা হয় তাহলে সরাসরি বল্লেই হয় যে আমরা ইসলাম চাই না। হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান হয়ে গেলেইতো ঝামেলা মিটে যায় - তাই না?