নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ

প্রকৃতির প্রতিফলন

সদা সত্যের সঙ্গে আছি।

প্রকৃতির প্রতিফলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ প্রেম করে, কেউ প্রেমে পড়ে . . . .

০২ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

একটি মেয়ে যে কতটা সহজে একজন পুরুষের জীবনকেব ধ্বংশ করে দিতে পারে যা মেয়েটি কল্পনাও করতে পারেনা। গুনাহের শুরুটা অনেক মিষ্টি, কিন্তুশেষটা অনেক তিক্ত।ঘুড়ি যখন নাটাই থেকে ছুটে যায় তখন তাকে সামাল দেওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যায়। একজন মেয়ের হাসি, কান্না, চাহনী সব কিছুইরয়েছে পুরুষের জন্য আকর্ষণ। সেই আকর্ষণে মূগ্ধ হয়ে কখন যে তা পুরুষের অন্তরে ভালবাসার আল্পনাএকেঁ দেয় তা হয়ত মেয়েটি কল্পনাও করতে পারেনা। আর এভাবেই শুরু হয় দুটি নর নারীর গুনাহের পথে পথ চলা। আর সে পথ চলা, হাসি কান্নায় কখন যে একজন পুরুষের ভবিষ্যত কল্পনার সাগরে অন্ধকারে হারিয়ে যায়,আর তা বুঝে আসে অনেক পরে। তাই বলি নারীর পর্দা শুধু তার অঙ্গ প্রতঙ্গকে ঢাকার মাঝেই সিমাবদ্ধ থাকবে না। বরং একজন নারীর জন্য আবশ্যক তার কন্ঠ, কথা,লেখা, পুরুষের মনে আকর্ষণ তৈরী হয় এমন সব কিছু থেকে নিজেকে বিরতরাখা।যাতে একজন নারীর দ্বারা কখনো কোন পুরুষের জীবন,তার ভবিষ্যত গুনাহের সাগরে অন্ধকার হয়ে না যায়।''





অপরদিকে,

নারী যখন ভালবাসার পিয়াসিনী হয়, তখন প্রথমেই যে তার হৃদ্যয়-দ্বারে করাঘাত করে, তার জন্যই দরজা খুলে দেয়। ভাবে, তার মত মজনু আর দ্বিতীয়টি নেই। পুরুষকে সে মোটেই চেনে না, অথচ সে পুরুষ নির্বাচন করে। পরন্তু নির্বাচন করার সময়ও সে পায় না। বরং প্রথম যেই তাকে ইশারা করে, তাকেই সে প্রেমের মাল্যদান করে। এমনকি অমুসলিম যুবক হলেও অনেক ধর্মনিরপেক্ষ হতভাগিনী তাতেও কোন পরোয়া করে না!

এজন্য কথায় বলে-

‘পিরীতে মজিল মন, কিবা হাড়ি কিবা ডোম!’



**প্রেম হল চুলকানির মত, প্রথমদিকে চুলকাতে বড়ই আরাম লাগে, কিন্তু পরে জ্বালা শুরু হয়।***



বিবাহপূর্ব প্রেম-ভালবাসায় যদি কোন কল্যাণ থাকত তাহলে আমাদের মহান রব এটাকে হারাম করতেন না। যদি এই প্রেম-ভালবাসায় কোন কল্যাণ অথবা অকল্যাণ কোনটাই না থাকত তাহলেও আমাদের মহান রব এটাকে হারাম করতেন না। বস্তুত এটাতে রয়েছে অকল্যাণ আর অকল্যাণ আর একারনেই আমাদের মহান রব এটাকে হারাম করেছেন।



সমস্ত প্রশংসা সেই মহান সত্ত্বার যিনি কল্যাণকর বিষয়াদিকে হালাল করেছেন এবং অকল্যাণকর বিষয়াদিকে হারাম করেছেন।

"তিনি তোমাদের জন্য হালাল করে দেন হালাল ও উত্তম বস্তু আর হারাম করে দেন খারাপ ও ক্ষতিকর বস্তু"(সুরা আল-আরাফ : ১৫৭)



ইসলামে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই হচ্ছে একমাত্র বৈধ উপায়। মানুষ বিয়ের করার মাধ্যমেই তার চরিত্র ও সতীত্বকে রক্ষা করতে পারে। পোষাক যেমন মানুষের দেহকে ঢেকে রাখে, নগ্ন ও কুশ্রী বিষয়গুলো প্রকাশ হতে দেয় না, বিবাহ তেমনি স্বামী-স্ত্রীর দোষ ক্রটি ও যৌন উত্তেজনা ঢেকে রাখে, প্রকাশ হতে দেয় না।

কোরআনের বানীঃ

“আপনার পূর্বে আমি অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি এবং তাদের জন্য স্ত্রী ও সন্তানের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।” (রা’দ-৩৮)

“আর তোমরা তোমাদের সন্তানদের বিয়ে দাও যাদের স্বামী বা স্ত্রী নেই। আর তোমাদের বিয়ের যোগ্য দাস-দাসীদের বিয়ে দাও।’ (নূর-৩২)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ

আবদুল্লাহ ইবনু মাসুদ (রাঃ) রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘ হে যুবসমাজ! তোমাদের মধ্য যারা বিয়ের সামথ্য রাখে, তাদের বিয়ে করা কর্তব্য। কেননা বিয়ে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যাদের সামথ্য নেই সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা সিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম। (বুখারী, মুসলিম, মিশতাক হা/৩০৮০ নিকাহ অধ্যায়।)



♥ Flirt with your husband. Date with your wife ♥



বর্তমানে যুবক-যুবতীদের একটি বড় সমস্যা হল-প্রেম।

যা আল্লাহ্‌র নিকট কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।



এই বিষয়ে তাদের জেনে রাখা উচিৎঃ

‘ভালবাসা যা দেয়, তার চেয়ে কেড়ে নেয় বেশী।’

‘প্রেম মানুষকে শান্তি দেয়, কিন্তু স্বস্তি দেয় না।’

‘প্রেম হল জ্বলন্ত ধূপের মত, যার শুরু হল আগুন দিয়ে, আর শেষ পরিণতি ছাই দিয়ে। তারই মাঝে সুবাস হল প্রেম-জীবনের মাঝে মাঝে কিছু আনন্দ।’

‘আপনি পুড়ে পোড়ায় এ প্রাণ, তারই যে নাম পীরিতি,

ধরা দিয়ে দেয় না ধরা হায়রে এ তার কি রীতি?

মালায় বেঁধে যদি ভাবি দেব না আর পালাতে,

কাছে পেয়ে মরি যে তার ছলনারই জ্বালাতে।

না ফুটে যায় শুকিয়ে ফাগুনের হায় ফুল কুঁড়ি,

একটু জ্বলে যায় যে নিভে সোহাগের সে ফুলঝুরি।’



প্রেম হল চুলকানী।

আর বিয়ে হল তার প্রতিষেধক।



অতএব প্রেম নয়, বিয়ে করুন

আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জন করুন।



আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষকে বেশী ভালোবাসলে সেই ভালোবাসায় অনেক কষ্ট ও দুশ্চিন্তা দেয়।

আর আল্লাহকে ভালোবেসে মানুষকে ভালোবাসলে সেই ভালোবাসায় অনেক তৃপ্তি ও শান্তি দেয়।



আমিও প্রেম করেছি। প্রেমে ব্যর্থও হয়েছি। কেন হয়েছি জানেন? আমার সাথে সেই মেয়েটার যখন সম্পর্ক খুব গভীর হচ্ছিল তখন আমি একদিন জানলাম এই ধরনের প্রেম হারাম। তাই একদিন তাকে ছেড়ে দিলাম। সে কান্না করল, আমিও করলাম। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। যেই রবের আমার প্রতি এত অনুগ্রহ আমার সেই রবের নাফরমানী আমি করতে পারি না।

আমি অকৃতজ্ঞ নই।

আমার কাহিনী একদিন পুরোপুরি আপনাদের বলব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: হুমম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.