![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাশ্চাত্যের মডার্ন কালচারের দিকে সকলেই আকৃষ্ট।
এই মডার্ন সংস্কৃতি আমাদের দেশে এসে নারীজাতিকে কিছুটা চালাক বানিয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই মডার্ন কালচারের আড়ালে আসলে যে নারী জাতিকে কোন চোখে দেখা হচ্ছে তা নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে টের-ই পায় না।
এই মডার্ন কালচার নারীদের যে স্বাধীনতার কথা বলে তা আসলে আড়ালে--
নারীর শরীর শোষণ করে,
সম্মানের অবমাননা করে
আর তাদের আত্মাকে প্রবঞ্চিত করে।
তারা আসলে নারীদেরকে পরিণত করেছে রক্ষিতাতে, ভোগের বস্তুতে, উপ-পত্নীতে।
এই নারীরা আসলে পণ্য সামগ্রী বিভিন্ন সেক্স মিডিয়াতে, আর ভোগ-বিলাসীদের কাছে, যারা লুকিয়ে থাকে আর্ট আর কালচারের রংচমক পর্দার পেছনে।
***********
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নারী মুক্তির ফিরিস্তি দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত।
নারীদের এই করতে হবে, সেই করতে হবে, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর এগিয়ে চলা, নারীর জয়গান শব্দগুলো এখন অনেক বেশী জনপ্রিয়।
খবরের কাগজগুলোতে এই শব্দগুলো ব্যবহার করে আলাদা ফিচারও থাকে নিয়মিত। আমাদের মায়েরা, আমাদের স্ত্রীরা, আমাদের বোনেরা, আমাদের মেয়েরা সেভাবেই বাঁচতে শিখে, সেভাবেই নিজেদের গড়তে চায়, সেভাবেই জীবন সাজাতে চায়, সেভাবেই জীবনে সাফল্যের অর্থ খুঁজে!
নারী স্বাধীনতার আইকন পশ্চিমা দেশ গুলো, অর্থাৎ যে দেশ গুলোতে নারী স্বাধীনতা সু-প্রতিষ্ঠিত ঐ দেশের একটা মেয়েও যৌবনে পৌছার পূর্বে নিজের সতীত্ব হারায় নি এমনটা আপনি খুঁজে পাবেন কিনা সন্দেহ! তাহলে এর নাম-ই কি নারী স্বাধীনতা। এটা আসলে কৌশল।
কৌশলে নারী স্বাধীনতার নামে নারীদেরকে ঘর থেকে বের করে তাদের দেহ ভোগ করা-ই হচ্ছে আসল উদ্দেশ্য। নারী স্বাধীনতা নারীকে পর্দা করতে না দেয়া, পর্দাকে হেয় করা এবং নারীর স্বল্প বস্ত্র পরিধানে নারীকে উৎসাহিত করে নারীকে সর্বদা পুরুষের জন্য লালসার পণ্য করে পুরুষের সামনে ঘুর ঘুর করে নারীকে চলাচলে উৎসাহিত করা হয়। তাহলে সুশীল সমাজের নারীরা কি পণ্য নয়?
আসলে নারী স্বাধীনতা মানে হচ্ছে নারীকে স্বল্প বস্ত্র পরিধান করিয়ে সর্বদা ভোগ করা। এবং প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে ভোগ করা। আমেরিকার মত দেশ কোন পুরুষ কোন নারীকে ভোগ করার ইচ্ছা করলে তাকে জোর পূর্বক ভোগ (ধর্ষণ) করতে পারে। আর এজন্য ঐ পুরুষকে কোন শাস্তি-ই দেয়া হয় না। আদালতে বলা হয়- ঐ পুরুষটি তো প্রথমবার করেছে তাই তাকে মাফ করা হল। এভাবে ঐ পুরুষটি আরো ৮/১০ জন নারীকে জোর পূর্বক ভোগ করার পর তার হয়তো ৬ মাস বা সর্বচ্চো ১ বছর শাস্তি আদালত দিয়ে থাকে তাও সেটা খুব কম-ই ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়ে থাকে।
***********
নারী স্বাধীনতার আইকন ইউরোপ-আমেরিকার মত দেশ গুলোতে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি নামে আলাদা ইন্ডাস্ট্রি-ই থাকে। সেখানে কি তারা নারীদের স্বাধীনভাবে বিক্রি করছে না?
***********
তাহলে এর নাম-ই তো নারী স্বাধীনতা, আসলে ইচ্ছামত নারীকে ব্যাবহারের স্বাধীনতা।
আমাদের দেশের নারীকে চাকরী দেয়ার লোভ দেখিয়ে, উচ্চ পদ দেয়ার লোভ দেখিয়ে, কোন প্রোগ্রামে ব্রেক দেয়ার লোভ দেখিয়ে তাদের দেহ কি ভোগ করা হয় না।
বিবেকবান লোকদের নিকট প্রশ্নঃ
=====================
সুশীলরা এভাবে তাদেরকে হিজাব মুক্ত করে, ঘর থেকে বাইরে বের করে আসলে কি তাদের সম্মান বৃদ্ধি করছে নাকি তাদের দেহকে ভোগ করার একটি ফন্দি এটেছে????
ভাল পদ, টাকা-পয়সা, গ্ল্যামার পেতে হলে নারীদেরকে নিজ দেহ বিকিয়ে দিতেই হয়।
পশ্চিমাদের মধ্যে যারা অধিকহারে ইসলাম গ্রহন করছে তাদের দুই তৃতীয়াংশই নারী।
=========================================================
নারী স্বাধীনতার নামে নারী দেহ ভোগের এই ব্যাপারটি যখন কোন পশ্চিমা নারী বুঝে ফেলে তখন সে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়, আর এ কারনেই পশ্চিমাদের মধ্যে যারা ইসালাম গ্রহণ করছে তাদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী।
আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীলরা এবং নারীবাদীরা যেখানে সর্বদাই আপত্তি জানাতে থাকে যে, ইসলাম নারীকে অসম্মান করেছে, অবমাননা করেছে, বন্দী করেছে, স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে ইত্যাদি, সেখানে কেন পশ্চিমা নারীরা অধিকহারে ইসলাম গ্রহন করছে?
কেন তারা ইসলাম তথা শান্তির ছায়াতলে ভীর জমাচ্ছে?
এর কারনঃ পশ্চিমা নারীরা এখন বুঝতে শুরু করেছে, তথাকথিত সোস্যালিস্ট, সুশীলরা--
কেন তাদের ঘরের বাহির করেছে?
কেন তাদের দিয়ে নর্তন করানো হয়?
কেন রিসিপশানে একজন সুন্দরী কম বয়সী নারীকে বসানো হয়?
কেন বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে নারীকে দিয়ে উপস্থাপন করা হয়,
কী উদ্দেশ্যে তাদেরকে স্বল্প বসনাকরা হয়েছে?
কারা তাদের অধিকার দেয়ার নাম করে ডাবল ডিউটি (নারীত্বের স্বভাবজাত কাজ ও অর্থ উপার্জন) আদায় করিয়ে নিচ্ছে?
কারা তাদেরকে সংসারের উপভোগ্য জীবন থেকে বঞ্চিত করেছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর জেনেই তারা এখন ইসলামের ছায়াতলে আসছে।
আপনি কি আমাকে বলতে পারবেন সঠিকভাবে হিজাব করা, মাহরাম নন মাহরাম মেনে চলা, ইসলাম নারীর যে বাধ্যবাধকতা দিয়েছে সেসব মেনে চলা কয়টা জঙ্গি মেয়েকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে?
কয়টা ক্ষ্যাত মেয়েকে রাস্তায় টিজ করা হয়েছে?
কয়টা?
পক্ষান্তরে হিজাব ছেড়ে শিলা-মুন্নি-চাম্মাক চালো, ধূতি কাটিং কপচানো মেয়েগুলোই রাস্তায় বাজে মন্তব্যের শিকার হয়,
বন্ধু-আড্ডা-গান আর ভাবালুতায় মিশে যাওয়া আধুনিকা মেয়েগুলোই ধর্ষিত হয়।
গতকাল নারীজাতি ছিল সুখী পরিবারের এক অহংকার। কিন্তু আজকের মডার্ন নারীজাতি ঘৃণায় ভরা এক অবৈধ যৌনসঙ্গিনী। এই মেয়ে গুলোর আত্মহত্যার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, তারা যদি তাদের জীবন নিয়ে এতই স্বাধীন হয় তবে তারা কেন আত্মহত্যা করে???
নারীদের কি এখনো বোধউদয় হবে না??
©somewhere in net ltd.