নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ ভূত দর্শন

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৯


[১]
ফয়সাল এর আগে কখনো একা একা শহরে আসেনি। যদিও শহরটা তার গ্রামের কাছাকাছি তবুও বিভিন্ন কারণে আসা হয়নি তার। ফয়সালের বয়স আঠারো বছর তিন মাস বারো দিন, সবচেয়ে অবাক ব্যাপার এতটা বয়সে বাবা মাকে ছেড়ে সে একা একা থাকেনি কোথাও কোনদিন।
ভীষণ রকম মা বাবা নির্ভরশীল ছেলে সে। একমাত্র ছেলে হবার কারণে সম্ভবত এমনটা। জহির ও সাবেরার চোখের মণি যাকে বলে, একটু সময় ছেলেকে না দেখলে কেমন যেন অস্থির হয়ে ওঠেন তারা।
এইচ এস সি পাশ করার পর কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত খোঁজ খবর নিতে চাচাতো ভাই রবিনের সাথে এক বিকালে সে শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।স্বাভাবিক ভাবে জহির সাবেরা দম্পতির বিষন্ন মনে অশ্রুভারাক্রান্ত চোখে ছেলেকে বিদায় দেন।
পথে তেমন সমস্যা না হলেও হঠাৎ করে গাড়ির ইঞ্জিণ বিকল জনিত সমস্যার কারণে তারা শহরে পৌঁছতে পৌঁছতে বেশ রাত হয়ে যায়।
মফস্বল শহর, সেই কারণে হয়তো রাস্তায় লোক চলাচল কম।রিক্সা না পাওয়াতে তারা দু’ভাই কিছুটা হেটে গন্তব্যে পৌছে গেলো অল্প সময়ের মধ্যে। একটু দ্রুত হেটে তারা পথটুকু অতিক্রম করলো কারণ আকাশ জুড়ে তখন ঘণ কালো মেঘ।যখন তখন বৃষ্টি চলে আসতে পারে।
গলির ভিতরে ছোটখাটো দোতলা বাড়ি । এখনো নির্মাণাধীন।রবিন মোটামুটি ফ্রিতে এখানে থাকে। বাড়িওয়ালা তার মামার বন্ধু হবার সুবাদে বাড়ির কাজ দেখাশোনার বিনিময়ে সে এই বাড়িতে থাকে আর কি। কেয়ারটেকারের কাজটা তাকে দিয়ে দিব্যি চলে যায়।
যাহোক বাড়ি দেখে ফয়সালের বেশ পছন্দই হলো। পাড়াটিও নিরিবিলি বলে মনে হলো। যদিও এতো রাতে ভিতরের দিকে রাস্তায় লোকজন না থাকাটা স্বাভাবিক।
তালা খুলে বাসায় ঢুকে আলো জ্বালতেই রবিন একটা জরুরি কল পেয়ে বাইরে বেরিয়ে গেল তাড়াহুড়ো করে। যাওয়ার আগে বলে গেলো আমি এক্ষুনি আসছি। একটা জরুরী কাজ আছে, ফ্রিজে খাবার রয়েছে তুই দ্রুত ফ্রেশ হয়ে রান্নাঘরে গ্যাসে খাবার গরম করে খেয়ে নে।আমি এক্ষুনি আসছি ।
ফয়সালের যদিও একটু ভয় ভয় করছিলো।তবে সেটা সে প্রকাশ করলো না।পাছে রবিন হাসাহাসি করে । এমনিতে সে মায়ের আঁচলে থাকে বলে তাকে নিয়ে আত্নীয় স্বজনের সবাই হাসা হাসি করে। নানা রকম টিকা টিপ্পনী কাটে সবসময়।
সে ঢোক গিলে শুধু বলল,
-ভাইয়া তুমি দেরি করোনা।
- আরে না ভয় কি ? পুরো বাড়ি ফাকা কেউ নেই তুই নিশ্চিন্তে থাক আমি যাবো আর আসবো।
বাসাটা বেশ বড় বলে মনে হচ্ছে। মেঝেটা অমসৃণ ।দেয়ালগুলোতে রঙের প্রলেপ পড়েনি এখনও। প্রথমে ফয়সাল চারদিকে এক নজর
চোখ বুলিয়ে নিলো ,তারপর জামা কাপড় পালটে ওয়াশ রুমে ঢুকলো।
ওয়াশরুমে ফ্রেস হতে হতে একবার মনে হলো গোসল করতে পারলে ভালো হতো। আজ বেশ গরম পড়েছে। কিছুক্ষণ পরে তোয়ালে নেবার উদ্দেশ্য দরজা খুলতেই খেয়াল করলো মিষ্টি একটা গন্ধে ঘরটা ভরে গেছে।
ফয়সাল অবাক হলো? পারফিউমের গন্ধ এটা নিশ্চিত। পরিচিত কোন ফুলের এমন সুবাস নেই।বাসায় তো অন্য কেউ নেই। তাহলে? যাহোক সে গোসল সেরে বুঝতে পারলো যে তার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।
সাত পাঁচ না ভেবে সে খাবার গরম করতে রান্নাঘরে ঢুকলো।বাসায় থাকতে সে মায়ের রান্নাবান্নায় অনেক সাহায্য করে দিতো সেহেতু অভ্যাস থাকার কারণে চুলা জ্বালিয়ে খাবার গরম করতে তার খুব একটা অসুবিধা হলো না।
খেতে বসেছে হঠাৎ তার মনে হলো ঘরের ভিতরে কেউ একজন নূপুর পায়ে দিয়ে হাটছে। সে পিছন ফিরে এদিক ওদিক চাইলো।
না কেউ নেই। সে কি ভুল শুনছে? এখন অবশ্য আওয়াজটা আর নেই। আশ্চর্য! নূপুরের আওয়াজ কোথেকে আসবে?
কিছুক্ষণ কান খাড়া করে নিজেকে নিজেই বোকা ভেবে বকা দিলো তারপর আবার নিজের কাজে মন দিলো সে।
তখন খাওয়া প্রায় শেষ। বেসিনে যাবে হাত ধুতে। হঠাৎ মনে হলো কেউ তাকে দেখছে। এরকম মনে হচ্ছে কেন? কি হচ্ছে কি তার সাথে?
এরকম হবার তো কথা নয়? সেতো দরজা লক করে ছিটকিনি তুলে দিয়েছে।তাহলে?
যাহোক সে খাওয়া শেষে আবোল তাবোল চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যাগ খুলে একটা গল্পের বই বের করলো । তবে কিছুতেই বইয়ে মন বসাতে পারলো না।মনের মধ্যে কেমন যেন অশান্তি অশান্তি লাগছে।
কষ্ট করে বইয়ের ক'পাতা পড়েছে সবে হঠাৎ তার কানে মেয়ে কণ্ঠের গুণ গুনিয়ে গান গাওয়ার আওয়াজ ভেসে এলো। ভারি মিষ্টি গলা তো!কিন্তু এখানে গান গাইবে কে?
নাকি সে ভুল শুনছে?
এবার কিন্তু সত্যি সত্যি তার কেমন যেন ভয় ভয় করতে লাগলো। অনেক গুলো ঘটনা ঘটে গেছে যার কোন ব্যাখ্যা সে পাইনি।এমন হবার কারণ কি?
ঘরে কি কেউ আছে?
এসব ভাবতে ভাবতে বলা নেই কওয়া নেই দুম বিদ্যুৎ চলে গেল।
[২]
এবং কাছাকাছি সময়ে ঝড় উঠলো তারপর শুরু হলো বৃষ্টি।
বৃষ্টি দমকা হাওয়া সাথে করে ঘর অবধি এসে পৌছাচ্ছে ,জানালাগুলো বন্ধ করে দেওয়া দরকার তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো জানালা খুলল কে? নাকি খোলা ছিলো।
সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে ফয়সাল দেখলো কেউ একজন হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকলো এবং দ্রুত গতিতে জানালার কপাট বন্ধ করতে লাগলো আর সেই সাথে একটু আগের পারফিউমের গন্ধটাও নাকে এসে লাগলো। কি আশ্চর্য নূপুরের আওয়াজটাও ফিরে এসেছে।
কে ? কে ওখানে ?
ফয়সাল চেষ্টা করলো কথাগুলো বলতে কিন্তু কে যেন তার গলা চেপে ধরেছে মনে হলো । ক্রমশ তার গলার ভিতরটা শুকিয়ে একেবারে কাঠ হয়ে গেছে। ভয়ে আতঙ্কে সে খুব দ্রুত জ্ঞান হারালো।
তারপর যখন তার জ্ঞান ফিরে এলো তখন প্রথমে সে চোখ মেলে দেখলো তার চাচাতো ভাইয়ের উদ্বিগ্ন মুখ।সে বেচারাও খুবই চিন্তিত তা বোঝা যাচ্ছে তার চোখে মুখ দেখে।
চোখ মেলতেই সে প্রথমে জানতে চাইলো,
-কি রে ফয়সাল এখন কেমন লাগছে? ভালো বোধ করছিস তো? ডাক্তার ডাকবো?
ডাক্তারের কথা শুণে ফয়সাল সব ঝেড়েঝুড়ে ধড়মড়িয়ে ঠেলে উঠলো্ ডাক্তারকে তার দারুণ ভয় কারণ ছোটবেলাতে একবার ইনজেকশান পুশ করা নিয়ে হুলুস্থুলুস কান্ড ঘটে ছিলো।
ঘরের মধ্যে সে রবিন ভাইয়া আর অচেনা একজন স্ত্রীলোক। এই মেয়েটি সেই মেয়েটি কি? যাকে দেখে সে ভয় পেয়েছিলো?
রবিন আবার জানতে চাইলো
-আর ভয় লাগছে?
ফয়সাল মাথানোয়ালো । এখন তার ভীষণ লজ্জা লাগছে তবে অচেনা মেয়েটি কে জানতেও ইচ্ছে করছে।
রবিন মনে হয় ফয়সালের মনের ভাব বুঝতে পারলো।একে চিনেছিস?
ফয়সাল মাথা নাড়ালো। রবিন হো হো করে হেসে উঠলো তাই তো তাইতো চিনবি কি করে পরিচয়ই তো করে দেইনি।
যাহোক এবার আসল কথায় আসা যাক, বৃষ্টি তখনো পড়লেও বিদ্যুৎ চলে এসেছে , ফয়সালও স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।পূর্ববর্তী ঘটনা এরকম।
রবিন মায়ার কাছ থেকে ফোন পেয়ে সেই ঝড় বৃষ্টি মাথায় করে বাড়িতে খুব দ্রুত চলে এসেছিলো। মায়া হচ্ছে সেই অজানা অচেনা নারী মূর্তি।
আসলে সে ভূত বা প্রেত কোনটাই নয়। সে রবিনের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী । এই বউয়ের কথা বাড়িতে তো নয় এমন কি ফয়সালকেও জানাইনি রবিন, মায়াকে সে মাত্র কিছুদিন হলো বিয়ে করেছে।
বিয়েতে মায়ার পরিবারের পূর্ণ সম্মতি ছিলো সে কারণে রবিনকে তেমন একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি তবে সমস্যা একটা আছে তা হলো মায়ার পরিবার তথাকথিত নিচু বংশ যা রবিনের বাবা বেঁচে থাকাকালীন এই বিয়ে মেনে নেবে কিনা সন্দেহ।রবিন আধুনিক ছেলে সে এই বংশ জাত পাতের ধার ধারে না।কিন্তু তার বাবা এবং পরিবার সমাজ নিয়ে চলেন।তাই সাহস করে রবিন আর বাড়িতে এই মেয়ে বা তাকে বিয়ের কথা তুলতে পারেনি।
যদিও রবিনের বাড়ি পর্যন্ত কানাঘুষো পৌঁছে গেছে রবিন নাকি শহরে কোন এক মেয়ের প্রেমে পড়েছে। বিয়ের কথাটা অবশ্য কেউ জানে না।
তো রবিন বাড়িতে যাবার আগে বৌকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।কারণ মায়ার খালি বাড়িতে থাকাটা ঠিক হবে না ভেবে।আর মায়াও কদিন ধরে বাবার বাড়ি যাবে বলে বায়না করছিলো।
মায়া আজ বিকালে রবিন আসছে বলে বাড়িতে ফিরে আসে রবিনকে চমকে দেবে বলে । এখানে এসে গোসল খাওয়া দাওয়া শেষে একটু ঘুমিয়ে পড়ে।
আর এদিকে কমন চাবি দিয়ে ডোর লক খুলে রবিন ও ফয়সাল ঘরে ঢোকে এবং তৎক্ষনাৎ রবিন সাম্যের জরুরি কল পেয়ে বেরিয়ে যায় হাসপাতালের উদ্দেশে। সাম্য রবিনের ছোটবেলার বন্ধু।
ফায়সাল যখন ওয়াশ রুমে তখন বাড়িতে কে এলো দেখার কৌতূহলে মায়া ডাইনিং রুমে ঢুকে। সেই মুহূর্তে রবিন ফোন দেয় মায়াকে, মায়া জানায় সে বাড়িতে ফিরে এসেছে। তখন রবিন জানায় যে তোমার এখন ফায়সালের সামনে যাওয়ার দরকার নাই। আমি বাসায় ফিরে সব ম্যানেজ করবো। তুমি নিজের ঘরে থাকো। না হলে ফয়সাল এমনিতে লাজুক মুখচোরা ছেলে ও তোমাকে হঠাঃ দেখলে অপ্রস্তুত হয়ে পড়বে।আর সে কারণে পাশের ঘর থেকে মায়া আর বাইরে আসেনি। তবে ঘরের ভিতরে হাঁটা চলার আওয়াজে পায়ের নূপুর বেজেছে। আর স্বভাব সুলভ কারণে গুনগুনিয়ে গান গেয়ে উঠেছে নিজের অজান্তে যা শুণে ফয়সাল বিভ্রান্ত হয়েছে।
আর সব শেষে
বিদ্যুৎ চলে যাবার পর ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে জানালা বন্ধ করতে মায়া এঘরে ঢুকলে ফয়সাল মায়াকে ভুত ভেবে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সবশুনে ফয়সাল সত্যি সত্যি ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেলো। আর ভাবতে লাগলো সে এতো বোকা কেন?
সমাপ্ত
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: রচনা লেখার মতো করে গল্প লেখা।এর চেয়ে কবিতা লেখাই ভাল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন: সবাই একই ছকে একই কায়দায় লিখবে তাহলে বৈচিত্রর স্থান কোথায়?
এখন সবাই ব্যস্ত, ব্যস্ততার যুগ। অযথা গল্প টেনে বড় করার পক্ষপাতি আমি নই।
ভালো থাকবেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৪

ইসিয়াক বলেছেন: আর কবিতা আমি প্রতিদিনই লিখি।ব্যস্ততার কারণে ব্লগে পোস্ট দেয়া হয়ে ওঠে না।
শুভকামনা।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুব সুন্দর লেখেছেন মজা লেগেছে প্রিয় ইসিয়াক দা

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন:


সামনের মাসে ঢাকায় আসছি লিটন ভাই । সাহিত্য দিগন্ত লেখক পুরস্কার-২০২০ এর অনুষ্ঠানে দেখা হবে ।

শুভকামনা জানবেন।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা চলুক। ভালোই লাগছে পড়তে।
কারো পছন্দ না হলে সে পড়বে না।
জোর করার কিছু নেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০

ইসিয়াক বলেছেন:

ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া।
শুভকামনা সতত।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে যে কবিতা না দিয়া গল্প দিছেন, তাতেই দিল খুশ হুয়া। গল্প মোটামুটি হইছে, তয় সেইটা বড় কথা না। গল্প দিছেন, এইটাই বড় কথা। কিপ ইট আপ!!! :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা .।অনেকগুলা কবিতা জমা আছে, প্রায় পঞ্চাশটার বেশি। সময়ের অভাবে পোস্ট দেই নাই।

আপনার জন্য একটা ভালো খবর আছে প্রিয় মফিজ ভাই[ভূয়া বাদ দিছি]। সামনে আরো একটা গল্প পোস্ট দেবো । গল্পের নাম “চরিত্রহীনা” পড়ার জন্য আগাম আমন্ত্রণ রইলো। :(
শুভসকাল।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কবিতাগুলি সব ফেবুতে পোষ্টান, ব্লগে দেওনর কাম নাই!! :P
ওকে, চরিত্রহীনাকে দেখার.......থুক্কু পড়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। :)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: কবিতা সব ফেবুতেই পোস্ট দিছি। আপনার জন্য ব্লগে গল্প আনছি ;) । সামনে আরো আসবে ইনশাআল্লাহ ।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #ভুয়া ভাইয়া আপনে একটা নিরামিশ মানুষ । একশত দুইবার কবিতা পোস্টাইবো মিয়া আপনের কী হুহ

কবিতা আপনাকে ভালোবাসতেই হবে।

গল্প পড়ে মন্তব্য করবাম ভাইয়া

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন:


অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
শুভসকাল।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমি ভূত ভয় পাই B:-/

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

ইসিয়াক বলেছেন:



আরে প্রিয় ফয়সাল রকি ভাইয়া কি যে বলেন , পড়ে দেখেন ভয় পাবেন না,নিশ্চিত।

শুভকামনা।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১০

জুন বলেছেন: আবার কিসের ভুত ইসিয়াক :|| কাভা না এই ভুতের প্রতিযোগীতায় মাহাকে পুরস্কার দিল :-*

তবে গল্প ভালোলাগলো । ব্লগে গল্পই ভালো কবিতা ফেস---
:`>
+

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভাইয়ার পোস্ট পড়ে মাথায় হঠাৎ করে একটা গল্পের প্লট ঘোরাঘুরি করছিলো। লিখে ফেললাম।

গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। কৃতজ্ঞতা রইলো।


#সব কবিতা ফেসবুকে দিলে কাব্য প্রেমীরা তখন রাগ করবে তো ;) । তাই মাঝে মাঝে কবিতা দিলে কি খুব অসুবিধা আপু? আমি কিন্তু কিছু লিখতে বসলেই কবিতা হয়ে যায় কি যে করি!!!! হা হা হা ।

ধন্যবাদ

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে। ভালো লাগলো

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

ইসিয়াক বলেছেন:

গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু।


# কবিতা পোস্ট দেবো আপু। গল্প লেখার অনেক ঝামেলা। সময় দিতে হয়। =p~ =p~ =p~

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: গল্প সমাজ জীবনের আয়না। কবিতা চিরুনি । ভূয়া ভাই কবিতা মানুষের মন নরম করে। পড়লে ভালো লাগবে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩১

ইসিয়াক বলেছেন:

ধন্যবাদ মহী ভাই । আবারো কবিতা পোস্ট দিলাম। আমি সবার দলে হা হা হা .........

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পের নাম “চরিত্রহীনা” পড়ার জন্য আগাম আমন্ত্রণ রইলো। :( মুখ ব্যাজার ক্যান? আমন্ত্রণ দিবেন হাসিমুখে!! B-)

@কাজী ফাতেমা ছবিঃ আমি আমার মতামত দিছি, রাখা না রাখা ইসিয়াকের ইচ্ছা। আপনে কি আমার কন্ঠরোধ করতে চান? কবি মানুষ......এইরাম ভায়োলেন্ট হইলে চলবো? কবি গো শুনছি দিল নরম হয়। আপনে তো দেখি ভুয়া কবি!!! এই যে আমারে নিরামিশ কইলেন, আমি কি কিছু কইছি? :P

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভূয়া ভাই কবিতা মানুষের মন নরম করে। হ.....কইছে আপনেরে! উপ্রে এক কবি আমারে থ্রেট দিতাছে। এই নি মন নরমের নমুনা!!! :-B

জুন আপায় ঠিকঠাক মতোই বুঝছে............ =p~

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: # অহন কমু না মুখখান ব্যাজার ক্যান গল্প পোস্টইলে কমু। B-) কবিতা দিয়াইতো আমারে আপনে চিনছেন.......মনে নাই সেই মধুরিমা :D ভুলি নাই। যাহোক আমি কিন্তু কবিগো দলে তয় কবি আপা আপনেরে কি কইছে না কইছে কিছু দেহিও নাই শুনিও নাই :-B

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখায়টায় কিছু কিছু সমস্যা আছে।
যদি বলেন, সমস্যাটা ধরিয়ে দিতে, সেটা পারবো না।

একদম সব লিখে ফেলতে হয় না। আপনিই যদি সব লিখে দেন, তাহলে আমি কল্পনা কি করবো?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১১

ইসিয়াক বলেছেন: গল্প লিখলে অনেকে যুক্তি দিয়ে প্রমাণ চায় তাই ব্যখ্যা সহ উপস্থাপন করেছি। গল্পটি রি রাইট হবে। আকারে কিছুটা বাড়বে। ব্লগে বা অন্যান্য সোসাল মিডিয়ায় লোকে দীর্ঘ লেখা এড়িয়ে যায়। তাই......।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইসিয়াক ভাই,
ভয়ের পেছনে কিছু কারণ থাকে তবে ভয়ের সাথে সাথে সেসব কারণ চিন্তা করার সময় পাওয়া যায় না। ভয়ে মানুষ মারা গেছে এমন ঘটনা প্রচুর। গল্প ভালো হয়েছে।

আখের গুড়/খেজুরের গুড় ছাড়া ভাপা পিঠা বানিয়ে মাংসের ঝোল দিয়ে খেয়ে আমাকে জানাবেন কেমন হয়েছে।





৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৩

ইসিয়াক বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো প্রিয় মাহমুদ ভাই। অনুপ্রাণিত হলাম।
অবশ্যই আখের গুড়/খেজুরের গুড় ছাড়া ভাপা পিঠা বানিয়ে মাংসের ঝোল দিয়ে খেয়ে আপনাকে জানাবো। নিশ্চয় খেতে দারুণ মজা হবে।
শুভকামনা সতত।
দোয়া রইলো।

১৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভূতের দেখা নেই রে, ভূতের দেখা নাই.....
তবে একটা কথা না বলে যামুনা। এইবার আমাদের লগে একটা ব্রম্মদত্যি ধইরা আনবেন।এই পেত্নী ভয় দেখানোর ব্যাপারে অপারগ। ভূয়া ভাইয়ের এত সাহস কোথায় পান একটা হেস্তনেস্ত চাই। ব্রহ্মদত্তকে বলবেন ভূয়া ভাইয়ের সঙ্গে নুরুলইসলা ভাইকেও সমানে আপ্যায়ন করতে। পারলে নুরুল ইসলা ভাইকে এমন করে ধরতে বলবেন যাতে রচনার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে ভয় পেয়েছি' বলতে বলতে পালায়। আর নীল আকাশ ভাইকে ভয় দেখায়েন না।উনি শুনেছি ভূতের কারবার করেন।

এবারে- রকি ভাই, ছবি আপু ও জুনাপুকে যেন ব্রম্মদত্যি কিছু না বলে। খবরদার বলে দিলুম।নইলে ব্রম্মদত্যিকে আটকে রাখবো। নেওয়াজ আলি ভাই ও আলমগীর সরকার লিটন অত্যন্ত সজ্জন মানুষ। উনাদের ব্রহ্মদৈত্যকে দিয়ে একটু আপ্যায়ন করতে পারেন। তবে আমাদের ছোট ভাই রাজিব নুরকে কি করবেন আপনার উপর ছেড়ে দিলাম। আর আমার জন্য কোন চিন্তা করবেন না।

ভালো থাকুন সবসময়।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: ভূত দেখলে তো সবাই ভয়ে পালাবে। আমি চাই না কেউ ভয় পাক ;)
# ভুয়া ভাইরে কিন্তু আমি সেইরকম ভয় পাইতাম অহন অবশ্য পাই না। আগে তো পোস্ট পইড়া চুপচাপ থাকতাম মন্তব্য করার সাহস পাইতাম না, যদি হালুম কইরা আক্রমণ করে তো আমি শেষ আমার আবার বাঘে খুব ভয় =p~ =p~

১৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০

ওমেরা বলেছেন: একা বাসায় আমিও খুব ভয় পাই , আর যদি হয় নতুন জায়গা তাহলে তো কথাই নেই ।
গল্প গল্পের মত হয়েছে মানে ভালো হয়েছে ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২১

ইসিয়াক বলেছেন: #আমি ছোট বেলাতে রাত হলে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যেতে হলে কাউকে সাথে করে ছাড়া যেতে পারতাম না। মনে হতো কেউ বুঝি আমার পা ধরে টেনে খাটের নিচে নিয়ে যাবে। এখন অবশ্য আর ভয় টয় খুব একটা নেই্।


গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভকামনা।


১৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢুকিচেপা বলেছেন: বাহ্ ভালোই সাজিয়েছেন ভুতের গল্প।
আমাকে একজন গল্প বলেছিল তার বাসায় নাকি এমন হতো।
ভুতের গল্প পড়তে বা শুনতে বেশ ভালো লাগে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫

ইসিয়াক বলেছেন: হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন গল্প আগে সাজিয়ে নিয়ে তারপর লিখেছি। তা না হলে তো সমস্যা, ঠিক ঠাক ব্যাখ্যা না দিলে সবাই মিলে আমার ঘাড় মটকে দিক আর কি =p~ =p~ =p~

মজা করলাম ।

মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।
শুভকামনা সতত।
শুভসকাল।

১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইদানিং আপনি বেশি ব্যস্ত।
অথচ বছরের শেষ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৮

ইসিয়াক বলেছেন: ভাইরে আমাদের কাজ সারা বছর। সরকারী স্কুলের শিক্ষকদের মতো আরামের জীবন আমাদের না। ডিসেম্বর মাসে বাচ্চা কালেকশনে যেতে হয়। লোকের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে ভর্তির জন্য তোয়াজ করতে হয়। সরকার নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে বেসরকারী স্কুলের প্রতি।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৭

সোহানী বলেছেন: আজারে এইভাবে কেউ ভুতরে ভাবী বানায়!!!! যা একটু নড়েচড়ে বসলাম, দিলেনতো সব পানিতে ফেলে!!!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা .........।ভাবী যদি ভূত হয়ে ঘরে বসে থাকে আমার আর কি দোষ। এই একটু ভুল বোঝাবুঝি আর কি ।
ভালো থাকুন সবসময় । শুভকামনা রইলো আপু।

১৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৯

কল্পদ্রুম বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে৷আপনার লেখা তো অনেক সহজ ভাষার। পড়তে সমস্যা হয় না। তবে বর্ণনার দিকে আর একটু সময় দিলে ভালো হয়। আর আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত, বাস্তবে ভূত আছে কি নেই সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে গল্পের নাম "ভূত দর্শন" হলে সেখানে ভয়ঙ্কর ভূত দেখবো পাঠক হিসেবে সেরকম প্রত্যাশা থাকে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫১

ইসিয়াক বলেছেন: সুন্দর গঠন মূলক মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন।
পাঠে মন্তব্যে লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম ভাইয়া। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভসকাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.