নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
ঘড়িতে এখন দশটা তিরিশ বাজে,টেনশন নিয়ে আমি হাত ঘড়িতে চোখ বুলালাম আর মনে মনে ভাবলাম আজও কি চকোরী দেরিতে আসবে?
আর তখনই দুর থেকে দেখতে পেলাম চকোরীকে। মনটা এক নিমেষে খুশিতে ভরে উঠলো। টেনশনও কিছু টা দুর হলো।
আজ আমাদের দুজনের জন্যই বিশেষ একটা দিন।এ যাবৎ কাল ধরে আমাদের দেখা করার দিনগুলোতে সাধারণত চকোরী নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরেই আসে। প্রতিদিন লেট।মহা বিরক্তিকর অবস্থা।
তবে আজ একেবারে পারফেক্ট টাইমিং। নতুন জীবনের শুরুতে নিজেকে শুধরে নেওয়াটা সত্যি এক দারুণ ব্যপার। চকোরীর সিরিয়াসনেস দেখে আমার সত্যি সত্যি ভালো লাগলো।
চকোরী আজ আকাশ নীল শাড়ী পরেছে। শাড়ির সাথে মিলিয়ে হাতে পরেছে নীল রেশমীচুড়ি। শাড়িতে সে খুব একটা অভ্যস্থ নয়, তা তার হাঁটাচলায় বোঝা যাচ্ছে। শাড়ি সামলে বারবার চুলগুলোকে ঠিক করছে সে মহা বিরক্তিতে।
শ্যম্পু করার পর চুলগুলো আসলেই বড্ড বেয়াড়া হয়ে যায়।চকোরী আরো কিছু টা এগিয়ে আসতে দেখা গেল কপালে টিপও পরেছে নীল রঙের। আর খোপায় দিয়েছে নীল অপরাজিতা ফুল। চমৎকার কম্বিনেশন। সমস্ত নীলের মধ্যে তার সুন্দর মুখখানি দারুণ মায়াময় লাগছে।
আমি দ্রুত ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।
-তোমাকে নীল পরীর মত লাগছে সোনা। শুধু দুটো ডানা লাগাতে হবে এই যা।
চকোরী চোখ মুখ নাচিয়ে বলল,তাই নাকি?
- সত্যি বলছি। নীল পরি।
আমাকে পাত্তা না দিয়ে সে হঠাৎ বলল,
- কতক্ষণ এলে?
-একটু আগেই এসেছি। জানো তো খুব বেশি মাত্রায় এক্সাইটেড ফিল করছি। তাই রাতে ঠিক মত ঘুমাতে পারিনি।সকালে উঠেই চলে এলাম।
- কবিরা সবসময় একটু বেশি বেশিই এক্সাইটেড ফিল করে। অলীক স্বপ্ন দেখে তো, বাস্তব জ্ঞান বুদ্ধি কম থাকে বলেই এমন অবস্থা।
-আবার শুরু করলে? আজকের দিনটা না হয় একটু কনসিডার করতে।
- তোমাকে সারা জীবনের জন্য কনসিডার করা হল যাও।
- মানে? যাহোক চলো তাড়াতাড়ি রায়হান আর তৌসিফ অপেক্ষা করছে।
-ওরা অপেক্ষা করছে কেন? আজ কি কোন বিশেষ প্রোগ্রাম আছে?
-বাহ ভুলে গেলে? নাকি মজা করছো।ওরা তো আমাদের বিয়ের সাক্ষী হবে। তাই অপেক্ষা করছে।
-বিয়ের সাক্ষী? আচ্ছা বিয়ে হ্যাঁ বিয়ে করে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে তুলবে? তোমাদের ওই দুই রুমের বাড়িতে? খাওয়াবে কি? উপোস চচ্চড়ি?
-এসব কথা এখন আসছে কেন? কি আজিব!
-আমি অনেক ভেবে দেখলাম। বুঝছো? তোমাকেও বহুবার বলেছি একটা চাকরি জোগাড় করো। তা না সারাদিন কবিতা, কবিতা, কবিতা। অসহ্য লাগে আমার । সামান্য হোক একটা চাকরির কথা বলেছিলাম তুমি গ্রাহ্যই করলে না, সারাদিন তোমার ওই কবিতা আর গল্প লেখা। কি পরিচয় দেব তোমাকে আমার আত্নীয় স্বজনকে? বুক ফুলিয়ে বলবো আমার স্বামী একজন উদীয়মান কবি! ব্যাপক তার প্রতিভা! ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফরমেশন এদেশের আবহাওয়ার কারণেই বেশির ভাগ মানুষ ই স্বভাব কবি।কবি হওয়া কোন যোগ্যতার মধ্যে পড়ে না।
-কবিতার প্রতি তোমার এত অভিযোগ? আমার প্রতিও তোমার এত অভিযোগ জানতাম না তো, ভেবে পাচ্ছি না আমার জানাশোনায় এত বড় ভুল কি করে হলো? অথচ একদিন আমার কবিতা পড়েই তুমি আমার প্রেমে পড়েছিলে।
-অতীত কপচিও নাতো। পাস্ট ইজ পাস্ট।
-তাহলে আমাদের বিয়েটা।
-ক্যান্সেল।
-ক্যান্সেল মানে কি?
-ক্যান্সেল মানে ক্যান্সেল। স্যরি,আমার বিয়ে হয়ে গেছে অপূর্ব।
- এসব তুমি কি বলছো?
- মায়ের বান্ধবীর ছেলে। কানাডায় পড়াশোনা করে।দেখতে শুনতে দারুণ স্মার্ট। এত ভালো প্রস্তাব ভেবে দেখলাম বিয়েটা সেরে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তুমি আগামী পাঁচ বছরেও চাকরি জুটাতে পারবে না সেটা আমি বুঝে গেছি। তাই বিয়েটা সেরে নিলাম।
কি বলবো আমি? কি বলা উচিত? কিছুই আমার মাথায় আসছে না। বুকের ভিতরটা শুধু মুচড়ে উঠছে।হু হু করছে। উফ! এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়।
খানিকটা সামলে হঠাৎ আমি ইউ টার্ণ নিলাম। এই বেইমান, স্বার্থপর মেয়েটার কাছে কিছুতেই আমি হারবো না,কিছুতেই না।হাসিমুখে যেন সব মেনে নিয়েছি এমন ভাবে বললাম,
-আসলে চকোরী, তুমি বুদ্ধিমানের মত কাজটা করেছো। তোমার নিজের সিদ্ধান্ত তুমি নিজে নিয়েছো। আমারও দায় মুক্ত হলো।
আসলে আমিও অন্য একটি রিলেশনে আছি। বিয়ের কথা বলে তোমাকে বাজিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম তুমি আমার প্রতি কতটা ইনভলবড। যাহোক যা হয়েছে ভালো হয়েছে। উইশ ইউ অল দ্যা বেস্ট। তাহলে আর কি, বাই।
চকোরীকে এতটা অবাক হতে আমি কখনও দেখিনি।ওর চোখ কি কিছুটা ভিজে উঠল।ও অদ্ভুতভাবে আমার দিকে তাকালো।
আমি আর ওখানে এক মুহুর্ত থাকলাম না।ওর দিকেও আর তাকালাম না কারণ এত বড় মিথ্যা বলার পর ওর চোখে চোখ রাখতে পারবো না ধরা পড়ে যাবো। আমি চাই না চকোরী আর আমার সম্পর্কটা নিয়ে ও নিজে কোন হীনমন্যতায় ভুগুক। আমি সোজা লেকের পাড় ধরে হাঁটতে লাগলাম। ফোন বের করে কারো সাথে কথা বলছি এমন ব্যস্ততা দেখিয়ে সামনে এগিয়ে গেলাম।
অনেকটা দুর গিয়ে একবার চকোরীর অবস্থান দেখার লোভ অনেক কষ্টে সামলাম। সে বেচারা হয়তো এখনও ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। থাকুক। পরস্ত্রীর সাথে আমার কি সম্পর্ক।
বেশ খানিকটা বাদে আমি আমার কাঁধের ব্যাগ থেকে কবিতার খাতা বের করে পৃষ্ঠা গুলো একে একে ছিড়তে লাগলাম আর হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম।
ভুল সবই ভুল। এ জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা সে ভুল।
তারপর মোবাইলের সীম খুলে ফেলে দিলাম লেকের জলে। যাক সব ভেসে, আমার অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ। যাক ভালোই হলো আর কেউ আমাকে বিরক্ত করবে না। আমিও কারো বিরক্তির কারণ হবো না।
এভাবে বসে আছি কতটা সময় নিজেই জানি না। হঠাৎ পিঠে কার যেন হাতের নরম স্পর্শ পেলাম।
কে? চকোরী? ফিরে এলো তাহলে?
আমি আস্তে আস্তে মাথাটা ঘুরিয়ে দেখি না এতো চকোরী না ও তো মিনা। আমার ছোট বোন। তখন খেয়াল করলাম দুপুর গড়িয়ে গেছে।
- দাদা তুই এখানে কি করছিস।
-কিছু না,বসে আছি এমনি।
- মা তোকে খুঁজে খুঁজে হয়রান। তোর ফোন বন্ধ কেন?
-সীমকার্ড ফেলে দিয়েছি।
-ওমা কেন?
- বাদ দে। বাড়ি চল,তার আগে বল আমি এখানে আছি তোকে কে বলল?
- আরে পলাশদার ছেলে পাপলু সাইকেল চালাতে এদিকটায় আসে, তোকে লেকের পাড়ে বসে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দিয়েছে তুই নাকি কান্নাকাটি করছিস। সত্যি কি কাঁদছিলি?
- আরে বাজে কথা, বানিয়ে বানিয়ে বলেছে। বাদ দে।
বাড়ি ফিরতে দারুণ এক খবর এল আমার প্রাইমারী স্কুলের চাকরির ভাইভা কার্ড এসেছে। বাড়িতে সবাই খুশি, যেন ঈদের আনন্দ।
মাস খানেক পরে আমি স্কুলে জয়েন করলাম।তার বছর খানেক পরে সেকেন্ড অফিসার পদে আমার সোনালী ব্যাংকে চাকরি হলো। জীবন বয়ে চলল তার নিয়মে।
এরপর আঠারো বছর কেটে গেল। আমার জীবনে অনেক উথান পতন হলো। বোনদের বিয়ে হয়ে গেল।একসময় বাবা মা ওপারে চলে গেলেন কিছু সময়ের ব্যবধানে। এখন আমার একাকী জীবন। বিয়ে আর করা হয়ে ওঠেনি।একজীবনে ক'জনকে ভালোবাসা যায়? আর যাই করি আমি কাউকে ঠকাতে পারবো না।
এখন আমি ভীষণ ব্যস্ত মানুষ। চাকরিতে যেমন উন্নতি করেছি তেমনি লেখালেখিতে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছি। গত তিন বছর পর পর আমার বই বেস্ট সেলার হয়েছে। অনেক পুরষ্কার এখন আমার ঝুলিতে। যদিও আমি বেস্ট সেলার, পুরষ্কার এসবে বিশ্বাসী নই। তবু জনপ্রিয়তা কার না ভালো লাগে।
ফেব্্রুয়ারীর এক আলো ঝলমলে দিন। বইমেলা কেবল শুরু হয়েছে।
সেদিন সকাল সকালই বইমেলাতে গেছি। অন্য একটা কাজ পড়ে গেছে তাই তাড়াতাড়ি ফিরবো বলে একটু বইমেলাতে ঢু মারা আরকি।হঠাৎ দেখি এক কিশোরী মেয়ে আর তার সাথে এক দম্পতি। স্বামী স্ত্রীই হবে আমাকে দুর থেকে লক্ষ করছে। আমাকে দেখে দৌড়ে কিশোরী মেয়েটি এগিয়ে এলো।
- আপনি নিশ্চয়ই অপূর্ব কুমার।
- জ্বী।
- আমি আপনার ভীষণ ফ্যান।
- ওহ তাই নাকি? ধন্যবাদ।
- আমার মা আর বাবাও আপনার ভীষণ ফ্যান। বাবা আপনার বিরহের কবিতাগুলো পড়ে আর চোখের জল ফেলে।
- চোখের জল ফেলে কেন?
- আপনার বিরহে সে কাতর হয়ে পড়ে। কষ্ট পায়।
- বোকা মেয়ে ও সব তো বানিয়ে বানিয়ে লিখি। সব মিথ্যা।
- যাহ তাই হয় নাকি? মিথ্যা? বানিয়ে লেখা কি এত সহজ?
- জানিনা। আমি এত প্রশ্নে বিব্রতবোধ করছিলাম। এটা মনে হয় মেয়েটির মা বুঝতে পারছিলো। সে এগিয়ে এসে বলল
- কিছু মনে করবেন না প্লিজ আমার মেয়েটি অবুঝ। হুটহাট কি বলে বসে নিজেই জানেনা। মাফ করবেন আমি ওর হয়ে ক্ষমা চাচ্ছি।
মুহুর্তে আমার আকাশ বাতাস দুলে উঠল। এত চকোরী । আমি বাক রুদ্ধ হয়ে গেলাম।
আমি শুনতে পেলাম কিশোরী মেয়েটি বলছে মা মা আমি ওনার নতুন বইদুটো কিনবো। উনি নিজে অটোগ্রাফ দিবেন। বলনা উনাকে অটোগ্রাফ দিতে।
আমি কোন কথা বলতে পারছিলাম না, কেমন যেন অসুস্থ বোধ করছিলাম। চকোরীর স্বামী এগিয়ে এসে আমার সাথে হাত মেলালো।আমার মাথায় তখন ভোঁতা একটা যন্ত্রণা হচ্ছে।
কিছু কথার পরে চকোরীর স্বামী আমায় বলছে,
- কিছু মনে করবেন না একটা প্রশ্ন ছিল, আচ্ছা যতদুর জানি আপনি বিয়ে করেন নি। একাই থাকেন। কেন? কে সে রমনী যার বিরহে আপনি নিজের জীবনটা শেষ করে দিলেন?
আমি শুধু মোহাবিষ্টের মত বললাম, না না তেমন কোন কারণ নেই। সময় করে ওঠা হয়নি নানা ব্যস্ততায়। তাই বিয়ে করা হয়নি।
চকোরী কেন জানি মুখটা ঘুরিয়ে নিল। তার চোখে সানগ্লাস। তবে আমি সামান্য সময়ের জন্য হলেও এক পলক দেখে বুঝতে পারলাম তার চোখে জল।
আহ! চকোরী হয়তো আমাকে এখনো ভালোবাসে। আবার কে জানে হয়তো নিজের সংসার নিয়ে সে সুখেই আছে।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩২
ইসিয়াক বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ব্লগার।
পাঠে মন্তব্যে লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভ কামনা সতত।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:০০
মা.হাসান বলেছেন: মধুরিমা একাই তো ভালো ছিলো। কাবাবমে হাড্ডি চকোরী কেনো আসলো?
রাজকন্যা-রাজত্ব দুটাই কি পাওয়া যায় না?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা। নায়িকার নাম প্রথমে মধুরিমা ছিলো পরে বিশেষ কারণে নাম বদল হয়েছে।৷
আমার শুধু রাজকন্যা চাই। রাজত্ব আমি চাই না। পরের সম্পদে আমার লোভ নাই হুহ
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্লগ বিরহের বেদনায় কাঁদছে। গতকাল ব্লগার নান্দনিক নন্দীনির কাছাকাচি একটা লেখা পড়লাম, আজ আপনি। বাঙালির জীবনে বিরহ বোধহয় রয়েই যায়। নান্দনিক নন্দীনির কথামত- সারাজীবন একসাথে থাকার পর বোঝা যায় একে অন্যের মনের মত নয়....। অথবা উল্টো করে বললে- আমার আমার মনের মত যেজন, সে আমার সাথে নেই.... এই বিরহ নিয়েই হয়তো কবি অপুর্ব কুমারের মত অনেকে কাটিয়ে দেয় একা একাই।
কিছুটা খারাপ লাগছে অপূর্ব কুমারের জন্য।
আপনি নিজে যেহেতু কবি মানুষ, এবং কোনো এক যায়গায় পড়েছিলাম - বাচ্চাদের শিক্ষকতার সাথে জড়িত আছেন। সে হিসেবে এই গল্প পড়তে গিয়ে নায়কের যায়গায় অবচেতন মনে আপনার প্রতিচ্ছবি চলে আসছে....
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৭
ইসিয়াক বলেছেন: হায় হায় হায় কি একটা অবস্হা। আমি না, আমি না। সব বানিয়ে বানিয়ে লেখা।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব আগেও বলেছি, আরেকবার বলি- আপনার কবিতার চেয়ে গল্প বেশী ভালো হয়। আগামী বইমেলাতে গল্পের বই প্রকাশ করবেন।
হাত ঘড়ি ইংরেজি কি?
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৮
ইসিয়াক বলেছেন: ঠিক আছে।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪০
ওমেরা বলেছেন: চকোরী নামের একটা মেয়েকে আমি চিনি, না আসলে চিনতাম হবে ।
বিরহের গল্প ভালো হয়েছে।
কবিতা পড়েই কবির প্রেমে পড়েছে সেটা ছিল আবেগ।
ভবিষ্যতে সে বিখ্যাত কবি হবে তা তো জানা ছিল না ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৯
ইসিয়াক বলেছেন: পাঠে মন্তব্য ও লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম।
শুভ কামনা রইলো আপু।
ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:০১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নীল পরি, আকাশ নীল......এসব কি **ছাল লিখছেন। আপনের বোধহয় জানা নাই, আমার বড়ভাইয়ের নীল শব্দে এলার্জি আছে। পরেরবার লাল পরি, আকাশ লাল, ছাগল লাল ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করবেন।
একজন ডিচ করলো দেখে সারাজীবন আর বিয়েই করলো না!! এই ধরনের ছাগল এখনও আছে? এরাই বোধহয় লাল ছাগল!! যাই হোক, বিয়ে করলেই কি আর না করলেই কি.........তবে ছ্যাকা খাওয়ার পর সেই ঘা নিয়ে সারা জীবন ঘুরে বেড়ানো মানুষ আমি দুই চোক্ষে দেখতে পারি না। এরা মানুষ নামের কলঙ্ক!!
প্রথম দেখাতেই অপরিচিত একজন অত্যন্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে পারে! তাও আবার বিয়ে না করা সংক্রান্ত!! কানাডার মতো উন্নত দেশে থেকেও যদি এই মিনিমাম ম্যানারটুকু না শিখে, তাহলে কেমনে হবে? এটাই আপনার গল্পের দ্বিতীয় দূর্বল দিক। এটা ছাড়া গল্প ভালো হয়েছে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
ইসিয়াক বলেছেন:
: ওয়াও! নীলে আপনের এলার্জি? আগে কইবেন তো বেগুনি আর হলুদে এলার্জি নাই তো আবার? জানাইয়েন। লাল আমার কাছে আত্নসমর্পণের রঙ মনে হয়। লাল রঙ বাদ।
# আসলেই ছাগলগুলো ছ্যাকা খাইয়া কেন যে আর বিয়ে করে না। ছ্যাঁকা খেয়ে মনে হয় সার্কিট জ্বলায় ফেলছে। আপ ডাউনে সমস্যা।
#বাঙালির স্বভাব আর কি! বোকা কিসিমের লোক সব জায়গায় আছে
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
অক্পটে বলেছেন: সকালটা দারুণ ভাবে শুরু হল। মন ছুঁয়ে গেল লেখাটি। চকোরী এখনো আপনাকে ভালবাসে, আজীবনই বাসবে। তবে সে সংসারে সুখেই আছে। আপনাদের বিয়ে হয়নি বলেই ভালবাসাটা টিকে গেল।