নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
সময় সুযোগ পেলে আমরা বেশিরভাগ সময় অন্যের সমালোচনা করি বা করতে পছন্দ করি।এটা জাতি হিসাবে মনে হয় আমাদের স্বভাবজাত অভ্যাস।
অনেক সময় শুধু সমালোচনাতেই থেমে থাকি না আলোচ্য ব্যক্তিটির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নানা এঙ্গেলে ব্যবচ্ছেদ করি সেই সাথে কিছু বিষাক্ত আলোচনাও করি। সত্য মিথ্যার মিশিয়ে নানা রং লাগিয়ে ঘটনা প্রবাহকে আরও আকর্ষণীয় করি। মানে আলোচ্য ব্যক্তিটিকে যতদুর সম্ভব কথার দিয়ে দহন করবার চেষ্টা আর কি।
যেন তাকে ভষ্ম করে বিলীন করতে পারলেই জগতের সব সুখ প্রাপ্তি।
আচ্ছা এই ধরনের মানসিকতাকে কি বলা যায় বা কি নাম দেওয়া যায়?
হীনমন্যতা, কুৎসিত মনোবৃত্তি নাকি পরশ্রীকাতরতা।
এত ইর্ষা হিংসা নিয়ে কি মানুষ সুস্থ স্বাভাবিক থাকতে পারে? না থাকা যায়?
তাকে কি সুস্থ মানসিকতার মানুষ বলা যায়?
আচ্ছা অন্যের সমালোচনা না করে যদি নিজের দুর্বলতাগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়?
নিজেকে কিভাবে আরও বড় মনের মানুষ, উন্নত চরিত্রের মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা যায় সেদিকে যদি বেশি যত্নবান চেষ্টা করা হয় তাহলে কেমন হয়?
কে কী পারলো না পারলো কে কী করে বেড়ালো,কে কোথায় যায় এত খোঁজের দরকারই বা কি আর সমালোচনা করার প্রয়োজনই বা কী?
এধরণের সমালোচনা করে আত্ন তৃপ্তি পাওয়া এক ধরনের মানসিক রোগ।
হ্যাঁ কেউ কিছু জানাতে চাইলো, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জানলাম ব্যাস,সেখান থেকে কোন শিক্ষা নেওয়ার থাকলে নিলাম।যদি দেখি তার কথায় অন্যকে আহত করবার প্রচেষ্টা তখন তাকে নিবৃত্ত করলাম না হলে এড়িয়ে গেলাম।
একজনের ভুলগুলো থেকে নিজে শিক্ষা নিয়ে, সচেতন হয়ে নিজেকে আরো বেশি পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তোলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এর ফলে দিনশেষে নিজেরই লাভ। নিজে সাবধান হওয়া গেল আর একটু একটু করে মানুষ হিসাবে পরিণত হওয়া গেল। যেন যে কোন দূর্বলতায় আমি হঠাৎ ভুলগুলো করে না বসি আবেগের বশে নিজের ক্ষেত্রে । উক্ত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও সতর্ক আর সাবধানী হই।
একটু যদি গভীরভাবে লক্ষ করি দেখতে পাবো আমাদের প্রতি কাজে কত ভুল, কত অজ্ঞতা কত অক্ষমতা আছে।
সেদিকে যদি বেশি বেশি নজর দেই। নিজেকে আরও পরিশোধিত করি।উন্নত করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি
তাহলে আমরা একটা সুন্দর সমাজ ও সামাজিক পরিবেশ পেতে পারি সহজেই ।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: আমি অনেক শিক্ষিত জ্ঞানী মানুষ দেখেছি যাদের অবসরের প্রধান কাজই হলো অন্যের অকারণ সমালোচনা করা। আবার উক্ত ব্যক্তি যখন সামনে আসে তখন তোয়াজের কুল থাকে না। এই যে একজন মানুষের চারিত্রিক দ্বিমুখীতা এটাই আমার কাছে দোষনীয় মনে হয়।
কেউ যদি অন্যায়কারী হয় তবে অবশ্যই তার সামনেই বলে দেয়া বা প্রতিবাদ করা উচিত আড়ালে নয়।
ধন্যবাদ।
২| ১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা জাতি হিসাবে মনে হয় আমাদের স্বভাবজাত অভ্যাস। এইখানে জাতিভেদের ব্যাপার নাই। সুযোগ পাইলে কেউ ছাড়ে না। আমাদের আপিসে সারাদিনই একজন আরেকজনের পিছে লাইগা থাকে। আগে পাবে যখন আড্ডা দিতাম, তখনও দেখতাম একই অবস্থা।
আচ্ছা অন্যের সমালোচনা না করে যদি নিজের দুর্বলতাগুলোর দিকে নজর দেওয়া হয় তাহলে কেমন হয়? ইউটোপিয়ান ভাবনা। এমনটা হইলে তো ভালোই হইতো, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস।
তবে কিছু ব্যাক্কল সবখানেই আছে, যারা অন্যের অন্যায়কে হাইলাইট করলে সেইটাকেও সমালোচনা মনে করে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং সবাইকে সেই বিষয়ে জানানো প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। আমাদের ধর্মেও এইরকমের নির্দেশ দেওয়া আছে।
১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: এইখানে জাতিভেদের ব্যাপার নাই। সুযোগ পাইলে কেউ ছাড়ে না। আমাদের আপিসে সারাদিনই একজন আরেকজনের পিছে লাইগা থাকে। আগে পাবে যখন আড্ডা দিতাম, তখনও দেখতাম একই অবস্থা।
হা হা হা অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ পাই নাই তো তাই বললাম আর কি।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২১ দুপুর ১:২৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত
১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫
হাবিব বলেছেন: হিংসা বা সমালোচনা যারা করে তারা অসুস্থ। আমরা একটি সুস্থ জাতি চাই।
১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:২১
ইসিয়াক বলেছেন: সু স্বাগতম হাবিব স্যার অনেকদিন পরে আবার আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো।
সহমত ভাইয়া। আমরা এটা সুস্থ জাতি চাই।
শুভকামনা।
৫| ১৩ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:২৫
জটিল ভাই বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
১৪ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:২২
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো জটিল ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২১ ভোর ৬:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: এগুলো কারা করে যাদের জ্ঞান সীমিত ,আলোচনার বিষয় থাকে না।রাজনীতি,সমাজ,দর্শন,সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করার যোগ্যতা রাখে না তারা তখন ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনায় মেতে থাকে।
ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে যদি কেউ তার সমস্যা সমাধানে বন্ধুদের কাছে সমাধান চায় তখন গঠন মুলক আলোচনা হতে পারে।