![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার লেখা কবিতা আপনার পছন্দ হলে হোয়াটসঅ্যাপ এই চ্যানেলটি ফলো করুন প্লিজ Follow the রফিকুল ইসলাম এর কবিতা সমগ্র। channel on WhatsApp: https://whatsapp.com/channel/0029VbBPuTzBA1epLIRBZX1x
জহির গাজী প্রতিদিন নিয়ম করে সকালের নাস্তা সেরে স্হানীয় বাজারে নির্দিষ্ট একটা টং দোকানের পিছনের চালায় চৌকিখাটে এসে সটান শুয়ে পড়েন।
সেই দোকানের নীচ থেকে রাস্তায় চলাচলরত মানুষের মুখ দেখা না গেলেও কোমর থেকে পা অবধি ভালোই দেখা যায়।
এখানে বিশেষ করে গরমের সময় খোলা মাঠ হতে দখিনা বাতাসের তীব্র বাতাস বয়ে যায়। যা অতি মনোরম। নির্দিষ্ট কিছু মানুষের নিম্নাঙ্গ দেখা আর বাতাস খেয়ে জহির গাজীর শরীর মন দুটোই জুড়ায়।
এই চালায় অবস্থান করা তার বহু বছরের পুরানো অভ্যাস।
ইদানীং বাজারের উঠতি চ্যাংড়া ছেলেরা এই নিয়ে কানাঘুষা করলেও তিন কন্যা সন্তানের পিতা জহির গাজীকে ঘাটানোর সাহস কারো নেই। কারণ জহির গাজী লোকটি মোটেও সহজ সরল নয়।
জহির গাজী এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি। সম্পন্ন গৃহস্থ মানুষ।বিচার সালিশ বৈঠকে তিনি প্রথম সারির মোড়ল মাতব্বর। দৈনন্দিন জীবনে কাজ বলতে তার এটুকুই। নিত্য অন্যান্য কাজ তার না করলেও চলে।বাকি সময়টুকু অখণ্ড অবসর।
অলস সময় টুকু বন্ধু মনিরুলের সাথে এখানে এই চালায় কাটাতে তার দারুণ ভালো লাগে।
নানা রসালো আলোচনায় তাদের সময়টা বেশ ভালো কাটে।
সকালের দিকে দোকানের নিচ দিয়ে স্কুল পড়ুয়া কচি কচি পুতুলের মত মেয়েগুলোর পা ও নিতম্ব দেখে তারা অন্যরকম সুখ খুঁজে পায়।
আহ শান্তি বটে!
এই অকাজে তার সঙ্গী মনিরুল ইদানিং একটা ভিডিও ফোন জোগাড় করে এনেছে। তার ছেলে নাকি মালয়েশিয়া থেকে পাঠিয়েছে।
তা যন্ত্রটি বেশ কাজের বলাই বাহুল্য ।
পছন্দের শিকারের ছবি বা ভিডিও ধারন করতে কোন বাঁধা নেই। কেউ জানতেই পারে না তাকে চিরতরে বন্দি করে ফেলা হয়েছে।
পরবর্তীতে যত খুশি রসিয়ে রসিয়ে দেখ আর সুখ খুঁজে নাও। এই অসুস্থ দুই রুগির রুচিবোধ প্রচন্ড রকম নিম্নগামী।
বাতাসে জহির গাজীর ঘুম জড়িয়ে এসেছিল।সেই সময় মনিরুল একটা মেয়ের পা ও নিতম্বের ছবি ভিডিও করেছে । মনিরুল বলেছে স্পেশাল মাল!
স্পেশালই বটে!
হালকা তন্দ্রা শেষে এই ভিডিও দেখে জহির গাজীর যৌবন সেই বিশ বছরের যুবকের মত তড়াক করে লাফিয়ে উঠেছে।এতটাই মজেছে যে সে মনিরুলের কাছ থেকে নিজেই ভিডিও ফোনটা একবেলার জন্য চেয়ে রেখে দিয়েছে সে।
দুপুরে খাওয়া পর্ব শেষে ভাত ঘুম দেওয়ার আগে রসিয়ে রসিয়ে ভিডিও দেখে আয়েশ মিটিয়ে উপভোগ করবে বলে বারোটার আগে বাড়ি চলে এসেছে।
সকাল সকাল স্নান খাওয়া সেরে নেয় জহির গাজী। ফাঁকা বাড়ি বউ গেছে পুকুরঘাটে। মেয়েরা স্কুলে। এ সময়ে বাইরের ঘরে ভিডিওটা উপভোগ করছে সে। নানা চিন্তায় তার মাথা অস্থির হবার মত অবস্থা। যে কোন সময় ঘটনা দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
হঠাৎ জানালা দিয়ে সিং দরজার দিকে দৃষ্টি যেতে ছবির ভিডিওটির যেন বাস্তব রূপ দেখল।সেই একই দৃশ্য।
এ যেন মেঘ না চাইতে পানি।
ভিডিও স্ক্রিনে সেই পা সেই হাঁটার ভঙ্গি এমন কি সেই একই নেইল পালিশ মেয়েটির পায়ের পাতায়। সলোয়ার ও চটি জোড়াও অবিকল এক।
কিন্তু মুখের দিকে তাকাতেই বাস্তবে এসে বড় একটি ধাক্কা খায়। সম্বিৎ ফেরে তার। এ যে তার নিজেরই বড় মেয়ে জয়নব!
কি লজ্জা! কি লজ্জা!!
কি পাপ! কি পাপ!!
জহির গাজী আচমকা কেঁপে উঠে মাথা ঘুরে পড়ে যায় ঘরের মেঝেতে। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে আসে।..........
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: যথার্থই পাপের শাস্তি মানুষকে পেতে হয়। হয়তো কখনও কখনও সময় লাগে। আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
শুভ কামনা রইলো।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো। বিকৃত মানসিকতার লোকটার চরম শিক্ষা হয়েছে। আর মনে হয় এই কাজ করবে না জীবনে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন: গল্প ভালো লাগলো জেনে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার।
#গল্পটির বাস্তবভিত্তি আছে।আমাদের গ্রামের এলাকায় একটি লোক আছে এমনই বাজে স্বভাবের। নিজের সংসারে নানা অশান্তি স্বত্বেও তার এ স্বভাব এখনও বদলালো না। আসলে বাজে মানসিকতার মানুষদের স্বভাব সহজে বদলায় না।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ কামনা রইলো।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,
এই পুড়ার চক্ষে বড়ই পাপ রে বাজান ! বড়ই পাপ …
কও দেখি তালে -
কুথাকার কুন ফিরিস্তা বাচাইবে মোরে, বাজান!
১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫১
ইসিয়াক বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার আপনার মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে। এই চক্ষে আসলেই বড়ই পাপ.....
মানসিকতার বদল,অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ,ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা আর সামাজিক দায়বদ্ধতাই পারে আমাদের এই সব পাপ থেকে দূরে রাখতে।
ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৩৫
জগতারন বলেছেন:
কিন্তু মুখের দিকে তাকাতেই বাস্তবে এসে বড় একটি ধাক্কা খায়। সম্বিৎ ফেরে তার। এ যে তার নিজেরই বড় মেয়ে জয়নব!
কি লজ্জা! কি লজ্জা!!
কি পাপ! কি পাপ!!
অল্প কথা ও পরিসরে সুন্দর ও আত্ম-উপলব্ধি মূলক গল্প।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫২
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো প্রিয় স্বপন ভাই।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
শুভ কামনা সতত।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৩৯
জটিল ভাই বলেছেন:
গল্প অনিন্দা সুন্দর এবং শিক্ষণীয়। কিন্তু গাজীরা কি এতে পরিবর্তন হবে?
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২০
ইসিয়াক বলেছেন: স্বভাব কি আর বদলানো যায় না বদলায়। এইগুলোকে সোজা ব্রাশ ফায়ারে দেওয়া দরকার।
হাড়ে বজ্জাত।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা রইলো।
৬| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৩০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিছু লোক বুড়োকালেও স্বভাব পাল্টায় না।
সুন্দর হয়েছে
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২১
ইসিয়াক বলেছেন: এটা একদম শতভাগ সত্যি কথা।
ভালো থাকুন আপু।
শুভ কামনা সতত।
৭| ১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মুখ দিয়া গ্যাজলা বাইর হইছে বুজলাম, কিন্তু আপদটা কি দুনিয়া থিকা বিদায় নিছে? পরিস্কার কইরা কিছু কইলেন না তো!!
ইয়ে........গাজী তো দেখি আসলেই বিরাট পাজী!!!
১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: এইটা একটা সত্য ঘটনা। আপদটা এখনও আছে্। তবে তাকে পাপে ধরেছে। এখন তিন ঠ্যাংয়েও ঠিক মত হাঁটতে পারে না। আল্লাহ তার শান্তি দুনিয়াতে দেওয়া শুরু করেছে।
# আর কিছু কমু না। এমনিতে এই পোস্ট দেইখা তো হেতে কাউন্টার পোস্ট দিছে। আমার নাকি ব্যাক্তিত্ত্ব নাই হা হা হা। পরের গল্পেও হেতে আছে পইড়া দেহেন। হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮
কুশন বলেছেন: পাপের শাস্তি মানুষকে পেতেই হয়।