নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
জেসমিন কাজে বের হবার আগে কোলের ছোট্ট মেয়ে কাকলীকে অনেকক্ষণ ধরে আদর দিল।
কেন জানি আজ তার কাজে যেতে ইচ্ছে করছে না। ইচ্ছে করছে ছেলে মেয়ের সাথে খুনসুটি করে সময় কাটাতে।
আলম হেসে বলল,
- তোমার মতলবটা কি বল তো? ছেলে মেয়ের প্রতি দরদ দেখছি উথলে উঠছে। কাজে যেতে হবে তো নাকি?
খাবারের বক্স গোছাতে গোছাতে জেসমিন বলল
-হ্যাঁ চল চল দেরি হলে তো সমস্যা হবে।আমরা তো আর মানুষ না যন্ত্র। আমাদের কোন সাধ আহ্লাদ চাওয়া পাওয়া থাকতে নেই।
-আজ সকাল সকাল এত কড়া কড়া কথা বলছো?
তবে অবশ্যই তোমার সাথে জ্ঞান, বিদ্যা, বুদ্ধিতে আমি কোন কালে আমি পারিনি, পরবোও না।
মাঝে মাঝে আফসোস হয়। আমার মত প্রায় অশিক্ষিত এক বাউন্ডেলের উপর ভরসা করে এক কাপড়ে অত সচ্ছল একটা পরিবার থেকে বেরিয়ে না এলেই পারতে।
তাহলে হয়তো এত দুর্ভোগ পোহাতে হতো না তোমার।
-আবার শুরু করলে? এবার কিন্তু সত্যি সত্যি দেরি হয়ে যাচ্ছে। কারখানার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।
-তোমার জন্য একটা ভালো চাকরির চেষ্টা করতে হবে জেসমিন।এই চাকরি তোমার মানায় না। সার্টিফিকেট গুলো সব এবার তুলে ফেলো।
-হুম। চলো চলো চাকরি না থাকলে আদর সোহাগ ছিকেয় উঠবে।
বের হবার মুখে ছেলেটি ডাক দিল,
- মা!
- কি হলো,ডাকিস কেন? মা কাজে যাবে না? যাবে তো?
- মা আজ বেতন হবে?
-মনে হয়।
- বেতন হলে আমার জন্য বল কিনবে বলেছিলে।
- আমার মনে আছে সোনা।বোনকে দেখে রাখিস।ভাত তরকারি গরম করার সময় সাবধানে করবে। হাত পুড়িয়ে ফেলো না আবার।পোড়া জ্বালা বড় জ্বালা। চিড়বিড় করে জ্বলেই যাবে।সহ্য করতে পারবি না।বড় কষ্ট! বড় কষ্ট!! সাবধান। সাবধানে থাকিস সোনারা অংকগুলো করে রেখো। আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরবো।
রাত আটটা নাগাদ প্রতি দিন মা বাবা ফিরে আসে জামালের। বেশির ভাগ দিন এক সাথেই ফেরে তারা।হাতে থাকে বাজার সদাই। সেদিন বারে ছিল বৃহস্পতিবার। পরদিন ছুটিরদিন। রাত বাড়ছিল।
কাকলী অপেক্ষায় থেকে থেকে ঘুমিয়ে গেছে। ছেলে জামালের ঘুম আসছে না।তরকারি গরম করার সময় হাতটা পুড়ে গেছে জামালের।হাত জ্বালা করছে। খুব জ্বলছে।
ঠিক সে সময় আলম আর জেসমিনের অসহায় শরীরগুলো জ্বলছে আহসান গ্রুপের চারতলার কম্পার্টমেন্টে। তারা কলাপসিবল গেটের মৃত্যু ফাঁদে আটকে পড়ে কাঠ কয়লাতে পরিনত হলো কিছু সময় বাদে।
জামাল তখনও অপেক্ষায় আছে তার ধারণা মা এলে মলম লাগিয়ে দিলে।এই জ্বালা কমবে। কিন্তু মা এত দেরি করছে কেন? বল কিনতে গেছে?
আসলে সে জানে না তার এবং তার ছোট্ট বোনটির জীবনে জ্বালা পোড়া কেবলি শুরু। দিনে দিনে তা শুধু বাড়তেই থাকবে..... বাড়তেই থাকবে।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০০
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ ইসলাম ভাই। শুভকামনা রইল।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন ভ্রাতা
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০২
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।শুভ কামনা রইলো।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী কঠিন জীবন
ভালো হয়েছে গল্প
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০২
ইসিয়াক বলেছেন: সত্যি আপু বাস্তব বড় কঠিন।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
হাবিব বলেছেন: এই ঘটনা যতবার পড়েছি মনে হয়েছে আমি নিজে জ্বলছি।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: আমি একটানা আবেগে লিখে শেষ করেছি। এখন মনে হচ্ছে না লিখলে ভালো হতো।
শুভ কামনা রইলো।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৪
জটিল ভাই বলেছেন:
হায়রে টাকা! হায়রে জীবন! হায়রে সংসার!
একটু আগুন স্পর্শে আজি হলো সবই অঙ্গার!
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৪
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
শুভ কামনা সতত।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৩
নজসু বলেছেন:
এরই নাম জীবন।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: ঠিক বলেছেন প্রিয় ব্লগার। এরই নাম জীবন। তবুও আশা থাকে। মানুষ আশায় বাঁচে।
শুভ কামনা রইলো।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চলমান বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন। ভীষণ খারাপ লাগে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখে। জানিনা কবে থেকে এদৃশ্য দেখা আমাদের বদ্ধ হবে।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৭
ইসিয়াক বলেছেন: এ জীবনে এই ধরনের সমস্যার সমাধান দেখে যেতে পারবো বলে মনে হয় না।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় দাদা।
ভালো থাকুন।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৪
আল-ইকরাম বলেছেন: ইসিয়াক ভাই আপনার লেখার মান অনেক উন্নত। নিরাপদে থাকুন।
১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ আল-ইকরাম ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫২
কামাল১৮ বলেছেন: গল্প সুন্দর হয়েছে,তবে কেমন একটা প্রচার ধর্মী হয়ে গেছে।প্রচার ধর্মী শব্দটা বোধহয় ঠিক হয় নাই,সাহিত্যিকরা আরো সঠিক শব্দে ব্যাখ্যা করতে পারবে।