নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
আজকের পর্বঃ টিকা কাহিনী
______________________________________________
(এই সিরিজটি মূলত আমার জীবনের দিনলিপি, এটি নিয়মিত লেখার ইচ্ছে আছে। সবাইকে অগ্রীম ধন্যবাদ। )
(১)
গতকাল বিকালে মেসেজের টুংটাং আওয়াজে মেসেজ চেক করে দেখি আগামীকাল আমার করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে টিকা কার্ড আর এন আই ডি কার্ড সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
আমি সাধারণত মেসেজ চেক করি না করলেও দেরিতে করি কিন্তু করোনা টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করার পর বেশ কিছু দিন গত হয়ে যাওয়ার পর মেসেজের জন্য বেশ উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। ভালো লাগলো অবশেষে ভ্যাকসিনের জন্য ডাক পেয়ে।
আমার মনে হয় নিরবিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের জন্য টিকার কোন বিকল্প নেই। এটা যত তাড়াতাড়ি বোঝা যাবে ততই মঙ্গল।
যাহোক আমার জন্য বরাদ্দকৃত টিকা কেন্দ্রটি আমি যে শহরে থাকি সেখান থেকে ২৫/২৬ কিলোমিটার দূরে। টিকা কার্ড আগেই অনলাইন থেকে বের করে প্রিন্ট করে রেখেছিলাম। সাথে এন আই ডি কার্ড নিয়ে সাইডব্যাগে গুছিয়ে রেখে ঘুমাতে গেলাম।
বরাবরই আমি একটু অস্থির প্রকৃতির।কোন একটা কিছু মাথার ভিতর ঢুকলে তার শেষ না দেখলে শান্তি হয় না।রাতে ভালো ঘুম হলেও ফজরের ওয়াক্তে যে সময়টাতে উঠি তার থেকে আরও আধাঘন্টা আগে আমার ঘুম ভেঙে গেল। যাহোক ফ্রেশ হয়ে রুটিন ওয়ার্ক কিছু কাজ করে একটু হাঁটতে বের হলাম।হেঁটে ফিরতে ফিরতে সাড়ে সাতটা বাজলো।নাস্তা সেরে নিলাম ডিম ভাজি, মাংস ভূনা আর হাতে তৈরি রুটি দিয়ে। কে একজন বলেছিল টিকা দেওয়ার আগে ভালো করে খাওয়া দাওয়া করে নিতে। আমি অবশ্য খাওয়াদাওয়ার উপদেশ অগ্রাহ্য করতে পারি না। বোঝেনই তো ভোজন রসিক কিনা।
যাহোক ব্যলকনিতে এসে দেখি সকালের আকাশে যে পরিমাণ মেঘ ছিল এখন তা আরও বেশি ঘন হয়ে এসেছে। যখন তখন অঝোর ধারায় ঝরবে।বাসা থেকে দ্রুত বের হলাম।আমি যে বাসায় ভাড়া থাকি সেটি সোজাসুজি মেইন রোড সংলগ্ন। গেটের মুখেই দেখি আমাদের গ্রামের এলাকার একটা আলমসাধু( কেউ কেউ এটাকে নসীমনও বলে থাকে)। নাম না জানলেও পরিচিত মুখ। আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞেস করলো।
-ভাই কেমন আছেন?
-হ্যাঁ ভাইয়া ভালো আছি।
-এত সকাল সকাল কোথায় যান।
- চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাবো। টিকা নিতে হবে।
- আমার গাড়িতে ওঠেন। আমি বাড়ি যাচ্ছি।চলেন নিয়ে যাই।
- তুমি এদিকে কোথেকে?
- চাল এনেছিলাম ভোর রাতে। এখন ফিরে যাচ্ছি।
একসময় জীবিকার প্রয়োজনে আলমসাধুতে অনেক যাতায়াত করেছি। যদিও আলমসাধুতে চড়তে আমি মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না।
কি না কি ভেবে আলমসাধুতে উঠে পড়লাম। কঠোর লকডাউন চলছে। ঠিক মত যানবাহন পাবো কিনা তার ভরসা নেই। যা হয় হোক।
আল্লাহ ভরসা।
কিছু দুর আসার পর মনে হলো তাই তো ফোন ভুলে রেখে এসেছি। ছবি টবি তুলতে চেয়েছিলাম। একটু ফেসবুকে পোস্ট দিলে বেশ হতো সবাই তো দিচ্ছে। যাহ! আশার গুড়ে বালি।
হঠাৎ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলো।
এদিকে ছাতাও আনা হয়নি। নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে। এত ভুলো মন কেন আমি?
(২)
বৃষ্টি শুরু হলো কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন বলে হয়তো ঝিরিঝিরি ঝরতে লাগলো,জোরে বৃষ্টি হলে খবর ছিল ।ইলশেগুড়ি বৃষ্টি বুঝি একেই বলে। অনেক দিন পরে ভিজছি,কেন জানি ভিজতে ইচ্ছে করছে।
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে তেমন একটা অসুবিধা না হলেও চোখে রাখা চশমাটা ঘোলা হয়ে এলো। বাধ্য হয়ে চশমাটা খুলে রাখলাম।
আমার সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে চলমান গাড়ীর ঝাঁকুনীতে। আজ গায়ে ব্যাথা হবে নিশ্চিত। দেখতে দেখতে নিউমার্কেট পার হলাম। এদিকে অন্য দিন পুলিশ অনেক বেশি সক্রিয় থাকলেও আজ তেমন পুলিশ দেখলাম না। বৃষ্টির কারণে হয়তো।এমনিতে সমস্যা হবার কথা নয় কেউ আটকাবে না যেহেতু টিকা কার্ড আছে।
আমরা গল্প করতে করতে এগিয়ে গেলাম। অনেকটা পথ।পথে প্রচুর ট্রাক আর লরি সাথে কিছু ইজিবাইকও আছে। আজকের লকডাউনটা অনেক ঢিলা ঢালা মনে হচ্ছে। অনেক দোকান অল্প অল্প সাটার তুলে খুলে রেখেছে। এখন সম্ভবত সাড়ে আটটা বাজে।শহরের দোকানগুলো দশটার আগে খোলে না। কি আর করা করোনার কারণে সবারই অবস্থা বেহাল দশা।
মাসের শেষ হতে চলল এবার অনেক দোকানের কর্মচারিরা বেতন পাবে না। ভাবতে মন খারাপ হয়ে গেল।
পালবাড়ি ছাড়িয়ে চুড়ামনকাঠি বাজার পর্যন্ত রাস্তাটা খুব রিস্কি। এই রোডে প্রচুর বাঁক আর গাড়িও চলে বেশ জোরে। প্রায় দিনই দূর্ঘটনা হয়। সেজন্য বাড়তি সতর্কতার জন্য আমরা কথা বলা বন্ধ করলাম। এগিয়ে যাচ্ছি।
খুব দ্রুত চুড়ামনকাঠি বাজার পার হলাম এ পাশটা মূল শহরের বাইরে। তবে গ্রাম গ্রাম ভাবটা আর নেই। অজস্র দালান কোঠা আর জমজমাট বাজার হয়ে শহুরে ছোঁয়া লেগে গেছে।
এদিকের অনেক মানুষ মাস্ক বিহীন চলা ফেরা করছে দেখলাম।সচেতনতার অভাব । দোকানপাট প্রায় সব খোলা।দেখতে দেখতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পার হয়ে এলাম। বৃষ্টির বেগ বেড়েছে। তবে একটানা নয়। থেমে থেমে একেক ঝটকায় এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
শ্রাবণ মাস। ধান রোয়ার সময় চলে যাচ্ছে দ্রুত। মাঠে ধানের জমিতে ধান প্রায় রোয়া হয়ে গেছে। কেউ কেউ জমিতে প্রথম নিড়ানিও দিচ্ছেন। বিলের জমি গুলোর আগাছা পরিষ্কার করে ইয়া বড় বড় পাহাড় বানিয়ে রাখা হয়েছে।এই জমিগুলো দেরিতে রোয়া হয়।এই সব আগাছা সরিয়ে ধান লাগানো হবে।সারা মাঠ জুড়ে থই থই পানি। মনে হচ্ছে অথৈ সাগর।
কোন কোন জায়গায় পাট কাটা চলছে। এসব জমি চাষ করে আবার ধান লাগানো হবে। এগুলো তিন ফসলী জমির মধ্যে পড়ে।
পথে একটা খাল পড়লো, জগহাটি জায়গাটার নাম। বাগদী পাড়ার ছেলে বুড়োরা মহা আনন্দে মাছ ধরছে। এখানে যেন উৎসবের আমেজ। সাজ সাজ রব।কারো মুখেই মাস্ক নেই। করোনা নিয়ে তাদের কোন ভাবনা চিন্তা আছে বলে মনে হলো না। মেয়েরা খলুই ধরে আছে।তারাও হাসিখুশি, কৌশলে জাল থেকে মাছ ছাড়িয়ে নিচ্ছে হাসিমুখে ।
সবজীর জমিগুলোয় পানি জমে গেছে । যদিও নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে তবে একটানা অতি বৃষ্টিতে গাছের শেকড় পঁচে গেলে সবজির দাম বাড়তে বাধ্য।
এই ধরনের বৃষ্টিতে পাখিদের মনে হয় সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। বকগুলো মাঠের মধ্যখানে ঠাই বসে আছে বকেরা কি পানিতে বসতে পারে ? না বসতে পারে না দাড়িয়ে আছে। কখন মিলবে একটি মাছ তার প্রতীক্ষায়।
দেখতে দেখতে আলমসাধুর গন্তব্য শেষ হলো। গাড়ি দাড়ালো আমাদের নিজ গ্রামের এক প্রান্তে।
ব্রাক সিংহঝুলী গনকেন্দ্র পাঠাগারের সামনে। এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
গর্ব করে বলতে পারি এই প্রতিষ্ঠানটি আমার নিজ হাতে অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে তোলা। এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার গল্প অন্য আরেক দিন হবে।
যাহোক,
আমি আমার সঙ্গী ছেলেটিকে চায়ের নিমন্ত্রণ জানালাম সে মনে হলো লজ্জা পেল। আমার হাতে যেহেতু সময় কম আমি ওর হাতে জোর করে একশো টাকার একটা নোট গুঁজে দিলাম। কিছুতেই টাকা নেবে না সে।আর হোটেলে তার জন্য নাস্তার বিল দিয়ে তৎক্ষনাৎ বিদায় নিলাম।
এদিকে বৃষ্টি বেশ চেপে এসেছে। আমি একটা ইজিবাইক দেখে উঠে পড়লাম। দেরি হয়ে যাচ্ছে। সাইড ব্যাগ কৌতুহল বশতঃ চেক করতে গিয়ে দেখি আমার টিকা কার্ড আর এন আই ডি কার্ড কোনটিই নেই। আমি খানিক ভাবতে লাগলাম এবার তাহলে কি হবে?
একেই বলে বুঝি সারা পথ দৌড়া দৌড়ি খেয়া ঘাটে গড়া গড়ি।
(৩)
খানিক গিয়ে ইজিবাইক থেকে নেমে পড়লাম
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবলাম কি করা যায়?
নাহ! ফিরে যেতে হচ্ছে এটা নিশ্চিত ।ফিরতি গাড়ীতে উঠবো বলে ভাবছি ঝড় বৃষ্টি দুটোরই দাপট বেড়ে গেছে ইতিমধ্যে । মহা মুশকিল।
হঠাৎ একজন দুঃখী চেহারার বয়স্ক মহিলা আমার সামনে এসে দাড়ালো।
-বাবা দু'ডো টাকা হবে?
- দুই টাকা!
-হ্যাঁ।
-দুই টাকা দিয়ে কি হবে?
- কিছু কিইনে খাবো।
-দুই টাকা দিয়ে কিছু হয় নাকি?
মহিলাটি অসহায় দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে মনে হয় । মনে করছে হয়তো তার কোথাও ভুল হয়ে গেছে। চলেই যাচ্ছিল।আমি ডাকলাম।
- আপনি আমার সাথে আসুন।
দুঃখী মহিলাটি ইতস্তত করলেও আমার সাথে এলো।আমি উনাকে হোটেল থেকে কিছু খাবার কিনে দিলাম।
বললাম,
-আপনার এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান কে?
- দেখলে চিনি নাম বইলতে পারি না।
-ছেলে মেয়ে নেই। আপনার বয়স্কভাতা বা বিধবা ভাতার কার্ড নেই।
-ছেইলেরা টাকা খরচ কইরে বয়স্কভাতার কার্ড কইরে দিয়েছে। ওরা টাকা দিইয়ে কার্ড কইরেছে বলে ওরা টাকা তুলে নেয়। আমারে দেয় না।
কি বলবো এমন কাহিনীর শেষ নেই। লোভী সন্তান আর অসহায় মা। আর চেয়ারম্যান মেম্বাররা টাকা ছাড়া কার্ড করে দেয় না। কি একটা অবস্থা।
উনি চলে গেলেন। মানি ব্যাগে টাকা নেই অগত্যা আমি হোটেলের বিল দিবো বলে সাইড ব্যাগ থেকে পার্স বের করে বিল মেটাতে গিয়ে দেখি ওর ভিতর আমার টিকা কার্ড আর এন আই ডি কার্ড রাখা আছে ।
যাক ঝামেলা মুক্ত হলাম।
আমি দ্রুত কাজ সেরে ইজি বাইক ডেকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
এমনিতে আমি সব সময় সতর্ক থাকি। মাস্ক স্যানিটাইজ ব্যবহার। আর সব নিয়ম মেনে চলি। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পৌঁছে আমি আরও সতর্ক হয়ে চলাফেরা করতে লাগলাম। জায়গাটা কভিন প্রবণ এলাকা তাই এই সাবধানতা।ঢুকবার মুখে জেনে নিলাম কোথায় টিকা দিচ্ছে।
একজন জানালো ১১ নম্বর রুমে। ১১ নম্বর রুমটি বেশ বড়। সুন্দর বসার ব্যবস্থা আছে। তবে সামাজিক দূরত্বটা সেভাবে মানা না হলেও সবার মুখে মাস্ক আছে।এটাই যা ভরসা।
টিকা কার্ড জমা দিতে গিয়ে দেখলাম অনেকে টিপ সই দিচ্ছে। ৩৫/৪০ বয়স্ক মানুষও টিপ সই দিচ্ছে। বয়স্ক শিক্ষা কার্যক্রমের অভাব অনুভব করলাম।
যা হোক টিকা কার্ড সই করে জমা দিলাম।কাজ খুব দ্রুতই হচ্ছে। সবাই খুব এক্টিভ। ব্যবহারও ভালো। টিকা কার্ডের QR কোড স্ক্যান করে তারিখ ও সিরিয়াল নং বসিয়ে দশ মিনিট বাদে ডাক এলো। অন্য একটি রুম থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে টিকা দিয়ে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাসায় আসার আগে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হওয়া স্বত্তেও চৌগাছা বাজার থেকে কালোজাম আর দই কিনতে ভুল করলাম না।
বর্তমানে বাম হাতে এখনও একটু ব্যাথা আছে। তাছাড়া আর কোন সমস্যা নেই।
যা হোক টিকা কাহিনী এখানেই সমাপ্ত হইলো। সবাই ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
শেষ
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন:
পরে বিস্তারিত মন্তব্যে আসছি প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা রইলো।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: করোনাদিনে অত্যন্ত মানবিক পোস্ট। সবার টিকা দেয়া দরকার। লকডাউনে বন্দী থেকে হোমকোরেন্টাইন জীবনে অভ্যস্থ হওয়ার পাশা পাশি স্বাস্থ্য বিধি পারিপালন করে চলা একদিন আমাদের করোনা ব্যাধি থেকে মুক্ত করবে ।
০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি। শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দিনপঞ্জি পাবলিক ডোমেইনে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। ছোটবেলায় আমাদের সাপ্তাহিক বাজার করা হত চুরামনকাঠি বাজার থেকে। তাই নামটা মনে আছে। খুব কম বয়স ছিল তখন। আমার প্রথম স্কুল যশোরের একটা নাম করা স্কুল। আপনার অবচেতন মন মনে হয় টিকার বার্তা পাওয়ার পর থেকেই অস্থির ছিল। ফলে আপনি মনের ভুলে ছাতা, মোবাইল ফেলে এসেছেন। টিকার কার্ড কোথায় রেখেছেন সেটাও মনে করতে পারেননি। ঐ দরিদ্র মহিলার অসিলায় এই যাত্রা ভোগান্তির হাত থেকে বেচে গেছেন। কোন দেশের কোন টিকা নিলেন?