নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
রোজকার মত গতকালও বসে ছিলাম পার্কের সেই নির্দিষ্ট বেঞ্চে ।গত কয়েক মাস থেকে প্রতিদিন বিকালে নিয়ম করে পার্কে বসে অবসর সময় কাটানো আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
চমনের বিয়ের পর থেকে আমি এমনই একা বসে সময় কাটাই ।নিয়মিত যারা পার্কে ঘুরতে বা বৈকালিক হাঁটা হাঁটি করতে আসেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভাব জমাতে আসেন বটে তবে আমার দিক থেকে তেমন কোন সাড়া না পেয়ে তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে চলে যান।আমি জানি আমার এমন আচরণ করা ঠিক হচ্ছে না তবুও কেন জানি একা থাকতেই ভালো লাগে।কারো উপস্থিতি বা কারো সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলতে খুব একটা ভালো লাগে না। সময় সুযোগ পেলে চমনের কথা ভাবতেই বেশি ভালো লাগে।আমি কি মানসিক রুগী হয়ে যাচ্ছি? কি জানি? ঠিক বুঝতে পারছি না। আমার এই নিস্তেজ ভাবের কারণে বন্ধু বান্ধব সবাই আজকাল আমাকে এড়িয়ে চলে।
চমন আমাদের গ্রামেরই মেয়ে। উচ্ছল চঞ্চল প্রানবন্ত।আমাদের গ্রামটি ঢাকার খুব কাছাকাছি বলে যাতায়াতে বেশি সময় বা খরচ কোনটিই তেমন একটা লাগে না। আর তাই হুট হাট আমরা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে গ্রামে চলে যেতাম।গ্রামে নিয়মিত যাতায়াতের সুবাদে চমনের সাথে আমার পরিচয় হয় সহজে। চমন গ্রাম সুবাদে আমার চাচাতো বোন।
গল্পের বই দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ধীরে ধীরে তা প্রেমে গড়ায়। কবে যে আমরা একে অন্যের প্রেমে পড়েছি তা অবশ্য দুজনের কেউই বলতে পারনো না।মতের মিল প্রথম থেকেই থাকার কারণে সম্পর্কটা গড়ে উঠতে দেরি হয়নি এটা বলতে পারবো।
স্বাভাবিক নিয়মে এই সব গ্রাম্য প্রেমে বাঁধা আসার কথা,বিচার শালিস বসাও বিচিত্র নয়। তার উপর আমার পড়াশোনা তখনও শেষ হয়নি, পারিবারিক সমর্থন পাবো আশা করি না।বেকার জীবন,বাবার হোটেলেই থাকা খাওয়া।
কিন্তু দুই পরিবার কেন জানি আমাদের সম্পর্কের পূর্ণ সমর্থন দিল। দিনে দিনে আমাদের প্রেম আরও জমে গেল,আসলে চমন মেয়েটি অসাধারণ রূপবতী ও গুণবতী। যে কেউ তাকে দেখে পছন্দ করবেই। সবাইকে খুব সহজে আপন করে নেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তার।
বেশিদিন এভাবে মেলা মেশা ঠিক নয় তাই অচিরেই বিয়ের দিন তারিখ পড়ে গেল আমাদের কিন্তু হঠাৎ করে আমার বড় ফুফু খবর পাঠালেন এই বিয়ে বন্ধ করতে হবে নইলে তিনি বিষ খেয়ে আত্নহত্যা করবেন।
অবাক কান্ড!
স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা খবরে আমরা উভয় পরিবার যার পর নাই বিষ্মিত হলাম।একটু মন কষাকষি হলো। আমাদের দুজনের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। দাদীজানও বেঁকে বসলেন। তিনি মেয়ের পক্ষ নিলেন।আব্বার অবস্থা নানা প্যাঁচগোজে কাহিল হয়ে গেল। শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা। শুধু মা বলতে লাগলেন বিয়ে হবে। বিয়ে হবেই।
এদিকে কি কারণে, কেন এই অবাস্তব ও অদ্ভুত আবদার তার খোঁজ নিতে গিয়ে জানলাম।চমনের মামার সাথে আমার বড় ফুপুর ছোট ননদের বিয়ে হয়েছিল কিছু দিন আগে । কি সব কারণে সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে ফুফুর শ্বশুর বাড়িব থেকে চাপ আসে আমাদের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার। এ বিয়ে হলে তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখবে না।ইত্যাদি।
স্বাভাবিকভাবেই আমার আর চমনের ভীষণ মন খারাপ দুদিনের মধ্যেই চমন না খেয়ে না ঘুমিয়ে নানা চিন্তায় অনেকটা শুকিয়ে গেল,চোখের তলায় কালি পড়ে গেল।অবস্থা বেগতিক দেখে আমি আর চমন মিলে ঠিক করলাম আমরা দরকার হলে পালিয়ে বিয়ে করবো। তবুও কেউ কারো হাত ছাড়বো না।
সেই রাত্রে বন্ধুদের সহায়তায় আমরা পাটের ট্রাকে করে পালালাম। কিন্তু নসীব মন্দ হলে যা হয় আমাদের ট্রাক এক্সিডেন্ট করলো,আমাদের তেমন কিছু ক্ষতি না হলেও আমরা সহজে ধরা পড়ে গেলাম ।
পরদিন সকালে আমাদের গ্রামের কুটি মাতব্বরের ছেলের সাথে চমনের বিয়ে দিয়ে দিল তাদের পরিবারের লোকজন । এত তাড়াতাড়ি এই বিয়ে কিভাবে দিল সেটাও এক বিষ্ময় আমার জন্য। কিছুই করতে পারলাম না।
এদিকে মনের কষ্ট নিয়ে আমি চলে এলাম শহরে।এখন থেকে শহরেই থাকবো।আর গ্রামের পথ মাড়াবো না। এদিকে আব্বা রিটায়ারমেন্টের পর গ্রামে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল তিনি বাকী জীবন গ্রামে থাকবেন। যেই বলা সেই কাজ তিনি গ্রামে সপরিবারে থাকতে লাগলেন। আমার বড় ভাই ও ছোট বোনও গ্রামে চলে গেল।আর আমি অনেক কষ্টে কোন রকমে একটা চাকরি জুটিয়ে ম্যাচে উঠে গেলাম। আমার দিন কাটতে লাগলো চমনের বিরহে। অন্য সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও অবসর সময়টা আমার কেবলই চমনের কথা মনে পড়ে যায়। শুধু ভাবি কি থেকে কি হয়ে গেল।যাহোক আমার বিকাল আর রাত বা অবসরের ক্ষণগুলো রইলো শুধু চমনের জন্য।
এদিকে কখন যেন মনে মনে সন্ধ্যা হয়েছে খেয়াল করিনি। মশার কামড় বাড়তেই আমি উঠব বলে মনস্থ করলাম।
ঠিক তখনই মোবাইল বেজে উঠলো।এ নম্বরটা এতদিন বন্ধ ছিল। এটা নিঃসন্দেহে চমনের ফোন নম্বর। আশ্চর্য । আমি একটু অবাকই হলাম। চমন আমার কাছে কি চায়? ওর কোন বিপদ হলো?
গত ছয়মাসের মধ্যে তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ হয়নি। আমি ইচ্ছে করে ওর সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন বোধ করিনি। পরস্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করাও অশোভন। এটুকু জ্ঞান বুদ্ধি আমার আছে।
-হ্যালো কে?
ওপাশে চুপচাপ।
-কথা বলছেন না কেন? কে বলছেন?
আস্তে করে নারী কণ্ঠে ফিসফিস করে বলল,
- আমি চমন। চিনতে পারছো?
-চমন! কেমন আছো চমন।
- যেমন রেখেছো,খোঁজ নেবার প্রয়োজন টুকু বোধ করলে না একবার। একেবারে পর করে দিলে?
-তুমি পরস্ত্রী। তোমার খোঁজ নেওয়া পাপ।
-খুব ধার্মিক হয়ে গেছ বুঝি?
-খোঁচা মারছো।
- তোমার সাথে আমার একটু প্রয়োজন।দেখা করবে?
- আমার সাথে?
চমন জানালো।সে আমার সাথে দেখা করতে চায়।
আমি অবাক হয়ে বললাম,
- তুমি এখন এই অসময়ে দেখা করবে?কি ব্যপার?
-তোমার আপত্তি থাকলে বল। আমি আসবো না।
- আপত্তি থাকবে কেন?
-তাহলে এমন করে বলছো কেন?তোমার কাছে আসতে হলে সময় নিয়ে আসতে হবে নাকি! এতটাই পর করে দিয়েছো আমায়?
আমি দ্রুত সরি বললাম।
- কিছু মনে করো না প্লিজ।
- কিছু মনে করা না করার মধ্যে সত্যি কি আমি আছি?
চমন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল যেন। বলল,
- আমি আসছি। তুমি পার্কেই থেকো। রোজ যেখানে থাকো।
আজব তো আমি কোথায় সময় কাটাই চমন কিভাবে জানলো?
আর বেশি ভাবনা বাড়ালাম না। চমন আসছে এতেই আমি খুশি। অত যুক্তির ধার ধারতে চাইছে না মন। পার্কে বসে রইলাম চমনের অপেক্ষায়। চমন জানিয়েছে পার্কের কাছাকাছিই সে আছে আসতে পাঁচ মিনিট লাগবে।
আশ্চর্য!
এই শহরে চমন কি করছে? এই অসময়ে? অনেক প্রশ্ন এসে ভীড় করলো আবারো মনের মাঝে। আমি সে সব ভাবনা জোর করে তাড়ালাম।
কিছু সময় বাদে চমন চলে এলো। তখন আঁধার জাকিয়ে বসেছে। শ্বেত শুভ্র বসনে সে এলো। অপূর্ব মায়াময় লাগছে তাকে।এসময় পার্কে থাকা ঠিক না কিন্তু চমন পার্কেই থাকতে বলেছে বলেই বসে থাকা। আচ্ছা পাগল মেয়ে তো, বরাবরই জেদি।যেহেতু চলে এসেছে সে, দ্রুত এখান থেকে সরে পড়তে হবে।
-দেরি করে ফেললাম মনে হয়। কিন্তু কি করবো বল সব কাজ সেরে তবেই তো আসা। কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি।
- তুমি শ্বশুর বাড়ি থেকে সোজা এখানে এলে? তোমরা কি গ্রামের বাড়ির পাট উঠিয়ে দিলে নাকি?
- এত প্রশ্ন কেন গো? কোথায় আমি এলাম এতদিন পরে দেখা।কত কিছু আমাদের বলার আছে। আমরা সেসব নিয়ে বলবো ভাববো হাসবো মজা করবে তা না শুধু অবান্তর প্রশ্ন। ওদের কথা আলোচনা করতে আমার ভালো লাগে না।
- আহা রাগছো কেন। চল এই জায়গাটা ভালো না।অন্য জায়গায় যাই।
-চুপ করে বসো তো। আমি আছি তো কিছু হবে না।
আমি আর দ্বিমত করলাম না, চুপচাপ বসলাম। চমন আমার পাশে। তার গা বেয়ে অচেনা সুরভী ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সুগন্ধিটা ঠিক মেলাতে পারছি না।
-আমাকে ভুলে বেশ তো ভালোই আছো।
- কে বলল বেশ আছি?
- দেখলেই বোঝা যায়।
- তোমার ভুল ধারণা। যা হোক কিছু খাবে? আমার খিদে পেয়েছে।
মনে করলাম চমন হয়তো কিছু খেতে চাইবে না, না করে দেবে কিন্তু সে বালিকা সূলভ চপলতায় উচ্ছ্বসিত গলায় বলল,
- ফুচকা। ফুচকা খাবো। কতদিন খাই না।শহরের ফুচকা গুলো সত্যি তুলনা বিহীন।খেতে সেই রকম স্বাদ। দাও দাও অর্ডার দাও।চমনের ছেলেমানুষি দেখতে ভালো লাগছে।
আমরা পার্ক থেকে বেরিয়ে এলাম তারপর ঘুরে ঘুরে ফুচকা খেলাম, বাদাম খেলাম।অনেক অনেক গল্প করলাম। কত হাসি কত গান, অনেকটা সময় নিয়ে ঘুরলাম। মাঝে মাঝে চমন কেন জানি অন্য মনস্ক হয়ে যাচ্ছিল। সেটা কোন সমস্যা না। তবে কয়েকটি প্রশ্ন সে সযতনে এড়িয়ে গেল।তারপর একসময় হঠাৎ বলল আমি দুরে চলে গেলে বা কোন কারণে হারিয়ে গেলে আমায় মনে রাখবে তো?
- মনে রাখবো না কেন? আজীবন মনে রাখবো। তোমায় কি আমি ভুলতে পারি?
- ঘোড়ার কচু। পাগল ছেলে বলে অট্ট হাসি দিল। চমন অনেকটা বদলে গেছে।
তারপর যেমন হঠাৎ এসেছিল তেমনি হঠাৎ বলল,
- আমি উঠি। সবাই অপেক্ষা করছে। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
- কারা অপেক্ষা করছে। কিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে?
চমন আবারও হাসি দিয়ে এড়িয়ে গেল।ভালো থেকো। বলে এমনভাবে দ্রুত রাস্তা পার হয়ে গেল যেন এখনি এক্সিডেন্ট করবে। আমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম। সর্বনাশ বুঝি এখনই হবে।কিছুটা পরে চোখ খুলতেই দেখলাম চমন নেই। নেই তো নেই।
একটা ব্যপার,চমন চলে যাওয়ায় আগে চমনের হাত আমার হাতে ছিল।
সে সময় অন্য আবেগে মন মজে ছিল বলে তেমন খেয়াল করিনি।এখন স্পষ্ট মনে পড়ছে চমনের হাতটা কিন্তু ভীষণ রকম ঠান্ডা ছিল । ঠিক সেই সময় একবার আমি অবাক হয়ে কিছু বলতে গেলে চমন বলেছিল,
- এ ব্যপারে কোন প্রশ্ন নয়। প্লিজ। ভালোবাসার কসম।
তারপর তো ও হুট করে বিদায় নিল।
পরদিন আমি নানা অশান্তিতে আছি।সারা রাত ঘুমায়নি। মনের স্বান্তনার জন্য খুব সকাল সকাল গ্রামের বাড়ি গেলাম। কেন জানি একা একা ভালো লাগছিল না। অস্থির লাগছিল।
এদিকে আমার হঠাৎ বাড়ি ফেরাতে সবাই কেমন যেন তটস্থ ও বিব্রত হলো। বাবা মা ভাই বোন সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো।আমাকে ঘর থেকে বের হতে দিল না।পথে কারও সাথে দেখা হয়েছে কিনা জানতে চাইলো। আমি এরকম অদ্ভুত আচরণে যথেষ্ট বিরক্ত হলাম।
বেলা পর্যন্ত ঘুমিয়ে
ওইদিন দুপুরে আমি খাওয়া দাওয়া সেরে নদীর কিনারে বেড়াবো বলে বাড়ি থেকে বের হবো বলে উদ্যোগ নিতেই সবাই বাধা দিলো।
আমি আবারও অবাক হলাম। জেদও করলাম। কেন কি হয়েছে তোমরা আমার সাথে এমন করছো কেন? বাসাআথেকে বের হতে দিচ্ছো না কেন?
শত প্রশ্নের পরেও যখন কেউ কিছু বলল না দেখে কৌশলে ছোট বোনের কাছ থেকে যা জানলাম তাতে আমার মাথা খারাপ হবার মত দশা হল।
ঘটনা শুনে আমার গা হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো। চমন নাকি গতদিন দুপুরের পরে গলায় দড়ি দিয়েছে,তাকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা স্বত্তেও ,অনেক কষ্ট পেয়ে এশার নামাজের পরপর মারা গেছে। সেই রাতেই তার দাফন কাফন সম্পন্ন হয়ে গেছে।
এই নিয়ে গ্রামের পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত। আমি যেন বাইরে না যাই। চমনের ভায়েদের ধারণা এই আত্মহত্যায় আমার কোন না কোন ভাবে প্ররোচনা আছে।
তারা আমাকে ক্ষতি করবে বলে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে।
কিন্তু আমি একটা হিসাব কিছুতেই মেলাতে পারলাম না।
সবচেয়ে বেশি অবাক ব্যপার হলো যখন চমন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন তো সে আমার সাথেই ছিল। নাকি সেটা আমার কল্পনা? এমন বাস্তব কল্পনা কি কখনও হয়? তবে কি তার অতৃপ্ত আত্না আমার সাথে শেষ দেখা করতে এসেছিল। এ জন্য কি ওর শরীর এত ঠান্ডা ছিল?
আমি বাসায় বসে সন্ধ্যা হবার অপেক্ষা করতে লাগলাম।যদিও বিরক্ত লাগছিল।
রাতের আঁধার ছাড়া বাইরে বের হওয়া নিরাপদ নয় আমার জন্য । আমার বিপদ হতে পারে। আমিও আর কোন বিপদে জড়াতে চাই না।আজই আমায় শহরে ফিরতে হবে। অফিস থেকে জরুরি ফোন কল এসেছে। অবশ্য আমার সাথে আমার বড় ভাইয়াও যাবে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আমাকে একা ছাড়তে রাজী নয়। আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম।
সমাপ্ত
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: এই গল্পটির সাথে সুক্ষ্মভাবে আমার ছোট বেলার একটা স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তখন ঢাকায় থাকতাম।ঢাকা তখনও মফস্বল শহরের মত।এ বাড়ি ও বাড়ি প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নিয়মিত যাওয়া আসা হতো। দরজা খোলাই থাকতো সবসময়। আমাদের বাসায় ও একই অবস্থা। তো আমাদের পাড়ায় থাকতো একটি বিহারি পরিবার। সেই পরিবারটির সাথে কিভাবে কিভাবে আমাদের পরিবারের বেশ ঘনিষ্ঠতা হলো।ওই বাড়ির এক মেয়ে ছিল চমন। আমরা চমন ফুফু বলতাম। চমন ফুফু আমাকে খুব আদর করতো। একদিন চমন ফুফুর বিয়ে হয়ে গেল।চমন ফুফুর বিয়েতে আমরা খুব মজা করলাম। কেন কে ছয় মাসের মাথায় চমন ফুফু আত্মহত্যা করলো। কেউ কেউ অবশ্য বলেছিল যে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। খুব কষ্ট হয়েছিল।
# আমি এখন কোন লেখায় তাড়াহুড়ো করি না। সময় নেই। বারবার পড়ি।
# মোবাইলে পোস্ট করি তাই আলসেমি করে ছবি দেই না।
শুভ কামনা রইলো।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৮
দয়িতা সরকার বলেছেন: গল্প ভাল লেগেছে তবে গল্পে, উপন্যাসে অস্বাভাবিক মৃত্যু(সুইসাইড) মেনে নিতে কষ্ট হয়। আমাদের তরুণ- তরুণীরা বই পড়ে, নাটক, সিনেমা দেখে অনেকটা নিজের জীবনে সেটা অ্যাপ্লাই করার চেষ্টা করতে পারে। অনেক সময় করেও তাই।
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১
ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে...
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:২৫
হাবিব বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত
০৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬
ইসিয়াক বলেছেন: মোবাইলে পোস্ট করি ভাইয়া। ছবি আগে লোড নিতো,এখন কেন জানি লোড নিচ্ছে না।
# গল্পের শেষটা আবার রি রাইট করবো বলে ভাবছি।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বন্ধু শাহেদ জামাল পার্কে বসে থাকে। তার নিদিষ্ট বেঞ্চে।
চমন নামটা যেন কেমন!! একটা জর্দা আছে নাম চমন বাহার।
লেখার সাথে ছবি দেন না কেন? পোষ্টের সাথে কোনো ছবি না থাকলে কেমন ন্যাংটা ন্যাংটা লাগে।
গল্প ভালো হয়েছে। তবে গল্পে লেখকের তাড়াহুড়ার ছাপ স্পষ্ট বুঝা যায়।