নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই রকম পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি যেখানে সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হবে। যেখানে থাকবে না কোন পাপ পঙ্কিলতা।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভৌতিক গল্পঃ অন্ধকারের বিড়ম্বনা

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৪৬



জহির আর সুলতার প্রেমের বিয়ে । তাদের বিয়ে হয়েছে এখনও এক বছর হয়নি।তারা দুজনে আগে থাকতো যশোর শহরে। নিজের বাসা নয় অবশ্য ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। মুল শহরে বাসা ভাড়া সব সময় বেশি থাকে । অল্প বেতনে চাকরির টাকায় বাসা ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো বলে জহির বাধ্য হলো চাকরিটা ছাড়তে। চাকরি ছাড়ো বললেই তো আর চাকরি ছাড়া যায় না। ভাগ্যক্রমে অল্প চেষ্টাতে নতুন একটা চাকরি জুটে গেলো হঠাৎ করে অতঃপর দেরি না করে জহির আগের চাকরিটা ছেড়ে দিলো।বর্তমান চাকরিটার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে থাকার জন্য ফ্রিতে বাসা পাওয়া গেছে । যে কোম্পানিতে জহির চাকরি করছে বাসাটা সেই কোম্পানির মালিকের ।মালিক শফিক চৌধুরির বিভিন্ন রকম ব্যবসা।বছরের বেশির ভাগ সময় তার বিদেশেই কাটে। তো সেই মালিক পক্ষের কাছ থেকে যখন প্রস্তাব এলো,জহির চাইলে তার বাসার চারতলায় ইচ্ছে করলে পরিবার নিয়ে থাকতে পারে। তখন জহিরের ভীষণ আনন্দ হয়েছিল। শফিক চৌধুরীর জহিরের প্রতি এতটা আস্থা অবশ্য হুট করে হয়নি। শফিক চৌধুরী জহিরের দুর সম্পর্কের আত্নীয় বলেই হয়তো এই সুযোগ সুবিধা।
তবে শফিক চেীধুরী শর্ত দিয়েছেন একটা, বাসাটা দেখে শুনে রাখতে হবে। বাড়িটাতে সর্বমোট সাড়ে তিনটা ফ্ল্যাট বাকি তিনটা ফ্ল্যাটে অন্যান্য ভাড়াটে থাকেন, তাদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে শফিক চৌধুরীর একাউন্টে জমা করে দিতে হবে মাসে মাসে। কাজ বেশি না আবার ঝামেলাবিহীন জহির পারবে। তাই দেরি না করে এই প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেল সে। লাভের লাভ থাকা ফ্রিতে বাসা পাওয়া গেল।
যেহেতু এই বাড়িতে জহির অল্প কয়েকদিন এসেছে সেহেতু সময় সুযোগ করে অন্যান্য ফ্ল্যাটের ভাড়াটেদের সাথে জহিরের এখনও পরিচয় হয়নি।শফিক চৌধুরী বলেছে আগামী দুই একদিনের মধ্যে সমস্ত কাজ বুঝিয়ে দেবে আর সেদিনই পরিচয় পর্বটা সেরে নেওয়া যাবে। এই বাসায় থাকার আরো একটা সুবিধা হলো এখান থেকে জহিরের নতুন অফিসটা কাছেই।যাতায়াত খরচটাও সাশ্রয় হবে।
নতুন বাসায় উঠেই সুলতা গেছে বাবার বাড়ি অনেকদিন বাবার বাড়ি যাওয়া হয়নি তার সত্যি কথা বলতে গেলে বিয়ের পর এই প্রথম তার বাবার বাড়ি যাওয়া। তাদের বিয়েটা সুলতার পরিবার এখনও সেভাবে মেনে নিতে পারেনি। বিশেষ করে সুলতার বাবা। কিন্তু হঠাৎ করে সুলতার ছোট ভায়ের বিয়ে ঠিক হলো গত মাসে। ছোট ভায়ের বিয়ে, বাড়ির একমাত্র মেয়ে সেই বিয়েতে থাকবে না ব্যপারটা কেমন দেখায় তাই অনেক দেন দরবারের পর সুলতার মা সুলতার বাবাকে রাজী করায় ।তবে তিনি শর্ত জুড়ে দিতে ভুল করেন নি । জামাইয়ের এ বাড়িতে জায়গা হবে না পরিষ্কার বক্তব্য তার। জহির সাধাসিদা মানুষ তার ওই সব ইগো টিগো নেই। সুলতা অবশ্য বেঁকে বসেছিল । জহির বুঝিয়েছে সম্পর্কটা পুনরুদ্ধার করার এখনই সুযোগ।তুমি আগে যাও আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। একদিন ওনারা ঠিক আমাকে মেনে নেবেন। ও তুমি চিন্তা করো না।
অগত্য সুলতা একাই গেছে।তখন যেতে চাচ্ছিলো না আর এখন আসবার কোন খোঁজ নেই। আজ সাতদিন হয়ে গেলো। কবে আসবে কে জানে? জহির রান্না বান্নায় তেমন পটু না। তবে ভাত ডিম ভাজি ডাল এসব ছোটখাটো কাজগুলো পারে। এক হিসাবে সে একা একা মানুষ হয়েছে ।মায়ের মৃত্যুর পর এক সময় নিজের রান্না করে খেতে হয়েছে তাকে।
যেহেতু আজ সুলতা বাড়ি নেই তাই রাতের খাবারটা বাইরে থেকে খেয়ে এলো সে। দোষের মধ্যে আজ খাওয়াটা বেশি হয়ে গেছে। কাবাব আর বাটার নানের স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। ভয় একটাই বদহজম না হয়। সে বুদ্ধি করে মোড়ের ফার্মসি থেকে দুটো এন্টাসিড কিনে নিয়েছে। প্রয়োজনে কাজে লাগবে।
মুল গেট খুলে জহির সিড়ি ভেঙে চারতলার চিলে কোঠায় উঠে এলো অল্প সময়ের ব্যবধানে।জায়গাটা একদম নিঃঝুম। বেশ লাগে থাকতে।জহিরের খুব পছন্দ হয়েছে। কোন গাড়ি বা বাড়তি লোকজনের হৈ হল্লা নেই। পিন পতন নীরবতা।সেই সাথে প্রচুর বাতাস।
তবে রাতে থেকে থেকে কিসের যেন খুট খাট আওয়াজ হয়। সম্ভবত ইঁদুর মনে। সুলতা আসুক তারপর ওর সাথে আলাপ করে ইঁদুর মারা বিষ দিতে হবে।
জহির লক খুলে ঘরে ঢুকে সুইচ দিতে গিয়ে দেখলো বাতি জ্বলছে না। কয়েকবার আপ ডাউন করে কোন কাজ হলো না।বাল্ব কেটে গেছে মনে হয়।জহির রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল ঘর সংলগ্ন রান্না ঘরের বাতি দিয়ে কাজ সারতে হবে।কি আর করা। হঠাৎ অপ্রত্যাশিতভাবে নারী কন্ঠে কেউ কথা বলে উঠলো
-কোন বাল্বই তো জ্বলছে না কাট আউট কেটে গেছে মনে হয়। তুমি কি জানো এই বাড়িন কাট আউট কোথায়?
জহির হঠাৎ করে ঘরের মধ্যে নারী কন্ঠের আওয়াজ পেয়ে বেশ একটু চমকে উঠলো।
নরিী কণ্ঠটি এবার হো হো হো করে হেসে উঠলো।
-ভয় পেলে নাকি? ভিতুর ডিম কোথাকার। হা হা হা
এবার কন্ঠটা চিনতে পারলো জহির। আসলে প্রথমটায় ঘাবড়ে গিয়ে মাথায় কাজ করছিল না তার। সেও হেসে উঠে বলল,
-ও সুলতা বুঝি? কখন ফিরলে ? জানালে না তো। তখন তো বললে আসতে দু একদিন লাগবে।
- এই চলে এলাম। তোমার কথা খুব মনে পড়ছিলো। বুঝেছো?
-খাওয়া দাওয়া করবে না?
-খেয়ে এসেছি।
-ও
-আর তুমি?....
জানালা দিয়ে চাঁদের আলো বিছানায় এসে পড়ছে।অপার্থিব সে দৃশ্য। বিছানাতে সুলতা শুয়ে আছে । লাল ডুরে শাড়ি পড়েছে আজ। রংটা বোঝা না গেলেও শাড়ীটা চেনা।বেশ রহস্যময়ী লাগছে তাকে। জহিরের আজ অনেক খাটা খাটুনি গেছে।এখন হঠাৎ সারাদিনের ক্লান্তি যেন নেমে এলো পুরো শরীর জুড়ে । সে ও বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো কোন রকমে বাইরের পোষাকটা বদলে নিয়ে।
সুলতা জহিরের মাথায় হাত বুলিয়ে চুলগুলো আস্তে আস্তে টেনে দিতে লাগলো। জহির এই আদরটা খুব পছন্দ করে। ............
রাত তখন কত কে জানে ফোনের রিং বাজছে । এত রাতে কে আবার ফোন দিল । ঘুম এসে গিয়েছিল।জহির স্বভাবত বিরক্ত হলো। কিন্তু নাম্বার দেখে সে বেশ চমকেও গেল।ফোনটা এসেছে সুলতার সেল ফোন থেকে। বিছানায় তার পাশে তো সুলতাই শুয়ে আছে । তাহলে ফোন কেন? আরো একবার পাশ ফিরে দেখে নিয়ে সন্দেহ দুর করল জহির । নাহ এতো সুলতাই
তারপর মনে হলো সুলতা হয়তো তার বাবার বাসায় ভুল করে তাড়াহুড়োয় সেল ফোনটা ফেলে রেখে এসেছে। এই ভাবনা থেকে জহির একটু মুচকি হেসে ফোন রিসিভ করলো। জহির অবশ্য এর আগে তার শ্বশুর বাড়ির কারো সাথে তেমন আলাপ করেনি। কে ফোন দিলো কে জানে? .শালী হলে তো ভালোই হবে।রূপা নামের খালাতো শালীর সাথে কথা বলে বেশ মজা পাওয়া যায়।
-হ্যালো
সরাসরি প্রশ্ন
-কি করছো?
সেল ফোনের ওপার থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে সুলতার গলা শুনে আবারো জহির চমকে উঠলো
-তুমি?
-তুমি মানে? অন্য কাউকে আশা করছিলে নাকি?
- না কিন্তু আমার পাশে কে?
- পাশে কে মানে?
- তুমি বাসায় চলে আসছো না?
- কি যা তা বলছো। বাদ দাও ইয়ারকি। মনটা এমনিতেই খুব খারাপ জানো তোমাকে খুব মিস করছি ।ঘুম আসছে না। এখন ব্যলকনিতে বসে আছি, চাঁদ দেখছি। বেশি রাত না হলে এখনি চলে আসতাম । এক কাজ করো তুমিও জানালা দিয়ে তাকাও চাঁদ দেখতে পাবে। তোমার চাঁদের পাশে কি কি দেখছো আমায় বলো। আমিও আমর চাঁদের পাশের আকাশে কি কি দেখছি তোমায় বলবো। একটা সারপ্রাইজ আছে দেখি কে সবচেয়ে বেশি সুন্দর করে বলতে পারে। কথা বলছো না কেন? রাগ করো না লক্ষীটি। কাল আর ভুল হবে না ঠিক চলে আসবো, প্রমিজ। তুমি মনে হয় রেগে আছে প্লিজ কথা বলো।তুমি কথা না বললে আমার কষ্ট হয়।তুমি বোঝ না? কথা বলছো না কেন? কি হলো
জহির ফোন কানে দিয়ে মুখ ঘুরিয়ে তার পাশে শুয়ে থাকা রমনীর দিকে এবার সদিগ্ন চোখে তাকাতেই তার পিলে চমকে গেল। পাশে শুয়ে থাকা রমনীটি নিসাড় হয়ে শুয়ে আসে বটে তবে তার চোখ খোলা এবং স্থির। মনি দুটো জ্বল জ্বল করছে। মানুষের চোখের মনি কি কখনও জ্বল জ্বল করে?
জহিরের মুখ দিয়ে অমানুষিক এক চিৎকার বেরিয়ে এলো। ফোনের ওপাশ থেকে রহস্যময় আওয়াজ শুনে সুলতা বুঝলো কোথাও একটা গোলমাল হয়েছে। সে তৎক্ষানাৎ তার ভাইকে সাথে করে নিয়ে মোটর সাইকেলে রওনা দিলো।আধা ঘন্টার পথ তারা সহজে চলে এলো প্রায় নির্বিঘ্নে।
নিজের কাছে থাকা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে গেটের তালা খুলে চারতলাতে হাঁপাতে হাঁপাতে এসে যা দেখলো তাতে তার রক্ত হিম হয়ে গেলো।
জহির বিছানায় শুয়ে আছে।কিন্তু নিসাড়। রক্তশুন্য।শরীর হিম ঠান্ডা। তার গলায় কিসের যেন ক্ষত সেখান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। .............
সমাপ্ত
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ছবির লিঙ্কঃ ছবির লিঙ্ক

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ড্রাকুলার গল্পকে হার মানাবে আপনার গল্প। ভাজ্ঞিস রাতে পড়ি নাই। রক্ত পিপাসু পিশাচ এসেছিল সুলতার বেশে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৯

ইসিয়াক বলেছেন: হা হা হা ...।গতকাল রাতে পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। কি মনে করে একটা অনু গল্প পোস্ট দিয়েছিলাম। ভাগ্যিস দেই নাই ;)

মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম শুভকামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব পোস্টের সাথে ছবিটা কার? আমার কাছে এলিয়েন মনে হচ্ছে।
গল্পটা ভালো হয়েছে।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৯

ইসিয়াক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার কোন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রের লেখা?

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: আপনি সব সময় সীমা অতিক্রম করেন। এটুকু বোঝেন না অন্যকে ছোট করার মাধ্যমে নিজে ছোট হন।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: লিখতে থাকুন। আগামীতে আরো ভালো হবে আশাকরি।

০৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: আপাতত ব্লগে আর পোস্ট দিবো না। এটাই শেষ পোস্ট।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি ফাটায়া গল্প লেখতাছেন। আর পোষ্ট দিবেন না ক্যান? আপনের লেখা তো দিনকে দিন চমৎকার হইতাছে!! যাই হোক, গল্প ভালো হইছে। বিশেষ কারন না থাকলে গল্প পোষ্টানো বন্ধ কইরেন না। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম প্রিয় ব্লগার। ৩ নম্বর মন্তব্যকারীর নেতিবাচক মন্তব্য এত পরিমান বিরক্তিকর কি বলবো।ফালতু একটা। এই ছাগলটাকে বেঁধে রাখাই ভালো। সারাদিন করোনা করোনা করে ফেনা তুলছে। আর অন্যের পোস্টে পোস্ট বহির্ভূত মন্তব্য করে বিরক্ত উৎপাদন করে চলেছে। আমার একটা সমস্যা আছে বিনা কারণে আমাকে কেউ উল্টো পাল্টা কথা বললে আমার মন বেশ কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। দশ বারোটা গল্পের রাফ করা আছে। একটু মন শান্ত হলে আবার পোস্ট দেবো নিশ্চয়ই।

শুভ কামনা রইলো।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এর কাজই তো হলো অন্যদেরকে জ্বালানো। গুরুত্ব দেওয়ার দরকার কি? ''আমি কি কই, আর আমার সারিন্দায় কি কয়''......এই হইলো এর মন্তব্যের নমুনা। জোকারের বিনোদন হিসাবে নেন, নয়তো জাস্ট ইগনোর।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩২

ইসিয়াক বলেছেন: ওকে। থ্যাংকস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.