নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একান্ত ব্যক্তিগত কারণে ব্লগে আর পোস্ট দেওয়া হবে না। আপাতত শুধু ব্লগ পড়বো। বিশেষ করে পুরানো পোস্টগুলো। কোন পোস্টে মন্তব্য করবো না বলে ঠিক করেছি। আমি সামহোয়্যারইন ব্লগে আছি এবং থাকবো। ভালো আছি। ভালো থাকুন সকলে।

ইসিয়াক

সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃএক জীবন, অন্য জীবন

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩



(১)
নাম না জানা এক নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছি আমি। কেন দাড়িয়ে আছি মনে করতে পারছি না। কিভাবে এখানে এলাম সেটাও জানি না।জায়গাটা অদ্ভুত রকমের শুনশান। নদীর ঢেউয়ের এক ধরনের কলতান আছে।আমি মুগ্ধ হয়ে সেই কলতান শুনছি। চারদিকে তাকিয়ে দেখছি কোথাও কেউ নেই। সর্বত্র নিরব, নিস্তব্ধ । অত্র এলাকার অনেকটা জায়গা জুড়ে ধু ধু বালিয়াড়ি। তার ওপারে জনবসতি, দুরে দৃষ্টি প্রসারিত করলে তার আভাস মেলে। এ যেন মন কেমন করা উদাসী প্রহর। হঠাৎ দৃষ্টি পড়ল ছোট একটা খেয়া নৌকার দিকে। সেই ছোট্ট খেয়ায় বসে আছে এক মাঝি। চোখে মুখে তার অসহায় দৃষ্টি ।সম্ভবত সময়ের আহারটুকু ঠিক মতো জোটেনি তার। পরণের বসন ভূষণ জরাজীর্ণ শত ছিন্ন মলিন।মোট কথা সর্বাঙ্গে তার চরম দারিদ্র্যের ছাপ।ঘাট পারাপারের জন্য এদিকে তেমন কোন লোক নেই।সম্ভবত এদিকটা দিয়ে কেউ তেমন একটা নদী পার হয় না। কি মনে হলো নদীর ওপারে গিয়ে দেখি না কেন কি আছে? তারপর মনে হল মাঝি কি আমায় নিয়ে নৌকা ছাড়বে?আমি তো একমাত্র যাত্রী। যাবে কি ওই পাড়ে ?
মাঝিকে উদ্দ্যেশ্য করে কিছু বলবো বলে ভাবছি ঠিক তখনই মাঝিটি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল
-ওই পারে যাইবেন নি স্যার? অহনই নোকা ছাড়ুম। গেলে আহেন।
- কত দিতে হবে?
- সে আপনার বিবেচনা।
সাত পাঁচ না ভেবে আমি খেয়াতে উঠে বসলাম।মাঝিটি আবার বলল,
- সাবধানে আইট্যা কইস্যা বহেন স্যার, নদীতে কইলাম খুব ঢেউ!
আসলেই নদীতে প্রচুর ঢেউ। ভেবেছিলাম ইঞ্জিন চালিত নৌকা এখন দেখি মাঝি দাঁড় টানছে। টানছে তো টানছেই আমার নৌকা ভ্রমণ আর শেষ হচ্ছে না।সামান্য পথ কিন্তু এত সময় লাগছে কেন? হঠাৎ দেখি ঈশান কোনে মেঘ।বৈশাখ মাসে দুপুরের পরে ঈশান কোনের মেঘ মানে ঘূর্ণিঝড় বা বজ্রবৃষ্টির আশংকা। মুহুর্তে তীব্র ঝড় উঠলো। নৌকা খেলনার মত দুলতে লাগলো। কখনও কখনও তা ভয়ংকরভাবে নাচতে লাগলো।ভয়ে আতংকে আমার দম বন্ধ হয়ে আসতে চাইলো।একি অবস্থা! আমি যেহেতু সাঁতার জানি না তাই বেশ বিচলিত হলাম । মাঝি ব্যাটা আমার অবস্থা দেখে মজা পেল মনে হয়। সে বেশ জোরে হাসতে লাগলো।মহা ফাজিল তো! মনে হলো মাঝিকে চড় দিয়ে দাঁত ফেলে দেই।
হঠাৎ নৌকা উল্টে গেল।আমি হাত পা ছুঁড়তে লাগলাম পাগলের মত।কিন্তু কোন কিছুতে কোন কিছু হচ্ছে না আমি ডুবে যাচ্ছি। প্রাণপণে চেচাচ্ছি বাঁচাও! বাঁচাও!!
হঠাৎ কানে এলো অদ্ভুত রকমের আওয়াজ। কিসের আওয়াজ এটা?
(২)
মিষ্টি একটা আওয়াজ এবং বেশ সুরেলা। ঘুম ভাঙতেই আমি কান পাতলাম। শব্দের উৎস খোঁজার চেষ্টা করলাম। প্রথমে তেমন কিছু বুঝতে না পারলেও পরে বুঝতে পারলাম এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলাম। আর শব্দটা মোবাইলের রিংটোন যা আমি গতকাল চেঞ্জ করেছি। বালিশের তলা থেকে সেলফোনটা উদ্ধার করে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকালাম। তিনটা আঠারো বাজে। এত রাতে কে আবার ফোন দিলো। বিদেশি নাম্বার মনে হচ্ছে। আমার পরিচিত কেউ তো বিদেশে থাকে না। ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম।
- হ্যালো?
ওপাশ থেকে মিষ্টি একটা কন্ঠ ,
- কেমন আছো অপু?
আমি ফোনটা মুখের সামনে ধরলাম মুখটাকে দেখতে পাবো এই ভেবে। কিন্তু অডিও কলে মুখ দেখবো কিভাবে? অগত্যা বললাম,
- কে বলছেন প্লিজ!
- আমার কন্ঠটা ভুলে গেছো দেখছি!
-স্যরি আমি আপনাকে চিনতে পারছি না। একটু পরিচয় দিলে ভালো হয়।
- তোমার সম্পর্কে যা শুনেছি সব দেখি সত্যি।
- রাত দুপুরে কি হেয়ালি করছেন! বিরক্ত হলাম।
-এক সময় এই গলার স্বরটি তোমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল। কত সহজে সবকিছু বদলে যায়,তাই না? মাঝে মাঝে এসব ভাবি আর অবাক হই।
একটু স্মৃতি হাতড়ে গলার মালিকের স্বরটা এবার মনে হয় অনুমান করতে পারলাম । যদিও স্বরটা আগের মত কিশোরী সুলভ নেই বেশ ভারি হয়ে গেছে।
আমি বিষ্ময় না লুকিয়েই বললাম
- তুমি! অলকা!! হঠাৎ
ওপাশ থেকে সশব্দে মিষ্টি হাসি শুনতে পেলাম।বহু বছর আগের মুগ্ধতা আবার ছুঁয়ে গেল। মনের অলিন্দ নতুন করে আবার অনুরণিত হলো কি?
অলকা বলল,
-অবশেষে চিনলে তাহলে। ভেবেছিলাম চিনবে ঠিকই হয়তো কিন্তু এড়িয়ে যাবে।
-কত দিন বাদে.... কোন প্রয়োজন কি?
- প্রয়োজন ছাড়া বুঝি কল দেওয়া নিষেধ? এত কনজার্ভেটিভ কবে থেকে হলে?
- কনজারর্ভেটিভ? আমি? হা হা হা
- বেশ ভালো আছো মনে হচ্ছে।
- তুমি কি ভেবেছিলে সারাজীবন তোমার বিরহে শোক পালন করবো?
- আই এম এক্সস্ট্রিমলী স্যরি ফর দ্যাট।
- কেন? আবার স্যরি কেন?
- তুমি কি আমার উপর এখনও রেগে আছো?
- সেটাই স্বাভাবিক নয় কি?
- আমি আমার বাবা মায়ের হয়ে তোমার কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাইছি।
- আরে বাদ দাও এসব। পাস্ট ইজ পাস্ট। এখন আর সে সব আবেগের কোন মূল্য নেই। খামাখা ভেবে কি লাভ? তুমি আছো তোমার মত আর আমি আছি.....
- হু, ঠিক তাই। আজ দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে গেছে বেঁকে.... গানের কথার সাথে আমাদের জীবনটা কেমন মিলে গেছে তাই না?
- কেন ফোন দিয়েছো?
- এমনি।
- তুমি তো সুখে আছো অলকা,তাহলে কেন বিরক্ত করছো?
- হ্যাঁ অনেক সুখে। অনেক টাকা।দামী গাড়ি,বাড়ি কোন কিছুর অভাব তো নেই।
-তোমার কথার মাঝে কোথায় যেন অন্য রকম সুর !
- তোমার শান্তির ঘুমটা নষ্ট করে দিলাম।
আমি চুপ করে রইলাম কেন জানি কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।
-কথা বলছো না যে?
- বল শুনছি।
- আমি জানি ওই ঘটনার পর থেকে তোমার মনে আমার জন্য আর কোন মায়া দয়া ভালোবাসা অবশিষ্ট নেই। সেখানে শুধু ঘৃণা আর ঘৃণা।তবু তোমাকে কেন জানি ফোন দিতে ইচ্ছে হলো। তোমাকে জানাতে ইচ্ছে হলো।এ সময় মানুষের মন দূর্বল থাকে জানি।তাই সব দ্বিধা ভয় লাজ ভুলে তোমাকে ফোন দিলাম।তোমার প্রতি আমি আমার পরিবার যে অন্যায় করেছে তার কোন ক্ষমা নেই। কিন্তু তুমি ক্ষমা না করলে যে আমার মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না অপু।
- আমি তো কবেই সে সব ভুলে গেছি অলকা।
- এখনও তো খুঁড়িয়ে হাটো।
- সারাজীবন হাঁটতে হবে মনে হচ্ছে।
- বিয়ে করলে না কেন?
এই প্রশ্নে আমার ভীষণ রাগ হলো
- এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত ব্যপার। কি জন্য ফোন দিয়েছো সেটা বললে ভালো হয়।
- তুমি আমায় ক্ষমা করো অপূর্ব!
অঝোর ধারায় কাঁদছে অলকা।আমারও কান্না পাচ্ছে।
- কি হয়েছে অলকা, কি হয়েছে তোমার?আমায় খুলে বল।আমি তো তোমারই। কোন সমস্যা নেই তোমার জন্য আমি এখনও সব করতে পারি। প্লিজ কাঁদবে না, প্লিজ।
ওপাশে অলকা তবু কেঁদে চলেছে।
(৩)
কিছুটা পরে স্বভাবিক হয়ে অলকা আবার বলল,
- তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও অপূর্ব তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও। আমি তোমার জীবনটা ছারখার করে দিয়েছি।তোমার সাথে চরম বেইমানি করেছি।তোমার অভিশাপে আজ আমি ভালো নেই।
অভিশাপ কথাটা আমার ভালো লাগলো না। অলকা বা অলকাদের পরিবারের প্রতি আমার তীব্র রাগ ও ঘৃণা আছে তাই বলে শাপ শাপান্তর করা আমার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য নয়। আমি প্রতিবাদ করলাম,
- মিথ্যা অভিযোগ করো না অলকা। আমি কোন অভিশাপ দেইনি।মিছে মিছি আমায় দুষছো।
- একটা কথা বলবো?
- বল।
- আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না সেটা কি তুমি জানো?
এ কথার কি উত্তর হবে আমি বুঝতে না পেরে চুপ করে রইলাম। মেয়েরা এমন অনেক অবান্তর কথা বলে ইমোশনালী ব্ল্যাক মেইল করার জন্য। অলকা কি বলছে বুঝতে পারছি না।
- কথা বলছো না যে?
- কে কতদিন বাঁচবে সে নিজে কি তা জানে? এসব অনর্থক প্রলাপ।
- আমি আমারটা জানি।
-আমরা আগামীকাল কথা বলি? আমার ঘুম পাচ্ছে।
- আমার থ্রোট ক্যান্সার হয়েছে অপূর্ব। লাষ্ট স্টেজ। আর কয়েক মাস..এখন বলো. তুমি আমায় মন থেকে ক্ষমা করেছো তো অপূর্ব?
আমার বুকের মধ্যে কেমন যেন হু হু করে উঠলো।কষ্টের হীম শীতল স্রোত বয়ে গেল এক নিমেষে। অলকার প্রতি আমার সকল রাগ ক্ষোভ ঘৃণা নিমেষে উধাও হয়ে গেল।
- তুমি এখন কোথায় অলকা?
- যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছি।
আমি হতাশ হলাম।
- ওহ!
মন খারাপ করে দিলাম তো আসলে তোমার কাছে ক্ষমা না পাওয়া অবধি আমার মরেও শান্তি নেই। তাই বিরক্ত করলাম।কিছু মনে করো না প্লিজ। আর হয়তো কথা হবে না।রাখছি আমার স্বামি রাকিব ফিরে আসছে সম্ভবত ,ডোর বেল বাজছে। বিদায় অপু। ভালো থেকো।
বাকি রাত টুকু আমার আর ঘুম হলো না। বুকের মাঝে কষ্টের নদী কুলকুল করে বয়ে যেতে লাগলো। আমি কাঁদছি প্রিয়তমা প্রেমিকার জন্য। যাকে আমি এ জীবনে নিজের জীবনের থেকেও বেশি ভালো বেসেছিলাম হে ঈশ্বর তাকে তুমি যে কোন অলৌকিক উপায়ে সুস্থ করে দাও।
সুস্থ করে দাও!
(৪)
জীবন কখনও কখনও কঠিন সমীকরণে এসে দাড়ায়।আমার জীবনও তেমনই এক সমীকরণে এসে দাঁড়িয়েছে।যে অলকার প্রতি আমার তীব্র ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না তার এবং তার পবিবারের নিষ্ঠুরতার কারণে। আজ তারই একটা ফোন কল আমার রাতের ঘুম আর দিনের শান্তি বিনষ্ট করে দিলো।
এক সময় যে মেয়ের কারণে সমস্ত নারী জাতির প্রতি আমার মনে তীব্র ঘৃণা জন্মেছিল আজ তা এক নিমেষে উধাও হয়ে গেল যেন।
অলকার সাথে যোগাযোগ করার উপায় নেই কোন। অলকাও যোগাযোগ করেনি আর। এ জীবনে কি আর কোন দিন কখনও আমাদের দেখা হবে না? একটু দেখা....
সেই স্বপ্নটা বার বার দেখতে লাগলাম। শুনশান একটা নদীর পাড় আমি সেই নদী পার হতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। বাঁচবার সে কী আকুলতা আমার।কিন্তু আমি ডুবে যাচ্ছি।কে যেন আমার পা ধরে টানছে।তলিয়ে যাবার আগে স্বপ্নের শেষ অংশে একটা ঝাপসা নারীর মুখ আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
আয়! আয়!!
পরিশিষ্ট
আকুল করা এক জ্যোৎস্না রাতে দিন পনেরো পরে অলকা সব কিছু ছেড়ে চলে এসেছিল আমার কাছে।আমি তখন ছাদে বসে ছিলাম ,যেখানে বসে থাকি আর কি! ব্যপারটা এতটাই অবিশ্বাস্য ছিল যে কী বলবো। তারপর থেকে অলকা আমার সাথে থাকতে আরম্ভ করলো। ওর কঠিন যন্ত্রণার মুহুর্তগুলোয় ও আমার হাত ধরে আশ্রয় খুঁজতো শিশুদের মত। ওর চেখে মুখে ছিল বাঁচার সে কী আকুলতা।আমি সব সময় প্রার্থনা করতাম হে ঈশ্বর ওকে ভালো করে দাও। সুস্থ করে দাও। কিন্তু ঈশ্বর তো আমার কথা শুনলো না। প্রতিদিন একটু একটু করে একটা মানুষ কীভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় আমি দেখেছিলাম। নিজের চোখে দেখেছিলাম।আমি ওর শেষ দিনগুলোর জন্য সাধ্যমত করেছিলাম।যেটুকু আমার সামর্থ্য। অলকাও আমার সান্নিধ্যে খুশি ছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও আমি অলকাকে ধরে রাখতে পারি নি। কি যে কষ্ট আহ! কেন তুমি ফিরে এলে অলকা? আবার চলেও গেলে, কেন? কেন? কেন?
তারপর অনেকদিন কেটে গেছে। অনেক দিন। আমি প্রতি জোৎস্না রাতে বাসার ছাদে বসে সময় কাটাই। যেখানটায় আমি আর অলকা দোল খেতাম ঠিক সেখানটায় । আমার পা শেকল দিয়ে বাঁধা থাকে। আমি নাকি অসুস্থ। কি এমন অসুখ যে আমায় শেকল পরতে হবে?
বুঝি না কিছুই বুঝি না। এ জগতের কোন কিছু এখন আমার কাছে স্পস্ট নয় । চারদিকে এত জটিলতা কেন?
মাঝরাতে অবশ্য মা এসে তুলে নিয়ে যায় আমাকে।মা"টা যে কি। শুধু বকাবকি করে।বলে কবে যে তুই সেরে উঠবি খোকা। সেদিন আমার মুক্তি। এই যেমন আজ ঔষধ খাওয়া নিয়ে বকছে।আমার ঔষধ খাওয়ার সময় নাকি পার হয়ে যায়। আমি ঠিক মত ঔষধ খাই না।আরও কি কি। প্রতিদিন আমার ঔষধ খেতে একটুও ভালো লাগে না। একটুও না।......
আমি সাগরের বেলা
তুমি দুরন্ত ঢেউ
বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও
ধরা দেবে বলে আশা করে রই
তবু ধরা নাহি দাও...

জানি না তোমার এ কি অকরুন খেলা
তব প্রেমে কেন মিশে রয় অবহেলা

পাওয়ার বাহিরে চলে গিয়ে কেন আমারে কাঁদাতে চাও
বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও
বুঝি আমার মালায় মায়ার বাঁধন নাই
আপন জনেরে আপন করিয়া বাঁধিতে পারি না তাই
আসে আর যায় কতো চৈতালী বেলা
এ জীবনে শুধু মালা গেঁথে ছিঁড়ে ফেলা
আসে আর যায় কতো চৈতালী বেলা
এ জীবনে শুধু মালা গেঁথে ছিঁড়ে ফেলা
কোন সে বিরহী কাঁদে মোর বুকে
তুমি কি শুনিতে পাও...?
বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও
ওগো, বারে বারে শুধু আঘাত করিয়া যাও
কথাঃ প্রণব রায়
সুরকার ও শিল্পীঃ মান্না দে

সমাপ্ত।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দারদ কা রিশতা।

গল্প খুব ভালো লেগেছে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন:


অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় ব্লগার । গল্প ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকুন সবসময়।
শুভকামনা রইলো্ ।

২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: গল্প গুলো মন খারাপের ! বিরহের গল্প পড়লে অনেক টা সময় সেই মন খারাপ নিজের সাথে মিশে থাকে । মনে হয় লেখক সাহেব কেন গল্পটা সুখের করলেন না? বাস্তবের জীবনটা আমাদের হাতে নেই অথচ এই গল্প তো লেখকের হাতেই আছে । চাইলেই তো সে গল্পের চরিত্র গুলোকে সুখ দিতে পারেন । তবে কেন দেন না?

গল্প পড়ে মন খারাপ হল কিন্তু সেই সাথে খুব ভালও লাগলো । গল্পের মত যেন কোন অপূর্ব আর অলকার জীবন না হয় । বাস্তবে তারা যেন সুখে থাকে ।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন:



এই গল্পটা লেখার পেছনের গল্পটা বলি, তিন/চারদিন আগে গান শুনছি । মান্নাদের গানটি( আমি সাগরের বেলা তুমি দুরন্ত ঢেউ) হঠাৎ মনে হলো এই গানের উপর ভিত্তি করে একটা গল্প হতে পারে। তবে গল্পটার শেষে নায়িকা ফিরে আসবে নায়কের কাছে কিন্তু লেখা শেষে মনে হলো এটা তো সাধারণ হয়ে গেল । আমি আবার প্রচন্ড দুঃখবিলাশী :( কি মনে হলো শেষের দিকে এসে বদলে দিলাম। একটু ক্ষমতা দেখালাম আর কি হা হা হা ....
পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা সতত।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: আপাতত দেখে গেলাম, ফিরে আসবো।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অপেক্ষায় আছি প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা জানবেন।
শুভ সকাল।

৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ!!! +

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৭

ইসিয়াক বলেছেন:




অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভ সকাল।

৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: এত বড় লেখা....?

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৯

ইসিয়াক বলেছেন:


হা হা হা ১৭০০+ শব্দ। খুব বেশি বলে মনে হলো ?
শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।

৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সময় করে পড়তে হবে।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০০

ইসিয়াক বলেছেন:


হায় ! হায়!! লিটন খাই এইডা কিছু হইলো B-)) পইড়েন কইলাম।
শুভেচ্ছা লইয়েন।

৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:০১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দারুণ লিখেছেন

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০১

ইসিয়াক বলেছেন:


অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার ।
শুভকামনা সতত।

৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপাততঃ লাইক দিলাম, সময় করে পড়তে হবে। অনেকদিন কারো কোন লেখা পড়া হয় নাই।

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

ইসিয়াক বলেছেন: ভাইজান কেমন আছেন? অনেকদিন পরে আপনাকে ব্লগে দেখে খুব ভালো লাগলো।

দোয়া রইলো ভাই।
ভালো থাকুন সবসময়।

৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মন খারাপের গল্প
তবে ভালো হয়েছে অনেক

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৪৩

ইসিয়াক বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ আপু । পাঠে মন্তব্যে ও লাইকে কৃতজ্ঞতা রইলো।
শুভকামনা সতত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.