নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান।একমাত্র সন্তান বলেই সম্ভবত খুব বেশি রকম আদরে আহ্লাদে মানুষ। সোহাগ করে বাবা আমাকে প্রায়ই রাজপুত্র বলে ডাকে সংক্ষেপে রাজ।আর মা-মণি ডাকে রাজন বলে। আসলেই আমি রাজপুত্র। কি নেই আমার? আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ একটি রাজকীয় জীবন আমার। যা কিছু অভাব শুধু মুখ ফুটে চাওয়ার অপেক্ষা , নূন্যতম সময়ে পূরণ হয় সেই অভাবটুকু।
বাবা বাদে আমাদের সংসারে আছে মা-মণি।মূলত বাবা অন্তপ্রাণ হলেও মা'কেও দারুণ ভালোবাসি আমি তবে বাবার দিকে পাল্লাটা একটু ভারিই সেটা বলতে দ্বিধা নেই কোন।
সালটা ঠিক মনে নেই তবে তখন আমি গুরুগৃহ প্রি ক্যাডেট স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এটা মনে পড়ে।ছাত্র হিসাবে মোটামুটি ছিলাম। স্কুল বাড়ি খেলার মাঠ, বন্ধু বান্ধব দারুণ কেটে যাচ্ছিল সময় । নতুন বছরের কয়েকমাস চলে গেছে প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও শেষ।রেজাল্ট দিয়ে দিয়েছে ফলাফল মোটামুটি। বাবা খুশি হলেও মা-মণি বকা দিয়েছে।মন খারাপ নিয়ে নতুন করে ক্লাসে হাজির হয়েছি । সেদিন ছিল অবিরাম বৃষ্টির একটা দিন। যদিও সকালবেলাতে আকাশ পরিষ্কারই ছিল ।এমন ঝড় বৃষ্টির দিনের থার্ড পিরিয়ডে একটা বোকাসোকা মত মেয়ে এসে হাজির হলো আমাদের ক্লাসের দরজায়।মেয়েটি তেমন পরিপাটি বা গোছালো নয়।তার চোখমুখ কেমন যেন শুকনো, কিছুটা ভয়ার্ত দৃষ্টি ।বইগুলো ডান হাত দিয়ে পেটের উপর ঠেসে ধরা।ততক্ষণে পুরো ক্লাসের চোখ দরজার দিকে।মৃদু সোরগোল উঠেছে ছাত্র মহলে ।বিজ্ঞান মিস ব্ল্যাক বোর্ডে কি একটা যেন লিখছিলেন ।হঠাৎ গুঞ্জনে প্রায় রেগে যাচ্ছিলেন এমন সময় মেয়েটির দিকে চোখ পড়তেই সিদ্ধান্ত বদলালেন। এক প্রস্থ মেয়েটির আপাদমস্তক দেখে নিয়ে প্রশ্ন করলেন
- নতুন ভর্তি?
মেয়েটি মাথা নাড়লো।পুরো ক্লাস সংগে সংগে হেসে উঠলো।
জামিল ফট করে বলে উঠলো
- তুমি কথা বলতে পারো না।মিস তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছে। কথা তো বলো।
ম্যাম জামিলকে কড়া এক ধমক দিয়ে চুপচাপ বসতে বলে মেয়েটিকে ভেতরে আসতে নির্দেশ দিল।
এর আগে আমাদের ক্লাসে কোন মেয়ে ছিল না।স্বাভাবিকভাবে সে কারণে ছেলেদের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা দেখা দিল। মেয়েটি কার পাশে বসবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল । সৌভাগ্যক্রমে আমার পাশের সিটটা খালি ছিল ম্যাম ওকে আমার পাশে বসতে বললেন। নিজেকে তখন ভীষণ গর্বিত লাগছিল।মিতু বইগুলো রেখে ধপ করে বসে পড়লো।মনে হলো ভীষণ ক্লান্ত।
যাহোক পরিচয় পর্ব শুরু হলো ম্যাম জিজ্ঞেস করাতে ওর নাম জানলাম।
নামটা অদ্ভুত বিশেষ করে শেষের অংশটা।বিশ্বাস আবার কারো নাম হয় না-কি? মিতু বিশ্বাস। তবে নাম যাই হোক মিতু বেশ লক্ষী আর ভদ্র মেয়ে। ওর সাথে ভাব হতে আমার দেরি হলো না। তবে পড়াশোনায় ভীষণ অমনোযোগী। স্কুলেও মিতু বেশির ভাগ সময় বিষন্ন আর উদাসী থাকতো।খুব বেশ চাপা স্বভাবের মেয়ে ছিল সে। ওর দুঃখী দুঃখী মুখের দিকে তাকিয়ে আমার ভীষণ মায়া হতো।মনে হতো কোনভাবে যদি ওর দুঃখগুলো দুর করতে পারতাম। তবে ও প্রথম দিকে নিজের কথা কেন জানি বলতে চাইতো না। তবে এক সময় আমাকে অনেক ভরসা করতে শুরু করে।আমার সহমর্মিতা সম্ভবত ওর হৃদয় স্পর্শ করেছিল। ওর সাথে একটু বেশি মেলা মেশার কারণে অনেকের অনেক বাজে কথা শুনতে হতো।ও অবশ্য তেমন কারো সাথে মিশতে চাইতো না শুধু আমার সাথে ছাড়া।আমিও সব সময় ওর প্রতি অদৃশ্য একটা টান অনুভব করতাম।
ওর টিউটর না থাকার কারণে পড়াশোনায় অনেক দূর্বল ছিল।পাঠ বুঝতে সমস্যা হতো ওর।ক্লাসে পড়া হতো না ঠিক মতো।মিসদের বকা খেতো প্রায় দিনই।আমি অবশ্য ওকে লেখাপড়ায় সাহায্য করার চেষ্টা করতাম। ওর বিষন্নতা আমাকে ভীষণ আহত করতো।
ও আমাকে ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড বানিয়েছিল।
ওর খাওয়া দাওয়ার খুব কষ্ট ছিল।তবে সেটা আমি জানতে পারি অনেক পরে এক ঘটনার মাধ্যমে।
আসলে ও থাকতো ওর বড় মামার বাড়িতে। ওর জন্মের আগে ওর বাবা ওদের ছেড়ে চলে যায়।ওর মায়ের পরিবারেরে কেউ ওদের আশ্রয় দিতে রাজি হয় না তখন। সমাজের খাতিরে মিতুর বড় মামা শর্ত সাপেক্ষে ওর মাকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়। সেখানেই ওর জন্ম হয়।
ওর জন্মের বছর দুয়েক পর ওর মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায় সেই থেকে ও মামার আশ্রয়ে থাকে।
স্কুলের সময় বাদে দিনের বাকিটা সময় ওকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। মিতুর মামার হোটেল ব্যবসা সেখানে তাকে নির্দিষ্ট সময় কাজ করতে হয় তার বিনিময়ে ওর জন্য সামান্য খাবার বরাদ্দ হতো।বেশির ভাগ দিন সেই খাবারগুলো বাসি পঁচা থাকতো।
চলছিল এমনই।অত কিছু না বুঝলেও এটুকুই বুঝি সমাজে আমাদের সবার অবস্থান এক রকম নয়।কিছুই করার নেই। এটাই কঠিন বাস্তবতা।মিতুর মানা স্বত্তেও আমি ওকে সাহায্য করতে চেষ্টা করতাম।শেষের দিকে ও পড়াশোনায় বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। কিন্তু অসুস্থতার জন্য কাঙ্ক্ষিত ফল লাভ করতে পারতো না।কি অসুখ তা অবশ্য আমি জানতাম না ও এড়িয়ে যেতো।
এর কিছু মাস পরে একদিন দুদিন তিনদিন
হঠাৎ করে মিতু প্রায় স্কুল কামাই করা শুরু করলো।ওকে জিজ্ঞেস করলে ও ঠিক কারণ বলে না। শুধু বলে ওর আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে না।কিছু ভালো লাগে না ও ঠিক মরে যাবে।একদিন ওর মাকে দেখলাম ওর বেতন দিতে এসেছিলেন ভদ্র মহিলা। মিতুকে তুচ্ছ কারণে বকাবকি করছেন। বলছেন তোর পিছনে আমি আর টাকা ঢালতে পারবো না। তোর জন্য আমার সংসারে অশান্তি হয়।তুই কেন অন্য কোথাও চলে যাস না।ইত্যাদি।
এদিকে বার্ষিক পরীক্ষা চলে এলো।মিতুর অনুপস্থিতির কারণে তার সাথে দেখাও হয় না আর।কিসের একটা বন্ধ ছিল সেদিন। সকাল সকাল জামিল এসে হাজির আমার বাসায়। আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম।
- কিরে তুই কি মনে করে?
- তোকে খুঁজতে খুঁজতে আমার ঘাম ছুটে গেছে।
- এত কি দরকার?
সে আমাকে পাত্তা না দিয়ে বলল
- মিতু তোকে একটা চিঠি দিয়েছে।
এমন সময় আমার মা কোথেকে যেন ছুটে এসে জানতে চাইলো
-কে চিঠি দিয়েছে?
জামিল বেশ ঘাবড়ে গিয়ে বলল
- মিতু।
- মিতুটা কে?
- আমাদের সাথে -
আম্মু জামিলের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল
- পড়ে তাইতো?
জামিল মাথা নাড়ে। সে কেন জানি ভীষণ ঘাবড়ে গেছে।
- এই বয়সেই এই সব চলছে। স্কুলে তোমরা এই সব করে বেড়াও বুঝি?ছি ছি ছি! কই দেখি কিসের চিঠি! দেখি..
জামিল ভয়ে ভয়ে চিঠি আর একটা ছবি এগিয়ে দেয়। তারপর এক ছুটে পালিয়ে যায় সেখান থেকে।
আমিও মায়ের সামনে থেকে দৌড়ে পালাই।কি একটা অবস্থা। কিসের চিঠি কে জানে। আর ছবিটাও বা কিসের। মিতুর উপর ভীষণ রাগ হলো।
মা কেন রেগে গেল হঠাৎ বুঝতে পারলাম না । রেগে গেলে মা খুব গম্ভীর হয়ে যায়। আমি তখন মাকে এড়িয়ে চলি।
সারাদিন মায়ের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিলো না।আমি কোন অপরাধ না করেও দোষীর মত মুখ করে বেড়াতে লাগলাম।
সন্ধ্যায় বাবা বাড়ি ফিরলে বাবার সাথে মায়ের কি নিয়ে যেন কথা কাটাকাটি চলল বন্ধ ঘরের মধ্যে। তারপর সেই রাতে আমাকে নিয়ে কমলগঞ্জে আমার নানা বাড়িতে এসে উঠলো মা- মণি। সমস্ত ব্যাপারটা কি হলো আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। মা কেন আমাকে কিছু বলল না? কেন মা বাবার সাথে ঝগড়া করলো?।আর কেনইবা হঠাৎ নানার বাড়িতে এসে উঠলো।
তবে আব্বার সংসারে আমাদের আর ফেরা হয় নি। আব্বা অনেকবার এসেছে আমাদের ফিরিয়ে নিতে কিন্তুু আমার মা তার সাথে যেতে রাজি হয় নি। কেন কি হয়েছে কিছু না বুঝে মায়ের সাথে থাকতে লাগলাম।বাবার কথা বললে মা রেগে যেতো।পরের দিকে আমি আর বাবার কথা তুলতাম না।আমার খুব কষ্ট হতো বাবার জন্য।
এরপর অনেক অনেক দিন কেটে গেল আমি তখন অনার্স শেষ করেছি। যে কোন একটা চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছি। এদিকে বাবার সাথেও লুকিয়ে দেখা করি মাঝে মাঝে মায়ের অগোচরে।
এর মধ্যে একদিন রাতে মা আমার ঘরে এলো। আমরা তখন নানার সম্পত্তিতে দুকামরার ঘর তুলেছি নানার সহযোগিতায়। বেশ ভালোই আছি মা ছেলে মিলে । মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে খুব আদর করলো খানিক তারপর বলল
- তোর সাথে আমি অন্যায় করেছি খোকা। তুই কিছু মনে করিস না বাবা । আমি চাইনি এসবের মধ্যে তুই ঢোক। তোর মন খারাপ হোক। কিন্তু
- কি অন্যায় মা? এমন করে বলছো কেন?আমি কি কিছু বলেছি তোমাকে?
- এ ছাড়া আমার উপায় ছিল না খোকা। আসল সত্যটা জানলে তোর ছোট্ট বুকটা ভেঙে যেতো। মানুষের উপর বিশ্বাস হারিয়ে যেতো। তাই...
- মা কি হয়েছে। তুমি এমন করছো কেন?
মা তখন আমার হাতে একটা চিঠি গুঁজে দিলো।
চিঠিটা সেই চিঠি যেটা মিতু আমাকে দিয়েছিল।
রাজন,
আশা করি ভালো আছিস। আমি ভালো নেই সত্যি ভালো নেই ।আমার শরীরে মরণ ব্যাধি বাসা বেঁধেছে।আমি জানি আর খুব বেশি দিন বাঁচবো না।ব্যাথাটা আমার দুচোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।খুব কষ্ট হয়।তোকে আগেই সবটা বলতাম।চিন্তা করবি বলে আর বলি হয়নি।তুই মন খারাপ করিস না প্লিজ ।মানুষের জীবনটা এমনই। সবার সব কিছু পাওয়া হয় না।তবুও আমার এ জীবন নিয়ে আমি সুখী।এছাড়া আর উপায় কি আর বল? যাহোক চিঠির সাথে একটা ছবিও দিলাম। তুই একটা কাজ করবি এই ছবির লোকটি আমার বাবা। তুই ইনাকে খুঁজে বের করবি।যে করে হোক খুঁজে বের করবি। তাকে জানাবি "আমি তাকে সত্যি খুব ভালোবাসি"। যেমন তুই তোর বাবাকে ভালোবাসিস ঠিক তেমনই।
বলবি,উনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেও উনার উপর আমার কোন রাগ নেই। আমার ছোট্ট ভালোবাসা টুকু ওনার কাছে পৌঁছে দিবি।এটুকু করিস ভাই প্লিজ।
ইতি তোর বন্ধু
মিতু
চিঠি পড়া শেষে মা সেই ছবিটা আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো যেটা কেড়ে নিয়েছিল জামিলের কাছ থেকে । আমি আমার ছোট্ট জীবনে এতটা চমকায়নি কখনও।একজন অচেনা মহিলার সাথে আমার বাবা।তাহলে কি নিতুর ছেড়ে যাওয়া পাষন্ড পিতাই আমার বাবা! কি করে সম্ভব।
মা যা বলল তাতে আমি এটুকু বুঝলাম।আমার বাবার দুটো সংসার ছিল এবং এটা সে চতুরতার সাথে গোপন রেখেছিল মায়ের কাছ থেকে।
মা চোখের পানি মুছতে মুছতে অনেক আগে ঘুমাতে চলে গেছে। বুকের মধ্যে কেমন যেন হাহাকার মিশ্রিত শূন্যতা বিরাজ করছে। নিতু আমার বন্ধু ছিল তারচেয়ে বড় সত্য হলো সে আমার বোন ছিল। হোক সৎ বোন তবুও বোন। আহা বেচারা।
কখন খুব বৃষ্টি হলে মিতুকে আমার মনে পড়ে।মনে হয় এই বুঝি দরজায় এসে দাড়ালো মিতু।চোখ মুখ শুকনো ভয়ার্ত দৃষ্টি । আমি জানি এমনটা কখনো সম্ভব নয়। মিতু কোনদিনই ফিরবে না আর। মিতুরা এভাবে হারিয়ে যায়।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩০
ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভকামনা।
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: অন্যরকম এক জীবনঘেঁষা গল্প! দুর্দান্ত লিখেছেন ভ্রাতা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৩
ইসিয়াক বলেছেন: সত্যি বলতে কি প্রিয় ব্লগার। সময় বাঁচিয়ে যেটুকু লিখি শুধুমাত্র আপনাদের জন্য।এছাড়া অন্য কোন চাওয়া পাওয়া নেই । আপনাদের ভালো লাগাটুকুই আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি।
আপনাদের উৎসাহ আমার পরবর্তী লেখার প্রেরণা।
শুভকামনা সতত।
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার লেখা
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৪
ইসিয়াক বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার,
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকুন সব সময়।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৮
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সুন্দর গল্পের সুন্দর নাম।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৫
ইসিয়াক বলেছেন:
ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর হয়েছে গল্পটা।
শুভ কামনা।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬
ইসিয়াক বলেছেন:
অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটা । কষ্টও লাগলো
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্যে অনুপ্রেরণা পেলাম।
ভালো থাকুক সব সময়।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: বেশ ভালো হইসে গল্পটা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ইসিয়াক বলেছেন:
আপনার ভালো লাগাটাই আমার কাছে বিশেষ স্বীকৃতি।
অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো প্রিয় ব্লগার।
শুভ সন্ধ্যা।
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
নীল আকাশ বলেছেন: ১) এই গল্পের তিনটা সময়কাল আছে। এইগুলোকে তিনটা ভাগে বিভক্ত করে এক, দুই, তিন ভাগে প্যারায় আলাদা ভাবে দিলে ভালো হতো। শুরু / মিতু আসা, মিতুর অসুস্থতা এবং পরিনতি /শেষ অংশ। এভাবে দিলে পাঠকরা লেখার ক্রম সহজেই বুঝতে পারবে। একটানা লিখলে পড়ার সময় অমনোযোগী পাঠকরা বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
২) মূল চরিত্র ছাড়া অন্যকোনো চরিত্র আনার আগে প্রথমেই সেটা পাঠকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হয়। বাবা ও জামিল নিয়ে কয়েক লাইন আগে লিখে দিলে আরও ভালো হতো। যেহেতু এদের পরে আবার ডেকে এনেছেন।
৩) কথোপকথন দেয়ার আগে ঃ না : দেবেন। এটা অনেকেই জানে না। ঃ একক ভাবে বসে। যুক্ত হয়ে না।
৪) কথোপকথন লেখার দুইটা পদ্ধতি। " " মাঝে যা দেবেন তা সরাসরি বা ডাইরেক্ট হবে কিন্তু অন্যগুলো ইনডাইরেক্ট হবে, যেমন কেউ অন্যের কিছু বলছে বা কপি করছে।
৫) ফিনিস সব সময় হার্ট টাচিং লাইনগুলো দিয়ে শেষ করবেন যেন পড়ার পরেও সেটা পাঠকের মনে কিছুটা রেশ রেখে যায়। মিতুর শেষ অবস্থা কী হয়েছিল একলাইনে লিখে দিলে দারুণ হতো।
৬) বাহুল্য মেদ ঝেড়ে ফেলে দেবেন। ডুপ্লিকেট ভাব, বর্ননা কিংবা পরিস্থিতি এভয়েড করবেন।
৭) নায়কের নিজের বাবার প্রতি মানবীয় অনুভূতিগুলো (ঘৃণা বিদ্বেষ...) সংক্ষেপে শেষে দিলে কেমন হতো
ইচ্ছা করেই সবার শেষে মন্তব্য করলাম। কেন করেছি নিশ্চয় বুঝেছেন।
শুভ কামনা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৩
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
প্রথমে আমার শুভেচ্ছা নিন।
আপনার প্রতিটা পয়েন্ট যথাযথ।সামনে কোন এক সময় বই হিসাবে যখন গল্প বাছাই করবো তখন এই গল্পটা রাখবো বলে ভেবেছি।আর তখন রি- রাইট করবো এবং অতি অবশ্যই আপনার দিক নির্দেশনা মেনে চলবো।
কৃতজ্ঞতা রইলো।
ভালো থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার!