নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যা মানবতা বিরোধী তাই পরিত্যাজ্য মানবের সাধনা হোক মনুষ্যত্ব লাভ।
পরিস্থিতি ক্রমশ বদল হচ্ছে
খারাপ ভালো সে তর্কে না যাই
তবে এটুকু বলাই যায়
আশরাফুল মাখলুকাতের মুখের নির্মল হাসিটুকু
হারিয়ে গেছে অনেক আগেই।
এখন
কেউ আর গলা ছেড়ে গায় না গান
কেউ আর মন খুলে হাসে না
কেউ আর স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত বোধ করে না
কারণ স্বপ্ন পূরণের সুযোগ ক্রমশ সীমিত হয়ে গেছে
অদৃশ্য নাগ পাশে জড়িয়ে যাচ্ছে সবাই
ক্রমশ...
আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরা মানুষ
এখন একে অন্যের সাথে
স্বাভাবিক কুশল বিনিময় করবার স্বাভাবিক আচরণ
ভুলতে বসেছে
প্রতিটা মানুষ নিজেকে নিয়ে দুঃশ্চিতার ঘেরাটোপে আবদ্ধ
আগামীতে কি হবে সেই ভাবনায় অস্থির
কদাচিৎ
যদিও বা কিছুটা উচ্ছলতা ফিরে পায় কখনও
তাতে কেন জানি প্রাণ থাকে না আর।
এখন
শত অনিয়ম আর যন্ত্রণায় কেউ প্রতিবাদ করে না।
শক্তি সামর্থের তর্কে না যাই
এটুকু বলাই যায়
বোবা হয়ে গেছে সবাই
বোবা!
এক্ষেত্রে
যারা উচ্চ আসনে সমাসীন তাদের আলাপ বাদ
তারা সুবিধাভোগী
তারা সুযোগ সন্ধানী
তারা মধুলোভী
তারা বিশেষ আর্শীবাদ পুষ্ট
ওদের জীবন এখনও দারুণ ছন্দময়
ওদের ব্যক্তিগত বা সোস্যালমিডিয়া জুড়ে
কেবলই আনন্দের বন্যা।
এদিকে
আপামর জনতা সকল
এক হিসাবে গণনার বাইরে যারা
সেই তথাকথিত নাগরিকেরা কাটাচ্ছে পশুর মত জীবন
দুমুঠো ভাতের চিন্তায়
দিকবিদিকশুন্য ছুটছে উদয় অস্ত।
ক্রমশ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্ব গতি
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি
তাদের কোনঠাসা করতে করতে
আজ খাদের কিনারে নিয়ে এসেছে, এরপর?
জীবন্মৃত জীবনের
অসহায় চক্ষুগুলো আজ
বেদনার ভারে সিক্ত।
উদরে ক্ষুধার জ্বালা
মৌলিক অধিকার আজ
ছাপার অক্ষরের শোভিত মাত্র।
এত এত অনাচার
কে করবে প্রতিকার?
দেখবার আছে কি কেউ?
আজ মানবতা তীব্রভাবে লঙ্ঘিত
শাসন আর শোষণের জাতাঁকলে পদদলিত ন্যায় বিচার।
আমজনতা রিসেশন বোঝে না
বোঝে না জটিল অর্থনীতি
সমাজনীতি
রাজনীতি।
তারা মধ্যবিত্ত ছিল একদা
তারপর নিম্ন মধ্যবিত্ত হলো
এখন তারা দরিদ্র সীমার নীচে
আর তাদের কাঁধে ভর দিয়ে দেশ এগিয়ে চলছে
উন্নয়নের মহাসড়কে!
এর চেয়ে বড় কৌতুক আর কি হতে পারে?
আর কত
আর কত কষ্ট করবে মানুষ,
হে দন্ডমুন্ডের কর্তা?
একটু সদয় দৃষ্টি চাইছি আপনার।
অবশ্য আপনারা এসব মানতে চান না
হে মহামান্য
আপনাদের ভাবনায় আমজনতার স্থান কোথায়
একটু বলবেন কি?
তারা পদ্মা সেতু দেখে
তারা মেট্রোরেল দেখে....
মেট্রোরেল পদ্মা সেতু ও অন্যান্য কি
আদৌ তেমন কোন বৃহত্তর কাজে আসছে
যেখান দিনে দিনে মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্র হচ্ছে।
বেগমপাড়ার খবর কি আপনার
কর্ণকুহরে পৌঁছে না,
হে মাননীয়?
হে মহান অধিপতি --
আপনি দয়া করে
নিশ্চুপ থাকবেন না।
দয়া করে কিছু একটা করুন
আমরা
সত্যি আর পারছি না।
আপনি কি জানেন
হে মাননীয়?
অশিক্ষা দূর্নীতি অনিয়ম অব্যবস্থাপনার
সুযোগে ধেয়ে আসছে
ধর্মীয় কূপমন্ডুকতা, ভন্ডামী
আর কল্পিত ইশ্বর ভক্তিতে
কেউ কেউ
আশ্রয় খুঁজছে তথাকথিত ইশ্বরে।
ভাবনা
এবার নিশ্চয় ইশ্বর কিছু করবে!
তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীরা
আইয়ামে জাহেলিয়া যুগের মত দারুণ ফর্মে আছে
তাদের ব্যবসা রমরমা।
আপনি কি জানেন?
জানেন কি ওই ইশ্বর?
জানি আমরা জানি
ইশ্বর থাকেন ওই ভদ্র পল্লীতে
দুঃখী দরিদ্র মানুষের দিকে ফিরে তাকাবার সময় কোথায় তার?
যেমন আপনার বা আপনাদের সময় নাই
টাকার এপিঠ ওপিঠ আপনারা।
আপনাদের দরকার শুধু আরাধনা পুজা প্রার্থনা
আর নগ্ন তেলবাজি।
বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি হে মাননীয়
কারণ আমরা নিরুপায়
বেঁচে তো থাকতে হবে!
যেখানে বেঁচে থাকাটা এখন চরম বিষ্ময়কর।
বিশ্বাস করুন আর পারছি না
আর পারছি না আমরা,
আমরা আজ দিশেহারা
যেখানে যা পাচ্ছি খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরতে চাইছি
টিকে থাকার ইঁদুর দৌড়ে।
নীতি নৈতিকতা আজ অসহায়
জীবন জীবিকার ফাঁদে।
হে মাননীয়,
আপনার কঠোর আইনের ভয়ে
আজ মুখ খুলবার সাহস নেই আমাদের।
নেই কোথাও প্রতিবাদ মিছিল
নেই জালাও পোড়াও আন্দোলন।
সব স্তিমিত।
অদ্ভুত নীরবতায় ছেয়ে গেছে চারপাশ।
শ্মশানের নীরবতা ধেয়ে আসছে ক্রমশ
অদ্ভুত এক শুন্যতা গ্রাস করছে আমাদের।
প্রেমিকার প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে যাচ্ছে
সন্তানের প্রতি স্নেহ হারাচ্ছে
অসহায়ের প্রতি মায়া নেই বিন্দুমাত্র
মানবতা ভূলুণ্ঠিত
জীবন আজ জড় প্রায়!
নীতি নৈতিকতা এখন
শিকড় উবড়ে পড়া মুখ থুবড়ে গাছের মত পড়ে আছে।
পাথর সময় বুঝি একেই বলে!
আমরা হয়ে উঠছি ক্রমশ পাথর
কিন্তু না
আমরা এই দম বন্ধ করা রুদ্ধ
সময়ের নাগপাশ ছিড়তে চাই
আবদ্ধ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ চাই।
অরুণ আলোর আলোক স্পর্শ পেতে চাই।
কোন কৌশলে সমবেত জনতাকে কেউ আটকাতে পারে নি কখনও
পারবেও না,
অন্তত ইতিহাস তো তাই বলে
রয়েছি সেই সময়ের ই অপেক্ষায়।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
ইসিয়াক বলেছেন:
কখনও গুণে দেখিনি আপু। তবে এই কবিতার থেকে বড় কবিতা লিখেছি।
শুভেচ্ছা রইলো।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ আবেগময় বড় হয়েগেছে কবি দা
ভাল থাকবেন
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৭
ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই।
শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বিশাল এক কবিতা , সাথে সুবিশাল আর্জি !!
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
ইসিয়াক বলেছেন:
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: দেশির কবিতা পড়লাম অনেক দিন পর।ভালো লাগলো কবিতা।দেশি গল্প কবিতা বেশি লেখেন আর আমার এই দুটিতে আমার আগ্রহ কম।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৮
ইসিয়াক বলেছেন:
হাহাহা.... কেমন আছেন? নিশ্চয়ই ভালো।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: "আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু,হায়,
তাই ভাবী মনে?
জীবন-প্রবাহ বহি কাল-সিন্ধু পানে যায়,
ফিরাব কেমনে?"-
কেন জানি আপনার কবিতাটি পড়ে মাইকেলের আত্মবিলাপ কবিতাটি মনে পড়লো।
সুন্দর কবিতা। আগেও বলেছি++
শুভেচ্ছা প্রিয় ইসিয়াক ভাইকে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৯
ইসিয়াক বলেছেন:
অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রিয় দাদা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এ - তো - ব - ড় কবিতা!
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬
ইসিয়াক বলেছেন:
হা হা হা.... কেমন আছেন প্রিয় ব্লগার?
নববর্ষের বিলম্বিত শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকুন সবসময়।
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার প্রার্থনা মঞ্জুর হোক ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
ইসিয়াক বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
শুভেচ্ছা সতত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সময়সাময়িক কথা মালা। জীবন চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
আমি তো একশত দুই লাইন লিখছিলাম
আপনি কই লাইন লিখছেন ভাইজান