নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একদা এসেছিলাম তোমাদের সান্নিধ্যে। ভালো মন্দ মিশিয়ে কেটেছে বেলা। বিদায় বেলায় শুধু এটাই জানিয়ে যাওয়া বড় ব্যথা জাগে মনে পেলে অবহেলা।

ইসিয়াক

আমার লেখা কবিতা আপনার পছন্দ হলে হোয়াটসঅ্যাপ এই চ্যানেলটি ফলো করুন প্লিজ Follow the রফিকুল ইসলাম এর কবিতা সমগ্র। channel on WhatsApp: https://whatsapp.com/channel/0029VbBPuTzBA1epLIRBZX1x

ইসিয়াক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ জানতে চাই

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:৫৯


সম্মানিত সুধী,
আমার কিছু প্রশ্ন ছিল।
অনেক দিনের জমানো ব্যথা, ক্ষোভ থেকে
আমার মনে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন জমেছে।
আজ আমি তার উত্তর জানতে চাই।
জানি কেউ হয়তো দিবে না সেসব প্রশ্নের উত্তর।
তবু আমি আমার আর্জিগুলো পেশ করছি।
বাংলাদেশ একটি রাষ্ট্র
স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
সেই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসাবে
আমার নাগরিক অধিকার থেকে আমার প্রশ্নের উত্তরগুলো জানা জরুরী।
অসহনীয় এই পরিস্থিতিতে উত্তরগুলো জানা আমার জন্য অতীব জরুরী।
আসলেই এভাবে চলতে পারে না
চলতে দেওয়া যায় না।
আচ্ছা
আর কতদিন এভাবে ফাঁকা বুলি আওড়ানো চলবে?
আর কত মোমবাতি পোড়ানো হবে প্রতিবাদের নামে?
আর কত মশাল মিছিল হবে?
গগনবিদারী আওয়াজে আকাশ বাতাাস প্রকম্পিত হবে স্লোগানে স্লোগানে ?
কিন্তু সমস্যার ছিটেফোঁটা সমাধান হবে না।
এ যেন ভবিতব্য!
চলতেই থাকবে শোকসভা অথবা কর্মী সমাবেশে বিরিয়ানি ভোজ।
আর কতদিন প্রত্যেকটি ধর্ষিতার লাশ নিয়ে চলবে মিডিয়ার ব্যবসা ?
ভিউ বানিজ্য!
নোংরা প্রশ্ন উত্তরপর্ব?

একজন ধর্ষিতা তো শতবার হাজারবার ধর্ষণের শিকার হয় তাকে নিয়ে চর্চার মাধ্যমে।
বলুন তো
আর কত বিকৃত রাজনীতির শিকার হবে নারী?
আর কত রক্ত গঙ্গা বইবে?
আর কত নির্যাতিতা পাথরের মূর্তির মত স্থবির হবে?
অতলে তলাবে
অন্ধকারে হারাবে একটু একটু করে ?
অন্তরের অন্তক্ষরণে নিরবে নিভৃতে একাকী কাঁদবে রাত গভীরে।

অথবা
লজ্জা অবনত হয়ে মাটিতে বিলীন হতে চাইবে?
দুমড়ে মুচড়ে কুকড়ে যাবে লজ্জায়
অথবা
ধর্ষকের সাথেই ঘরসংসার করবে, সুখে থাকার অভিনয় করবে সামাজিক চাপে।
তারপর
প্রতিদিন একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে।
হ্যাঁ এটাই হচ্ছে।
এটাই বাস্তব চিত্র।

আর যাই হোক
লিখিত অথবা মৌখিকভাবে
এ সমাজে ধর্ষিতার কোন ঠাঁই নাই।
এ ব্যপারে যেন এককাট্টা সবাই।
ধর্ষিতার মৃত্যু, বেঁচে থেকেও তিলে তিলে যন্ত্রণাময় মৃত্যু।

কি বেদনা, কতখানি রক্তক্ষরণ একজন ধর্ষিতার বুকে -
কে রাখে খবর!
অতপর..
অতপরও কি মেলে আছিয়াদের মুক্তি?
মিলেছে কখনও?
মানুষ হিসাবে মুক্তি
হ্যাঁ শুধু মানুষ, মেয়ে মানুষ হিসাবে নয়!
মানুষ হিসাবে মুক্তি মিলবে আছিয়াদের?
কত নামেই তো স্বাধীনতা আসে
শুনি গালভরা বুলি আওড়ানো হয়
এই করা হবে ওই করা হবে-হাজারটা প্রতিশ্রুতি।
কদিন বাদে তৈরি হয় তথাকথিত নতুন সম্ভাবনা
নতুন টকশোবাজ
নতুন নতুন মাস্তান গুন্ডা অসৎ রাজনীতিবিদ
সংবাদ বিশ্লেষণ লুটেরা হায়েনা
আসলে চিরকালই মাৎসন্যায় চলছে তো চলছেই।
চমৎকার সব কথা আর আশ্বাসের আড়ালে
দখলবাজদের আইওয়াশে
আছিয়ারা হারিয়ে যায় অন্য খবরের ভিড়ে
আবারও আছিয়া জন্ম হয়
লালসার বস্তুতে পরিণত হয়।
আসলে মৃত আছিয়াদের মৃত্যু নেই।
দোষী সাব্যস্ত হয় তারা বারবার ধর্মীয় কাঠগড়ায়
হিজাব বোরখা.. চলে চর্চার পর চর্চা।
সমস্যাটা যে ধর্ষকের বিকৃত মন মানসিকতার
রুচিবোধের
একথা কেউ বলে না।
হয়তো প্রত্যেক পুরুষের মধ্যে সুপ্তভাবে লুকিয়ে আছে এক একটি ধর্ষক মন
সুযোগের অভাবে সকলেই সৎ!
মন মানসিকতা না বদলালে আছিয়ারা যে কোন বয়সে
যে কোন স্থানে
ধর্ষিতা হবে বারবার বারবার
আর
মানুষ ব্যস্ত হবে
এখানে ওখানে চায়ের দোকানে
নতুন নতুন টপিকের আলোচনায়
সমালোচনায়।

তারপরও
সম্প্রতি নতুন কোন ধর্ষণের ভাইরাল খবরে
ধর্ষিতরা বারবার অপমানিত হবে
মারা যাবে বারংবার।
থোড় বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোড়
চলছেই চলবেই..
অথচ ধর্ষকেরা বেঁচেই থাকে
খায় ঘুমায় হাসে আনন্দ করে
সমস্তরকম জৈবিক চাহিদা মেটায় দেদারসে।
দিব্যি ভালো থাকে।
এই তো সব!
আমরা যুগ যুগ ধরে একের পর এক নাটক দেখছি
একই নাটক
একই নাটক
একই বাটক!!!
কিন্তু সমাধান নেই কোন
এ যেন নিয়তি!
ধিক!
নির্লজ্জ সরকার!!
দূর্নীতিবাজ প্রশাসন!!
মিথ্যার বেসাতি গণতন্ত্র!!
ভূয়া স্বাধীনতা!!
কী নির্মম! কী নিষ্ঠুর এ সমাজব্যবস্থা।
কে হবে সাহারা?
জানতে চাই
আমি জানতে
কেন বিপন্ন আজ মানবতা
কোথায় মানবিকতা
এত বিকৃতি কেথেকে আসে
কেন বারবার কলঙ্কিত হয় বাংলা ?
আর কত
আর কত আছিয়ারা ধর্ষিতা হলে মেয়েরা মানুষ হিসাবে স্বীকৃতি পাবে?
স্বাধীন হবে?
জানতে চাই।

© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
রচনাকালঃ ২০ মার্চ ২০২৫

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৬

ইসিয়াক বলেছেন: ওকে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.