![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
,,,,,,নীলুফার,,,,,
------আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
নীলুফার-
আমার কাছে তুমি পুর্ব পরিচিতা এক নারী
তোমার অথবা আমার গায়ে যে কাঁদা মাঁটি আছে-
সে কাঁদা মাঁটি আমাদের একই মায়ের।
আমাদের জন্ম এবং পরিচয় আমারা বাঙালী।
আমরা আমাদের মায়ের জন্মের ইতিহাস জানি!
নীলুফার-
তুমি মায়াবী চোঁখ দু'টো বন্ধ কর-
কল্পনায় গন্ধ শুঁকে দেখ!
দেখবে সেখানেও আমাদের অনুভব করবে।
লালনের একতার হাতে লালনগীতি,
রবিঠাকুর এর (আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি)।
বিদ্রোহী কবির-(বল বীর
চির উন্নত মম শির)।
প্রতিটি পঙক্তি তোমার হৃদয়ে বেজে উঠবে।
অথবা দ্বীজেন্দ্রোলাল রায়ের দেশাত্মবোধক গান-
(এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি) ।
প্রতিটি গানের মাঝে একটি বাংলাদেশ!
আমাদের পরিচয় এর চেয়ে বড় কিছুই নেই!
আমরা বাঙালী
নীলুফার-
হয়তো তোমার তীব্র ইচ্ছে করছে একবারে জন্য হলেও-
মায়ের আঁচলে মাথাগুঁজি।
অথবা মুক্তাকাশে উড়ে বেড়ানো পাখির মত-
সারাদিন মুক্তবাতাস,সবুজ অরণ্য আর ফুল পাখিদের সাথে কথা বলি।
রাখালীয়ার বাশুরীর সুর,
মাঝির ভাটীয়ালি গান,
অথবা গ্রাম্য কনো বয়াতির-বয়াতি গানে হারিয়ে যাওয়া।
ডানা মেলে উড়তে ইচ্ছে করে স্বপ্নিল জগত্র।
নীলুফার-
আমি জানি যে মেয়েটা রোজ রাতে চাঁদ,তারাদের -
সাথে কথা বলে,
সে শিকল পরে চৌদ্দ শিকের ন্যায় বদ্ধ ঘরে-
বন্দি হতে চায় না।
যে মেয়েটা গদ্যের নিয়মে পথ চলতে অভ্যস্ত -
সে কি করে পদ্যের সৃংখলায় আবদ্য হয়!
হয়তো মাঝেমাঝে তোমার বুক ব্যাথায় ভারী হয়ে উঠে!
বুঁকের ব্যাথায় ঝাপসা হয়ে যায় চোঁখ দু'টো!
হয়তো প্রবাসী বাতাসও কেঁদে কেঁদে উঠে তোমার সাথে!
ব্যাখ্যা!
রাইসা হাসনাত নীল।
নীলুফার '
আমি তোমার কাছে আমি অনেক আগে থেকেই পরিচিত। তুমি নারী!
তোমাকে আমাকে যেই মাটি দিয়ে তৈরিকরণ করা হয়েছিল সেই মাটি আমাদের দেশের!
আমরা জন্মেছি বাংলাদেশে বাঙালি হয়ে!
আমাদের দেশ কিভাবে জন্ম নিয়েছে কেমন করে স্বাধীন হয়েছে আমরা তা জানি!
নীলুফার -
তোমাকে সৃষ্টিকর্তা যে দু'টি চোখ দিয়েছে মায়াবী সেই চোখ দুটি বন্ধ করো কল্পনায় আমাদের দেশ দেখবে!
সেখানে আমাদের দেখবে আমরা বাঙালি তূমি সেখানেও আমাদের দেখবে!
লালন গাইছে তার হাতে একতারা নিয়ে তার নিজের সুরে নিজের গিতে লালনগীতি।
রবিঠাকুর এর লেখা সেই কথা সেই ভাবনা যাতে লিখা ছিল আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি।
বিদ্রোহী কবি নজরুল লিখেছিল -
বল বীর
চির উন্নত মম শির।
প্রতিটি কথাই প্রতিটি পঙক্তি তোমার মনে এসে যাবে বেজে উঠবে তোমার হৃদয় অাত্মায়।
আথবা দ্বীজেন্দ্রলালরায়ের দেশাত্মবোধক সেই গান " এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি"
প্রতিটি গানের মাঝথেকে যেন লুকায়িত থেকে প্রকাশ পাচ্ছে একটি বাংলাদেশ।
আমাদের পরিচয় এর ছেয়ে আর বড় কি হতে পারে?
আমরা বাঙালি।
নীলুফার -
হয়তো তোমার তীব্র ইচ্ছে করে একবারের জন্য হলেও তোমার দেশের মাটির মায়ের আঁচলে মাথাগুজার।
অথবা মুক্তোকাশে পাখিরা যেমন উড়ে তেমনি তুমি তোমার দেশে এসে পাখিদের মতো ঘুরে বেড়াতে!
সারাদিন মুক্তোবাতাস গায়ে লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে, সবুজ শ্যামল এই দেশের সুন্দরগঞ্জ মধুময়তা দেখতে এবং সবুজ শ্যামল গাছে গাছে ঘুরে ভেড়ানো পাখিদের সাথে কথা বলতে কুকিলের সুরে কুহুধ্বনি করতে।
রাখাল দের বাশুরির সুর শুনে মুগ্ধ হতে তাদের প্রেমে পড়তে।
মাঝিমাল্লার নিজ শুরের গান শুনতে "ওরে নীল দরিয়ে আমায় দেরে দে ছাড়িয়া"।
অথবা গ্রামেগঞ্জে বায়াতিদের বায়াতি গানে নিজেকে হারিয়ে পেলতে।
ডানা মেলে উড়তে ইচ্ছে করে স্বপ্নিল এই বিশাল জগতে।
নীলুফার-
আমি জানি যে মেয়েটা রোজ রাতে তার ইচ্ছেমতো রাতের তারাদের সাথে কথা বলতো
সে আজ শিকল পড়ে বন্ধি আছে হাজত বাসের মতো একটা জেলখানাতে। সেতো বন্ধি থাকতে চায়না। তার ইচ্ছে করে হারিয়ে যেতে অচিনপুরে!
যে মেয়েটা নিজের জীবন নিজের ইচ্ছেতেই চালাতো সে কি করে অন্যের অল্প সময়ের সিমানায় থাকবে।
হয়তো মাঝে মাঝে তোমার ইচ্ছে করে খুব ইচ্ছে করে তাও পারোনা। তোমার বুক ব্যাথায় ভারী হয়ে যায় না পারাতে। বুকের চিন চিন ব্যাথাটা চোখ দু'টু অন্ধকারময় করে তোলে পানি যেন সাগর থেকে এসে যায়!
হয়তো সেই বিলাতি বাতাসও তোমার সাথে কেঁদে কেঁদে তার মন হাল্কা করে নেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ভাল হয়েছে।