নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি তেমন কেউ নই আমার পরিচয় দেওয়ার মতো কিছু নেই।

রাইসা হাছনাত নীলুফার

আমি লেখালেখি ভালোবাসি।

রাইসা হাছনাত নীলুফার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মামার বাড়ির গল্প।(১ম পর্ব)

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

ভাবছে বসে বসে নীলুফার কোথাও ঘুরতে যাবে। যাবে কোথায় তা এখনো ঠিক করতে পারেনি! বাবা মা তার সাথে যাবে কিন্তু তারাও বলে দিয়েছে নীলুফার যেখানে যাবে তারাও সেখানে যাবে।নীলুফার কোথায় যাবে সেই চিন্তা নিয়েই আছে এখন,হঠাৎ মাথায় এলো তার মামাতো ভাইয়ের কথা।তার কাছে জানা যাবে বাংলাদেশে কোথায় ভালো জায়গা আছে ঘুরে দেখার মতো! যেমন ভাবনা তেমন কাজ কাজ সাথে সাথেই তাকে কল করা।
নীলুফার:হ্যালো।
মামাতো ভাই:হ্যা বল?
নীলুফার: কেমন আছেন ভাইয়া সাহেব?
মামাতো ভাই:হ্যা ভালো আছি।তুই কেমন আছিস দাদি?
নীলুফার:ওই আপনাকে না বলছি অযথা আমাকে না রাগাতে?
মামাতো ভাই:আমি তোকে আবার কই রাগালাম দাদি?
নীলুফার: আচ্ছা আমি আজ ইচ্ছে করেই রাগান্বিত হবোনা।
মামাতো ভাই:সূর্য কি আজ আকাশে পশ্চিম থেকে উঠেছে নাকি?
নীলুফার:হ্যা আপনি দেখেননি?
মামাতো ভাই:হ্যা দেখছিলাম কিন্তু মনে নেই।তা কেন আজ আমার দাদি আমার সাথে ইচ্ছে করে রাগ দেখাবেনা জানতে পারি?
নীলুফার: তা তেমন কিছুনা।
মামাতো ভাই:বল শুনি?
নীলুফার: আব্বু আম্মুকে বললাম ঘুরতে বের হবো। তারা কোথায় যাবে কিছু বলছেনা আমিও আবার বন্ধী খাঁচার মানুষ! কিছুই তো জানা নেই ছিনি নেই।কি করবো কোথায় যাওয়া যায় ভাবছি বসে বসে তার মাঝে আপনার কথা মনে পড়লো সাথে সাথেই আপনাকে তলব করলাম।
মামাতো ভাই:ও তাই বুঝি আমার আরবি দাদি?
নীলুফার: হু।
মামাতো ভাই:তা দেখতে ছাও কি?
নীলুফার:দেখার মতো কি আছে বাঙলাতে?
মামাতো ভাই:আমাদের গ্রামে যাবি? অনেক কিছু শিখতে পারবি।

নীলুফার: আব্বু আম্মুকে বললে রাজি হবে?
মামাতো ভাই:ওকে বলে দেখ রাজি হয় কিনা!
নীলুফার:আচ্ছা আমি জিজ্ঞাসা করে দেখি! দুই মিনিট লাইনে থাকুন।
মামাতো ভাই:আচ্ছা আমি থাকবো।
নীলুফার: আব্বু আব্বু কোথায় তুমি?
রাইস সাহেব: হ্যা আম্মা বলো?
নীলুফার:আব্বু আমি মামার বাড়িতে যাবো।
রাইস সাহেব: কেন ওখানকার অবস্থা ভালো না। গ্রাম দেখে কি পাবে তুমি সিলেট চলো তোমাকে জাফলং চা বাগান মাজার দেখাবো কি বলো?
নীলুফার: না তা এখন হবেনা। কারণ আমি এতক্ষণ তোমাদের থেকে ডিসিশন জানতে ছেয়েছিলাম তোমারা দাওনি এখন আমি যা বলবো তাই হবে।আমরা মামার বাড়ি যাচ্ছি ফাইনাল!
রাইস সাহেব:আচ্ছা মা তুমি তো নড়বার বান্ধা না তা আমি খুব ভালো করে জানি, ঠিক আছে যাবো।
নীলুফার: ওই ছাগল ভাইয়া আছেন?
মামাতো ভাই:ওই আছি আমি। বল কি আসবি?
নীলুফার:হ্যা আসছি আমরা।
মামাতো ভাই:আচ্ছা কবে আসবি?
নীলুফার: কালকেই আসছি।
মামাতো ভাই:কিসে আসবি গাড়ি নিয়ে আসতে পারবিনাতো তোরা ট্রেনে করে আশিস। আচ্ছা ফুফা ফুফি জানে কেমন করে আসতে হবে।
নীলুফার:গাড়ি নিয়ে কেন যেতে পারবোনা?
মামাতো ভাই:দেখবি আসলে!
নীলুফার: আচ্ছা।
মামাতো ভাই:আমি রাখি এখন আমাকে রেডি হতে হবে বাড়িতে যেতে হবে তোদের আগেই। সব কিছু ঠিক ঠাক করতে হবে আব্বু আম্মু কে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি আমি তোরা কালকে চলে আশিস।
নীলুফার: আচ্ছা ছাগল ভাইয়া রাখি এখন।
মামাতো ভাই: ওই আচ্ছা রাখছি।
টুট টুট করে লাইন কেটে গেল। নীলুফার খুবি এক্সাইটেড তার মামার বাড়ি যাবে সে তার মামার বাড়ি আগে কখনো যায়নি। বলতে গেলে তার নানার ফ্যামিলির সবাই ঢাকাতেই থাকে।তাই গ্রামে যাওয়া হয়ে উঠেনি তার কখনো।নীলুফার তার বাবাকে রাজি করিয়েছে তার মামাদের গ্রামের বাড়ি যেতে। তাই সে আজ খুবি এক্সাইটেড গ্রাম দেখবে সে । পরের দিন ভোর ৫টায় বাবা মাকে নি বের হলো নীলুফার ধানমন্ডি থেকে বের হলো।
তাদের গাড়ি কমলাপুর এসে থেকে গেলো!
নীলুফার:বাবা এখানে কেন গাড়ি থামলো?
রাইস সাহেব:মা আমরা রেলওয়ে করে যাবো।
নীলুফার: কেন?
রাইস সাহেব:মা নাহলে যাওয়ার মাধ্যম নেই ওখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়না ওখানকার রাস্তা ভালোনেই তাই।
নীলুফার;ও তাই নাকি বাবা?
রাইস সাহেব: হ্যা মা।
নীলুফার: রেলের টিকেট নিয়েছো এখন কি তুমি টিকেট পাবে?
রাইস সাহেব: মা তুমি গ্রামে যাবে যখন বলেছ তখনি আমি ৩ টা টিকেট নিয়ে নিয়েছি নেট থেক।
নীলুফার:বাহ্ বাবা তুমি মহান।
নীলিমা বেগম : বাবাকে ফুলাতেই হবে বুঝি?
নীলুফার: আম্মু তুমি কি বলছ? আমি তো বাবাকে সাথে নিয়ে তোমার বাড়িতে যাচ্ছি সো তুমি এখন আমাদের আপ্যায়ন করে নিয়ে যাবে বুঝলে? হু।
নীলিমা বেগম: হয়েছে বুঝতে বাকি নেই আমার এখন।
নীলুফার:কি বুঝেছো আম্মু?
নীলিমা বেগম: বাবা মেয়ে এক হয়েছে আমি এখন কেউ না।
রাইস সাহেব: হ্যা তুমি ঠিকি বলেছো এখন তুমি কেউ না।
নীলুফার: আব্বু তুমি আম্মুকে রাগাইওনা তাহলে আমাদেরি ক্ষতি!
রাইস সাহেব: কেমন?
নীলুফার: দেখো আব্বু আমরা এখন আম্মুর বাড়ি যাচ্ছি।এখন যদি আমরা আম্মুকে রাগিয়ে দেই তাহলে আম্মু আমাদের ওখানে রাগাবে কারণ ওখানকার সবি আম্মুর আয়ত্তাধীন।
নীলিমা বেগম: হ্যা এবার রাগাও বাপ বেটি আমাকে!
রাইস সাহেব: ও তাই তুমি এতো খুশি হ্যা?
নীলিমা বেগম:হু আমি ওখানে দেখাবো তোমারা আমাকে যা দেখানোর এখানে দেখাও!
রাইস সাহেব: ও আচ্ছা দেখা যাবে।
নীলুফার: আব্বু আম্মু আমাকে কিচ্ছু করবেনা আমি জানি তুমি নিজের ব্যবস্থা করে নাও। আমিতো তার মেয়ে আমাকে কষ্ট দিবেনা আমি জানি।ঠিক বলেনি আম্মু?
নীলিমা বেগম:হ্যা আম্মু তুমি নিশ্চিন্তভাবে থাকো।
রাইস দাহেব:ও এখন মা বেটি এক হয়ে আমাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে!
নীলুফার: বাবা আমি কিন্তু কিছু জানিনা।
নীলিমা বেগম: আমিও কিছু জানিনা মা!
রাইস সাহেব: হ্যা হয়েছে দেখা যাবে।
নীলুফার:আব্বু তুমি রাগ করোনা আমি আম্মু তোমার সাথে আছি।

নীলুফার তার আব্বু আম্মুর সাথে মজা করতে করতে ট্রেন ভ্রমণ উপভোগ করছে। কথা বলতে বলতে চলে এসেছে তাদের গন্তব্যে, ট্রেন থেকে নেমে নীলুফার তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবে এখান থেকে এখন?
রাইস সাহেব:মা আমরা এখন নৌপথে যাবো।
নীলুফার:তাই বুঝি আব্বু কিসে করে? নৌকা দিয়ে?
নীলিমা বেগম:নৌকা দিয়ে।
নীলুফার:আম্মু আমি খুব এক্সাইটেড নৌকা ভ্রমণ করবো তাই।
রাইস সাহেব:ওকে মা তাহলে তোমার আজ তো ঈদের দিন।
নীলুফার: হ্যা বাবা।

দ্বিতীয় পর্ব আসছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

অংকুর জেসফি বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম :)

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০১

রাইসা হাছনাত নীলুফার বলেছেন: ধন্যবাদ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.