![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষকতা ছাড়াও কবিতা,প্রবন্ধ ইত্যাদি লিখতে ভাল লাগে।সমমনস্ক বন্ধু পেলে খুশি হই। শিশুরা আমার প্রিয়,তাই শিশুদের লেখা গল্প,কবিতা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি।
‘শুভেচ্ছা’:-
বন্ধু,
বড়ো বিষ জ্বালা তোমার বুকে, তা’ আমি জানি। অন্যায়কে কখনও সহ্য করতে পারো না, ঠিক আমার মতো। কিন্তু বড়ো বিস্ময়--- এখানে জ্ঞানের নামে অজ্ঞানালয়, কবির নামে অকবির ভিড়। ইনভার্টেড কমার ‘......’ মধ্যে শব্দগুচ্ছ থাকলে তা’ যে আমাদের নিজস্ব উদ্ধৃতি নয়, এই প্রাথমিক শিক্ষাও নেই যাদের, তাদের কি আমরা ক্ষমা করতে পারি না? চালে পাথর, ডালে কাঁকর, দুধে জল, যে অ্যাডালটারেশন বা অপমিশ্রণ যারা জানে না, তাদের জ্ঞানোদয়ের জন্য আমরা কি প্রার্থনা করতে পারি না? ‘কাজ না করিয়া অনেকে সময় নষ্ট করে সন্দেহ নাই; কিন্তু কাজ করিয়া যাহারা সময় নষ্ট করে তাহারা কাজও নষ্ট করে, সময়ও নষ্ট করে’। রবীন্দ্র রচনাবলীতে সংরক্ষিত এই বক্তব্য, রবীন্দ্রনাথের নয় ব’লে যারা স্লোগান দিয়ে রবীন্দ্র-সমাধি রচনা করে, রবি ঠাকুর তাদের ক্ষমা করুন—এমনই সদিচ্ছা কি আমরা প্রকাশ করতে পারি না?
আমার হৃদয়োৎসারিত ‘শব্দ-মালিকা’কে যারা ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে, স্বরচিত শুদ্ধ বাণীর অপমিশ্রণ ঘটিয়েছে—আমার আগামী দিনের শব্দ-সৈনিকরা হয়তো তাদের ক্ষমা করতে পারবে না। এই আশঙ্কা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে! তোমার দূরভাষে উচ্চারিত প্রতিবাদী বার্তার সসম্মান প্রতিষ্ঠা হোক, এই কামনা করি!
যারা তোমাকে অকারণ আঘাত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, তারা জানে না কালের প্রহার কত নির্মম! আজ তুমি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে--- এ কথা কারও অজানা নেই। তবু আজও তোমার হৃদয়ে বয়ে চলেছে সুরের ঝর্ণাধারা । ‘রহি রহি সেই মুখ পড়ে মনে’ অথবা ‘হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে’--- এই গীতিমাল্য বিদায়বেলার শেষ স্মরণীয় উপহার। তোমার প্রিয় কবি বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলামের বাণী দিয়ে এই চিঠি শেষ করতে চাই—‘ রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত-লেখা’। ভাল থেকো!!
--- তোমার প্রিয়-সাথী।
©somewhere in net ltd.