নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহারাজা হরি সিং শেখ আব্দুল্লার পরামর্শ গ্রহণ করার পর ভারতের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন । মহারাজা কাশ্মীরের পক্ষে অনুঘটকের কাজ করার দায়িত্ব দিলেন শেখ আব্দুল্লাকে। পন্ডিত নেহেরু পরিবারের আদিনিবাস ছিল কাশ্মীর । শেখ আব্দুল্লার সঙ্গে নেহরুর পারিবারিক সম্পর্কও ছিল । এঁরা পরষ্পর আবাল্য বন্ধু । সেই বন্ধুত্ব’র খাতিরে আব্দুল্লা নেহরুকে বোঝালেন কাশ্মীর যে সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে, তাতে ভারত বা পাকিস্তান কোনো একটি দেশের সাহায্য গ্রহণ করতেই হবে । তিনি নেহরুকে আরও বললেন যে কাশ্মীরকে সাহায্য করলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁর জন্মভূমি চিহ্নিত হতে পারে ভারতে, তা’ না হ’লে কাশ্মীর যদি কখনো পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়, নেহরু পাকিস্তানী ব’লে পরিচিত হবেন । নেহরু এই উভয়-সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে বললেন যে এ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, তবে একটা স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা যায় না ।
১৯৪৭ খৃস্টাব্দ’র ২৬শে অক্টোবর রাজা হরি সিং, শেখ আব্দুল্লা, জওহরলাল নেহরু ও মাউন্টব্যাটেন দীর্ঘ আলোচনার পর একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারলেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মহারাজা হরি সিং তাঁর দেশ কাশ্মীর, ভারত বা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক তা’ কখনো চান নি । তিনি ভারত বা পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মাত্র । তিনি নিজেই একটি স্বাধীন দেশের, স্বাধীন রাজা হিসেবে রাজত্ব করতে চেয়েছিলেন । তাই মহারাজা হরি সিং-এর দাবি’র উপর ভিত্তি ক’রে, এ বিষয়ে উভয় পক্ষ’র কয়েকটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল । পাঠকবন্ধুরা, এই চুক্তিগুলি মনোযোগসহকারে পড়বেন, প্রয়োজন হ’লে সংগ্রহে রাখবেন । কারণ এই বিশেষ চুক্তিগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত কারণসমূহ । এই চুক্তি অনুযায়ী কার্য সম্পাদিত হলে, কখনো কাশ্মীর নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হ’ত না । পাকিস্তান বা ভারত কোনও দেশ পরষ্পর শত্রু মনে করতে পারত না । বিশেষ চুক্তিগুলি নিম্নরূপ:--
(১) কাশ্মীর অঞ্চলের শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা, ডাক-তার যোগাযোগ ও বৈদেশিক বিষয় ভারত সরকারের হাতে থাকবে ।
(২) ভারতের সংবিধান কাশ্মীরের উপর প্রয়োগ করা যাবে না ।
(৩) কাশ্মীরের আলাদা এবং নিজস্ব সংবিধান থাকবে।
(৪) কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী 'প্রধানমন্ত্রী' বলেই উল্লেখিত হবেন সর্বত্র, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ব'লে চিহ্নিত করা যাবে না ।
(৫)কাশ্মীরের নিজস্ব ও পৃথক জাতীয় পতাকা থাকবে, যা ভারত থেকে স্বতন্ত্র ।
(৬) কোনো ভারতীয়কে কাশ্মীরে ঢুকতে হ'লে অনুমতিপত্র বা পারমিট নিতে হবে।...ইত্যাদি
...এই চুক্তিগুলি ছাড়াও পরবর্তী সময়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ৬ই জানুয়ারি ১৯৪৮-এ কাশ্মীর-সমস্যার জন্য যে শর্তগুলি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিল তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আমরা পরবর্তী পর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করব ।...(চলবে)
২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাকু হাসান ভাই, আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ! ধীরে ধীরে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব, কাশ্মীরকে ঘিরে, কেন আরও সমস্যার সৃষ্টি হ'তে থাকল।(?)...শুভেচ্ছা !
২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।
২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯
গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার উৎসাহ-বর্দ্ধক ইচ্ছা প্রকাশের জন্য !
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
রাকু হাসান বলেছেন: চুক্তির শর্তগুলো মানলে তো আজ কাশ্মীরে এই করুণ পরিণতি হতো ই না । চুক্তিভঙ্গের জন্য ভারত পাকিস্থানের তিরষ্কার হওয়া উচিত ছিল ।