নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি রইসউদ্দিন গায়েন। পুরনো দুটি অ্যাকাউন্ট উদ্ধার করতে না পারার জন্য আমি একই ব্লগার গায়েন রইসউদ্দিন নামে প্রকাশ করতে বাধ্য হয়েছি এবং আগের লেখাগুলি এখানে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আবার প্রকাশ করছি।

গায়েন রইসউদ্দিন

গায়েন রইসউদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মীর প্রসঙ্গে--একটি ঐতিহাসিক দলিল (৫ম পর্ব)

২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

মহারাজা হরি সিং শেখ আব্দুল্লার পরামর্শ গ্রহণ করার পর ভারতের সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলেন । মহারাজা কাশ্মীরের পক্ষে অনুঘটকের কাজ করার দায়িত্ব দিলেন শেখ আব্দুল্লাকে। পন্ডিত নেহেরু পরিবারের আদিনিবাস ছিল কাশ্মীর । শেখ আব্দুল্লার সঙ্গে নেহরুর পারিবারিক সম্পর্কও ছিল । এঁরা পরষ্পর আবাল্য বন্ধু । সেই বন্ধুত্ব’র খাতিরে আব্দুল্লা নেহরুকে বোঝালেন কাশ্মীর যে সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে, তাতে ভারত বা পাকিস্তান কোনো একটি দেশের সাহায্য গ্রহণ করতেই হবে । তিনি নেহরুকে আরও বললেন যে কাশ্মীরকে সাহায্য করলে অদূর ভবিষ্যতে তাঁর জন্মভূমি চিহ্নিত হতে পারে ভারতে, তা’ না হ’লে কাশ্মীর যদি কখনো পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়, নেহরু পাকিস্তানী ব’লে পরিচিত হবেন । নেহরু এই উভয়-সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে বললেন যে এ বিষয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, তবে একটা স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা যায় না ।
১৯৪৭ খৃস্টাব্দ’র ২৬শে অক্টোবর রাজা হরি সিং, শেখ আব্দুল্লা, জওহরলাল নেহরু ও মাউন্টব্যাটেন দীর্ঘ আলোচনার পর একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারলেন । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মহারাজা হরি সিং তাঁর দেশ কাশ্মীর, ভারত বা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক তা’ কখনো চান নি । তিনি ভারত বা পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মাত্র । তিনি নিজেই একটি স্বাধীন দেশের, স্বাধীন রাজা হিসেবে রাজত্ব করতে চেয়েছিলেন । তাই মহারাজা হরি সিং-এর দাবি’র উপর ভিত্তি ক’রে, এ বিষয়ে উভয় পক্ষ’র কয়েকটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল । পাঠকবন্ধুরা, এই চুক্তিগুলি মনোযোগসহকারে পড়বেন, প্রয়োজন হ’লে সংগ্রহে রাখবেন । কারণ এই বিশেষ চুক্তিগুলির মধ্যে লুকিয়ে আছে কাশ্মীর সমস্যার প্রকৃত কারণসমূহ । এই চুক্তি অনুযায়ী কার্য সম্পাদিত হলে, কখনো কাশ্মীর নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি হ’ত না । পাকিস্তান বা ভারত কোনও দেশ পরষ্পর শত্রু মনে করতে পারত না । বিশেষ চুক্তিগুলি নিম্নরূপ:--
(১) কাশ্মীর অঞ্চলের শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা, ডাক-তার যোগাযোগ ও বৈদেশিক বিষয় ভারত সরকারের হাতে থাকবে ।
(২) ভারতের সংবিধান কাশ্মীরের উপর প্রয়োগ করা যাবে না ।
(৩) কাশ্মীরের আলাদা এবং নিজস্ব সংবিধান থাকবে।
(৪) কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী 'প্রধানমন্ত্রী' বলেই উল্লেখিত হবেন সর্বত্র, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ব'লে চিহ্নিত করা যাবে না ।
(৫)কাশ্মীরের নিজস্ব ও পৃথক জাতীয় পতাকা থাকবে, যা ভারত থেকে স্বতন্ত্র ।
(৬) কোনো ভারতীয়কে কাশ্মীরে ঢুকতে হ'লে অনুমতিপত্র বা পারমিট নিতে হবে।...ইত্যাদি
...এই চুক্তিগুলি ছাড়াও পরবর্তী সময়ে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ৬ই জানুয়ারি ১৯৪৮-এ কাশ্মীর-সমস্যার জন্য যে শর্তগুলি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছিল তা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আমরা পরবর্তী পর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করব ।...(চলবে)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

রাকু হাসান বলেছেন: চুক্তির শর্তগুলো মানলে তো আজ কাশ্মীরে এই করুণ পরিণতি হতো ই না । চুক্তিভঙ্গের জন্য ভারত পাকিস্থানের তিরষ্কার হওয়া উচিত ছিল ।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাকু হাসান ভাই, আপনার মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ! ধীরে ধীরে আমরা বুঝতে চেষ্টা করব, কাশ্মীরকে ঘিরে, কেন আরও সমস্যার সৃষ্টি হ'তে থাকল।(?)...শুভেচ্ছা !

২| ২৮ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।

২৯ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

গায়েন রইসউদ্দিন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার উৎসাহ-বর্দ্ধক ইচ্ছা প্রকাশের জন্য !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.